আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে আপত্তি ক্রিস্টেন স্টুয়ার্টের

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

টোয়াইলাইট সিনেমায় বেলা সোয়ান হয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট। এরপর যত দিন গেছে, নতুন নতুন চরিত্র আর গল্পে জয় করেছেন দর্শকের মন। গতকাল লাভ লাইস ব্লিডিং নামের নতুন সিনেমা নিয়ে এসেছেন ক্রিস্টেন। এ সিনেমা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী আঙুল তুলেছেন হলিউডের অন্যান্য সিনেমায় দেখানো অন্তরঙ্গ দৃশ্যের দিকে।

ক্রিস্টেনের মতে, হলিউডের বেশির ভাগ সিনেমায় যেভাবে অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখানো হয়, সেখানে বাস্তবতার খুব অভাব। এসব দৃশ্য তাঁর কাছে মেকি ও যান্ত্রিক মনে হয় বলেও জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট বলেন, হলিউডের সিনেমায় অন্তরঙ্গ দৃশ্য যেভাবে ধারণ করা হয়, সেটা খুব আরোপিত। বাস্তবে মানুষ এভাবে সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হয় না। এসব দেখে মাঝে মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার মনে হয় সিনেমার গল্প থেকে শুরু করে প্রতিটি দৃশ্যই বাস্তবসম্মত হওয়া উচিত। এ কারণেই লাভ লাইস ব্লিডিং সিনেমায় ক্রিস্টেন চেষ্টা করেছেন এমনভাবে অন্তরঙ্গ দৃশ্য তুলে আনতে, যা হবে বাস্তবঘনিষ্ঠ। লাভ লাইস ব্লিডিং সে দিক থেকে হলিউডের অন্যান্য সিনেমার চেয়ে আলাদা বলে দাবি করেছেন অভিনেত্রী।

আশির দশকের প্রেক্ষাপটে তৈরি রোমান্টিক থ্রিলার লাভ লাইস ব্লিডিং পরিচালনা করেছেন অস্কারে মনোনয়ন পাওয়া নারী নির্মাতা রোজ গ্লাস। ক্রিস্টেনের সঙ্গে এতে অভিনয় করেছেন কেটি ওব্রায়ান। এ সিনেমায় ক্রিস্টেনের চরিত্রটি এক জিম ম্যানেজারের, যার নাম লু। অন্যদিকে জ্যাকি নামের এক বডিবিল্ডার নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে লাস ভেগাসে আসে। একপর্যায়ে তারা প্রেমে পড়ে। এই সম্পর্ক তাদের নিয়ে যায় অপরাধ জগতে। ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট জানিয়েছেন, তিনি এ সিনেমায় অভিনয়ে আগ্রহী হয়েছিলেন, কারণ এতে সম্পর্কের অন্ধকার দিকটি ভিন্নভাবে দেখানো হয়েছে।

লাভ লাইস ব্লিডিং সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে গতকাল। এর আগে জানুয়ারিতে সানডান্স চলচ্চিত্র উৎসব ও ফেব্রুয়ারিতে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমার প্রিমিয়ার হয়।


আরও খবর



সবসময় আস্থা রাখায় ধোনিকে ধন্যবাদ জানালেন মোস্তাফিজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণেই মাঝপথে আইপিএলকে বিদায় জানাতে হয়েছে এ টাইগার পেসারকে।

বিদায় বেলায় মুস্তাফিজকে নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি জার্সি উপহার দেন ধোনি। যেখানে লেখা ছিল, ফিজের প্রতি ভালোবাসা। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাটার মাস্টার।

নিজের অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁহাতি এই পেসার লিখেছেন, সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ মাহি (ধোনি) ভাই। আপনার মতো কিংবদন্তির সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নেয়াটা ছিল বিশেষ এক অনুভূতি। সবসময় আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, আমি সেগুলো মনে রাখব। আপনার সঙ্গে শিগগিরই আবারও খেলতে এবং দেখা করতে মুখিয়ে আছি।

বিসিবির দেওয়া অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। এই আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে আগেই মন খারাপের কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।


আরও খবর
নতুন কোচ নিয়োগ দিলো বিসিবি

বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪




চট্টগ্রাম জেলায় ভিটামিন ‘এ’খাবে ৮ লাখ ৩২ হাজার শিশু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

সারাদেশের ন্যায় আগামী ১ জুন শনিবার চট্টগ্রাম জেলায় অনুষ্টিত হবে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৪। অনুষ্ঠিতব্য ক্যাম্পেইনে  ৬-১১ মাস বয়সী ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৮ লাখ ৩২ হাজার ১৭৯ জন শিশুকে একটি করে নীল ও লাল রঙের ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঐ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার স্থায়ী, ভ্রাম্যমান ও অস্থায়ী কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হবে।

জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে জেলার ১৫ উপজেলায় ২শ ইউনিয়নের ৬শ ওয়ার্ড, ১৬টি স্থায়ী কেন্দ্র, ১৫টি ভ্রাম্যমান কেন্দ্র ও ৪ হাজার ৮শ অস্থায়ী কেন্দ্রে মোট ৮ লাখ ২০ হাজার ৪৮০ জন শিশুকে  ভিটামিন   ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৯৪ হাজার ৪৭৭ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৭০২ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় আয়োজিত জেলা পর্যায়ের এডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্টান ও জাতীয় পুষ্টি সেবার বাস্তবায়নে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এডভোকেসী সভার আয়োজন করেন।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোহাম্মদ নওশাদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম শফিউল্লাহ।

রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জেবিন চৌধুরী, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ফরিদুল আলম, মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোঃ নুরুল হায়দার, ইউনিসেফর নিউট্রিশন অফিসার ডা. উবা সুই ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশর এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনি রোজারিও।

 সভায় চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম শফিউল্লাহ বলেন, ভিটামিন ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। পরিবারের রান্নায় ভিটাামিন সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার শিশুর জন্য যথেষ্ট উপকারী। মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্র্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে  ভিটামিন সমৃদ্ধ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ খাবার খেতে দিতে হবে। শিশুর জন্মের সাথে সাথে মায়ের বুকের শাল দুধ খাওয়াতে হবে এবং ৬ মাস পর্যন্ত বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু দেয়া যাবে না। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে দুই বছর পর্যন্ত মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি পুষ্টি সমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়াতে হবে। কোন শিশু ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো থেকে যাতে বাদ না যায় সে দিকে সবাইকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে।  

 সিভিল সার্জন বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী মোট ৯৪ হাজার ১৯৫ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হয়েছিল, চাহিদা ছিল ৯৬ হাজার ৭৯০ জন, যার অর্জিত হার ৯৭ শতাংশ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ২১ হাজার ৫১৫ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হয়েছিল, চাহিদা ছিল ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮৩৫ জন, যার অর্জিত হার ৯৮ শতাংশ।

জেলার বাইরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য এ ক্যাম্পেইন সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। আগামী ১ জুন শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলাগুলোতে ৫৪ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ২০০ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৫৪০ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ৭৪৮ জন পঃ পঃ সহকারী, ১৯৬ জন পঃ পঃ পরিদর্শক, ৯ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, ১৫ জন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, ৫১১ জন সিএইচসিপি ও ৮৫ জন স্যাকমো জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইনে নিয়োজিত থাকবে। ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।

তিনি বলেন, এ কর্মসুচী সফল করতে সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ৬-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশু যাতে ঐদিন ভিটামিন ক্যাসসুল পায় সে লক্ষ্যে সর্বত্র মাইকিং করে জনগণকে জানান দেয়া হবে। ভ্রমণে থাকাকালীন সময়েও রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরী ঘাট ও লঞ্চ ঘাটে অবস্থিত টিকা কেন্দ্রসহ যে কোন টিকাদান কেন্দ্র থেকে শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবে। জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে সরকারী প্রতিষ্টান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলো কাজ করবে। সরকারী কর্মকর্তা, মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী শিশুদেরকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে এ কর্মসূচী সফল হবে।


আরও খবর



জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় জিসান আহম্মেদ নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বেরুনী হলের কর্মচারী মো. নজরুল ইসলামের মেজো ছেলে৷

সোমবার (৬ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সালাম বরকত ও তাজউদ্দিন হলগামী সড়কের পার্শ্ববর্তী একটি গাছে একজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পথচারীরা। পরে পুলিশে খবর দিলে আশুলিয়া থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।

আল-বেরুনী হলের কর্মচারীদের সূত্রে জানা গেছে, জিসান পরিবারের সঙ্গে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কলাবাগান এলাকায় আনসার ক্যাম্পের পেছনে থাকতেন। তাদের পৈত্রিক নিবাস শেরপুর জেলার সদর থানায়। স্থানীয় একটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা শেষে তিনি একটা গরুর খামার দেখাশুনা করতেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মৃতের পিতা নজরুল ইসলাম বলেন, সে সন্ধ্যার সময় বাসা থেকে বেরিয়েছিল এবং আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসায় ফেরে। তার মা তাকে বলছিল, এতো রাতে কোথায় ছিলি, গরুগুলোকে এখনো পানি খাওয়ানো হয়নি। এনিয়ে তার মায়ের সঙ্গে একটু রাগারাগি হয় এবং সে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে রাতে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও কোথাও পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ ছেলে কোনো ধরনের অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল না, নেহাত ভদ্র ছেলে। কিন্তু এ রকম কেনো করলো, তারা বুঝতে পারছে না।

ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, এই ছেলেকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনি। সে খুবই ভদ্র ছেলে। মায়ের সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি হলে সে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। পরে তার খোঁজ করেও পাওয়া যায় নি। এখানে তার পরিবারের কারো কোনো অভিযোগ নেই। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়ে লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, আনসার ক্যাম্পের পিছনে ঘটনাস্থল হওয়ায় তাদের এখানে থেকে সরাসরি দেখা যায়। আমি এসে দেখে পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাছ থেকে মরদেহ নামায়।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিএম আসলামুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে। পরিবার ও এলাকাবাসীর কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে বিদেশি জাহাজে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ১২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগরে বিদেশি জাহাজে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১২ ডাকাতকে আটক করেছে চট্টগ্রাম কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম পতেঙ্গা বর্হিনোঙ্গর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১ টি রামদা, একটি করাত, একটি শাবল, একটি প্লায়ার, একটি স্পেনার এবং ১২টি মোবাইল জব্দ করা হয়।

আটকরা হলেন- মোঃ সালাউদ্দিন (২৬), মোঃ আনোয়ার হোসেন (২৩), কামাল হোসেন (২৩), মোঃ ইমন (১৯), মোঃ আবু তাহের (৩২), মোঃ ইসলাম (২৭), মোঃ ফয়সাল (২০), মোঃ রাজু (৩৭), সিরাতুল মুসতাকিম (১৭), পিয়াস মন্ডল (২৩), মোঃ আলমগীর (৩০) এবং মোঃ আরিফ (৩০)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ডাকাত দলের মূল হোতা আকবর এর নির্দেশে এবং মোঃ সালাউদ্দিন (২৬) এর নেতৃত্বে ডাকাত দল চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন ইছানগর হতে বোট যোগে গত ১৩ মে রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বর্হিনোঙ্গরে গমন করে।

আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পতেঙ্গা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে কোস্ট গার্ড জানান।


আরও খবর



নারীর পেটে লাথি দিয়ে সন্তান নষ্ট, নিজেকে রক্ষায় মিথ্যা মামলায় হয়রানী

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ে রিপা আক্তার (৩০) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর পেটে লাথি দিয়ে তিন মাসের সন্তান নষ্টের অভিযোগ উঠেছে মো: মাহাবুব (৫৫) গংয়ের বিরুদ্ধে। শুধু নির্যাতনেই নয়, নিজেদের বাঁচাতে উল্টো মিথ্যা মামালা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার পরিবারের সদস্যদের।

নির্যাতনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা নারী ঠাকুরগাঁও সদর পৌর এলাকার ইসলামনগরের বাসিন্দা বিপ্লব খানের স্ত্রী। আর অভিযুক্ত মো: মাহাবুব গং একই এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় রিপা আক্তারের পিতা মো: আব্দুর রহিম সোমবার (৬ মে) ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, মাহাবুব ও তাঁর লোকজন বহুদিন আগ থেকেই আব্দুর রহিমের (৬০) বসতবাড়ির জমি জবর-দখল করার চেষ্টা করে আসছেন। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে আব্দুর রহিম তার জমিতে পাকা ঘর নির্মাণের কাজ করছিলেন। দুপুরে তাঁর অনুপস্থিতিতে মাহাবুব গংয়ের লোকজন নির্মিত ঘর ও বাহিরের টাটি বেড়া ভাঙচুর করেন। এতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয় আব্দুর রহিমের। এ সময় অন্তঃসত্ত্বা নারী রিপা আক্তার, রিক্তা আক্তার ও বিলকিস আক্তার তাদের ভাংচুরের প্রতিবাদ জানালে মাহাবুবের হুকুমে ১৩ জনের একটি দল সংঘবন্ধ হয়ে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রে তাদের উপড় ঝাপিয়ে পড়ে। শুরু করেন এলোপাতাড়ি মারধর। এক পর্যায়ে মাসুদ (২২) ও আব্দুস সালাম (২৩) অন্তঃসত্ত্বা নারী  রিপা আক্তারের তলপেটে জোরে লাথি মারে। ফলে তার গর্ভপাত ঘটে। আর খয়রুল (৩০) অন্তঃসত্ত্বা নারীর গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করলে রিক্তা ও বিলকিস রিপাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসলে সুজন (২৫), শাহাবুদ্দীন (২৩), রত্না বেগম (৪৫), নাজমুল (৫০), হাসু (৩৫), সালমা (৪০), রেজিনা (৫০), সুফিয়া (৫০) ও সাহেরা বেগম (৪০) তাদের দুইজনকেই মারধর করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করেন। এসময় রত্না বেগম রিপা আক্তারের গলা থেকে স্বর্ণ অলংকার ছিনিয়ে নেয় এবং পড়নের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি করেন। মাহাবুব গংয়ের মারধরের ফলে তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিপ্লব খান ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ভর্তির পরামর্শ দেন।

ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম জানান, নিজের জমিতে বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে হঠাৎ তারা একজোট হয়ে হামলা চালায়। যার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি রয়েছে অথচ তারা কৌশলে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে শরীর কেটে মিথ্যা একটি মামলা করে আমাদের হয়রানী করছে। বিষয়টি তাদের তদন্ত কর্মকতা এএস আই হিরনময় চন্দ্র অবগত রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, মাহবুব তার মামলায় যে ঘটনাস্থল উল্লেখ করেছে সেখানে আসামি আকাশ, বিপ্লব ও মকছেদুল উপস্থিত না থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে।

আর বাকি আসামীরা বাসায় উপস্থিত থাকলেও মারপিটের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। উল্টো মাহবুব গংরাই মারপিট করে। তাই ভালভাবে তদন্ত হলে তা বেড়িয়ে আসবে। পরে উপায় না পেয়ে আমি বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করি।

আর অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত মো: মাহাবুব এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি.এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলাও হয়েছে। তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর