আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা পুলিশের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পুলিশ সদস্যরা। গত কয়েকদিন সরকারের পতনের দাবিতে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে অনেক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

সোমবার সরকার পতনের পর পুলিশ সদরদপ্তরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার শতাধিক থানা ও পুলিশ স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয় বলে জানা যায়। এ অবস্থায় জীবনের শঙ্কায় কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অধস্থন কর্মচারী সংগঠন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞাপ্তি বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে সারা দেশে পুলিশ সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা, পুলিশ সদস্য খুনসহ স্থাপনা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। দেশে প্রায় ৪৫০টি থানা আক্রমণ করে অগণিত পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে; যা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সামিল। এহেন পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ পুলিশের অধস্থন কর্মচারী সংগঠন আজ ৬ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করছে।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তবে এরই মধ্যে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ পুলিশ সরকারের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। সরকার যা করতে বলবে, পুলিশ তাই করতে বাধ্য। এখানে পুলিশ সদস্যদের নিজস্ব ভূমিকা রাখার সুযোগ কম। ফলে পুলিশ সদস্যরা সরকারের আদেশে অনেক অনৈতিক কাজ করেছে। জনসাধারণের সঙ্গে পুলিশ অন্যায় করেছে, এটা ঠিক। তবে সেটা নির্দিষ্ট কিছু পুলিশ সদস্য, সবাই না।

এদিকে পুলিশের এক উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, যে সরকার আসবে, পুলিশের সে সরকারের আদেশ মতোই কাজ করবে। এটাই পুলিশ নীতিমালা। বিগত সময়ে পুলিশ যা করেছে, তা পুলিশের নিজস্ব কাজ নয়। এটা সরকার করতে বাধ্য করেছে। আগামী যে সরকার আসবে, পুলিশ জনসাধারণের জানমাল রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সরকারের আদেশ মোতাবেক কাজ করবে।

তিনি আরও যোগ করে বলেন, আমরা দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই, আমাদের ভুল বুঝবেন না। পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশ জনগণের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে কাজ করতে চায়।

প্রসঙ্গত, পুলিশের এ সংগঠন থেকে ৯ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। তা হলো -

১) সকল পুলিশ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।

২) নিহত পরিবারের ক্ষতিপূরণসহ সেই পরিবারের ন্যূনতম একজন সদস্যকে সমপদে নিয়োগ নিশ্চিত করা।

৩) আহত সকল পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা ও ক্ষতিপূরণ প্রদান নিশ্চিত করা।

৪) ৮ ঘন্টার বেশিডিউটি পালনে বাধ্য না করা। ৮ ঘন্টার বেশি ডিউটি পালনে অভার ডিউটির সুবিধা দেওয়া।

৫) শুক্রবার, শনিবারসহ সকল সরকারি ছুটি ভোগের সুযোগ প্রদান। দেশের স্বার্থে/জনগণের স্বার্থে ছুটি ছাড়তে না পারলে অতিরিক্ত কর্মদিবস হিসাবে আর্থিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা।

৬) উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ দানে সংবিধান ও জনগণের মনের কাঙ্ক্ষিত বিষয় প্রাধান্য দেওয়া। পুলিশকে রাজনীতিমুক্ত রেখে নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করা।

৭) পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে শুরু করে সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ অফিস, পুলিশ লাইন্স, পুলিশ হাসপাতাল, থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, ক্যাম্পের নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করে নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করা।

 ৮) যথাসময়ে সকল পদে পদোন্নতির যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে বৈষম্য দূর করা ও বদলীর আদেশ দানে নিজ জেলার নিকটবর্তী জেলার প্রাধান্য নিশ্চিত করা।

৯) বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা রক্ষায় পুলিশ সংস্কার আইন প্রণয়ন করা। যেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা দ্রুততম সময়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করতে পারে।


আরও খবর
সীমান্ত হত্যার কড়া প্রতিবাদ জানাল বিজিবি

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




যাত্রাবাড়ীতে লুট হওয়া ৬০ আগ্নেয়াস্ত্র ও চার হাজার রাউন্ড গুলি হস্তান্তর

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত র‍্যাব-১০ কার্যালয় থেকে ৫ আগস্ট লুট হওয়া বিভিন্ন মডেলের ৬০টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৪ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করে র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।

আজ সোমবার সকালে নরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া সেনা ক্যাম্পে এসব হস্তান্তর করা হয়।

নরসিংদীর ক্যাম্পের দায়িত্বে নিয়োজিত (২৮ ইস্ট বেঙ্গল) লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফাহিম মাহবুব র‍্যাব-১০-এর এএসপি এম জে সোহেলের কাছে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ হস্তান্তর করেন।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফাহিম মাহবুব জানান, ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী র‍্যাব-১০-এর কার্যালয় থেকে লুট করার সময় সেনাবাহিনীর ২৮ বেঙ্গলের নেতৃত্বে ১৭টি নাইনমিমি পিকে, ৬টি এসএমজি, ১৬টি শটগানসহ বিভিন্ন মডেলের ৬০টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিভিন্ন প্রকারের ৪ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। আজ সেসব অস্ত্র র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ সময় নরসিংদী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার সারোয়ার আলম, ক্যাপ্টেন ফাহিম মোহাম্মদ আহবাব, ক্যাপ্টেন মো. রকিবুল আলম, ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ-হিল তাহমিদ এবং সেনাবাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তাসহ র‍্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



পুলিশের ৪ কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-১ এর সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো চার পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, খন্দকার লুৎফুল কবির, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ অধিদপ্তর; মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক, ট্যুরিস্ট পুলিশ; চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, নোয়াখালী; মো. ইমাম হোসেন,  উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব), অপরাধ তদন্ত বিভাগ, ঢাকা।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি কৃষ্ণপদ রায়, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. মোজাম্মেল হক ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলামকে অবসরে পাঠায় সরকার।

এ ছাড়া গত ২১ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম, মো. আনোয়ার হোসেন এবং সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এরপর শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাহাবুবর রহমান, সদ্য সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া এবং পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্রকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।

এরও আগে গত ১৩ আগস্ট পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম ও সদ্য সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।


আরও খবর
সীমান্ত হত্যার কড়া প্রতিবাদ জানাল বিজিবি

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সচিবালয় এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বাসভবনের আশপাশে সব ধরনের গণজমায়েত, সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

রোববার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণ-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তি বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামীকাল (২৬ আগস্ট) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন (যমুনা) এর আশপাশের এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।


আরও খবর
সীমান্ত হত্যার কড়া প্রতিবাদ জানাল বিজিবি

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সরকারি অফিসে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারের নির্দেশনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ করে সকল সরকারি অফিসে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যসামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার অনুরোধের প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায়, প্লাস্টিকের ফাইল, ফোল্ডারের পরিবর্তে কাগজ বা পরিবেশবান্ধব অন্যান্য সামগ্রীর তৈরি ফাইল ও ফোল্ডার ব্যবহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে কটন বা জুট ফেব্রিকের ব্যাগ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

প্লাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে কাঁচের বোতল ও কাঁচের গ্লাস ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্লাস্টিকের ব্যানারের পরিবর্তে কটন ফেব্রিক, জুট ফেরিক বা বায়োডিগ্রেডেবল উপাদানে তৈরি ব্যানার ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া দাওয়াতপত্র, ভিজিটিং কার্ড ও বিভিন্ন ধরনের প্রচার পত্রে প্লাস্টিকের লেমিনেটেড পরিহার করতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় বিভিন্ন সভা, সেমিনারে সররাহকৃত খাবারের প্যাকেট কাগজের বা পরিবেশ বান্ধব হয় সেটি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের প্লেট, গ্লাস, কাপ, স্টু, কাটলারিসহ সকল পণ্য পরিহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্লাস্টিকের কলমের পরিবর্তে পেনসিল বা কাগজের কলম ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। বার্ষিক প্রতিবেদনসহ সকল ধরনের প্রকাশনায় লেমিনেটেড মোড়ক ও প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিহার ও ফুলের তোড়ায় প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

ওই সকল বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য সকল সিনিয়র সচিব, সচিব, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া প্লাস্টিকদূষণে সচেতনতা তৈরি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সচিবালয়কে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণার উদ্যোগ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৫ আগস্ট জারিকৃত এক পত্রের মাধ্যমে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের অনুরোধ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গত ২৮ আগস্ট পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৭ ধরনের বস্তু, সামগ্রী ও পদার্থকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর গত  ২৯ আগস্ট জারিকৃত এক অফিস আদেশে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহে ব্যক্তিগত ও দাপ্তরিক পর্যায়ে 'সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ ঘোষণা' করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।


আরও খবর
সীমান্ত হত্যার কড়া প্রতিবাদ জানাল বিজিবি

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আশুলিয়ায় আজও বন্ধ ২১৯ কারখানা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

শ্রমিক অসন্তোষের জেরে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে আজও ২১৯টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে ৮৬টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন‍্য শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা মোতাবেক বন্ধ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বাকী ১৩৩টি কারখানায় দেয়া হয়েছে সাধারণ ছুটি। নাশকতার সন্দেহে ৩ জনকে আটক যৌথবাহিনীর। যৌথবাহিনীর অভিযানে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর বাহিরে, শিল্পাঞ্চলে কোনো ধরনের সড়ক অবরোধ বা বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া শিল্পাঞ্চলের অন্যান্য কারখানাসহ ঢাকা ইপিজেডের কারখানাগুলো চালু রয়েছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানায় কাজে যোগ দেয় শ্রমিকরা।

শিল্প পুলিশ জানায়, আজ শিল্পাঞ্চলের কোথাও কোন সড়ক অবরোধসহ কারখানায় হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগে থেকেই কিছু কারখানায় অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল সেসব কারখানার শ্রমিকরা কাজে ফিরেনি।

এছাড়া আজ সকালেও বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশের পর বের হয়ে গেলে সব মিলিয়ে শিল্পাঞ্চলের ২১৯টি  কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা মোতাবেক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৮৬টি কারখানা। আর বাকী ১৩৩টি কারখানায় আজকের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, শিল্পাঞ্চলে যে কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। এছাড়া শিল্পাঞ্চলে যৌথবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর