আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভের ডাক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সভায় পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এরপর সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার পরপরই মজুরি বাড়ানোর দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন'র ব্যানারে মজুরি প্রত্যাখ্যান ও পুনঃবিবেচনার দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের কেন্দ্রের সভাপতি শ্রমিক নেতা অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ।

এর প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি।

এর আগে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা দিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আমরা তৈরি পোশাক শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করছি। ফলে পূর্বের ৮ হাজার টাকা থেকে ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা হবে। এ ছাড়া তাদের জন্য বছরে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট থাকবে। তাছাড়া বেতন কাঠামো ৭টি থেকে কমিয়ে ৫টি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

আরও পড়ুন>> পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২৫০০ টাকা, ডিসেম্বর থেকে কার্যকর

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মজুরি বোর্ডের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হয়। এতে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি ছিলেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি। অন্যদিকে মালিক পক্ষের প্রতিনিধি ছিলেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ও স্টার্লিং গ্রুপের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান।

বৈঠক শেষে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মজুরি কার্যকর করা হবে। অর্থাৎ, ডিসেম্বর থেকে নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সচিব রাইসা আফরোজ, নিরপেক্ষ সদস্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য ও জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মদ। এ সভায় মালিকপক্ষ মজুরি বোর্ডের সভায় শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়।

তার আগে ৫ম সভায় মজুরি বোর্ডে শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার ৩৯৪ টাকার প্রস্তাব করেছিলেন। বিপরীতে মজুরি বোর্ডে পোশাক কারখানার মালিকদের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেন।

চূড়ান্তভাবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়ে যায় গত ১ নভেম্বরের সভা। ওই সভায় মজুরি নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও শ্রমিকদের মজুরির গ্রেড ৭টি থেকে কমিয়ে ৫টি করার বিষয়ে সম্মত হয়েছিলেন মালিকপক্ষ। সে সময় বলা হয়েছিল যে, নভেম্বরের মধ্যে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা চলছে।

২০২৩ সালে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য বাস্তবসম্মত নিম্নতম মজুরি কাঠামো প্রস্তাবনার জন্য শ্রমিকদের সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো হচ্ছে:

১. গার্মেন্টস শ্রমিকদের মাসিক মূল মজুরি সর্বমোট মাসিক মজুরির ন্যূনতম ৬১ শতাংশ করা।

২. গার্মেন্টস শ্রমিকদের পদ ও শ্রেণিবিন্যাসে গ্রেডিং সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে পূর্বের ৭টি গ্রেডের পরিবর্তে ৫টি গ্রেডে ভাগ করা।

৩. মূল মজুরির ওপর ১০ শতাংশ হারে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে।

৪. পর পর দুটি গ্রেডের মধ্যে নূন্যতম মজুরির পার্থক্য ১০ শতাংশ করতে হবে।

৫. নতুন শ্রমিকদের জন্য তিন মাস শিক্ষানবিশকাল হিসেবে বিবেচিত হবে।

৬. পিস রেট বা প্রোডাকশন শ্রমিক: সোয়েটার কারখানা বা পিস রেটে কর্মরত শ্রমিককে প্রোডাকশন না থাকলে বিগত ৩ মাসের মজুরির গড়/৩নং গ্রেডের বেসিক মজুরি পরিশোধ, কাজের আগে রেটের ফয়সালা করা।

৭. উৎসব ভাতা: যে কোনো সম্প্রদায়ের শ্রমিক ও কর্মচারীরা স্ব স্ব সম্প্রদায়ের প্রধান দুটি উৎসবে প্রতিটিতে ৬ মাসের অধিক চাকরির ক্ষেত্রে এক মাসের মূল মজুরি হারে ২টি উৎসব ভাতা ও ৬ মাসের অনধিক চাকুরির ক্ষেত্রে প্রতিটিতে ১৫ দিনের মজুরি হারে ২টি উৎসব ভাতা প্রাপ্ত হবেন। শ্রমিকের উৎসব ভাতা ১ মাসের মূল মজুরির কম হবে না।

৮. স্বীয় পদে/গ্রেডে চাকরির সর্বোচ্চ ২ বছরের মধ্যে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।

৯. পোশাক কারখানায় গ্র্যাচুইটি সিস্টেম প্রচলন করতে হবে। তবে অন্তর্বর্তীকাল হিসেবে ১০ বছরের অধিক সময় কর্মরত শ্রমিকদের জন্য সমান হারে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। চাকুরি অবসরের পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য প্রাপ্ত গ্র্যাচুইটি দিতে হবে।

১০. মাতৃত্বকালীন ছুটি সবেতনে ৬ মাস দিতে হবে।

১১. শ্রমিকদের পরিবারের সন্তানদের জন্য শিক্ষা ভাতা দিতে হবে।

১২. নতুন মজুরি নির্ধারণের পর যাতে স্থানীয় পর্যায়ে বাড়ি ভাড়া না বাড়ে, তা তদারকি করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনপ্রশাসন এবং মালিকপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিটি করে পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।

১৩. গার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে (সরকারের ভর্তুকিমূলক পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা)।


আরও খবর



অবহেলায় পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত হয়েছে মহেশপুর নীলকুঠি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য। কিন্তু এগুলোর বেশির ভাগই অবহেলিত। ফলে কালের বিবর্তনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য গুলো। এমনই এক প্রচীন স্থাপত্য নীলকরদের স্মৃতি বিজড়িত 'নীলকুঠি'। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের কপোতাক্ষ নদের ধারে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয় মানুষের কাছে কাচারী বাড়ি হিসাবে পরিচিত এই নীলকুঠি। খালিশপুর বাজারের পশ্চিমপাশে ৯ একরের ও বেশি যায়গা নিয়ে নীলকুঠি বাড়ি অবস্থিত।

দালানটি আঠারো শতকে নির্মিত হয়েছিল অনেকের এমনটিই ধারনা করে। এ কুঠি বাড়ি নির্মাণের মূল উদ্যেশ্য ছিল পূর্ব বাংলার কৃষকদের নীল উৎপাদনে উৎসাহী করা ও নীলচাষ দেখাশোনা করা। ইংরেজ মি. ডেভরেল এ কুটিবাড়ি থেকে এই অঞ্চলের নীলচাষ পরিচালনা করতো।

শিল্প বিপ্লবের পথিকৃৎ ছিল ইংল্যান্ড। ঐ সময় ইংল্যান্ডে সাদা কাপড়ের চাহিদা ছিল অত্যাধিক। কাপুড়ের সাদা রং বজায় রাখার জন্য নীলছিল একটি অত্যাবশকীয় উপাদান। ভারতবর্ষ বৃটিশদের উপনিবেশ হওয়ায় বল পূর্বক ইংরেজরা ভারতবর্ষকে নীলচাষের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলে। নীলচাষের ফলে জমির উর্বরতা হারাতো তাই চাষিদের নীলচাষে অনীহা ছিল, অধিকাংশ চাষিরা ইংরেজদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যও পেতনা। যারা নীলচাষ করতোনা তাদের নানা ভাবে নির্যাতন করা হত। এই কুঠিরেই কিছু কক্ষ নির্যাতনের জন্য ব্যবহার করা হত।

পরবর্তীতে ইংরেজরা উপমহাদেশে থেকে বিতাড়িত হলে কুঠির ভবনটি সিও অফিস হিসাবে ১৯৫৬-৫৭ ও ১৯৮৩-৮৪ সালে ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৯৮৪ সালের পর থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত এটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ছিল।বর্তমানে কুঠিরটি জরাজীর্ণ, সংস্কারের অভাবে কুঠি বাড়িটি ধ্বংসের দাঁড়প্রান্তে অবস্থান করছে।

৬৫ বছর বয়স্ক স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন আলী জানান বেশ কয়েক বছর আগে সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও তা আর আলোর মুখ দেখিনি। কুঠি বাড়ির চার পাশে রয়েছে শত বছরের বড় বড় আম গাছ। পাশে আরো অনেক বাড়ি ঘর ছিল যা বৃটিশদেও গাড়ি রাখাসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হত। এছাড়াও ছিল বৈকালীন অবকাশ যাপনের জন্য যায়গা যা ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে নীলকুটি বাড়িটিও অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে।

কুটি বাড়ির পশ্চিম পাশে সরকারি হামিদুর রহমান কলেজ ও স্মৃতি জাদুঘর অবস্থিত এবং পূর্ব পাশে ইউনিয়ন ভূমি অফিস। এই কুটি বাড়ির যায়গা খাস জমির তালিকাভুক্ত।

স্থানীয়রা জানান ২০১৮-১৯ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমান এখানে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ইকোপার্ক তৈরি উদ্যোগ নিয়ে ছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এাঁও আলোর মুখ দেখিনি।

স্থানীয়দের দাবী কুঠি বাড়িটি এলাকার মানুষের উপর অত্যাচার ও নির্যাতনের সাক্ষ্য দিচ্ছে,ফলে এটি এখন ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করছে। তাই এটি সংরক্ষণ করার দাবি তাদের।

ঝিনাইদহ ৩ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) সালাউদ্দিন মিয়াজী বলেন, প্রাচীন ঐতিয্যে বহনকারী নীলকুঠিটি সংস্কার করে এখানে একটি ইকোপার্ক করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

শামীম খান জনী, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি


আরও খবর



সড়ক দুর্ঘটনায় এপ্রিলে ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সড়ক দুর্ঘটনায় এপ্রিল মাসে দুই হাজার ১১৯ কোটি ১১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। রবিবার (১২ মে) সংগঠনটি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

গত এপ্রিল মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৭২টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭৯ জন আর আহত হয়েছেন ৯৩৪ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ৯৩ জন এবং শিশু ১০৮।

সংগঠনটি বলেছে, বিদায়ী মাসটিতে ৩১৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৫৯ জন নিহত হন, যা মোট প্রাণহানির ৩৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৭ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট প্রাণহানির ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৬ জন, যা মোট মৃত্যুর ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।

এই সময়ে সাতটি নৌ-দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ৬৮ জন আহত হয়েছেন (একটি লঞ্চে আগুন ধরলে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে ৬০ জন আহত হয়েছেন)। ৩৮টি রেল দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২৫৯ জন (৩৮.১৪ শতাংশ), বাসের যাত্রী ৩৪ জন (৫ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-ডাম্প ট্রাক আরোহী ৬৫ জন (৯.৫৭ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-পাজেরো জিপ আরোহী ৪৫ জন (৬.৬২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১৩১ জন (১৯.২৯ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-পাওয়ারটিলার) ২২ জন (৩.২৪ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা আরোহী ১০ জন (১.৪৭ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৩৫টি (৩৪.৯৭ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২৬৬টি (৩৯.৫৮ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৮৭টি (১২.৯৪ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৭৯টি (১১.৭৫ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং ৫টি (০.৭৪ শতাংশ) অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনাসমূহের ১৭৪টি (২৫.৮৯ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৬২টি (৩৯ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১২০টি (১৭.৮৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৯৭টি (১৪.৪৩ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৯টি (২.৮২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।


আরও খবর
বাবর আলীর এভারেস্ট জয়

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় বাপেক্সের সাবেক এমডি মো. আব্দুল বাকী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এদিন তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামী ১১ জুন অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন-তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।


আরও খবর



দেশে বেকারের সংখ্যা কত, জানাল বিবিএস

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমানে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার। ২০২৩ সাল শেষে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার। এছাড়া পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে, নারী বেকার কমেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য-উপাত্ত উঠে এসেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

বিবিএসের হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেও ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার ছিল। সেই হিসেবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেকারের সংখ্যা বাড়েনি। বর্তমানে বেকারের হার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের গড় বেকারের হারের চেয়ে কিছুটা বেশি। ২০২৩ সালের গড় বেকারের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

বিবিএস বলছে, শ্রমশক্তিতে এখন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। তাদের মধ্যে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মনে করে, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ না করলে ওই ব্যক্তিকে বেকার হিসাবে ধরা হয়।


আরও খবর
বাবর আলীর এভারেস্ট জয়

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




এমআইএসটিতে ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

মিরপুর সেনানিবাসস্থ মিলিটারী ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এ্যান্ড টেকনোলজী (এমআইএসটি)- তে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনফরমেশন ও কমিউনিকেশন টেকনোলজিবিষয়ক ৩ দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ International Conference on Electrical Engineering and Information & Communication Technology (ICEEICT 2024) শীর্ষক সম্মেলন আজ বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে।

এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, সুইডেন, মালয়েশিয়া, দক্ষিন কোরিয়া এবং জাপান এরস্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকগণ অংশগ্রহণ করছেন।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি (বার), ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি। মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, আরসিডিএস, এনডিসি,  পিএসসি, কমান্ড্যান্ট, এমআইএসটি কনফারেন্সের চীফ প্যাট্রোন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর সাইফুর রহমান, ২০২৩ আইইইই সভাপতি এবং এডভ্যান্স্ড রিসার্চইন্সটিটিউট, ভার্জিনিয়া টেক, ইউএসএ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং প্রফেসর ড.মোহাম্মদ মশিউল হক, চেয়ার, আইইইই বাংলাদেশ সেকশন।

সম্মেলনে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স, বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এ্যান্ড সিকিউরিটি, কমিউনিকেশন টেকনোলোজি, ডিজিটাল সিগন্যাল এ্যান্ড ইমেজ প্রসেসিং, অপ্টো-ইলেক্ট্রনিক্স এ্যান্ড ফোটোনিক্স, পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক্স এ্যান্ড ড্রাইভস, পাওয়ার সিস্টেম এ্যান্ড রিনিউএ্যাবল এনার্জি, সেমি-কনডাক্টর ডিভাইস এ্যান্ড ন্যানো টেকনোলজি, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, ভিএলএসআই এ্যান্ড সার্কিটস্, মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ারিং, স্যাটেলাইট নেভিগেশন, ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন এবং রাডার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ক সাম্প্রতিক গবেষণা, প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিল্পোদ্যোক্তা, প্রকৌশলী, শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের সমন্বয়ে একটি সার্বজনীন ক্ষেত্র তৈরী হবে যা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নব ও টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

উল্লেখ্য, সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ০৪ মে এমআইএসটিতে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত থাকবেন।

নিউজ ট্যাগ: এমআইএসটি

আরও খবর