আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

অস্তিত্ব সংকটে দেড় শত বছরের কুষ্টিয়া হাই স্কুল

প্রকাশিত:রবিবার ১০ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

১৬০ বছর আগে অবিভক্ত বাংলার বৃহত্তর জেলা নদীয়ার মহকুমা কুষ্টিয়া অঞ্চলে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর শিক্ষা বিস্তারে প্রতিষ্ঠিত কুষ্টিয়া এইচ ই স্কুল জুবিলি বিল্ডিংটির প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান করেন প্রধান ভুমি দাতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের বাবা বাবু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রায় সাড়ে ১২ একর জমির উপর গড়ে উঠে বর্তমান কুষ্টিয়া জেলার অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া হাইস্কুল। ভূমি রেকর্ড বিভাগের সূত্র মতে, সিএস রেকর্ডীয় ৩টি দাগে ১২ দশমিক ৩৫ একর, এসএ রেকর্ডীয় ৪টি দাগে ১০ দশমিক ৭৬ একর এবং সর্বশেষ আরএস খতিয়ান ভুক্ত ১৪টি দাগে ৮ দশমিক ৩ একর জমির ভূমিকর পরিশোধ করে স্বত্ত্ববান স্কুলটি তার বর্তমান অস্তিত্বও ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিদ্যমান ভূ-সম্পত্তি এখন দুই তৃতীয়াংশে দাঁড়িয়েছে আশপাশের দখলবাজদের আগ্রাসনে।

তৎকালীন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত শিক্ষা কারিকুলামে এই স্কুল থেকে পাঠ গ্রহণ করে কাজী মোতাহার হোসেন, কথা সাহিত্যিক মীর মশারফ হোসেন, জাস্টিস রাধাবিনোদ পাল, বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এসআর খানদের মতো অসংখ্য গুনি কৃতি সন্তানেরা নানা ক্ষেত্রে নিজ নিজ কর্মগুনে ঐতিহাসিক কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। অথচ বর্তমান অবস্থায় এসব এখন কেবলই অতীত। বিস্তীর্ণ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলটি এখন দখলবাজদের খপ্পরে চরম ভাবে অস্তিত্ব সংকটে।

এমন বিপন্নের হাত থেকে প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা করে তার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরানোর দাবি জেলার সচেতন মহলের।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে কুষ্টিয়ায় প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী ছাত্রনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুল জলিল বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের উত্তাল দিনগুলিতে প্রতিদিনের আন্দোলন সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো এই কুষ্টিয়া হাইস্কুল মাঠটি। এখানেই বঙ্গবন্ধু এসে ঐতিহাসিক জনসভায় ভাষণ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেছিলেন। অথচ সেই মাঠটি এখন দেখলে কান্না লাগেপ্রয়োজনে সরকারের নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা প্রয়োগ করে হলেও প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা করার দাবি করছি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এক সময়ের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এখন আর মানুষ গড়ার কারখানা নাই, সবগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন প্রভাবশালী মহলের ব্যবসায়িক ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। এতে দখলবাজদের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি চরমভাবে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে

১৯৯৯ সালে সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাচ্চু জোড় পূর্বক দুইটি ঘরের জায়গা লিখিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক লুলু উল বাহারের কাছ থেকে। সেই থেকে শুরু করে ২০০১ সালে পৌরসভার চেয়ারম্যান ইসরাইল হোসেন আফু পৌরসভার জায়গা বলে দাবি করে স্কুল মাঠের পূর্বপাশে এনএস রোড থেকে রেললাইন পর্যন্ত দোকান ঘর তৈরী করেন যার বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষকে মামলা করতে হয়েছিলো। পরে আদালতের চুড়ান্ত রায়ে সম্পত্তিটি স্কুলের বলে আদেশ হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ ওই জমিটি ছেড়ে দেয়।

এখানকার দোকান মালিক সাইফুল ইসলাম, মুরাদ চৌধুরী, মিতালী মাইকের মালিকসহ ২০/২৫ জনের দল পাকিয়ে বেশ কিছুসংখ্যক ভুয়া স্বাক্ষরিত ষ্ট্যাম্প তৈরী করে প্রধান শিক্ষক লুলু উল বাহারের উপর চাপ সৃষ্টি করে ভাড়ার চুক্তির খাজনা রশিদ কাটতে বাধ্য করেন। এজন্য প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত হতে হয় এসব দোকান মালিকদের দ্বারা। এসময় তাদের স্ট্যাম্পগুলি সঠিক কিনা তা নিরীক্ষা করতে স্কুলের ফাইল খুঁজে দেখা যায় অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ফাইল খোয়া গেছে এবং উইপোকা নষ্ট করে দিয়েছে। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে দোকান মালিকরা শুধুমাত্র খাজনা রশিদ দাখিল করে আদালতে কোর্ট রেন্ট মামলা করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে ঝুলিয়ে দেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মিতালী মাইক নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক আনোয়ার আলী বলেন, স্কুলের জায়গা ব্যবহারে সবাই অনিয়ম করছেন, আমিও করছি, তবে আমি দোকানের পিছনে আবাসিক ভবন করতে যতটুকু বেশী জায়গা ব্যবহার করছি সেটা খুব শীঘ্রই ছেড়ে দিবো

২০০৯ থেকে ১১ পর্যন্ত বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদে সভাপতির দায়িত্বে আসেন চৌধুরী মুর্শেদ আলাম মধু। এই সময়টাতে কিছু অনিয়মের সুযোগ পেয়ে এসব দোকান মালিক সমিতির লোকজন আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তারা অধিকাংশই একটার কথা বলে একাধিক দোকান ঘর দখলে নেয়। এই সময়কালে স্কুলের ভূসম্পত্তির চৌহদ্দির পূর্ব পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশের জমি দখলের উৎসব চলে। তবে এই দখল উৎসব রোধে নেয়া নানা উদ্যোগকে ভেস্তে দেয় দোকান মালিকরা বলে দাবি করেন চৌধুরী মুর্শেদ আলাম মধু।

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ডা: এ কে এম মুনীর বলেন, নানাবিধ কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে চৌহদ্দি সীমানা রক্ষার স্বার্থে অবকাঠামো নির্মাণসহ আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা করতে দোকানঘর তৈরীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এসব দোকানঘর গুলিও নানাভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জোরপূর্বক ইচ্ছেমতো কুক্ষিগত করেছেন। ব্যাপারটা এমনই হয়ে দাঁড়িয়েছে যে গরীবের বউ সকলে ভাবী; যে যখন চান্স পেয়েছে ইচ্ছেমতো অপকর্ম করেছে। এসব কিছু চোখ খুলে মুখ বুজে চেয়ে চেয়ে দেখে চোখের জল ফেলানো ছাড়া স্কুলের শিক্ষকদের কিছুই  করার ছিলোনা। মুখ খুল্লেই হয় লাঞ্চনা নতুবা মামলার খড়গ। স্কুলের সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে নিরীহ শিক্ষকেরা কেউই আর মাথা উঁচু করে সোচ্চার প্রতিবাদ করার সাহস দেখান নি।

এছাড়া মাঠের পূর্বদিক থেকে শুরু করে পশ্চিম দিক পর্যন্ত ৫০টির অধিক সংখ্যক দোকান মালিক কোন টাকা দেয়নি বিদ্যালয় তহবিলে। পশ্চিম পাশে সীমানায় এন এস রোড থেকে রেল লাইন পর্যন্ত ১০ফিট প্রস্থ/চওড়া ধরে সম্পূর্ণ জায়গাটি পাশের সীমানায় যুক্ত করে দখলে নিয়েছেন পাশের প্রতিবেশীগণ। এছাড়া যারা ঘরভাড়ার চুক্তি করেছেন তারা অনেকেই সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ না করায় প্রায় ৫০লক্ষ টাকার উর্দ্ধে অনাদায়ী রয়েছে বলে দাবি করেন প্রধান শিক্ষক।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহামন বলেন, একদিকে দেড়শ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত পুরনো ভবনে ছাদ খসে সবগুলি কক্ষের ছাদ ফুরে পানি পড়ে। শিক্ষক পাঠ দিতে পারছে না শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে শ্রেণী কক্ষে সময় কাটতো শংকার মধ্যে। অন্যদিকে বিদ্যালয়ের কোটি কোটি টাকার ভূ-সম্পত্তি চারিদিক থেকে দখলের উৎসব চলছে। প্রথম দিকে প্রধান শিক্ষক লুলু উল বাহার নিজে সীমাহীন লাঞ্চনা সহ্য করে স্থানীয় গণ্যমান্যদের স্মরণাপন্ন হয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে সকল শিক্ষকদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে বানিজ্যিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যার সর্বশেষ রূপচিত্র দৃশ্যমান

নিউজ ট্যাগ: কুষ্টিয়া

আরও খবর



নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে শ্রমিক দলের উদ্যোগে দুপুর সাড়ে ৩টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়।

তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দিতে নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছে শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা। বেলা ১২টার পর থেকে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন সরগরম হয়ে উঠে।

৫টি ট্রাকের উপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিট থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শ্রমিক নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, নেচে-গেয়ে, নানা রঙ্গের পোশাক পরে তারা সমাবেশে অংশ নিয়েছে। মাথায় লাল ক্যাপ পরিধান করেছেন সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা।

এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও বক্তব্য রাখবেন জাতীয়, শ্রমিক ও অঙ্গ সংগঠন নেতারা। সভাপতিত্ব করছেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিতি রয়েছেন।


আরও খবর



বিএমডিসি ছাড়া 'ভুল চিকিৎসা' বলার অধিকার কারো নেই

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ছাড়া ভুল চিকিৎসা নির্ণয় ও দাবি করার অধিকার কারও নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারো নেই এমনকি আমারও। এটা বলার অধিকার আছে শুধু বিএমডিসির। এই ভুল চিকিৎসা অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয় এটা খুবই নেক্কারজনক। ভুল চিকিৎসার নামে চিকিৎসককে মারধর এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।

বুধবার (১ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিউরো সার্জন সোসাইটির ১২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক শফিউল আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।

চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন পাস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাশ করাবো। আমাদের দ্বায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। তেমনি চিকিৎসকদেরও দায়িত্ব রোগীকে সুরক্ষা দেওয়া। তাই চিকিৎসকদের কোনো অবহেলাও আমি সহ্য করবো না। আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি, আপনারা সেবা দেন আমি আপনাদের জন্য সব কিছু করবো।

এর আগে গতকালও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ডা. সামন্ত লাল একই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি প্রায়ই পত্র-পত্রিকা ও টিভিতে দেখি ভুল চিকিৎসার কথা। ভুল চিকিৎসা বলে কিছু নাই৷ এটা আমি-আমরা বলতে পারি না। ভুল চিকিৎসার ব্যাপার যদি থেকেও থাকে, সেটা বলার অধিকার একমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের আছে। আমরা বললে চিকিৎসার অবহেলার কথা বলতে পারি।


আরও খবর



টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

টানা ছয় দফা সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১১৫৫ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোনার ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৩, ২৪, ২৫, ২৭ ও ২৮ এপ্রিল সোনার দাম কমায় বাজুস। ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা ও ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা কমানো হয়।

তার আগে অবশ্য টানা তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়িয়ে‌ছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা ও স্বজনেরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচনে আর মাত্র এক দিন বাকি। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। প্রথম ধাপের ৮ই মে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে ছুটছেন প্রার্থীরা। সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়।

ভোটারদের মন জয় করতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতিদিন ব্যবহার করছেন নতুন নতুন কৌশল। চলছে পোস্টার, ফেস্টুন ও লিফলেট বিতরণ। সেই সঙ্গে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

বিগত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে কে কি করেছেন, নতুন রা জয়ী হলে কি করবেন, সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তাদের বিরামহীন প্রচারণায় ইতোমধ্যে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটারদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে বেশ আগ্রহ। তারাও হিসাবনিকাশ করতে শুরু করছেন-কার হাত ধরে হবে উপজেলা বাসীর ভাগ্য উন্নয়ন। যোগ্য প্রার্থী বেছে নেয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চান ভোটাররা। ৮ই মে ভোটাররা ভোট দিয়ে আগামী পাঁচ বছরে জন্য যোগ্য চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।

সাধারণ ভোটাররা জানান, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিপদে-আপদে পাশে পাওয়া যাবে এমন প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা। জনবিচ্ছিন্ন কোনো প্রার্থীকে তারা চান না। আগামী ৮ই মে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনবান্ধব ও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান।

জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১২ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। গত ২৩ শে এপ্রিল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনের মাঠ সরব হয়ে উঠেছে এ উপজেলায়। এর আগে এই উপজেলায় মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় মোট ১০টি ইউনিয়ন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭১ টি। কক্ষের সংখ্যা ১৪২৪, মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ২২২জন।

প্রতিটা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ভোটাররা যেন বাড়ি ফিরতে পারে এমন প্রস্তুতি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।


আরও খবর



ইত্তেফাকের টুঙ্গিপাড়া সংবাদদাতা বিএম গোলাম কাদের আর নেই

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি:

টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) সংবাদদাতা বিএম গোলাম কাদের (৬৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)।

শনিবার (১১ মে) ভোর ৪টায় গোপালগঞ্জ আড়াইশো শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি চার সন্তান ও স্ত্রী সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১০ মে) রাতে স্ট্রোক জনিত কারণে অসুস্থ হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তখন সাংবাদিক গোলাম কাদেরের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গোপালগঞ্জ আড়াইশো শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। পরে ভোর ৪ টায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শনিবার জোহর বাদ মরহুমের জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে দৈনিক ইত্তেফাকের টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) সংবাদদাতা বিএম গোলাম কাদেরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।


আরও খবর