আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

অনন্য উপমা ও চিত্রকল্পের কবি

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাগর জামান

জীবনানন্দ দাশ আধুনিক বাংলা কবিতার এক অনন্য কবি। তার কবিত্ব শক্তি তুলনারহিত। বাংলা কবিতাকে আধুনিকতার পথে ধাবিত করতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তার কবিতায় পরাবাস্তবতা লক্ষ্য করা যায়। আলাদা কাব্য দর্শন ও চিত্রকল্প উপমায় শিল্প নৈপুণ্য তার কবিতাকে করে তোলে অত্যুজ্জ্বল। রবীন্দ্র, নজরুল পরবর্তীকালে বাংলা কবিতার জগতে তিনি ছিলেন পুরোধা। গ্রামবাংলার অপরূপ সৌন্দর্য তার কবিতায় লীলায়িত। তার কবিতা সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে প্রকৃতি ও দেশজ উপাদানে। রূপকথা বাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও পুরাণ তার কবিতাকে করে তুলেছে চিত্রকল্পময়। তার কবিতার শিল্পসফল চিত্রকল্প ও উপমার ব্যবহার পাঠকদের চিত্ত জয় করে। সে কারণেই তিনি রূপসী বাংলার কবির অভিধায় ভূষিত হয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আখ্যায়িত হয়েছেন নির্জনতার কবি, মহাপৃথিবীর কবি বলে।

অন্যদিকে তিনি শুদ্ধতম কবির উপাধি লাভ করেছেন।বহু খেতাবপ্রাপ্তি অবশ্যই বিরল অর্জন।জীবনানন্দের কাব্য প্রতিভার কারণে তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এত  পরিচয়সূচক উপনাম । জীবদ্দশায় তিনি সমাদৃত ছিলেন না। জীবিতাবস্থায় জীবনানন্দ দাশ ছিলেন অনেকটা অপ্রকাশিত। তার মৃত্যুর পরেই তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তার কবিতা বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। অজ্ঞাত জীবনানন্দ দাশ ধীরে ধীরে প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠেন এবং তিনি বাংলা কবিতার প্রধান পুরুষে পরিণত হন। জীবনানন্দ দাশ অত্যন্ত সার্থক ও পরিপূর্ণভাবে  তার কবিতায় পরাবাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন। তার কবিতায় শিল্পিত কারুকার্য গভীরতা ও আধুনিকতার পরশ লক্ষ্য করা যায়। জীবনানন্দ দাশের একান্ত নিজস্ব লৈখিক রীতি আধুনিকতা তার কবিতাকে করে তুলেছে সৌন্দর্যস্নাত। তার কবিতার প্রতিটি পঙ্ক্তি সুগঠিত। তার কবিতার নান্দনিক মাত্রাবিন্যাস পাঠকদের মনোযোগ কেড়ে কবিতার গভীরে নিয়ে যায়।

কালের প্রবাহে জীবনানন্দ দাশের হৃদয়স্পর্শী কবিতার আবেদন একটুও ক্ষুণ্ণ হয়নি। বরং আরো বেশি প্রাসঙ্গিক আরো বেশি উজ্জ্বল হয়েছে। তিনি লোকান্তরিত হওয়ার পর যতদিন অতিবাহিত হচ্ছে, ততই তিনি উদ্ভাসিত হচ্ছেন। তার কবিতার জগৎ উন্মোচিত হচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে। নতুন প্রজন্ম তার কবিতায় অনুরক্ত হয়ে পড়ছে ব্যাপকভাবে। প্রকৃতি জীবনানন্দের কাছে ধরা দিয়েছে। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- রূপসী বাংলা, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, বেলাঅবেলা কালবেলা, শ্রেষ্ঠ কবিতা প্রভৃতি। জীবনানন্দ দাশ ছিলেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী কবি। তিনি প্রচলিত নিয়ম ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। জীবনানন্দ দাশের কবিসত্তার জাগরণ ঘটে পারিবারিক পরিম-ল থেকে। তার পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত ছিলেন বরিশাল ব্রজমোহন স্কুলের শিক্ষক, প্রাবন্ধিক, বরিশাল ব্রাহ্মসমাজের মুখপত্র এবং ব্রাহ্মবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।

জীবনানন্দের মাতা কুসুমকুমারী দাশ কবিতা লিখতেন।  আদর্শ ছেলে শীর্ষক কবিতার রচয়িতা তিনি। এই অত্যন্ত সুপরিচিত (আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে/ কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে) পরিবার থেকে উৎসাহিত হয়ে জীবনানন্দের কাব্যচর্চার শুরু বালক বয়স থেকেই। স্কুলে ছাত্রাবস্থায় তার প্রথম কবিতা বর্ষা- আবাহন ব্রহ্মবাদী পত্রিকায় ১৯১৯ সালে প্রকাশিত হয়। মূলত কবি হলেও তিনি অসংখ্য ছোটগল্প, কয়েকটি উপন্যাস ও প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেন। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরাপালক প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে। এই গ্রন্থের কবিতায় নজরুলের প্রভাব বোঝা যায়। জীবনানন্দের প্রকৃত কাব্য প্রতিভার স্ফুরণ প্রথম দিকের কবিতায় দেখা যায় না। পরবর্তীতে তিনি অন্য কবিদের প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বতন্ত্রপথ আবিষ্কার করতে সমর্থ হয়েছেন। তখন তার কবিতা নতুন রূপ সৌন্দর্যে অবারিত আলোয় উৎফুল্ল­। এসময় জীবনানন্দ দাশের কবিতায় বহুমাত্রিকতা সূচিত হয়। মূলত ধূসর পান্ডুলিপি প্রকাশিত হওয়ার পর তার কাব্য প্রতিভার আসল পরিচয় পাওয়া যায়।বিশুদ্ধ কবিতাকে সঙ্গী করে তিনি পথ হেঁটেছেন। প্রকৃতি তার চিত্তে আলোড়ন তোলে। ঝরাপালক কাব্যে প্রকৃতির কথা উঠে এসেছে। তিনি প্রকৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করেছেন বিভিন্ন সময়ের কবিতায়। প্রকৃতি তার কবিতাকে স্নিগ্ধ ও সৌন্দর্যময় করে তুলেছে। ঝরাপালক এ প্রকৃতির পাশাপাশি ইতিহাস ও মৃত্যুচেতনা স্মৃতি মগ্নতা ধরা পড়েছে তার কবিতায়। ঝরাপালকে নজরুলের স্পষ্ট প্রভাব যেমন টের পাওয়া যায়, পাশাপাশি বিশ্ব সাহিত্যের সুর জীবনানন্দ দাশের কবিতায় অনুরণিত হয়েছে। পাশ্চাত্য রীতি অনুসরণ করে তিনি কবিতা লিখেছেন । পাশ্চাত্য রীতিতে তিনি প্রবলভাবে অনুপ্রাণিত ছিলেন। তবু তার কাব্য প্রতিভা বক্তব্যের ভিন্নতা রচনাশৈলী তাকে প্রসিদ্ধ করেছে।

বনলতাসেন শীর্ষক কবিতাটি বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ কবিতা হিসেবে চিহ্নিত। এই কবিতাটি সুধী মহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। কালোত্তীর্ণ এ কবিতাটি জীবনানন্দ দাশকে কবিতা রচনার ক্ষেত্রে পারঙ্গমতার স্বীকৃতি দিয়েছে। এ কবিতাটি খ্যাতি বৃদ্ধি যেমন করেছে, তেমনি তাকে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ কবিতা রচনার মর্যাদায় নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে । কবিতাটি বুদ্ধদেব বসুর সাহিত্য কাগজ কবিতায় ১৯০৫ সালে প্রকাশিত হয়। প্রেমের আবেশে মুহ্যমান  এই কবিতাটি ব্যাপক পাঠক প্রিয়তা লাভ করে। জীবনানন্দ দাশ এক রহস্যময় নারীর প্রতি প্রেমের অনুভূতির প্রকাশ ঘটিয়েছেন এই কবিতার বুননে। শিল্পিত উপমা উৎপ্রেক্ষা প্রয়োগ করে তিনি তার মানস প্রতিমার রূপ বর্ণনা করেছেন। যা পাঠকদের উদ্দীপ্ত করে। মানসপ্রতিমার দীঘল চুল, চোখ ও মুখাবয়বের সৌন্দর্যের প্রকাশ করেছেন শৈল্পিক উপমায়। বনলতা সেনে  ভ্রমণবিলাসী এক কবির পরিচয় পাওয়া যায়। অন্ধকারকে সহযাত্রী করে পৃথিবীর পথে মানুষের অবিরাম পরিভ্রমণ করে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি কাব্যের ছন্দে। গভীর জীবনবোধ, না পাওয়ার বেদনা, প্রেম, সান্নিধ্য পিপাসা, তিমিরাচ্ছন্নতা, শান্তির আকুতি, উৎসারিত হয়েছে এ কবিতায়। তিনি দয়িতার সান্নিধ্যে শান্তি সুধা পান করার কথা ব্যক্ত করেছেন । নতুন ভাবনা সুন্দর কাব্যদর্শন এই কবিতায় প্রযুক্ত হয়েছে। জীবনানন্দ দাশ প্রেমময় ভাবনায় অবগাহিত হয়েছেন । মানুষ ইতিহাসের পথে অবিরাম হেঁটে যায়। সুখ দুঃখকে আলিঙ্গন করে নেয় মানুষ। এক বিভ্রান্ত পথিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। হেঁটে যেতে যেতে নানা বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে পৌঁছে গেছেন গন্তব্যে, পৃথিবীর বিভিন্ন ভৌগোলিক স্থানে। কখনো কখনো তার যাত্রা হয়েছে আলো থেকে অন্ধকারে। তার হৃদয়বৃত্তিতে প্রেম জেগে উঠেছে। একটু মানসিক শান্তির জন্য তিনি ছুটে গেছেন তার প্রণয়নীর কাছে। এসব কথা শিল্পিত শব্দ ও উপমার অলঙ্কারে বিবৃত হয়েছে জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন শীর্ষক কবিতায়।

জীবনানন্দ দাশ গতানুগতিকতার মধ্যে বন্দি থাকেননি। নতুনত্বের উন্মুক্ত প্রান্তরে থেকে কবিতা রচনা করেছেন। প্রকৃতি তার কবিতার প্রধান উপাদান। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগে তিনি মগ্ন থেকেছেন। তার কবিতায় প্রকৃতির নানা রূপ ফুটে উঠেছে। প্রকৃতির নানা বৈচিত্র্য ধরা পড়েছে। জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতির সঙ্গে প্রেমের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন শিল্পসফলভাবে। ফলে, তার কবিতায় চমৎকার রোমান্টিক পরিবেশ অনুধাবন করা যায়।

রোমান্টিক মানস প্রবণতা, স্বদেশ, প্রকৃতি বন্দনা, প্রেম তার কবিতায় একীভূত হয়েছে। ব্যক্তিক অনুভূতি, একাকিত্ব, দুঃখ-কষ্ট, হাহাকার বিচিত্র জীবনবোধ, অন্তর্গত বেদনার অনুরণন শোনা যায় তার কবিতায় । তিনি ব্যক্তিগত অনুভূতি,অন্তর্দহন, আলাদা বোধকে ভিত্তি করে কবিতা রচনায় নিমগ্ন হয়েছেন। যাপিত জীবনের বিচিত্র অনুভব ও অনুভবের ভেতরের অনুভব, বোধের ভেতর জেগে ওঠা বোধ তার কবিতায় উন্মোচিত হয়েছে। অদ্ভুত এই বোধ তার কবিচিত্তকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে।

জীবনানন্দ দাশ তার অন্তর্গত বোধকে কাব্য চেতনায় ধারণ করেছেন। অদ্ভুত এক বোধের তন্তুজালে আটকে যাওয়ার কথা তুলে ধরেছেন। নাছোড় এই বোধ তাকে জড়িয়ে রাখে সবসময়। এই বোধের জন্য সবটা তার কাছে তুচ্ছ মনে হয়। বোধের শৃঙ্খল থেকে তিনি মুক্ত হতে পারেন না কখনো। এই কবিতায় শূন্যতাবোধের গভীর উপলব্ধি ধরা পড়েছে। উপস্থাপনা ভঙ্গি, বিষয় বৈভব, বহুমাত্রিক বক্তব্য রীতি, উপমার প্রয়োগ জীবনানন্দ দাশের কবিতাকে উদ্ভাসিত করেছে। এ কথা দ্বিধাহীন চিত্তে উচ্চারণ করা যায় যে, বিশুদ্ধ কবিতার হাত ধরে বাংলা কবিতা জগতে বিচরণ করেছেন মহান ও শুদ্ধতম কবি জীবনানন্দ দাশ।

নিউজ ট্যাগ: জীবনানন্দ দাশ

আরও খবর



আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার  আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গত ১৪ মে রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রেরিত কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঈশ্বরদীতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এমদাদুল হক রানা সরদার। গত ১৩ মে সকালে তাঁকে আনারস প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এই নির্বাচনে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ১৪ মে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে এমদাদুল হক রানা সরদারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তাঁর দাখিলকৃত অভিযোগপত্র ও অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে জানা যায় যে, ১৩ মে আনারস প্রতীকের সমর্থনে শোডাউন ও মিছিল করা হয়েছে যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা সুষ্ট লঙ্ঘনের সামিল।

নোটিশে নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৬ এর ১১ (২) ও ১৩ (ক) ধারার লঙ্ঘনের অভিযোগে এমদাদুল হক রানা সরদারকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রার্থীকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানো পত্রের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, রিটার্নিং অফিসারের কারণ দর্শানোর চিঠি পেয়েছি। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরও খবর



পুলিশের অভিযানে অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

তিনি জানান, পাহাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল মো রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযানের মুখে পল্লী চিকিৎসকসহ অপহৃত দুই জনকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়ক (ঢালা) দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ ওই দুজনকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা।

অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন (৫১) উখিয়া পালংখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর, নয়াপাড়ার মৃত মোঃ শফি মোহাম্মদ রফিক (৩২)।

অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই কমরুদ্দিন মুকুল জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কের ঢালার নামক স্থানে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিএনজি (অটোরিকশা) চালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে মোবাইলে ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকেন অপহরণকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা বন্ধ ছিল। এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক।


আরও খবর



ন্যাশনাল ব্যাংকের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সংকল্পবদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান বলেন, ব্যাংকের নতুন পর্ষদের পক্ষ হতে কর্মীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহবান জানান এবং শ্রেনীকৃত ঋণ আদায় এবং আমানত সংগ্রহের জন্য গ্রাহকদের ব্যাংকের নতুন পর্ষদ সম্পর্কে অবহিত করার জন্য পুনব্যক্ত করেন। ঋণ আদায়ের ব্যাপারে তিনি সর্বশক্তি নিয়োগের জন্য কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, খেলাপী ঋণ আদায়ের ব্যাপারে গ্রাহকদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। ২০২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ব্যবসা সম্প্রসারণ, গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি, শ্রেণীকৃত ঋণ আদায় সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যাংকের উত্তরোত্তর উন্নতি করে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য সংকল্পবদ্ধ হওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

শনিবার দুপুরে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের শাখা প্রধানদের নিয়ে মত বিনিময় সভা ব্যাংকের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান।

এসময় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দিন নিজামীসহ পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন, মো. রিয়াজুল করিম, এরশাদ মাহমুদ, প্রফেসর এ কে এম তফাজ্জল হক ও ড. রত্না দত্ত, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আকতার উদ্দিন আহমেদ ও মো. আব্দুল মতিন।

এতে ব্যাংকের ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং কৌশলগত কর্মপন্থা প্রণয়ন সহ সার্বিক প্রবৃদ্ধির বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।


আরও খবর



একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি বছরের একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদন শুরু হবে ২৬ মে থেকে। আবেদন করা যাবে ১১ জুন পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।

বুধবার (১৬ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

শিডিউল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ জুন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ২৯ জুনের মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৩০ জুন থেকে। যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ হবে ৪ জুলাই। একই দিন পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের ফলও প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চয়ন শুরু হবে ৫ জুলাই থেকে। যা চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।

একাদশ শ্রেণির ভর্তি সংক্রান্ত শিডিউলে বলা হয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে তৃতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৯ জুলাই থেকে। চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশন এবং তৃতীয় ধাপের ফল ১২ জুলাই প্রকাশিত হবে। তৃতীয় ধাপের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ১৩ থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে।

সব ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই থেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১০ দিন। অর্থাৎ ২৫ জুলাই একাদশ শ্রেণির ভর্তি শেষ হবে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সবার আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর ৩৩ দিনের অপেক্ষা। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ১ মের এর মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে। সেই ধারাবাহিকতায় সবার আগে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল নিউজিল্যান্ড।

আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতির মাধ্যমে কেন উইলিয়ামসনকে অধিনায়ক করে  বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে শক্তিশালী এক দল ঘোষণা করেছে কিউইরা।

টপঅর্ডারে আছেন ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে, রাচীন রবীন্দ্রর মতো তারকা ব্যাটাররা। এছাড়াও মার্ক চাপম্যান ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের মতো পরীক্ষিতরাও দলটির বড় ভরসা। স্পিন বোলিংয়েও আছে বৈচিত্র্য। ফিট থাকায় আছেন ইশ শোধি, মিচেল স্যান্টনার, রাচীন রবীন্দ্রর মতো বোলারদের পাচ্ছে কিউইরা।

আর পেস ডিপার্টমেন্ট তো রীতিমত ভয়ঙ্কর। স্কোয়াডে আছেন অভিজ্ঞ ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি, টিম সাউদি, জিমি নিশাম, ড্যারিল মিচেল, লকি ফার্গুসনের মতো বিশ্বসেরা পেসাররা। যারা প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো করার পুরস্কার হিসেবে রাচীন রবীন্দ্র ও ড্যারিল মিচেলকে দলে নেওয়া হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াড:

কেন উইলিয়ামসন, ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচীন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ শোধি ও টিম সাউদি।


আরও খবর