আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হাওর অঞ্চলের সংস্কৃতিচর্চা বিকশিত করতে ২০০১ সালে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় হবিগঞ্জ কিবরিয়া পৌর মিলনায়তন। যা তৎকালিন সময়ে ছিল দেশের অন্যতম বড় এবং আধুনিক মিলিনায়তন। হলের ভেতরে ছিলো সু-বিশাল মঞ্চ এবং একসাথে সাড়ে ৬শ মানুষের বসার সিট। শিল্পীদের জন্য ছিল আলাদা আলাদা ড্রয়িং রুম, ড্রেসিং রুম, রিয়ারসেল রুম ও মেকাপ রুম। ছিল সেন্ট্রাল এসির ব্যবস্থা। সাউন্ড ইনস্টলমেন্ট এবং আলোকবাতিসহ যাবতীয় যন্ত্রাংশ আনা হলেছিল আমেরিকা এবং সিঙ্গাপুর থেকে।

২০০১ সালের ২৪ মার্চ কিবরিয়া পৌর অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ্ এএমএস কিবরিয়া। উদ্বোধনের পর অডিটোরিয়ামটি হবিগঞ্জ পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করে নির্মাণকারী সংস্থা এলজিইডি। এরপর থেকে এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে পৌরসভা। কিন্তু মাত্র কয়েক বছর এটি চালু থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও উদতাসিনতার কারণে ২০১২ সালের দিকে অডিটরিয়ামটি বন্ধ হয়ে যায়।

দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই অডিটোরিয়ামটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণ না করায় সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে কোটি কোটি টাকার এসি, সাউন্ড ইনস্টলমেন্ট, আলোকবাতি, মঞ্চ, চেয়ার-টেবিলসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদি। প্রবেশের দরজাগুলো খেয়ে ফেলেছে উইপোকা। এতে ক্ষুব্ধ ও ভারাক্রান্ত জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

জেলা ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ ইসলাম বলেন, হবিগঞ্জে ভালো কোন অডিটরিয়াম নেই। বর্তমানে আমাদের যে কোন অনুষ্ঠান করতে হয় শহরের টাউন হলে। সেখানে যেমন বেশি মানুষের ধারণ ক্ষমতা নেই, তেমনি নেই পার্কিং ব্যবস্থা। সেই সাথে শহরে যানজটের সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, কিবরিয়া অডিটরিয়ামটি অনেক বড়। এখানে এক সাথে হাজার মানুষ নিয়ে যে কোন অনুষ্ঠান করা যেতো। আমরা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান এখানে করেছি। কিন্তু অজানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ রয়েছে।

হবিগঞ্জ ব্যবসায়ি কল্যাণ সমিতি (ব্যাকস্) এর সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, কিবরিয়া অডিটরিয়ামটি বিশাল বড় এবং খুবই আধুনিক ছিল। এখানে যে কোন বড় অনুষ্ঠান করা যেতো। যেমন মনোরম পরিবেশ ছিল, তেমনি সব ধরণের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। যেটি আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। আমরা চাই এটি দ্রুত সংস্কার করে আবারো উন্মোক্ত করে দেয়া হোক।

সাংস্কৃতিক কর্মী সিদ্দিকী হারুন বলেন, কিবরিয়া অডিটারিয়াম চালুর পর জেলা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুন ধারা যুক্ত হয়েছিল। গতি পেয়েছিল সংস্কৃতিচর্চা। কিন্তু এটি বন্ধের পর ঝিমিয়ে পড়েছে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা শিল্পকলায় যে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করি। কিন্তু এখানে ভাড়া বেশি এবং ভালো সুবিধাও নেই। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাবো দ্রুত এটিকে সংস্কারের মাধ্যমে চালু করে স্বল্পভাড়ায় সংস্কৃতিক চর্চার ব্যবস্থা করে দেয়া হোক।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এই অডিটরিয়ামটি যখন নির্মাণ হয় তখন আমি পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলাম। এটি ছিল বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম বড় এবং আধুনিক অডিটরিয়াম। এখানে সেন্ট্রাল এসির ব্যবস্থা ছিল। এছাড়া সাউন্ড ইনস্টলমেন্ট, আলোকবাতিসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদি আনা হয়েছিল আমেরিকা এবং সিঙ্গাপুর থেকে।

তিনি বলেন, শুরু কয়েক বছর এটি চালু ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে যে বা যারা পৌরসভার দায়িত্বে এসেছেন তারা এটিকে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেননি। যে কারণে এটি বন্ধ হয়ে যায়। আমরা চাই বর্তমান পৌর পরিষদ এটি আবার সংস্কার করে চালু করবে।

দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত থাকার কারণে অপরাধিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় অডিটরিয়ামটি। তবে বছরখানেক ধরে এটিকে ডাম্পিং হিসেবে ব্যবহার করছে হবিগঞ্জ পৌরসভা। রাখা হচ্ছে পৌরসভার গাড়িসহ নানা সরঞ্জামাদি। সেই সাথে নিয়োগ দেয়া হয়েছে দুজন নিরাপত্তাকর্মী।

হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন, এইর মধ্যে অডিটরিয়ামটি সংস্কার করে চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমি মন্ত্রণালয়ের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলছি। তারাও আমাকে আশ্বস্ত করেছেন আমাকে এটি অনুদান দেবেন।

তিনি বলেন, তৎকালিন সময় এটি ৫ কোটি টাকায় নির্মাণ হলেও জায়গা এবং আনুষাঙ্গীক বিষয় মিলিয়ে বর্তমানে এটির ভ্যালো হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। তবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চুক্তিভিত্তিকভাবে এটিকে সংস্কার ও পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চাইলে সেই সুযোগও আছে।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেল প্রার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ জন চেয়ারম্যান, ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

সোমবার (১৩ মে) বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও রির্টানিং কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী- আনারস প্রতীক, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু-কাপ পিরিচ প্রতীক, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতা রহমত উল্যা বিপ্লব- ঘোড়া প্রতীক, মো. আবুল কাশেম-দোয়াত কলম প্রতীক ও মো. নিজাম উদ্দিন- মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাফিজ উল্যা-মাইক প্রতীক, সাবেক শ্রমিক লীগ নেতা মামুনুর রশিদ- উড়োজাহাজ প্রতীক, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউসুফ পাটওয়ারী-বই প্রতীক, মো. ইয়াছিন আরাফাত-তালা প্রতীক ও মো. মাসুদুর রহমান-চশমা প্রতীক পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকা-ফুটবল প্রতীক, বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদা আক্তার-হাঁস প্রতীক ও সেলিনা খানম-পদ্মফুল প্রতীক পেয়েছেন।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং অফিসার আতিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সদর উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৯৮ হাজার ২৩৭ জন, পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৪০৩ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ৫ জন ভোটার। মোট ভোট কেন্দ্র ১৯২ টি।

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপের নির্বাচন আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে বাধা নেই

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এর ফলে আগামী ৫ মে এ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণে আর কোনো বাধা নেই। বুধবার (৮ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৬ মে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। ওইদিন বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। পরে ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন।

গত ২৩ এপ্রিল নির্বাচন ভবনে ৩২তম কমিশন সভায় শেষে সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ৫ জুন উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

এই আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সদস্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।


আরও খবর



৪১৯ যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল হজের প্রথম ফ্লাইট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৪১৯ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (০৯ মে) সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৩০১ ফ্লাইটটি সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান হজের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করেন। এর আগে, গতকাল বুধবার রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে এবারের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ হতে পারে। তবে ভিসা কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি। এই কাজ শেষ করতে দ্বিতীয় দফায় আগামী ১১ মে পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৬ হাজার ৫২৭ জন হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৫০ শতাংশ হজযাত্রী পরিবহন করবে, যার সংখ্যা ৪৩ হাজার ৮৯৯ জন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রি-হজে মোট ১১৬টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে জেদ্দায় ৮২টি, চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় ১৭টি, সিলেট থেকে জেদ্দায় ৫টি, ঢাকা থেকে মদিনায় ৯টি, চট্টগ্রাম থেকে মদিনায় ২টি এবং সিলেট থেকে মদিনায় একটি।

এ ছাড়া হজ শেষে পোস্ট হজে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস মোট ১২৫টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে জেদ্দা থেকে ঢাকাতে ৭৩টি, জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে ১৫টি, জেদ্দা থেকে সিলেটে ২টি, এছাড়া মদিনা থেকে ঢাকা ২২টি, মদিনা থেকে চট্টগ্রামে ৯টি এবং মদিনা থেকে সিলেটে ৪টি।


আরও খবর



ব্যাংক ডাকাতি-অস্ত্র লুট

কেএনএফ সম্পৃক্ততায় রুমা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৭ জন কারাগারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে চলমান যৌথবাহিনীর অভিযানে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ কেএনএফ এর আরো ৭ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের বান্দরবান চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন লাল নুন নোয়াম (৬৮) লাল দাভিদ বম (৪২) চমলিয়ান বম (৫৬) লাল পেক লিয়ান (৩২) ভান নুন নোয়াম (৩৩) লাল মিন বম (৫৬) ভান বিয়াক লিয়ান বম (২৩)। তারা সবাই রুমার মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, অপহরণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলার ঘটনায় রুমার মুনলাই পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জন কেএনএফ এর সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত ৭ জনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম এমরান এর আদালতে হাজির করা হলে আদালত আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির মামলায় ৭৮জন কে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল  বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, অপহরণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা করে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় রুমা ও থানচিতে ৯টি মামলা দায়ের করা হয়।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নির্বাচন বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (২০২৪-২৬) মেয়াদি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট আবেদন করেন।

রিটে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণা হয় শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে। ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

নির্বাচনে সভাপতি মিশা সওদাগর মোট ভোট পান ২৬৫টি। অন্যদিকে মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ডিপজল পান ২২৫ ভোট। ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন নিপুণ আক্তার (২০৯)। সহ-সভাপতি পদে ২৩১ ও ২৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয় মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়াও সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান ২৩৭, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ২৫৫, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো ২৯৬, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর ২৪৫, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ২৩৫ এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল ২৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয় ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)। কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০)।


আরও খবর