আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

অচিরেই ভবদহ এলাকার ভুক্তভোগিদের দুঃখ লাঘব হবে : স্বপন ভট্টাচার্য্য

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি বলেছেন, অচিরেই ভবদহ এলাকার ভুক্তভোগিদের দুঃখ লাঘব হবে। এ অঞ্চলের মানুষ শিঘ্রই জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ পাবে। এজন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার নানা উদ্যোগে গ্রহণ করেছে।

গতকাল রবিবার দুপুরে ভবদহ স্লুইসগেট সংলগ্ন জলাবদ্ধতা নিরাসন সেচ প্রকল্প সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভবদহ পানি নিস্কাশন আন্দোলন কমিটি সভাপতি ও অভয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফারাজী এনামুল হক বাবুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরো বলেন, জলাবদ্ধতা দুরীকরণে সেচ প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার ফলে জলাবদ্ধতা নিস্কাশন হলে এ অঞ্চলের মানুষ চলতি বোরো মৌসুমে আবাদ করতে পারবে। এতে উপজেলার ধান উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএডিসির পরিচালক (ক্ষুদ্রসেচ) আরিফুর রহমান, যশোরের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল রশিদ ও যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মশিয়ূর রহমান, নেহালপুর ইউপি চেয়ারম্যান নজমুস সাদত, অভয়নগর পায়রা ইউপি চেয়ারম্যান বিষ্ণুপদ দত্ত, প্রেমবাগ ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন, সুন্দলী ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ চন্দ্র রায় কপিল, নেহালপুর সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান, অধ্যক্ষ সরদার মোতালেব হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান সানা, রুহুল আমিন, হাফিজুর রহমান, কালিপদ মন্ডল, ডাঃ আতিয়ার রহমান, সিদ্দিকুর রহমান, প্রভাষক হাসান আলী সরদারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা নেতৃবৃন্দ।



আরও খবর



ঢাকায় মঙ্গলবারও থাকতে পারে নিম্নচাপের প্রভাব

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমাল বৃষ্টি ঝড়িয়ে দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর বিস্তার লাভ করেছে। ফলে রাজধানীসহ দেশের সব বিভাগেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নিম্নচাপে প্রভাব মঙ্গলবারও (২৮ মে) থাকতে পারে।

সোমবার (২৭ মে) এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, স্থল নিম্নচাপ স্থায়ী কিছু নয়। এটার নির্দিষ্ট কোনো কেন্দ্র বলতে তেমন কিছু নেই। তবে সাগরে নিম্নচাপ হলে সুনির্দিষ্ট কেন্দ্র থাকে। রেমাল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটি ছড়িয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, যশোর থেকে মাদারীপুর, ফরিদপুর, ঢাকা, কুমিল্লা হয়ে এটি ভারতের দিকে গিয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। এর ফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতেও বৃষ্টি হবে। মঙ্গলবারও কিছুটা প্রভাব থাকতে পারে। তারপর থেকে তাপমাত্রা বাড়বে।

রেমাল ও রেমাল পরবর্তী ঝড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীতেও দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকটি সড়কে গাছ পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। রাজধানীতে বড় দুর্ঘটনার খবর না মিললেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে।

নিউজ ট্যাগ: ঘূর্ণিঝড় রেমাল

আরও খবর



শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ, শঙ্কায় নিপুণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে এক ঘোষণার মাধ্যমে সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এরপর আর সেভাবে সমিতিতে দেখা যায়নি জায়েদকে। গত ১৯ এপ্রিলে মিশা সওদাগর ও ডিপজল পরিষদের জেতার পর শোনা যাচ্ছিল সমিতিতে সদস্যপদ ফিরে পাচ্ছেন জায়েদ। অবশেষে সেটাই হয়েছে।

জায়েদ খানের সদস্যপদ ফিরিয়ে দিয়েছে সমিতির বর্তমান কমিটি। গেল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কমিটির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব জানান, জায়েদ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছিল তার যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছে। তা খতিয়ে দেখার পর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এক প্রজ্ঞাপনেও বিষয়টি জানিয়েছে শিল্পী সমিতি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মিশা সওদাগর বলেন, সর্বসম্মতিক্রমেই জায়েদ খানের পদটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমিতির নতুন মুখপাত্র করা হয়েছে অভিনেতা রুবেল ও ডি এ তায়েবকে। এ কারণে বিষয়টি প্রথমে জানিয়েছেন তায়েব।

এর আগে ২০২৩ সালে জানানো হয়েছিল, কোনো রূপ সাংগঠনিক দুর্বলতা না পেয়ে জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশ ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদক নিপুণের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। এ কারণে সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। নিপুণের এমন সিদ্ধান্তকে দ্বৈতনীতি বলে অ্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে জায়েদ খান বলেন, তখন নতুন কমিটিকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। অথচ এত দিন পরে উনার মনে হলো, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এটা দ্বৈতনীতি! আলোচনায় থাকা অথবা কারও প্ররোচনায় এমন কাজ করেছেন তিনি।

জায়েদ এটাকে নোংরা মানসিকতা উল্লেখ করে বলেন, শিল্পীরা এত জঘন্য হতে পারে না। তার কারণে শিল্পীদের বদনাম হচ্ছে। আশা করি, শিল্পীরা সবাই মিলে উনাকে প্রতিহত করবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভাশেষে ডিএ তায়েব বলেন, নিপুণের সদস্যপদ বাতিল হতে পারে। গণমাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। তার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৪ মে) রাত ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বর্মতোল গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।

মৃত দুই ভাই তমিজ উদ্দিন (৫০) ও রবিউল ইসলাম (৪৫)। তারা ওই গ্রামের দবিজ উদ্দিনের ছেলে।

পরিবারের স্বজনরা জানান, রাতে নিজ বাড়িতে তমিজ উদ্দিন বৈদ্যুতিক ফ্যান মেরামত করছিলেন। এসময় সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছোট ভাই রবিউল ইসলামও বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায়। এদিকে আপন দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত তমিজ উদ্দিন ও রবিউল ইসলামের সাত সন্তান রেখে গেছেন। এমন অবস্থায় দুঃশ্চিন্তায় মৃতের স্বজনরা।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে আপন দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই সকলকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।


আরও খবর



কক্সবাজারে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত হচ্ছে আধুনিক বিশ্রামাগার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত হচ্ছে আধুনিক বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

শনিবার (১৮ মে) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, আদালতে বিচারপ্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সব ধরনের সেবা ও দুর্ভোগ লাঘবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন।

দেশের সকল নাগরিকের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, এটা সংবিধান গ্যারান্টি করেছে। প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার রয়েছে ন্যায়বিচার পাওয়ার। আদালতে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্যই আসেন। আদালতের কর্তব্য হচ্ছে- বিচারপ্রার্থী সকল নাগরিকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। এর পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীদের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় কক্সবাজারে মাদক মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান তিনি।

এসময় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম, বিভাগের সদ্য সাবেক বিচারপতি বোরহানউদ্দিন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামসহ হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতিবৃন্দ ও সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

যা থাকছে ন্যায়কুঞ্জে

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ শপিং কমপ্লেক্সের সামনে নির্মিত হচ্ছে বিশ্রামাগারটি।

কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ওমর ফারুক জানান, প্রায় ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে ন্যায়কুঞ্জের কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে অর্থাৎ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

উপসহকারী প্রকৌশলী আজকের দর্পণকে বলেন, ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণের জন্য কক্সবাজার আদালত ভবন সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবিত জমির অবস্থান অনুযায়ী কমন নকশাটি সংশোধন করে নতুন একটি সি টাইপ প্ল্যান নকশা তৈরি করা হয়েছে। সংশোধিত নকশাটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কর্তৃক অনুমোদন দেওয়ার পর প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এইচএম কনস্ট্রাকশনকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারকে গণপূর্ত বিভাগ থেকে লেআউট দেওয়ার পর প্রাথমিকভাবে সংশোধিত নতুন ডিজাইন প্ল্যান অনুযায়ী ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নির্মাণাধীন ন্যায়কুঞ্জের আয়তন এক হাজার বর্গফুট। অত্যাধুনিক নান্দনিক স্থাপত্য শৈলীতে ডিজাইন করা সুপরিসর আধুনিক বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জে একত্রে ৬০/৭০ জন বিচারপ্রার্থীর বসার জায়গা থাকবে। এছাড়া ওয়াশরুম, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, ফাস্টফুডের দোকান, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা কক্ষের ব্যবস্থাসহ বহুমুখী সুবিধা থাকবে।


আরও খবর



সীমান্তে আবারও বিএসএফের গুলি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও থামছে না ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণহানির ঘটনা। প্রতি মাসেই বিএসএফের গুলিতে ঘটছে হত্যাকাণ্ড। সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা হয়। কিন্তু তবুও থামছে না সীমান্তে হত্যা। সবশেষ রোববার (১২ মে) দিবাগত রাতে বেনাপোল সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ। এতে আমজেদ আলী নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

পরিবার জানিয়েছে, রোববার রাতে পুটখালী সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু পাচার করার সময় ভারতীয় বিএসএফ গুলি ছুড়লে আমজেদ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

এর আগে, বুধবার (৮ মে) দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। হত্যার দুই দিন পর শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি জিরো লাইন সীমান্ত দিয়ে ওই দুই বাংলাদেশির মরদেহ তেতুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতের ফাঁসিদেওয়া থানা পুলিশ।

সীমান্তে বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলি ও নির্যাতনে প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ বাংলাদেশিরা। বিগত ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারিতে বিএসএফের গুলিতে নির্মম হত্যার শিকার হয় কিশোরী ফেলানী খাতুন। তার মরদেহ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। ওই সময় কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকা কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানীর মরদেহের ছবি আলোড়ন তুলেছিল দেশে-বিদেশে। ওই ঘটনার পর দফায় দফায় আলোচনায় সীমান্তে হত্যা বন্ধে প্রতিশ্রুতি দেয় বিএসএফ। তবে গত বছরগুলোতে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় একেবারেই উল্টোচিত্র।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের হাতে মারা গেছেন ২০০ এর বেশি বাংলাদেশি। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ। যার মধ্যে গতবছর ২৮ জনের প্রাণহানি ও ৩১ জন মারাত্মক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আসকের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশিকে হত্যা করে বিএসএফ। ওই বছর ৪৮ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারান, যার মধ্যে ৪২ জন বিএসএফের গুলিতে ও ছয়জন শারীরিক নির্যাতনে মারা যান। এর আগের বছর যে ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ৩৭ জন বিএসএফের গুলিতে এবং ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে নির্যাতনে। গত সাত বছরের মধ্যে বিএসএফের গুলিতে সবচে কম বাংলাদেশির মৃত্যু হয় ২০১৮ সালে ১৪ জনের।

সরকারের হিসেবে বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৯ বছরে বিএসএফের হাতে ২৯১ জন বাংলাদেশি নিহত হন। এ ৯ বছরের মধ্যে সবচে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন ২০০৯ সালে। আর সবচে কম ১৭ জন হত্যার শিকার হয়েছেন ২০১৭ সালে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, বিএসএফ আত্মরক্ষার জন্য হত্যা করে। কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ট্রিগার হ্যাপি’ নামে এক প্রতিবেদনে সীমান্তে গুলি থেকে বেঁচে যাওয়া এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ ছিল, বিএসএফ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা না করে বা সতর্ক না করেই নির্বিচারে গুলি চালায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী আত্মরক্ষার প্রয়োজনে প্রথমে সতর্ক করতে ফাঁকা গুলি ছুড়তে হবে। যদি এতে হামলাকারী নিবৃত না হয় এবং জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় সেক্ষেত্রে গুলি ছোড়া যাবে, তবে সেটা হতে হবে অবশ্যই হাঁটুর নিচের অংশে। কিন্তু এসবের কোনো তোয়াক্কাই যেন নেই বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। ফেলানী হত্যার দৃশ্যই কি মনে করিয়ে দেয় না, বিএসএফ গুলি ছোড়ে স্রেফ হত্যার উদ্দেশ্যেই। বিএসএফ কোনো ক্ষেত্রেই প্রমাণ করতে পারেনি যে, হতাহতের শিকার মানুষগুলোর মাধ্যমে তাদের প্রাণ সংশয় বা গুরুতর আহত হওয়ার ঝুঁকি ছিল।

সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার অন্যতম প্রধান কারণ দেশটির সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ। এ ছাড়াও দুই দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো ঘনবসতিপূর্ণ। এখানকার একশ্রেণির মানুষ কৃষি ও অন্যান্য পেশার পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত গবাদি পশু ও পণ্য পাচারের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। এই হত্যার শিকার অধিকাংশই বিভিন্ন চোরাচালান কর্মের সঙ্গে জড়িত বলেই অভিযোগ বিএসএফের। কিন্তু দুই দেশের আইন অনুযায়ী, কেউ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করলে, কাঁটাতার কাটলে বা পাচারের চেষ্টা করলে তাদের গ্রেপ্তার করে ওই দেশের আইনানুযায়ী বিচার করতে হবে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই গুলি ছোড়া বা নির্যাতন করা যাবে না।


আরও খবর