আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

অসুস্থ খালেদা জিয়া, চার্জ শুনানি পেছালো

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ আগামী ২৮ মে ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (২৪ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে মামলাটি চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি।

আদালতে তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন। অন্য আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। পরে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম ও ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল আলম শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। বিভিন্ন সময় ছয় আসামি মারা যান। বর্তমানে এ মামলায় আসামির সংখ্যা সাত জন।


আরও খবর



নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ দুটোই উদ্ধার করার ক্ষেত্রেই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি শিগগির তাদেরকে মুক্ত করতে পারবো। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন।

তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। প্রথমত যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত তাদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রচুর চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল সেটি এই মুহূর্তে নেই। আমরা আশা করছি তাদেরকে শিগগির মুক্ত করতে পারবো। বুধবার (১০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেন ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশে সবসময় গণতন্ত্র হরণ করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তাদের হাত ছিল। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই সেটি ঘটানো হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ১৩ সালে কি ধরণের সন্ত্রাসী ও জঘন্য মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা তারা চালিয়েছিল। ১৪ সালের নির্বাচনে পাঁচশ নির্বাচনী কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং নির্বাচনী কর্মকর্তা ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেটির উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। ১৮ সালের নির্বাচনেও একই প্রচেষ্টা ছিল। সর্বশেষ ২৪ সালের বিগত নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালানো হয়।

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বৃদ্ধি এবং হামলায় একব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গত মন্ত্রীসভার মিটিংয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কিশোর গ্যাং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে বিভিন্ন জেলা শহরে এই কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংদের গ্রেপ্তারের পর স্বাভাবিক জেলে না রেখে সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, সাধারণ জেলে যদি তাদেরকে পাঠানো হয় সেখানে থাকা অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা আরো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে পারে। দেশে এটি নতুন সমস্যা, এটিকে দূর করতে সরকার কাজ করছে। কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে নেপথ্যে যেই থাকুক, সে যেই দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং হচ্ছে।

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন আমাদের দেশে রমজান আসার আগে এবং রমজানের সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করার জন্য একটি অসাধু চক্র ও কিছু মজুতদার সবসময় সক্রিয় হয়। এবারও তা হয়েছে। সেটির সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করা, পণ্যের মূল্য যাতে বাড়ে। কিন্তু সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রেক্ষিতে এবার রমজানের সময় বাজার স্থিতিশীল ছিল এবং অনেক পণ্যের দাম কমেছে। 


আরও খবর



উখিয়ায় বনবিট কর্মকর্তাকে পিষে মারল বনদস্যুদের ডাম্পট্রাক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় সংরক্ষিত বনের পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছিল বনদস্যুরা। খবর পেয়ে তা ঠেকাতে গিয়ে পাচারকারীদের ডাম্প ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন বনবিভাগের এক কর্মকর্তা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন, বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭)।

রোববার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম।

নিহত মো. সাজ্জাদুজ্জামান (৩০) কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজরিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শফিউল বলেন, শনিবার গভীর রাতে হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে মিনি ট্রাকে করে মাটি পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে মোটরসাইকেলে বনরক্ষীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সাজ্জাদুজ্জামান।

স্থানীয়রা আহত বনরক্ষীকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে বলে জানান এই বন কর্মকর্তা।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারোয়ার আলম বলেন, বন রক্ষা করতে গিয়ে সাজ্জাদ নিজের জীবন দিয়েছেন। তার নির্মম মৃত্যুতে আমরা একজন দক্ষ ও পরিশ্রমী বন কর্মকর্তাকে হারালাম।

পাহাড়-বন ধ্বংসকারীদের প্রতিরোধে এই মুহূর্তে সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়ে সারোয়ার আলম আরও বলেন, না হয় অচিরেই বন ধ্বংস হয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে পরিবেশ-প্রকৃতি।

উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।


আরও খবর



কারাগার থেকে সরিয়ে সু চিকে গৃহবন্দি করল মিয়ানমারের জান্তা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে কারাবন্দি থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করা হয়েছে। চলমান গরম আবহাওয়ার কারণে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা।

সামরিক সরকারের বরাত দিয়ে বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে আটক দেশটির সাবেক নেতা ও নোবেল বিজয়ী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির সামরিক সরকারের একজন মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

জান্তার মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, যেহেতু আবহাওয়া এখন অত্যন্ত গরম, তাই এটি শুধুমাত্র অং সান সুচির জন্য নয়... যাদের জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা প্রয়োজন, বিশেষ করে বয়স্ক বন্দিদের, আমরা তাদের হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা করার জন্য কাজ করছি।'

মিয়ানমারের চারটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। জাও মিন তুন অবশ্য মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেননি।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৭৮ বছর বয়সী সু চির সরকারকে উৎখাত করা হয় এবং এরপর থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাকে আটক করে রেখেছে। রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ঘুষ থেকে শুরু করে টেলিকমিউনিকেশন আইন লঙ্ঘন পর্যন্ত অপরাধের দায়ে নোবেলজয়ী এই নেত্রীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হয়েছে। যদিও তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগই অস্বীকার করেছেন অং সান সু চি। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সু চির ছেলে কিম অ্যারিস বলেছিলেন, তাকে (অং সান সু চি) নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে।

বিশ্ব নেতারা এবং গণতন্ত্রপন্থি কর্মীরা বারবার সু চির মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। মিয়ানমারের এনইউজি ছায়া সরকারের একজন মুখপাত্র সু চি এবং দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।

মুখপাত্র কিয়াও জাও বলেন, তাদেরকে কারাগার থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া ভালো, কারণ কারাগারের চেয়ে ঘরগুলো ভালো। তবে তাদের অবশ্যই নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তাদের অবশ্যই অং সান সু চি এবং ইউ উইন মিন্টের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে।


আরও খবর



বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক শেখ এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আহাদ শিমুল, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর)

Image

ইন্দুরকানী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক শেখ এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়। 

রবিবার(৭ এপ্রিল) আসরের নামাজের পরে ইন্দুরকানী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় মিলনায়তনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অংশগ্রহণ করেন। 

মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বরগুনার উত্তর খাজুরা এছাহাকিয়া আলিম মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মোস্তাইজ বিল্লাহ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার এবং দেশের শান্তি, মঙ্গল কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

দোয়া অনুষ্ঠানের পূর্বে বক্তব্য রাখেন ইন্দুরকানী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলরুবা মিলন নাহার, ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবের সভাপতি এইচ এম ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক খান মোঃ মনিরুজ্জামান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবুল খায়ের মিলন, পত্তাশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান, বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম, জান্নাতি আক্তার, চাড়াখালী আশ্রয়ণ সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সোহাগ কাজী প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাদুল ইসলাম শিমুল। মোনাজাত শেষে সবাই ইফতারে অংশগ্রহণ করেন। 


আরও খবর



১৬ বছর পর নিলামে সোনা বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

প্রায় ১৬ বছর পর নিলামে সোনা বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন মানের ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম সোনা ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সব প্রক্রিয়া শেষ করে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ভেনাস জুয়েলার্সের কাছে এসব সোনা হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে এই সোনা বিক্রির জন্য ২০২২ সালের নভেম্বরে নিলাম ডেকেও উপযুক্ত দরদাতা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর বিক্রি করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, শুল্ক গোয়েন্দার জব্দ করা সোনা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রির বিপরীতে পাওয়া ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা কাস্টমসের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় নিলামের মাধ্যমে এ সোনা বিক্রি করা হয়েছে।

জানা গেছে, স্থায়ী খাতে নেওয়া সোনার প্রায় দুই হাজার ৪২৯ কেজি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কিনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ করেছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মালিককে ফেরত বা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে এক হাজার ৮৭ কেজি ৪০০ গ্রাম।

সর্বশেষ ২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রায় ২২ কেজি সোনা নিলামে বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ২০২২ সালের নভেম্বরে স্থায়ী খাতের আরও ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম সোনা বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে ওই বছরের নভেম্বরে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ নিলামে অংশ নিলেও অপেক্ষাকৃত কম দর প্রস্তাব করে। যে কারণে সে সময় বিক্রি না করে আবার নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয় গত বছরের মে মাসে। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে গত অক্টোবরে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাবিত দর মূল্যায়ন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান যে দামের প্রস্তাব করেছে, তাতে ২৫ কেজি সোনার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি টাকার কিছু বেশি। কিন্তু এই দাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজেকশন রেটের চেয়ে কম হওয়ায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি নিলাম কমিটি। এরপর বিষয়টি নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সভায় বিস্তারিত আলোচনা হলেও বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) প্রদত্ত রেটের (বাজার রেট) চেয়ে অন্তত ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম ধরে সোনা বিক্রির প্রজেকশন রেট ঠিক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদি নিলামে ওই রেটের সমান বা বেশি পাওয়া যায়, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সংক্রান্ত কমিটি সোনা বিক্রি করে দেয়।


আরও খবর