আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘অর্ধেক আসনে যাত্রী বহনের নামে বাসভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও জীবন-জীবিকা সচল রাখার স্বার্থে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু খোলা রেখে কেবলমাত্র গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহনের সিদ্ধান্তটি কাগজের সিদ্ধান্তে পরিণত হবে। এই অজুহাতে আবারও ভাড়া বাড়ানো হলে তা সাধারণ মানুষের জীবন বিষিয়ে উঠবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে এমনটা হলে অতীতের মত বর্ধিত ভাড়া দিয়ে যাত্রী সাধারণকে গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হবে। তাই যত সিট তত যাত্রী পদ্ধতিতে গণপরিবহনে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের দাবি জানিয়েছেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, করোনার সংকটে পৃথিবীর দেশে দেশে গণপরিবহনে যাত্রী কমেছে। অর্ধেক আসনে যাত্রী বহন করে প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশসহ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানো হয়নি।

২০২১ সালে দেশের গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহনের নির্দেশনায় ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হলেও রাজধানীর বাসে কোথাও কোথাও ১০০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া আদায়ের নজির আমাদের সামনে আছে। এহেন সংকটে বাসে ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে লেগুনা, টেম্পু, অটোরিকশা, রিকশায়ও ভাড়া বহুগুণ বাড়তি আদায় করা হয়েছিল। যা আয় কমে যাওয়া সাধারণ মানুষের সংকটকে আরও বেশি ঘনীভূত করেছিল। তাছাড়াও রাজধানীসহ সারা দেশে গণপরিবহনের সংকট রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে যাত্রী সাধারণ বাদুড়ঝোলা হয়ে গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হয়। জীবন-জীবিকা সবকিছু স্বাভাবিক রাখার এহেন চিত্র সামনে রেখে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত কখনো বাস্তবায়ন করা যাবে না।

সংক্রমণ প্রতিরোধে গণপরিবহনের যাত্রী, চালক-সহকারীর সকলকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে বাধ্য করা, যাত্রী ওঠা-নামাকালে হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করা, একজন যাত্রী নামার পর তার আসনে জীবাণুনাশক ব্যবহার, যানবাহন চালুর আগে জীবাণুনাশক ব্যবহার করার দাবি জানান সংগঠনটি।

এছাড়াও অসুস্থ, করোনাক্রান্ত, সংক্রমণ সন্দেহে চিকিৎসা অথবা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে যাতায়াতে গণপরিবহন ব্যবহার এড়িয়ে ব্যক্তিগত পরিবহন অথবা প্রাইভেট পরিবহন ব্যবহারের জন্য যাত্রী সাধারণকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে কক্সবাজার

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হচ্ছে কক্সবাজারে। এবার ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে এ সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বাইনোকুলার দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে সৈকতের নানা বিষয়। এছাড়া ছিল সিসি ক্যামেরা। সেগুলো পরিচালনার জন্য ছিল বড় বড় এলইডি মনিটর।

এবার পুরো শহরটিকেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে চায় বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। এসব সিসি ক্যামেরায় যা ধরা পড়বে তা দেখা যাবে শহরের মোড়ে মোড়ে রাখা বড় এলইডি মনিটরে। ফলে শহরের অপরাধ কমে আসবে অন্যদিকে পর্যটকরা নিরাপদে ঘুরতে পারবেন।

শুধু তাই নয়, পর্যটকরা বিপদে পড়লে যাতে খুব সহজেই স্বজনদের ফোন করতে পারেন তার জন্য বিভিন্ন মোড়ে ইন্টারকম সার্ভিস এবং বসটন টেলিফোন রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রথমবারের মতো দুটি পর্যটন কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে মনিটরিং করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক এই কাজে সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে ক্যামেরায় অপ্রীতিকর কিছু ধরা পড়েনি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয় ট্যুরিস্ট পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে প্রথম বারের মতো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ১২টি, পতেঙ্গা বিচে ১২টি ও কক্সবাজারে ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এসব ক্যামেরা ঢাকায় বসে কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এছাড়াও কক্সবাজারের প্রতিটি বিচকে ইন্টারকম সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছিল। পর্যটকরা তাদের সমস্যা সরাসরি ইন্টারকমের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবগত করতে রাখা হয়েছিল এই সুবিধা। তার ফলও তারা পেয়েছেন। পাশাপাশি লাগনো হয়েছিল কক্সবাজারের প্রতিটি বিচ এলাকায় সিকিউরিটি এলার্মিং বাটন। পর্যটকরা কোনো সমস্যায় পড়ামাত্র বাটনে টিপ দিয়ে তা ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্সে আওয়াজ তৈরি করেছে। ফলে দ্রুত সময়ে সেই স্থানে পুলিশ পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করেছে।


আরও খবর



বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, সহ-অধিনায়ক তাসকিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ১৮ দলই ঘোষণা করেছে নিজেদের বিশ্বকাপের দল। বাকি ছিল কেবল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। মঙ্গলবার ১৯তম দল হিসেবে বাংলাদেশ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপের দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বেছে নিয়েছে বিশ্বকাপের ১৫ স্বপ্ন সারথি।

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকে সবকটি বিশ্বকাপে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের একমাত্র এবং সব মিলিয়ে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এমন অর্জনে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন সাকিব। ভারতের রোহিত শর্মাও খেলেছেন সবকটি বিশ্বকাপ।

আইসিসির বেঁধে দেওয়া সূচি অনুযায়ী, পহেলা মের মধ্যে বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করতে হতো। অন্যান্য দলগুলোর মতো বিসিবিও নির্ধারিত সময়ে দল বাছাই করে আইসিসির কাছে পাঠিয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। মঙ্গলবার সেই অপেক্ষা ফুরায়।

এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু একে একে ঘোষণা করেন ১৫ ক্রিকেটারের নাম। তবে এই স্কোয়াডেও পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। ২৫ মের মধ্যে স্কোয়াডে পরিবর্তন করা যাবে কোন কারণ ছাড়াই। এ সময়ের পরও পরিবর্তন করা যাবে। তখন প্রয়োজন হবে আইসিসির অনুমোদনের।

বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। ডি গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুই দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। সেই সঙ্গে সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস ও নেপাল আছে বাংলাদেশের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। পরের দুই ম্যাচ সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে।

বৈশ্বিক ইভেন্টের আগে বিসিবি বেশিরভাগ সময় খেলোয়াড়দের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সিরিজ, প্রস্তুতি ম্যাচ বা অনুশীলন পর্বের আয়োজন করে। অনুশীলনে কোনো ঘাটতির সুযোগ রাখে না। এবারও বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। হুস্টনে ২১, ২৩ ও ২৫ মে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্বকাপের ৫৫টি ম্যাচ দুই দেশের নয়টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি এবং ক্যারিবিয়ানের ছয়টি। ডালাসের মেট্রো এরিয়ার গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে পহেলা জুন বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র। ২৯ জুন ফাইনাল ম্যাচ হবে বার্বাডোজে। দুটি সেমিফাইনাল হবে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ও গায়ানাতে।

বাংলাদেশ স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাশ, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মাহেদী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।

রিজার্ভ খেলোয়াড়: হাসান মাহমুদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব


আরও খবর



ক্ষমতায় যেতে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজনীতি ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনও তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লো মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।

তিনি বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।

তিনি আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।


আরও খবর



বিএনপি ছাড়াই সব নির্বাচন ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি ছাড়াই সব নির্বাচন ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ দাবি করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতা বুঝা উচিৎ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি, উচ্চতা এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ লজ্জিত হন। তখন পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝা অনেক উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বিশ্ব যুদ্ধ সংঘাতে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু রাফায় আগ্রাসী অভিযান শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের সকল নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



চাকরির বয়স ৩৫ নিয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার জন্য সুপারিশ জানিয়ে গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঠান।

রোববার (৫ মে) এর জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরির বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে তা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী তার পাঠানো চিঠিতে বলেন, বর্তমানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা বলে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ওই দেশের আলোকে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দাবি করে আসছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওই সব শিক্ষার্থী দফায় দফায় কর্মসূচি পালন করে এলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন শিক্ষামন্ত্রীও একই ধরনের সুপারিশ করলেন।


আরও খবর