আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

অন্তঃসত্ত্বা বাক্‌প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ: মামা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হতদরিদ্র পরিবারের বাক্‌প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় দূরসম্পর্কের মামা মো. নুর ইসলামকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সোনারায় ইউনিয়নের ছাইতানতোলা বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার ৭ মাস পরে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।জানা গেছে, অভিযুক্ত মো. নুর ইসলাম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের (পূর্ব বাইপাস) মৃত আকবর আলীর ছেলে।

স্থানীয় লোকজন ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী ও তাঁর বাবা-মা ৩ জনেই প্রতিবন্ধী। ভূমিহীন বাবার নিজস্ব কোনো জমি না থাকায় নানার দেওয়া ১ শতাংশ জমিতে তাঁদের বসবাস। গত ১৫ বছর আগে প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাবা মারা যান। সংসারের হাল ধরেন প্রতিবন্ধী মা। ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান তিনি। অনেক সময় প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে বাড়িতে একা রেখে গ্রামে-গ্রামে যেতেন মা। এ সুযোগে ওই কিশোরীকে তারই প্রতিবেশী মো. নুর ইসলাম (৫০) একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

নুর ইসলাম সম্পর্কে ওই প্রতিবন্ধীর দূরসম্পর্কের মামা হন। পরে ওই কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায়। এতে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের সন্দেহ হলে ওই কিশোরীকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। এরপর আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে জানা যায় ওই বাক্‌প্রতিবন্ধী কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা।

এরপর বিষয়টি সমাধানে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশি বৈঠকও হয়। এতে সমাধান না হওয়ায় পরে ওই বাক্‌প্রতিবন্ধী কিশোরীর আপন মামা শফিকুল ইসলাম বাধ্য হয়ে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই থেকে আসামি পলাতক ছিলেন। চলতি বছরের ২১ মে ওই বাক্‌প্রতিবন্ধী কিশোরী একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।

এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, বাক্‌প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


আরও খবর



গরমে গ্লুকোজ পানি পান করা কি ভালো না ক্ষতিকর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তাপদাহের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। একদিকে গরমের তীব্রতা অসহ্য, আরেক দিকে প্রচুর ঘাম। আর ঘামের কারণেই পানিশূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে তৃষ্ণার কারণে এই সময়ে কম-বেশি সবাই শরীর ঠান্ডা থাকে এমন পানীয় পান করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গ্লুকোজ পানি পান।

তীব্র গরমে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময়ে বেশি বেশি পানি পান এবং স্যালাইন পানি পানের প্রয়োজন হয়। এ জন্য কেউ বিকল্প হিসেবে গ্লুকোজ পানি পান করেন। গ্লুকোজ পানি উপকারী। কিন্তু কেউ কেউ গ্লুকোজ পানি অনেক বেশি পান করেন। তবে গ্লুকোজ পানি বেশি পরিমাণে পান করা ঠিক কিনা- এ প্রশ্ন অনেকের। এবার তাহলে এই চিকিৎসকের ভাষ্যমতে গ্লুকোজ পানি পানের বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

গ্লুকোজ পানি পান করা উচিত কি: বাজারে সচরাচর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্লুকোজ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, গরমের সময় এ ধরনের গ্লুকোজ পানি শরীরকে সুস্থ রাখে বিভিন্নভাবে। এই গ্লুকোজ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে, লবণের ঘাটতি মেটায় ও শরীরে শক্তি সরবরাহ করে- এমন বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই তা নেন।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, এ জাতীয় এনার্জি ড্রিংক শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য শরীরের জন্য গ্লুকোজ পানি উপকারী। যেমন, গরমের সময় যদি হাইপোগ্লাইসেমিয়া অর্থাৎ, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে গ্লুকোজ পানি পান করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এ জাতীয় গ্লুকোজ পানিতে বিদ্যমান পাউডারে চিনি বা শর্করা থাকে। যা দ্রুত রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও বাড়ায়। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য গ্লুকোজ পানি ভালো নয়। আর এ ধরনের শর্করা পরবর্তীতে চর্বিতে রূপ নেয়। তাই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তাদের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর গ্লুকোজ।

এছাড়া একজন সুস্থ মানুষ যদি নিয়মিত গ্লুকোজ পানি পান করেন, তাহলে পেটে মেদ জমে এবং মোটা হয়ে যায়। শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ পানি পানে দাঁতেরও ক্ষয় হয়। সেই সঙ্গে সুগার হার্টের রোগ, ডিমেনশিয়ার মতো জটিল রোগের জন্যও গ্লুকোজ ক্ষতিকর বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এ জন্য খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এ ধরনের গ্লুকোজ পানি পান না করাই উচিত।

বিকল্প উপায় ও করণীয়: গরমে পানি পান করা হচ্ছে ভালো উপায়। এ জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানে গরমে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা রোধ করা যায়। পাশাপাশি স্যালাইন ও ডাবের পানি পান করা যেতে পারে। দুটি পানীয়তেই প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ রয়েছে। যা শরীরে দরকারি লবণের ঘাটতি মিটিয়ে থাকে। এছাড়া রকমারি ফলের জুস খেতে পারেন। তবে সেটি ঘরোয়াভাবে তৈরি হলে উত্তম।


আরও খবর



ননস্টিক পাত্র কী স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ রান্নাঘরেই ননস্টিক পাত্রে রান্না করা হয়। মূলত রান্নার কাজকে সহজ করার জন্যই রাঁধুনিদের পছন্দ এটি। তবে এসব পাত্রের ভুল ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এর কারণ মূলত প্রচলিত ননস্টিক পাত্র তৈরি করার সময় এমনকিছু উপকরণ ব্যবহার করা হয় যেটার বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকলেই বিপদ। তাই প্রচলিত ননস্টিক পাত্র ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো। মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েব সাইটহেলথলাইনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ননস্টিক পাত্রের বিভিন্ন তথ্য। 

প্রচলিত ননস্টিক পাত্রে পার অ্যান্ড পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল সাবস্ট্যান্সেস (পিএফএএস) ব্যবহার করা হয়। কিছু বিশেষ রাসায়নিক উপাদানকে সংক্ষেপে পিএফএএস বলা হয়। আর ইংরেজিতে বলা হয় ফরএভার কেমিক্যাল

কয়েক বছর আগে ননস্টিক পাত্রে যে ধরনের পিএফএএস ব্যবহার করা হতো, তার নাম ছিল পার ফ্লুরো অক্টানয়িক অ্যাসিড। সংক্ষেপে এর নাম পিএফওএ। ২০১৫ সালের আগে ননস্টিক পাত্র তৈরি করা হতো পিএফওএ দিয়ে। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি (ইপিএ)-এর হস্তক্ষেপে সেই উপকরণ বদলে ফেলা হয়। কিন্তু এখনো ভিন্ন ধরনের পিএফএএস ব্যবহার করা হচ্ছে আর তাতেও কাছাকাছি ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা থেকে যায়।

পিএফএএস-এর কারণে কিডনির ক্যানসার, রক্তে চর্বির মাত্রাধিক্যসহ কিছু রোগের ঝুঁকি আছে বলে জানা যায়। আগেকার দিনের সেই পিএফওএ ব্যবহারে এসবের পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ আর থাইরয়েডের সমস্যার ঝুঁকিও ছিল। অন্যদিকে পরিবেশের নানা জায়গাতেই পিএফএএস ছড়িয়ে আছে তাই যদি কেউ এ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরেন তবে কেবল ননস্টিক পাত্রকে সরাসরি দায়ী করতে পারবেন না।

রান্নার পাত্রের কারণে বাড়তি কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। এবারে সে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক: 

পাত্রের ননস্টিক স্তরটা ক্ষয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে ওই পাত্র আর ব্যবহার করা যাবে না।

অত্যধিক উত্তাপ সৃষ্টি হয়, এমন চুলায় ননস্টিক পাত্র ব্যবহার করবেন না।

ননস্টিক পাত্র খালি থাকা অবস্থায় তা গরম করবেন না।

যদি আপনি রান্নাঘর থেকে ননস্টিক পাত্র বিদায় করতে চান আর রান্নাও সহজে করার পথ খুঁজেন তবে বিকল্প হিসেবে সিরামিক বা স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। এসব পাত্রে  বাড়তি কোনো কোটিং বা স্তর থাকে না তাই যেভাবে ইচ্ছা রান্না করতে পারবেন। 


আরও খবর



চট্টগ্রাম নগরে বিকাল ৫টার মধ্য কোরবানির বর্জ্য পরিস্কার করবে চসিক

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

ঈদ-উল-আযহার দিন নগরীতে তৈরি হওয়া বিপুল বর্জ্য ঈদের দিন বিকাল পাঁচটার মধ্যেই পরিষ্কার করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সাথে প্রস্তুতি সভায় এ লক্ষ্য নির্ধারণ করেন মেয়র।

সভায় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ঈদের দিনেই কোরবানির বর্জ্য সরিয়ে ফেলার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হন। এসময় মেয়র প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে বলেন।

মেয়র বলেন, আমরা বিকাল পাঁচটার মধ্যে নগরী থেকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করার লক্ষ্যে আমাদের প্রায় ৪ হাজার কর্মী কাজ করবে। নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডকে ৭টি জোনে ভাগ করে মোট ৩২২টি গাড়ি বর্জ্য অপসারণে কাজ করবে। ৭টি জোনে ৭টি পানির ভাউজার থাকবে রক্ত পরিস্কার করার জন্য। কোন কর্মী অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য এম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের ঈদের আগের দিনসহ মোট ৩দিনের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হল। এছাড়া নগরীর পাশবর্তী উপজেলার কোরবানীর ছামড়া যাতে চট্টগ্রাম নগরীতে প্রবশ করতে না পারে সেজন্য ঈদের দিনসহ পরবর্তী ২দিন নগরীর প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট স্থাপনসহ ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সাথে একযোগে কাজ করব আমরা। পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমকে বেগবান করতে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হবে, যেখানে অভিযোগ জানালে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং জবাইকৃত পশুর নাড়ি-ভুড়ির বর্জ্য সংরক্ষণ করে যথাস্থানে রাখার জন্য পলিব্যাগ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানান মেয়র।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর মোঃ মোবারক আলী, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাজী নুরুল হক, ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, মোঃ নুরুল আমিন, আবদুস সালাম মাসুম, জাফরুল হায়দার চৌধুরী, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিধন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, সহকারী প্রকৌশলী রুবেল দাশসহ পরিচ্ছন্ন ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম চসিক

আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, তথ্য পেলেই অভিযান: র‌্যাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে আরসা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তথ্য পেলেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা। তারা অপহরণ, লুণ্ঠন, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। এর আগে নানা অভিযানে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, বিপুল বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাবের অব্যাহত নজরদারি ও তৎপরতায় আরসা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, কিন্তু বর্তমানে পাশের দেশের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনায়, আমাদের দেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রবেশ করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার (১৬ মে) লাল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।

আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এ তৎপরতা নিষ্ক্রিয় করার জন্য স্থানীয় থানাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে, যখনই তথ্য পাচ্ছি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।


আরও খবর



তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে দেশের ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ইতোমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে এক লাখ ৪০ হাজার ৮৬১ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। এছাড়া সারাদেশে ৩০০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, এক শতাংশ ভোট পড়লেও কোনো অসুবিধা নেই। ভোটার যা আসবে তাই। আমাদের কঠোর নির্দেশ যে ভোটার যদি একজন আসেন একজনই দেখাতে হবে। ৫০ জন আসলে ৫০ জনই দেখাতে হবে। কেউ যদি বেশি দেখায় আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।

এবার সাতটি জেলার ১৬টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে। এসব উপজেলায় মোট ১ হাজার ১৫২ জন প্রার্থী। ভোটার ২ কোটি ৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৪ জন। ভোটের একদিন আগে তিনটি এবং দুদিন আগে ১৯টি উপজেলাসহ ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ২২টি উপজেলার ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ভোটের একদিন আগে স্থগিত হওয়া তিনটি উপজেলা হচ্ছে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী এবং চাঁদপুর জেলার কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা। খালিয়াজুরী উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ইভিএমের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে গতকাল রিমালের প্রভাবে ১৯টি উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়। তার আগে মামলাজনিত কারণে যশোর সদর উপজেলা ও একজন প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে রায়পুর উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। অন্যদিকে সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় ভোট গ্রহণের প্রয়োজন নেই। ফলে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ঘোষিত তফসিলের ১১২টি উপজেলার মধ্যে ২৫টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হচ্ছে না।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৮৭টি উপজেলায় ৩৯৭ জন চেয়ারম্যান, ৪৫৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২৯৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তৃতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন চেয়ারম্যান একজন, ভাইস চেয়ারম্যান চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাতজন।


আরও খবর