আজঃ সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

অসহযোগের পাশাপাশি দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গণসমাবেশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদফা দাবিতে আজ রোববার (৪ আগস্ট) সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এদিন বেলা ১১টায় রাজধানীসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ পালিত হবে।

শনিবার (৩ আগস্ট) মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এসব তথ্য জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, একদফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি রোববার বেলা ১১টা থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ পালিত হবে। সকাল থেকেই ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে ছাত্র-জনতাকে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

আসিফ বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে শাহবাগে বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিতে সকলের অংশগ্রহণের আহ্বান করছি।

এ ছাড়া ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসাশিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, পেশাজীবী, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান এই সমন্বয়ক।

তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ পালন করব। তবে আঘাত এলে তা প্রতিহত করার সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখার আহ্বান রইল।

আরেক সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও একদফা দাবিতে রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হলো।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের একদফা ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটির সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণা দেন।

নাহিদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা খুব দ্রুতই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের জন্য সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত মোর্চা ঘোষণা করব। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জাতীয় রূপরেখা আমরা সবার সামনে হাজির করব।

নাহিদ আরও বলেন, শুধু শেখ হাসিনা নন, মন্ত্রিসভাসহ পুরো সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিলোপ করতে হবে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, এমন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে চাই, যেখানে আর কখনো কোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্র-ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে।

যে স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থান শুরু হয়ে গেছে, তার সঙ্গে মানুষকে যোগ দেওয়া এবং পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান নাহিদ। তিনি কাল থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণাটিও তুলে ধরেন।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে আট দফা দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের বিচার নিশ্চিত, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ণ, মন্ত্রণালয় গঠন, দেবোত্তর সম্পত্তি প্রনয়ন আইন বাস্তবায়ন, সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা বন্ধ, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের আটগ্যালারী এলাকার অপরাজেয় ৭১ চত্বরে সমবেত হয় হাজারো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। এ কর্মসূচির আয়োজন করে ঠাকুরগাঁও সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন।

সমাবেশে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়। স্লোগানের মধ্যে ছিল, কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কী কারও বাপ-দাদার, কুরুক্ষেত্রের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার, জেগেছে রে জেগেছে, সনাতনীরা জেগেছে, আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ, আমার মাটি আমার মা, ছেড়ে কোথাও যাব না, স্বাধীন দেশে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই ও বিচার চাই বিচার চাই, হামলাকারীর বিচার চাই।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজ আমরা কয়েক দিন ধরে দিন-রাত পাহারা দিয়ে যাচ্ছি। নিজেদের জানমাল আর সম্ভ্রম রক্ষায় আমরা কাজ করছি। কিন্তু এখন শুধু আত্মরক্ষা করলেই হবেনা, সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ চলবে। আমরা আর পালিয়ে থাকতে চাই না। এই মাটি আমাদেরও। এটা আমাদের পিতৃপুরুষের সম্পত্তি। আমরা আর নিজ গৃহে পরবাসী থাকতে চাই না। আমরা কোথাও যেতে চাই না।

তারা আরও বলেন, যেভাবে হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে, মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে, তা দেখে আমরা স্তম্ভিত। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা এ দেশের নাগরিক। আমাদেরও নিরাপদে বাঁচার অধিকার আছে।

বক্তারা সারাদেশে সনাতন সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ প্রদান ও দেশে সম্প্রীতির সঙ্গে যাতে বসবাস করতে পারেন- সে ব্যাপারে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর



বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম এমন চিরকুট লিখে স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামে শনিবার সকালে। নজরুল ইসলাম আমতলী সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী ছোবাহান বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

জানাগেছে, উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের মোঃ খালেক খাঁনের ছেলে নরজরুল ইসলামের সঙ্গে গত দেড় বছর আগে একই গ্রামের দুলাল ভুইয়ার মেয়ে খাজিদার বিয়ে হয়।  বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল এমন দাবী তার পরিবারের। ওই দম্পতির এক বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্ধ হয়। শনিবার সকালে স্ত্রী খাজিদা বেগম তার ভাসুর ফেরদৌস খাঁনের সঙ্গে বলেন, আমি আমার বাবার বাড়ি চলে গেলাম আপনার ভাই আমাকে মারধর করেছে। এ কথা বলে স্ত্রী খাজিদা বেগম বাবার বাড়ী চলে যায়। ওই দিন বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয়রা শিক্ষক নজরুল ইসলামকে একটি আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ওই সময় পুলিশ নজরুলের পরিধানের কাপড়ে পেঁচানো একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আমতলী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপর স্ত্রী খাজিদা বেগম গা-ঢাকা দিয়েছেন।

নিহতের বড় ভাই ফোরদৌস খাঁন বলেন, আমার ভাইকে তার স্ত্রী বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। তার নির্যাতন সইতে না পেয়ে আমার ভাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীর শাস্তি দাবী করছি।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়।

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি


আরও খবর



বাগেরহাটে টানা বৃষ্টিতে শহরে হাটু পানি

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটের উপকুল জুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এঅবস্থায় ভারীবৃষ্টিপাতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জলবদ্ধতায় বিপযস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় টানা বৃষ্টিতে বাগেরহাট পৌর শহরের বেশিরভাগ এলাকার অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে। বিড়ম্বনায় পড়েছে শহর ব্যবহারকারীরা। জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ম আয়ের মানুষ।অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে জেলার মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও কচুয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পানিতে অনেকের মাছের ঘের ডুবে ভেসে গেছে মাছ। শুক্রবার গভীর  রাত থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

রবিবার (১৫  সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট শহরের খানজাহান আলী রোড, রেল রোড, সাধনার মোড়, শালতলা, পিটিআই মোড়, খারদার স্কুল রোড, জেলা হাসপাতাল মোড়, জেলা ডাকঘরের সামনে, বাসাবাটি, মিঠাপুকুরপাড় মোড়, পৌরসভার পাশে, জাহানাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পেছনসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পানি উঠে গেছে। সড়কে পানি জমে থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। পানিবন্দি পরিবারগুলো এখন দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে।

এদিকে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও কচুয়ার বেশকিছু এলাকায় মৎস্যঘের ডুবে মাছ বের হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টি আরো দু-একদিন স্থায়ী হলে এসব এলাকার বেশিরভাগ ঘের ডুবে যাবে বলে দাবি মাছ চাষীদের।বাগেরহাট মিঠাপুকুরের কচুরিপানা ভেসে আসছে পাকা সড়কে  ও বাসাবাড়িতে ।

তরিকুল ইসলাম নামের এক ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, প্রাকৃতি দূযোগে লাগাতার বৃষ্টিতে পৌরশহরের প্রায় সকল অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয়। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

আমলাপাড়ার সড়কে বাসিন্ধা মমিতা নামের এক গৃহবধূ বসত ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় শনিবার রাতে রান্নাবান্না বন্ধ থাকায় শুকনা খাবার খেতে হয়েছে। এখন বাবার বাড়ি যাচ্ছি, এখানে থাকার পরিবেশ নেই।

বাগেরহাট শহরের রিকশা চালক রবিউল ইসলাম বলেন, দুই দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিতে খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি। সকাল থেকে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার পরেও,বাধ্য হয়ে রিকশা নিয়ে বেরিয়েছি। রাস্তাঘাট গুলো গর্ত হয়ে গেছে, পানিতে পাকা সড়কে গর্ত দেখা যায় না। তারপরও খেটের তাগিতে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। লোকজন নেই, তারপরও দুই চারজন যা পাচ্ছি এই দিয়েই সংসার চালাতে হবে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, পশুর নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে যাদি বৃষ্টি অব্যাহত থাক তাহলে নদীর পানি আরও বৃদ্বির সম্ভবনা রয়েছে।  


আরও খবর



‘কয়লাদূষণ বন্ধ করো, পায়রা নদী রক্ষা করো’ স্লোগানে নৌ শোভাযাত্রা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সর্বত্র কয়লার ব্যবহার বন্ধ কর, শতভাগ নবাযোগ্য জ্বালানি চাই কয়লাদূষণ বন্ধ করো, পায়রা নদী রক্ষা করো এই স্লোগানকে সামনে রেখে বরগুনার তালতলীতে নৌ র‍্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জলবায়ু ন্যায্যতার জন্য বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের অংশ হিসেবে এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসুচি উপলক্ষে উপজেলার খোট্টারচর এলাকায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রর সামনে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এবং পয়রা নদী ইলিশ রক্ষা কমিটির আয়োজনে নৌ র‍্যালি ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচিতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা কয়লাবিরোধী নানা রঙের প্ল্যাকার্ড এবং ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বরিশাল ৩০৭ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রর কয়লা ধোয়া বর্জ্য পায়রা নদীতে ফালানো কারণে নদীতে ইলিশ কমে যাচ্ছে। এছাড়াও নির্গত কালো ধোঁয়ায় টেংরাগিরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের জীববৈচিত্র্যসহ এলাকার মানুষের কৃষি ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। তাই অবিলম্বে কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পসহ সকল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে হবে এবং পরিচ্ছন্ন নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্পগুলিতে বিনিয়োগসহ কয়লা নির্ভরতার অবসান কেবল পরিবেশের জন্যই নয়, এই অঞ্চলের জনস্বাস্থ্য এবং আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।

এসময় বক্তব্য রাখেন, শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত রক্ষা কমিটির সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর মিয়া, তেঁতুল বাড়িয়া নদী ভাঙ্গন রক্ষা কমিটির সমন্বয়ক শাহজাহান শেখ, পয়রা নদী ইলিশ রক্ষা কমিটি সমন্বয়ক সুলতানা আহমেদ, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ (তালতলী-আমতলী) উপজেলা সমন্বয়ক আরিফ রহমান, পরিবেশকর্মী মোস্তাফিজ, ইমরান হোসেন প্রমুখ।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে ভাসমান ১২ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করলো ভারতীয় জেলেরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সমুদ্রে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ট্রালার ডুবে ভাসমান অবস্থায় ১২ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় জেলেরা। তবে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সহায়তা না পাওয়ায় তাদের বাংলাদেশে ফেরানো যায়নি। উদ্ধারকৃত ১২ জেলেকে ভারতীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়ার পুর্বাভাস পেয়ে উপকূলের দিকে ফিরে আসছিলো ফিশিং ভ্যাসেল এমভি পারমিতা-৫। এ সময় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে কেআর দ্বীপের কাছে ভাসমান অবস্থায় দুই জেলেকে দেখতে পায় জেলেরা। তাদের উদ্ধারের পর তারা জানায় ভাসমান অবস্থায় রয়েছে আরও ১১ জন জেলে। পরে একে একে তাদেরও উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ভারতীয় জেলেরা সিদ্ধান্ত নেন সমুদ্র থেকেই তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হবে। কারণ উপকূলে পৌঁছালেই ভারতীয় আইন মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে ভারতের ট্রলার থেকে বাংলাদেশের কোস্ট গার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জানায় চার ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে আসবেন তারা। কোস্ট গার্ডের পরামর্শেই ঘটনাস্থলে কাছে অ্যাংকর করে রাতভর দাড়িয়ে থাকে ভারতীয় ট্রলারটি।

ভারতীয় মৎস্যজীবীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য অপেক্ষা করলেও তারা আসেননি। এদিকে সমুদ্র আরো উত্তাল হতে থাকায় বাধ্য হয়ে উপকূলে ফিরে আসেন তারা।

সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ১২ জন জেলেকে উদ্ধার করার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমার ফেরিঘাটে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে একজন জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। উপকূলে আনার পর বাংলাদেশি এই মৎস্যজীবীদের পাথরপ্রতিমা থানার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৎস্যজীবীদের আগামীকাল কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তারপর তাদের আন্তর্জাতিক আইন মেনে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে।


আরও খবর
নিউইয়র্কে হতে পারে ইউনূস-শেহবাজ বৈঠক

সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪