আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের নিবন্ধ

অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় যেভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০০৯ সাল থেকে দূরদর্শী রাজস্ব ও ঋণ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশ। গত ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিক রয়েছে এবং মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালে এই অঞ্চলের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ হলেও বাংলাদেশে তা সাড়ে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান প্রায় এক তৃতীয়াংশ। তবে ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে তা ১৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অন্যদিকে, জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান এক পঞ্চমাংশ থেকে বেড়ে এক তৃতীয়াংশ হয়েছে। ১৯৮০ সালের পর থেকে জিডিপিতে উৎপাদন খাতের অবদান দ্বিগুণ হয়েছে। ১৯৯০র দশকের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি ২০ গুণ বেড়ে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি হয়েছে। ২০১৯ সালের ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স থেকে শুরু করে স্বল্প মজুরির শ্রমও অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। রেমিটেন্স, রপ্তানি এবং কৃষির শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির ফলে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ভারতের তুলনায় মাথাপিছু জিডিপিতে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ২০২০ সালে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ২ হাজার ৯৮ ডলার থেকে কমে এক হাজার ৯২৯ ডলার হয়েছে। দেশটির অর্থনীতির আকার ২ দশমিক ৮৭ ট্রিলিয়ন থেকে কমে ২ দশমিক ৬৬ ট্রিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।


গত ১৫ বছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ ধরে রাখায় ২০২০ সালে মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৯৬১ মার্কিন ডলার নিয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। একই বছর বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৩৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। ২০০৪ সালের পর থেকে প্রত্যেক বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। ২০১৭ সালে ভারতের প্রবৃদ্ধি কমতে শুরু করায় বড় প্রতিবেশী এই দেশটিকে ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক ঋণ সংকটের আগে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ভারতের অর্ধেক থাকলেও ২০১৪ সালের মধ্যে তা ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালে ভারতের অর্থনীতি ৭.৩ শতাংশ সংকুচিত হলেও একই সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৩ শতাংশ বেড়েছে।

আজ বাংলাদেশ রাজস্ব ঘাটতি, পণ্যসামগ্রী বাণিজ্যের ভারসাম্য, কর্মসংস্থান, সরকারি ঋণ এবং বিনিয়োগ থেকে জিডিপির অনুপাতেও ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া মানব উন্নয়ন কর্মসূচি বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষা, প্রজনন হার এবং বাল্যবিয়ে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। গড় আয়ু, জন্মহার এবং শিশু পুষ্টির মতো বেশ কিছু মানব উন্নয়ন সূচকে ভারতের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্থানের সুযোগ-সুবিধা বিস্তৃত পরিসরে পৌঁছে গেছে। এই অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করেছে, যার ফলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নত হয়েছে।

অন্যদিকে, মানব উন্নয়ন সূচকে ভারতের অবস্থান সুবিধাজনক নয়। বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলোতে এসব সূচক অত্যন্ত নাজুক। যেমন বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে গত বছর কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার ছিল ১৯ শতাংশ। আর বাংলাদেশে তা ৩৫ শতাংশ। ভারতের হিন্দিভাষী রাজ্যগুলো বাল্যবিয়ে এবং অকাল গর্ভধারণ মোকাবিলায় রীতিমতো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বিহার রাজ্যে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি ১ হাজারে অন্তত ৪৭। বাংলাদেশের সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রজনন সমস্যার সমাধান।


ভারত ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে পুরোনো ৫০০ এবং ১০০০ রুপির নোট বাতিলের ঘোষণা দেয়। দুর্নীতি প্রতিরোধ, ডিজিটাল লেনদেনে মানুষকে উৎসাহ দান, দেশকে জাল নোট মুক্ত করা এবং কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কয়েক বছর ধরে ওঠানামা করেছে। তবে ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত মানুষের দৈনিক খাদ্য ও জ্বালানি কেনাকাটা বাধাগ্রস্ত করে। এর নেতিবাচক প্রভাব ব্যবসা-বাণিজ্য ও উৎপাদনেও আঘাত করে। প্রায় ৮৬ শতাংশ নগদ অর্থ রাতারাতি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় দেশটির অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

তবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কল্যাণে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থানীয় মুদ্রায় গত ৫০ বছরে প্রায় ২৭০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশের বাজেট ঘাটতি জিডিপির মাত্র ৫ শতাংশ বা তার কম রয়ে গেছে। রপ্তানিমুখী শিল্প সম্প্রসারণের ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। মূলত বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে শ্রমঘন এবং অদক্ষ ও আধা-দক্ষ শ্রমিক নির্ভর খাত টেক্সটাইল, গার্মেন্টস ও জুতো শিল্প থেকে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশের সুবিধাভোগী অবস্থান, বিনিয়োগবান্ধব আইন এবং কম মজুরির কারণে অনেক ভারতীয় ক্রেতা বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতামূলক থাকতে বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হয়েছে।

ভারতের ষষ্ঠ বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার বাংলাদেশ। ২০২০-২১ সালে উভয় দেশের মধ্যে ১০ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে। যা ২০১৯-২০ সালের সাড়ে ৯ বিলিয়নের চেয়ে বেশি। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করবে। তবে এর পুরো সম্ভাবনা কেবল উন্নত পরিবহন সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করতে সম্প্রতি যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পণ্য, পরিষেবা ও জ্বালানির বাণিজ্য বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আন্তঃসীমান্ত বিনিয়োগ উৎসাহিত করা। এমনকি ছোট এক প্রতিবেশী এগিয়ে যাওয়ায় এখনও অব্যবহৃত অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার অন্বেষণ বাকি রয়েছে। তবে আপাতত দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক বীরত্বের যাত্রা উপভোগ করছে বাংলাদেশ।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

নাজিরপুরে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে সাংবাদিক এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফাহাদ মশিউর রহমান

Image

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রতীক বরাদ্দের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাংবাদিক ও সমাজসেবক এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী (শাহিন)।

নাজিরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সৎ-পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের এলাকায় রয়েছে ব্যপক গ্রহণযোগ্যতা। বয়োজ্যেষ্ঠ, তরুণ ও নতুন ভোটারদের কাছেও সমান জনপ্রিয় তিনি।

নাজিরপুরের বাসিন্দা শেখ রাসেল বলেন, আমরা তরুণ ভোটার, আর শাহিন ভাই তারুণ্যের প্রতীক, তাই আমার পরিবার স্বজন ও বন্ধুদের ভোট তিনিই পাবেন। নির্বাচিত হয়ে তিনি এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখবেন। তাই অধিকাংশ ভোটার তাকেই ভোট দিবেন। এছাড়া তার বিকল্প কেউ নেই।

সাংবাদিক সাকিল আহমদ অরণ্য বলেন, ২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর এ অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় প্রলয়ঙ্কার ঘূর্ণিঝড় সিডর। সেই সময় শাহিন ভাই নিজের পকেটের টাকা ব্যয় করে দুস্থ মানুষের পাশে যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তা ভুলে যাওয়ার নয়। মানুষের সেবা করার জন্য মন থাকতে হয়, যা তাঁর রয়েছে। একারণেই নাজিরপুরবাসী আগামী ৮ মে দোয়াত কলম প্রতীকে ভোট দিয়ে তাঁকে নির্বাচিত করবেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তুহিন হালদার তিমির বলেন, শাহিন ভাই একজন মানবিক মানুষ, যাকে বিশ্বাস করে ভোট দেওয়া যায়। তিনি জনগণের আমানতের প্রতিদান অবশ্যই দিবে।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে এক ছাত্রনেতা জানান, বিগত সময়ে যারা এই দায়িত্বে ছিলেন তারা ব্যস্ত ছিল নিজের ও পরিবারের উন্নয়ন নিয়ে। কিন্তু শাহিন ভাই ব্যতিক্রম। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, তিনি নিজের উন্নয়নে বিশ্বাস করেন না, তিনি বিশ্বাস করেন নাজিরপুরের উন্নয়ন। শাহিন ভাই মনে করেন নাজিরপুরের সবাই ভালো থাকলে তিনিও ভালো থাকবেন।

রুহুল আমীন হাওলাদার নামে একজন প্রবীন বলেন, তাকে (এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী) ছোট থেকে বড় হতে দেখেছি, কিন্তু তার ভিতরে কখনও অহংকার বা কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দেখিনি। জীবনের শেষ বয়সে এসে ভোট-টা তাকেই দিব।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, শাহিনের পিতা ও তিন ভাই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তার পরিবার অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তার ভাগ্য বদলাতে হবে না। তাকে নির্বাচিত করলে এলাকায় প্রকৃত উন্নয়ন হবে, মানুষ ভালো থাকবে।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনকে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং সিডর, আইলা, করোনাসহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দলের সংকটকালে নেতা-কর্মীদের কাছে পেয়েছি। তাই তাকে নিয়ে মাঠে নেমেছি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী (শাহিন) বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও তাঁর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন নাজিরপুর উপজেলায় বাস্তবায়ন করতে চাই। বাংলাদেশের মধ্যে দুর্নীতি-মাদকমুক্ত মডেল উপজেলা হবে নাজিরপুর উপজেলা। উপজেলা পরিষদ থেকে অর্থ নিয়ে আমার বা পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের প্রয়োজন নেই, আমি চাই নাজিরপুরের মানুষ ভালো থাকুক।  

নাজিরপুর উপজেলা তথ্য বাতায়ন সূত্রে দেখা যায়, ৯টি ইউনিয়ন ৬৮টি মৌজা ও ১৭১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত নাজিরপুর উপজেলার মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ১ শ ১৩ জন। তার মধ্যে ৬২ হাজার ৮শ ৪০ জন পুরুষ ও ৬০ হাজার ২শ ৭৩ জন নারী।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হিসাবে ওই উপজেলার ৭২টি কেন্দ্রে ইভিএমএর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  


আরও খবর



সোহেল চৌধুরীর উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া ফেনীর ছাগলনাইয়ার মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৯০ দিনের (তিন মাস) মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

৫ বছর আগে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওই সময়ের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হালিমের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। অপর প্রার্থী এ এস এম শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, ২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। এর ফলে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাতিল হওয়া দুই প্রার্থী। একইসঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ২০১৯ সালেই হাইকোর্ট এসব বিষয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের গেজেট স্থগিত করেন। পরে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। তবে আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিতে পারেননি। শপথ না নিয়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

আদালত ৫ বছর আগে জারি করা রুল আজ (১৬ মে) নিষ্পত্তি করে সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন অবৈধ ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে যে বেতন-ভাতা ও সুবিধা নিয়েছেন তা রায় পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ফেরত দিতে বলেছেন। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলেছেন।

নিউজ ট্যাগ: ছাগলনাইয়া ফেনী

আরও খবর



পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাচনী প্রচারণায় হট্টগোল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাদশা (২৫) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার ভায়না কালির মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব (প্রতীক মোটরসাইকেল), অন্যজন হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন (প্রতীক আনারস)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকরা ভায়না কালির মোড়ে নির্বাচনি প্রচারণায় যায়। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক ও ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের ভাতিজা আব্দুল আওয়ালকে কথা কাটাকাটির জেরে কিল-ঘুষি মারে। তখন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা আবার লোকজন নিয়ে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় পুলিশ। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনের কথা কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয়। পরে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় বাদশা নামের এক যুবক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আহত বাদশাকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাদশা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের সমর্থক বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে হট্টগোল নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করলে পুলিশ সেখানে যায়। কিন্তু পুলিশের ওপর চড়াও হওয়াটা দুঃখজনক। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন সারা উপজেলায় আমার লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্চে। আজকের ঘটনা তারই অংশ। তারা পুলিশকেও মানছে না।

এ বিষয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, আমার এক সমর্থককে মারধর করে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন। এ নিয়ে আমার লোকজন জড়ো হলে আমিন চেয়ারম্যানের লোকজন গুলি করে। পুলিশ গুলি করেনি। এ ঘটনায় তার সমর্থক কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল মঙ্গলবার শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গেল ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) সদস্যদের জন্য আয়োজন করছে স্পোর্টস কার্নিভাল। আর গেল ৭ বছর ধরে এই আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করছে দেশের স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিএলসি। আগামী মঙ্গলবার (১৪ মে) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল-২০২৪।

এবার ৭টি ডিসিপ্লিনে মোট ১০টি ইভেন্টে অংশ নেবেন বিএসপিএর শতাধিক সদস্য। ইভেন্টগুলো হলো- ক্যারম একক ও দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক ও দ্বৈত, দাবা, শুটিং, আরচারি, সাঁতার, কল ব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন। সবকটি খেলাই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর সংলগ্ন বিভিন্ন ভেন্যুতে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বিএসপিএ কার্যালয়ে ক্যারম ডিসিপ্লিনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই আসর। প্রধান অতিথি হিসেবে স্পোর্টস কার্নিভালের উদ্বোধন করবেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিএলসির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) ও সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন।

প্রতিবারের মতো এবারও স্পোর্টস কার্নিভালের সেরা ক্রীড়াবিদের হাতে তুলে দেয়া হবে আব্দুল মান্নান লাডু ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার। ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার থাকছে সেরা দুই রানার্সআপের জন্যও। এছাড়া প্রতিটি ইভেন্টের সেরাদের জন্য ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার।

ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য আজ রোববার (১২ মে) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএসপিএর সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিব, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিএলসির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) ও সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিল্টন, বিএসপিএ সাধারণ সম্পাদক মো. সামন হোসেন ও ক্রীড়া উপ-কমিটির চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএসপিএর সভাপতি বলেন, বরাবরের মতো এবারও আমাদের আয়োজনে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ওয়ালটন গ্রুপ। কেবল বিএসপিএ নয়, এই সময়কালে একমাত্র ওয়ালটন গ্রুপকেই ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন আয়োজনে সহায়তা করতে দেখা যাচ্ছে। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই ওয়ালটন গ্রুপকে। আমরা আশা করবো, ওয়ালটন আর বিএসপিএর বন্ধুত্ব ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।


আরও খবর



রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাজবাড়ীতে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে সাতটায় ২নং রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে রাজবাড়ীর ২নং রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। আপাতত এই রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পোড়াদহগামী লোকাল সাটল ট্রেন পাচুরিয়া রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। রাজবাড়ীতেই উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করা যাবে।


আরও খবর