আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

নতুন শিক্ষাক্রম এসএসসি পরীক্ষা ‘ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ডিসেম্বরে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা হবে ২০২৬ সালে। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হলেও নতুন শিক্ষাক্রম সেই পরীক্ষা শুরু হবে ডিসেম্বর মাসে।

নতুন কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর ভিত্তি করে এ এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেখানে লিখিত মূল্যায়নে ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নে ৩৫ শতাংশ। পুরো পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টাব্যাপী। এসব নতুন পদ্ধতি ঠিক করে প্রায় চূড়ান্ত করেছে পরীক্ষা পদ্ধতি। আগামী ৩১ মে- এর মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে সেই পরীক্ষার নাম এসএসসি থাকবে নাকি অন্য কোনো নাম হবে, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নতুন কারিকুলাম নিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ে কমিটি নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। সেখানে স্কুলের বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক (ষান্মাষিক) মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সাতটি ধাপ বা স্কেলে নির্ধারণ করেছে। এসএসসি পরীক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। সেখানে ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে পরীক্ষা হবে ডিসেম্বরে। সব কিছু চূড়ান্ত করতে চলতি মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে একটি বৈঠক ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে নতুন কারিকুলামে। সেখানে পরীক্ষা সময় বাড়ার পাশাপাশি পরীক্ষা সময় পরিবর্তন হতে পারে। সব কিছু আরেকটি বৈঠকের চূড়ান্ত হওয়ার পর সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। মূল্যায়ন নির্দেশনা যেটি ঠিক করতে আগামী ২৭ তারিখ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত হতে পারে নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, বছরের শুরুতেই এসএসসি পরীক্ষা না নিয়ে বছরের শেষে নিলে শিক্ষার্থী শিক্ষাবর্ষ পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবে। এসব দিক বিবেচনায় ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে এসএসসি পরীক্ষা ডিসেম্বর নেওয়ার সুপারিশ রয়েছে। তবে তা এখনও চূড়ান্ত না। চলতি মাসে চূড়ান্ত বৈঠকের পর তা বলা যাবে।

৫ ঘণ্টা হবে এসএসসি পরীক্ষা : এর আগে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের বলা হয়, নতুন শিক্ষাক্রমে হবে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা। এই পাবলিক পরীক্ষায় মোট ১০টি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এতে থাকবে লিখিত পরীক্ষাও। প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়নে বিরতিসহ ৫ ঘণ্টা পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকতে হবে শিক্ষার্থীদের। বর্তমান সময়ের মতো আলাদা পরীক্ষা কেন্দ্রে মূল্যায়নে অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা।

আর এসএসসি পরীক্ষা হবে কেবল দশম শ্রেণির বিষয়ের ওপর। অর্থাৎ আগে নবম-দশম এই দুই শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হলেও নতুন শিক্ষাক্রমে শুধু দশম শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হবে। এই শ্রেণিতে মোট ১০টি বিষয় পড়বে শিক্ষার্থীরা। বিষয়গুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্মশিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি।

এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সার্বিক আয়োজনের জন্য বিষয়ভিত্তিক ৬০০ শিক্ষকের সমন্বয়ে রিসোর্সপুল (বিশেষজ্ঞ দল) গঠন করা হবে। প্রথমে তাদের বোর্ডের আয়োজনে এনসিটিবির বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সাত দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিটির জন্য প্রতি বিষয়ে চারজন করে মোট ৪৪ জন শিক্ষককে চূড়ান্ত করা হবে।


আরও খবর



ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চান ভ্লাদিমির পুতিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বর্তমান যুদ্ধপরিস্থিতির অবস্থাকে মেনে নিলে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে প্রস্তুত রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশটির চারটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে। যদি কিয়েভ এবং পশ্চিমারা তার এ প্রস্তাব মেনে না নেয় তাহলে তিনি (পুতিন) যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন।

ওই চার কর্মকর্তার মধ্যে একজন রয়টার্সকে জানান, দীর্ঘ সময় যুদ্ধ করতে পুতিন প্রস্তুত রয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি যুদ্ধবিরতিও চান। ওই ব্যক্তি পুতিনের সঙ্গেই কাজ করেন এবং ক্রেমলিন সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন। তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তিনি তার নাম প্রকাশ করতে চাননি।

পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভ বলেন, রাশিয়া তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। কারণ তার দেশ যুদ্ধ চায় না। তবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে গত সপ্তাহে পুতিন নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে অর্থনীতিবিদ আন্দ্রেই বেলুসভকে নিয়োগ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে পশ্চিমা সামরিকবাহনী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন রাশিয়া তার অর্থনীতি ঠিক রেখে এ যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে চান।

সূত্রগুলো বলছে, মার্চের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ভ্লাদিমির পুতিন আগামী ছয় বছরের জন্য আবারও পুননির্বাচিত হয়েছেন। এখন তিনি সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে যুদ্ধে জিততে চাইবেন। তবে সূত্রগুলো নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

নিউজ ট্যাগ: ভ্লাদিমির পুতিন

আরও খবর



ঢাকার যেসব ওয়ার্ড ডেঙ্গুর ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে মৌসুম শুরুর আগেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রভাব। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে দেখা যায়, রাজধানীর দুই সিটির ১৮টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের চেয়েও বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার আওতাধীন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে গত ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চালানো প্রাক-বর্ষা জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজন করা হয় এ জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠান। মৌসুম পূর্ব এডিস সার্ভে-২০২৪ এর ফলাফল অবহিতকরণ সভা শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে জরিপের তথ্য উপস্থাপন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

জরিপের ফলে বলা হয়, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতে ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে এডিস মশা বা তার লার্ভা পাওয়া গেছে। এই এলাকাগুলো তাই ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ঝুঁকিতে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো ১২, ১৩, ২০, ৩৬, ৩১, ৩২, ১৭, ৩৩নং ওয়ার্ড। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো ৪, ১৩, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭, ২৩নং ওয়ার্ড।

এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ব্রুটো ইনডেক্স নামে পরিচিত। স্বীকৃত এই মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে মনে করা হয়।


আরও খবর



শনিবার প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার তৃতীয়বারের মতো শপথ নেবেন। কংগ্রেস নেতা এবং ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর পর মোদি একমাত্র ব্যক্তি, যিনি তৃতীবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেবেন।

এনডিটিভির খবর অনুসারে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দিতে বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর তিনি সরকার গঠনের দাবি জানাবেন।  

২০১৪ সালে ২৮২টি এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৩০৩টি আসন পাওয়া মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি এবার ২৪০টি আসন পেয়েছে, যা সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসনের চেয়ে ৩২টি আসন কম।

ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে নিরঙ্কুশ তথা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য বিজেপির প্রয়োজন ছিল ২৭২টি আসন। তবে দলটির এনডিএ জোটের শরিকেরা বাড়তি আসন পেয়েছে।

খবর অনুসারে, নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) সদস্যরা ৫৩টি আসনে জয়ী হয়েছেন। সরকার গঠনে বিজেপিকে এখন এই শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে।

উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর লোকসভা আসনে কংগ্রেসের অজয় রাইকে প্রায় দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে তিনবারের সংসদ সদস্য হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। দীর্ঘ ৬ সপ্তাহের ভোটগ্রহণ শেষ গতকাল ফলাফল ঘোষণা করে ভারতের নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ভারতের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু বুধবার নয়াদিল্লি যাচ্ছেন। সেখানে তারা বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের বৈঠকে যোগ দেবেন। লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার এক দিন পরই এই বৈঠক হতে যাচ্ছে।

লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর সব কটি বুথফেরত জরিপে আভাস দেওয়া হয়েছিল যে এনডিএ জোটের সবচেয়ে বড় দল বিজেপি এককভাবে ৩০০টির বেশি আসন পাবে।


আরও খবর



আরও এক হজযাত্রীর মৃত্যু, সৌদি পৌঁছেছেন ৫৮১২১ জন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সৌদি আরবে আরও একজন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। গত রবিবার (২ জুন) হজযাত্রী মাকসুদ আহমেদ (৬১) মদিনায় মারা যান। তার বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ায়। এ নিয়ে সৌদি আরবে ১০ বাংলাদেশি হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেন।

এছাড়া হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৫৮ হাজার ১২১ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার (৪ জুন) হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার দিনগত রাত ৩টা পর্যন্ত সর্বমোট ৫৮ হাজার ১২১ হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৪ হাজার ৩৭৪ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ১৪৯টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট গত ৯ মে শুরু হয়। আগামী ১২ জুন পর্যন্ত সৌদি যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে মারা গেছেন। মৃত্যুবরণ করা ১০ জনই পুরুষ। মক্কায় সাত এবং মদিনায় তিনজন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন।


আরও খবর



ব্রিটেন থেকে ১০০ টন সোনা ফিরিয়ে আনল ভারত

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে এখন স্বর্ণকে ঘিরে চলছে যত আলোচনা। তবে গোটা দেশের আলোচনায় এখন হঠাৎই চলে এসেছে টন টন স্বর্ণ। ইংল্যান্ড থেকে ১০০ টনের বেশি স্বর্ণ এল ভারতে!

ইংরেজদের শাসনকালে রাশি রাশি স্বর্ণ নিয়ে ভারত থেকে ব্রিটেনে পাড়ি দিয়েছিল। ১৯০ বছরের পরাধীনতায় ভারত ঠিক কত পরিমাণ স্বর্ণ হারিয়েছে, খাতায়-কলমে তার হিসাব নেই। সেই ইংরেজদের দেশ থেকে স্বর্ণ ফিরিয়ে আনার খবর সাধারণ মানুষের মনেও কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।

প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ইংরেজদের নিয়ে যাওয়া স্বর্ণই ভারত ফিরিয়ে আনছে? উত্তর হল, না। ভারতের জমা রাখা স্বর্ণই ভারত ফিরিয়ে আনছে। থাকবে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ভল্টে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০০ মেট্রিক টন স্বর্ণ বিদেশ থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

ব্রিটেনের কোথায় জমা ছিল ভারতের স্বর্ণ? ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মাটির নীচে থাকা ন’টি বড় বড় ভল্টে থাক থাক করে সাজানো থাকে স্বর্ণর বার।

শুধু ভারতের নয়, বিভিন্ন দেশের স্বর্ণও ওই ভল্টে জমা রয়েছে। কেউ চাইলেই ওই ভল্টে যেতে পারেন না। একমাত্র ইংল্যান্ডের রাজা বা রানিই ওই ভল্টে যেতে পারেন এবং জমা স্বর্ণ দেখতে পারেন।

এখন প্রশ্ন উঠছে, কেন ভারত স্বর্ণ রাখল ইংল্যান্ডের কাছে? যে ইংরেজরা প্রায় ২০০ বছর শোষণ করেছে, তাদের কাছেই স্বর্ণ রাখার কী প্রয়োজন পড়ল ভারতের? সেই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে ঘাঁটতে হবে ইতিহাস।

স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের মধ্যে এক ভীতি জন্ম নিয়েছিল। ধারণা হয়েছিল, ভারতের বাজারে যদি কোনও বিদেশি কোম্পনিকে ব্যবসা করতে দেওয়া হয়, তবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতোই অবস্থা ঘটতে পারে। তাই ভারতের বাজার সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল। যা ধীরে ধীরে ভারতকে অর্থনৈতিক সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিতে থাকে।

এক দিকে ভারতীয় বাজারে বিদেশি সংস্থার নো এন্ট্রি’, অন্য দিকে বিদেশ থেকে বিভিন্ন জিনিস আমদানির কারণে ভারতের আর্থিক ভান্ডারে টান পড়তে শুরু করে। রপ্তানির থেকে আমদানির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পায়।

ভারত বিদেশ থেকে মূলত তেল আমদানি করে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গেই এই কারবার চালায় ভারত। ১৯৯১ সালের আগে ভারতে প্রয়োজনীয় তেলের বেশির ভাগ জোগান আসত ইরাক থেকে।

কিন্তু নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ইরাক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে ছিল আমেরিকার চোখ রাঙানি। সব মিলিয়ে তেলের দাম হু হু করে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

ভারতে তেলের সংকট দেখা দেয়। তেল কিনতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ডলারের। বিদেশে ভারতের টাকা চলে না। কী ভাবে ডলার পাওয়া যাবে তার পথ খুঁজতে থাকে তৎকালীন সরকার।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (আইএমএফ) এবং বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে ডলার নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না ভারতের। কিন্তু সেখান থেকে ডলার নিতে গেলে মেনে চলতে হত তাদের দেওয়া শর্ত। অনেকের মতে, আইএমএফ হোক বা বিশ্ব ব্যাংক, নামে সতন্ত্র হলেও তাদের উপর আমেরিকাই ছড়ি ঘোরায়।

ভারত সে সময় বিকল্প পথ খুঁজতে থাকে। তখনই স্বর্ণ বিদেশি ব্যাংকে রাখার পরিকল্পনা মাথায় আসে সরকারের। তবে আমেরিকার দৃষ্টি এড়িয়ে স্বর্ণ অন্য কোনও বিদেশি ব্যাংকে জমা রাখাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।

শোনা যায়, গোপনে স্বর্ণ ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং ব্যাংক অফ জাপানের কাছে জমা রাখে ভারত। তার বিনিময়ে ডলার নেয়। এই পুরো অপারেশনটা ভারত সরকার গোপনে করার চেষ্টা করলেও কয়েকটি সংবাদপত্রে তা ফাঁস হয়ে যায়। বিদেশে জমা রাখা স্বর্ণই ভারতে ফেরানো শুরু হয়েছে।

ভারতের কাছে এখন স্বর্ণ রয়েছে ৮২২ মেট্রিক টন। গত পাঁচ বছরে ভারত ২০৩.৯ মেট্রিক টন স্বর্ণ কিনেছে। তার মধ্যে কিছু মজুত রয়েছে আরবিআইয়ের কাছে। কিছু বিদেশি ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছ।

শুধু ডলারের বিনিময়ে স্বর্ণ বিদেশি ব্যাংকে জমা পড়ত তা-ই নয়। ভারত এমনি সময়েও স্বর্ণ বিদেশে রাখে। কেন ভারত সরকার বিদেশি ব্যাংক স্বর্ণ গচ্ছিত রাখে? দেশের মধ্যে বিভিন্ন অস্থিরতার কথা চিন্তা করেই সরকার দেশ থেকে স্বর্ণ সরিয়ে রাখে।

তা হলে ভারত কেন স্বর্ণ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হল? রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ অনেক দেশই ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যার ফলে বিদেশি ব্যাংকে রাশিয়ার জমা রাখা রাশি ক্লোজ়ড’ করা দেওয়া হয়েছে। ভারতও তা-ই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


আরও খবর