আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

অস্ত্র সরবরাহে ইউক্রেনের মিত্রদের ছাপিয়ে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছরের মার্চে ইউক্রেন তার ইউরোপীয় মিত্রদের কাছে প্রতি মাসে আড়াই লাখ গোলা চায়। দেশটির তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকোভ বলেছিলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী পূর্ণ মাত্রায় লড়াইয়ের জন্য তাঁদের প্রতি মাসে অন্তত সাড়ে তিন লাখ গোলা প্রয়োজন। ইউক্রেন তখন মাসে মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার গোলা পায়। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পার্থক্য গড়ার জন্য তাদের ইউরোপের সহায়তা দরকার ছিল।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ১ বছরে ১০ লাখ গোলা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যা ছিল ইউক্রেনের চাহিদার তিন ভাগের এক ভাগ। সেখানে নভেম্বরের শেষ নাগাদ ইইউ দিতে পেরেছে তিন লাখ গোলা। সেগুলো দেওয়া হয়েছে ইউরোপের দেশগুলোর সেনাবাহিনীর মজুত থেকে। প্রতিশ্রুতি পূরণে চার মাসে বাকি সাত লাখ গোলা তাদের সরবরাহ করতে হবে। কিন্তু ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, নতুন করে উৎপাদনের পরই ইউক্রেনকে গোলা সরবরাহ করা হবে।

আশ্চর্যজনকভাবে ইউরোপের মাটিতে প্রায় দুই বছর ধরে যুদ্ধ চলার পরও ইইউ সমরাস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর সক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি। গত ১৪ নভেম্বর ইইউর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের এক সমাবেশে জোসেফ বোরেল বলেন, আজ আমরা জানতে চাই, আমরা কোথায় আছি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে উৎপাদনের (সমরাস্ত্র) গতি কেমন হবে।

রাশিয়াও তার উৎপাদনসক্ষমতার চেয়ে বেশি গোলা বর্ষণ করছে। গত সেপ্টেম্বরে দেশটি এ জন্য উত্তর কোরিয়ার সহায়তা চায়। এর এক মাসের মধ্যে উত্তর কোরিয়া এক হাজার কনটেইনার গোলাবারুদ রাশিয়ায় পাঠায় বলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি জানিয়েছেন। এস্তোনিয়ার সামরিক গোয়েন্দা প্রধান কর্নেল অ্যান্ট কিভিসেলগ বলেন, উত্তর কোরিয়ার পাঠানো গোলার পরিমাণ তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ হবে। এই একই পরিমাণ গোলাবারুদ ইউক্রেনকে দিয়েছে ইইউ, তবে তা এক মাসে নয়, আট মাসে।

ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে স্যাটেলাইট আলোকচিত্র বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বলা হচ্ছে, আগস্টে উত্তর কোরিয়ার মুক্তবাণিজ্য অঞ্চলের রাসোন বন্দর থেকে রাশিয়ার দুনাই বন্দরে চালানগুলো যাওয়ায় বেশি পরিমাণে গোলাবারুদ পরিবহন সম্ভব হয়েছে।

এর বাইরে রেলপথ দিয়ে উত্তর কোরিয়া থেকে বাড়তি গোলাবারুদ নিয়ে থাকতে পারে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) বলেছে, স্যাটেলাইট আলোকচিত্র দেখা যাচ্ছে যে সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জংউনের বৈঠকের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে রেল চলাচল নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।

গ্রিসের অ্যারিস্টটেলিন ইউনিভার্সিটি অব থেসালোনিকির ইতিহাসের ইমেরিটাস অধ্যাপক ইয়োরগোস মার্গারিটিস বলেন, পশ্চিমের কাছে বিরাট বিস্ময়ের বিষয় হলো, চীনসহ বহির্বিশ্বের কাছ থেকে রাশিয়া যা চেয়েছিল, তা অর্জনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত পারদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছে তারা। উত্তর কোরিয়া যে পরিমাণ গোলা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে (১০ লাখ), তা বিরাট সংখ্যা। ইতিমধ্যে তারা এর ১০ ভাগের ১ ভাগ দিয়েও দিয়েছে।

এ বিষয়ে জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের ফেলো ইয়েনস বাস্তিয়ান বলেন, রাশিয়া পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ পাচ্ছে। তারা কতটা খরচ হলো, তা নিয়ে ভাবছে না। সন্দেহাতীতভাবে তারা তৃতীয় পক্ষেরও সহায়তা পাচ্ছে। ইউক্রেনের দিকে এই তিন বিষয় একই রকম হচ্ছে না।

এই সংকট থেকে বের হওয়ার উপায় পাচ্ছে না ইইউ। জোসেফ বোরেলের মতে, ইইউর প্রতিরক্ষা শিল্পের ঘাটতির পেছনে বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের চুক্তি বড় ভূমিকা রাখছে। চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে উৎপাদনের ৪০ শতাংশ নিয়ে যাচ্ছে এই ক্রেতারা।

ইউরোপের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ ছিল ত্বরিত ও অগ্রসরমাণ। গত ফেব্রুয়ারিতে তারা কামানের গোলার উৎপাদন ছয় গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ইউক্রেনকে সরবরাহের কারণে মজুতে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছিল, তা পূরণে ইউক্রেনকে আরও বেশি গোলাবারুদ সরবরাহ এবং ভবিষ্যতের সংঘাতের জন্য মজুত বাড়াতে ওয়াশিংটন ওই সিদ্ধান্ত নেয়। গত শতকের পঞ্চাশের দশকে হওয়া কোরীয় যুদ্ধের পর এবারই সবচেয়ে বেশি গোলার উৎপাদন বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র।

নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ১৪ হাজার ৪০০টি গোলা কেনে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। এরপর তারা এই সংখ্যা বাড়িয়ে তিন গুণ করেছিল। এরপর ২০২৩ সালে পরিমাণ দ্বিগুণ করে ৯০ হাজারে নেয়।


আরও খবর



পুলিৎজার পেল ৩ গণমাধ্যম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেল ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স, মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট। পুলিৎজারের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার পাবলিক সার্ভিস (জনসেবা) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা প্রোপাবলিকা। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে গাজায় চলমান ইসরাইল-হামাস সংঘাত নিয়ে খবর প্রকাশ বড় ভূমিকা রেখেছে। গাজা সংঘাত নিয়ে রয়টার্সের বেশ কয়েকটি ছবি এবার পুলিৎজারের ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে।

এ বছর ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেয়েছে রয়টার্সের আলোকচিত্রী মোহাম্মদ সালেমের তোলা একটি ছবি। ছবিটিতে দেখা যায়, গাজায় নিহত পাঁচ বছরের এক শিশুর মরদেহ জড়িয়ে ধরে আছেন এক ফিলিস্তিনি নারী।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলা ও তারপর থেকে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক ও বর্বর আগ্রাসন নিয়ে বিস্তৃত ও প্রকাশযোগ্য প্রতিবেদন করায় ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

অন্যদিকে জেলবন্দি রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতিবিদ ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলামলেখক ভ্লাদিমির কারা-মুর্জাকেও পুলিৎজার দেওয়া হয়েছে। কারাগারে থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আলোচিত কিছু কলাম লেখার কারণে তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন।

কারা-মুর্জা রাশিয়ায় ২৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া এক বক্তৃতায় রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ’ করছে বলে উল্লেখ করার পর তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার’ অভিযোগ তোলে পুতিন প্রশাসন। তারপর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচকদের মধ্যে তিনিই দীর্ঘতম সাজা পেয়েছেন।

এবার পুলিৎজারের ফিকশন অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন সাহিত্যিক জেন অ্যান ফিলিপস। যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ চলাকালীন ও তার পরবর্তী সময়ে এক মা ও তার মেয়েকে নিয়ে লেখা উপন্যাস নাইট ওয়াচ’ এর জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে এ ডে ইন দ্য লাইফ অফ আবেদ সালামা: অ্যানাটমি অব এ জেরুজালেম ট্র্যাজেডি’ বইয়ের জন্য পুলিৎজারের ননফিকশন’ পুরস্কার পেয়েছেন আমেরিকান ইহুদি লেখক নাথান থ্রাল।

সাংবাদিকতার নোবেল’ হিসেবে খ্যাত এই পুলিৎজার পুরস্কার। ১৯১৭ সাল থেকে সাংবাদিকতা ছাড়াও সাহিত্য, সংগীত, নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি বোর্ড প্রতি বছর এ পুরস্কার ঘোষণা করে।


আরও খবর



বৃষ্টিতে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ভারতের নারীদের দেখেশুনে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ম্যাচের মাঝখানে হঠাৎ হানা দেয় বৃষ্টি। বৃষ্টিতে বন্ধ রয়েছে ম্যাচটি। বন্ধ হওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান।

ব্যাট হাতে বাংলাদেশের হয়ে অপরাজিত আছেন মুর্শিদা খাতুন। ২৮ বলে ২৫ রান করেছেন এই ওপেনার। তার সঙ্গে আছেন সদ্য ক্রিজে নামা রিতু মনি। দুই বল খেললেও এখনও রানের খাতা খোলেননি রিতু।

ওপেনিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১৪ রানে দিলারা আক্তারের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৬ বলে ১০ রান করে দীপ্তি শর্মার বলে রেনুকা সিংয়ের ক্যাচে পরিণত হন দিলারা। আগের ম্যাচে একাই বাংলাদেশকে টেনে নেওয়া জ্যোতি এদিন ব্যর্থ হন ভালো ইনিংস খেলতে। ১১ বলে ছয় রান করে রাধা যাদবের বলে লেগবিফোর হন তিনি।

টসের পর অধিনায়ক জ্যোতি বলেছিলেন, প্রথম ম্যাচে আমাদের বোলাররা ভালো করেছেন। ব্যাটিংটা ঠিকঠাক হয়নি। আজ আশা করি ব্যাটাররা নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে ঠিকঠাক। সবাই সবার জায়গা থেকে ইফোর্ট দিলে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা থাকে।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে সোনার ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার প্রভাব পড়ছে জ্বালানি তেলের বাজারে। গত শনিবার ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের বাজারেও। বাজার পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, বিশ্ব বাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ভরিতে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

১ আউন্স = ২৮.৩৫ গ্রাম। আর ১ ভরি = ১১.৬৬ গ্রাম। সে হিসাবে, বাংলাদেশি মুদ্রায় এক ভরি খাঁটি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৫০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। যেখানে বর্তমানে দেশে এক ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। দেশের বাজারে এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম।

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি চলে গেছে। কারণ মানুষ অস্থির পরিস্থিতিতে স্বর্ণে বিনিয়োগকেও অধিকতর নিরাপদ মনে করছেন।

সোনার ফিউচার ট্রেডিংয়ের (আগাম ক্রয়বিক্রয় চুক্তি) জন্য সবচেয়ে চাঙা বাজার ছিল গত বছরের জুনে। গতকাল সোমবার সেই বাজার শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে আউন্স প্রতি ২ হাজার ৩৮৩ ডলার হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রবণতা চলতে থাকবে।

মার্কিন বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটি গতকাল (১৫ এপ্রিল) একটি নোটে লিখেছে, সাম্প্রতিক সোনার বাজারের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পেছনে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব রয়েছে। এই বাজার রেকর্ড ইক্যুইটি সূচক স্তরের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।

গত শনিবার রাতে ইরান সরাসরি ইসরায়েলে ৩০০ টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। যতিও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম বেশির ভাগ হামলাই ঠেকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এ ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় ঘি ঢেলেছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষ নিরাপদ বিনিয়োগ খুঁজছে।

বাজার পর্যবেক্ষকেরা ইসরায়েলের সম্ভাব্য প্রতিশোধ প্রতিক্রিয়ার দিকে নজর রাখছে। ইসরায়েল সরকার শনিবারের পর থেকেই ইরানকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এমন কোনো পদক্ষেপকে ওয়াশিংটন সমর্থন করবে না।

এরপরও ইসরায়েল প্রতিশোধ নিতে চাইলে এই সংঘাত উপসাগরীয় অঞ্চলও ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলস্বরূপ সোনার বেচাকেনা আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে জ্বালানি তেলের দাম, আরও শক্তিশালী হবে মার্কিন ডলার। আর্থিক পরিষেবা সংস্থা কনোটক্সিয়া ফিনটেকের বাজার বিশ্লেষক বার্তোসজ সাউইকি এমনটিই মনে করছেন।

স্বর্ণ সব সময় মূল্যস্ফীতির বিপরীতে একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বাজারে উচ্চমূল্য ধরে রাখে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে বিনিয়োগকারীরা যখন ইক্যুইটি বা শেয়ারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ এড়িয়ে চলেন তখন স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে।

গত শুক্রবার বুলিয়নের (খাঁটি সোনা) দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ আউন্সপ্রতি ২ হাজার ৪৪৮ দশমিক ৮০ ডলারে পৌঁছায়।

বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নানা নিয়ন্ত্রণমূলক নীতি, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাসহ বিভিন্ন কারণে চলতি বছরের শুরু থেকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

স্বর্ণের দাম সাধারণত সুদের হারের সঙ্গে বিপরীত সম্পর্ক রাখে। সুদের হার কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ডের মতো স্থায়ী মুনাফার সম্পদের তুলনায় সোনা বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যদিও সোনায় বিনিয়োগ থেকে তুলনামূলক কম মুনাফা আসে।

গত মার্চে ধারণার চেয়েও বেশি মূল্যস্ফীতি কমে গেছে। এরপরও বিশ্লেষকেরা, স্বর্ণের বাজারে ঊর্ধ্বগতির সম্ভাবনা দেখছেন। সরাসরি স্বর্ণ কেনার চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে এটিকে বেছে নিচ্ছে মানুষ।

সিটির উত্তর আমেরিকার পণ্য গবেষণার প্রধান আকাশ দোশির নেতৃত্বে বিশ্লেষক দল বলছে, আগামী ৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার হবে বলে আমাদের ধারণা। পাশাপাশি স্বর্ণের ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যও প্রায় ১ হাজার ডলার থেকে ২ হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে।

গত শুক্রবার, গোল্ডম্যান স্যাস সোনার বাজারকে একটি অপ্রতিরোধ্য ঊর্ধ্বমুখী বাজার হিসেবে উল্লেখ করেছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই মূল্যবান ধাতুর দাম প্রতি আউন্স ২ হাজার ৩০০ ডলার থেকে ২ হাজার ৭০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।


আরও খবর



সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে রোববার (৫ মে) স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা খুলছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন জেলায় বন্ধ থাকলেও তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ায় রোববার থেকে সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

শনিবার (৪ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গত সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সর্বশেষ আজ শনিবারও দেশের ২৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে তাপমাত্রা কমায় আগামীকাল রোববার থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৫ এপ্রিলে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন নং ৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৪.০০২.০২ (অংশ)-২১৪ এর শর্তাদি পালন সাপেক্ষে আগামীকাল রোববার থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এদিকে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে বলে আগেই জানিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ভিজলেন মেয়র আতিক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বৈশাখের গরমে অতিষ্ঠ নগরজীবন। প্রকৃতি পুড়ছে বৈশাখের দাবদাহে। তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অসহনীয় গরমে বিমর্ষ প্রাণ প্রকৃতি। এ অবস্থায় বায়ুদূষণ ও তীব্র তাপপ্রবাহ কমাতে নিজেদের আওতাধীন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি ছেটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। পাশাপাশি ২৫০টি ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে পথচারীদের পানি পান করাচ্ছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণি সড়কে সাজিয়ে রাখা হয় ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের গাড়ি। পাশাপাশি খাবার পানির বিশেষ ভ্যান গাড়িও রাখা হয়। সেখানে আসবেন মেয়র, কার্যক্রমগুলো করবেন পরিদর্শন, দেবেন নির্দেশনা।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসলেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। এদিকে এমন সব স্প্রে ক্যানন এবং ব্রাউজারের গাড়ি দেখে আশপাশের এলাকার শিশু কিশোররা আগেই জোড় হয়েছিল সেখানে। মেয়রের আসা দেখে চালিয়ে দেওয়া হলো স্প্রে ক্যানন। চারিদিকে ঝর্ণার মত ছিটতে থাকলো পানি। এ পানিতে হইহুল্লোড় করে ভিজতে শুরু করলো উপস্থিত শিশু কিশোররা। যা দেখে মেয়র আতিকও যুক্ত হলেন শিশু কিশোরদের সঙ্গে, নিজেকে ভিজিয়ে নিলেন তিনিও।

পরে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করতে পারে। এটি বায়ুদূষণ রোধের পাশাপাশি তাপ কমাতেও ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি প্রতি ওয়ার্ডে ৩ টি বিশেষ ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থার ভ্যান।


আরও খবর