আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

নরসিংদী জেলা জুড়ে সোনালী ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মো. মোস্তফা খান, নরসিংদী

নরসিংদী জেলার বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে এখন সবুজের মাঝে হলুদের সমারোহ। যতদূর পর্যন্ত চোখ যায় ততই সবুজে ঢাকা মাঠগুলো অপরুপ সুন্দরে ছেঁয়ে আছে। ওই সমারোহ দেখে রঙ্গিন হয়ে উঠেছে প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন। এ যেন সোনালী স্বপ্নের ছড়াছড়ি। প্রতিদিনই পাল্টে যাচ্ছে মাঠে থাকা ধানের চেহারা। নতুন ধানের আগমনী বার্তা কৃষকের পরিবারে এনেছে আনন্দের ঢেউ।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা কোনো বিপর্যয় না ঘটলে বোরো আমনে বাম্পার ফলনের আশা করছেন জেলার হাজারো কৃষক। এখন জেলার মাঠে মাঠে সবুজ সমারোহে পূর্বালী বাতাসে সোনালী ধানের শীষ হাওয়ায় দুলছে। আর সোনালী এই ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে উঠছে কৃষকেরা। ধানের গাছগুলো সবুজের আভা কেটে হলুদ বরণ ধারণ করেছে।

বিগত বছরগুলোতে জেলায় বোরো আমন ধানের ফলন এবং দাম ভাল পাওয়ায় চলতি মৌসুমে বোরো আমন চাষকে ঘিরে মাঠে মাঠে যেন উৎসব শুরু হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ৬ শ' ৫০ হেক্টর জমি, উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪৯ মেট্রিক টন। চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নরসিংদীর সদর উপজেলায় ৮হাজার ৫২০ হেক্টর, পলাশ উপজেলায় ৪ হাজার ২৮১ হেক্টর, শিবপুর উপজেলায় ১০ হাজার ১৬৭ হেক্টর, মনোরদী উপজেলায় ১১ হাজার ১৪৯ হেক্টর, বেলাব উপজেলায় ৫ হাজার ৮৪১ হেক্টর ও রায়পুরা ১৬ হাজার ৮৮২ হেক্টর। 

বোরো ধান রোপণের মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে অধিক জমিতে বোরো ধান চাষ করেছে জেলার কৃষকরা। চলতি মৌসুমে জেলায় মোট ৫৬ হাজার ৭ শ' ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়  বাম্পার ফলনের আশা করছেন জেলা কৃষি বিভাগ। স্থানীয় কৃষকরাও একই  আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।

গত বছর ভালো ফলন ও দাম পেয়ে আরও বেশী উৎসাহ নিয়ে বোরো চাষের ফলে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাম্পার ফলনের আশা করছেন নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সরেজমিনে জেলার চরাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় বিস্তৃীর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে এক কথায় জেলার কৃষি জমিতে হিমেল হওয়ায় দোল খাচ্ছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন। প্রতিটি শীষে যেন কৃষকের জীবনের স্বপ্ন ভবিষ্যৎ নির্ভর করে।  মাঠে মাঠে রোপণকৃত বোরো ধান কয়েকদিনের মধ্যে কাটা মাড়াই শুরু হবে। অনেক স্থানে যান্ত্রিক কৃষি যন্ত্র ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার দিয়ে চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে কাজ। তবে চলতি বছর বিদ্যুতের ঘাটতি থাকায় সেচ পাম্পের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার অনেক কৃষকরা।

মহিষাশুরা এলাকার বোরো চাষি হেলাল উদ্দিন বলেন, গত বছর বোরো চাষ করে দাম ভালো পেয়েছিলাম। এবারও সেই আশায় সাড়ে সাত বিঘা জমি বোরো ধান রোপণ করেছি। ইতোমধ্যে  ধানে পাক ধরেছে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই ধান কাটাশুরু করতে হবে।

গণেরগাও এলাকার বোরো চাষি জয়নাল বলেন, গত মৌসুমে উফসী ও হাইব্রিড জাতের বোরো রোপণ করে ধানের ভালো ফলন পেয়েছিলাম সেই সাথে বাজার দর ভালো থাকায় মোটামুটি লাভের মুখ দেখেছিলাম।

করিমপুর এলাকার শুক্কুর আলী নামে এক বর্গা চাষী বলেন, গত বছর ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করে বেশ লাভবান হয়েছিলাম। জমি চাষাবাদ খরচ ও সারের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় এবছর মাত্র ৩ বিঘা জমি বোরো চাষ করছি। আমার নিজের কোন জমি না থাকায় অন্যের জমি চাষ করেই কোন রকমে খেয়ে পুড়ে বেঁচে আছি। শিল্পায়ন ও নগরায়নের ফলে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী চরের ফসলী জমির মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে। এর ফলে আবাদযোগ্য জমিগুলো চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় দিন দিন কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। তাছাড়া শ্রমিকের মজুরি ও কৃষি সামগ্রীর দাম লাগামহীন ভাবে বাড়তে থাকায় কৃষিকাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছি।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে এ অঞ্চলে কাজ করতে আসা কৃষি শ্রমিক হেমায়েত উল্লাহ বলেন, করোনা মহামারীর কারণে সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আমার বড় ছেলেকে হারিয়ে ফেলেছি। তার মৃত্যুতে আমাদের পরিবারে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে তাই পরিবারের সবার মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দিতে  এই গরমের মধে এ অঞ্চলে বোরো ধান কাটতে এসেছি। এখানে আমাদের এলাকার তুলনায় পারিশ্রমিক অনেক বেশি পাওয়া যায়। ধান কেটে একেকজন শ্রমিক থাকা খাওয়া ছাড়া দৈনিক ৪ থেকে ৫ শত টাকা মজুরি পাই। এতে কোনরকম সংসার চলে যায়।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ধানের ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। নরসিংদী জেলায় বিরি ধান ৮৮, ৮৯, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ১০০ এ প্রজাতির ধানের আবাদ বেশী হয়। তাছাড়া বোরো হাইব্রিড ও স্থানীয় প্রজাতির বোরোর আবাদও করা হচ্ছে। এবারও কাঙিখত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



আমতলীতে জুয়া খেলার ছবি তোলায় সাংবাদিককে মারধর

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

জুয়া খেলার ছবি তোলায় আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক ও আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার সংবাদিক মোঃ মাহবুব বিশ্বাস টিটুকে জুয়ারীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় জুয়ারীরা তার ক্যামেরা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আহত সাংবাদিককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বিশ্বাস বাজার এলাকায় শনিবার দুপুরে।

জানাগেছে, উপজেলা হলদিয়া ইউনিয়নের বিশ্বাস বাজার এলাকায় হারুন বিশ্বাসের নেতৃত্বে কতিপয় জুয়ারী দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলে আসছিল। শনিবার দুপুরে ওই জুয়ারী চক্র বাজারের কাছে কলাগাছের বাগানে বসে জুয়া খেলছিল। এ সময় আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন দপ্তর সম্পাদক সংবাদিক মোঃ মাহবুব বিশ্বাস টিটু জুয়া খেলার ছবি তুলছিল। ছবি তুলতে দেখে জুয়ারী হারুন বিশ্বাসের নেতৃত্বে জুয়ারীরা সাংবাদিক টিটুকে মারধর করে এবং তার হাতে থাকা ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত সাংবাদিক টিটু বলেন, জুয়া খেলার ছবি তোলায় জুয়ারী হারুন বিশ্বাসের নেতৃত্বে আমাকে মারধর করেছে এবং আমার ক্যামেরা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।

আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, সাংবাদিক মাহবুব বিশ্বাস টিটুকে যেই জুয়ারীরা মারধর করেছে এবং ক্যামেরা ছিনতাই করে নিয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: বরগুনা

আরও খবর



নাফ নদী থেকে ১০ বাংলাদেশি জেলে অপহরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

দেশের অভ্যন্তরে কক্সবাজারের নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় বাংলাদেশের ১০ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা।

বুধবার (১ মে) সকালে উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, আরকান আর্মির সদস্যরা নাফ নদীতে মাছ শিকাররত অবস্থায় ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা জানতে চাওয়া হলে উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তানবীর হোসেন বলেন, গত রাত একটার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনা জেনেছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। তাই বিজিবির হস্তক্ষেপে অপহৃতদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।

অপহরণের শিকার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল তিন নম্বর ওয়ার্ডের জানে আলম, আবদুর রহিম, আনোয়ারুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আইয়ুবুল ইসলাম, শাহীন।

আরও রয়েছেন- চার নম্বর ওয়ার্ড গৌজঘোনা এলাকার আবদুর রহিম প্রকাশ আবদুর রহমান, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের টিবনিয়া এলাকার ওসমান গণি, ওসমান ও আবুল হাশিম।


আরও খবর



হামাস চাইলে কালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব : বাইডেন

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বন্দি ইসরায়েলি সব জিম্মিকে হামাস মুক্তি দিলে আগামীকাল সোমবার (১৩ মে) যুদ্ধবিরতি সম্ভব বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় শনিবার সিয়াটলে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন তিনি। খবর সিএনএনের।

বাইডেন বলেন, আমি যেমনটা বলেছি, এটি হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি তারা চায় তাহলে আমরা আগামীকালই একটি যুদ্ধবিরতি করতে পারব। আর যুদ্ধবিরতি আগামীকাল থেকেই শুরু হবে।

গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ শুরুর এক মাসের মাথায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও আর কোনো চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে থাকার পর গত সপ্তাহে আলোচনায় নতুন গতি আসে। একপর্যায়ে মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজিও হয় হামাস। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি রাজি হলেও ইসরায়েলের টালবাহানায় শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি ছাড়াই এবারের কায়রো আলোচনা শেষ হয়েছে।

গত মঙ্গলবার থেকে কায়রোতে হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদল বৈঠক করছে। মিসরের রাজধানীতে এই আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হলেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। দুটি মিসরীয় নিরাপত্তা সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: জো বাইডেন

আরও খবর



ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর কোন দেশের কার্যক্রম পরিচালনা করবে: খালিদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশী বন্দর পরিচালনাকারিরা বিনিয়োগ করছে। আমি সম্ভাবনা ও স্বপ্ন দেখি, একটি সময় আসবে চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর অন্য কোন দেশের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ সংক্রান্ত চট্টগ্রাম বন্দর ও আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা স্মারকপত্র (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা কাসিফ আল মৌদি, আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল অফিসের রিজিওনাল চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমেদ আল মুতায়া‌। সমঝোতা স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাইফ আল মাজরুই।

স্মারকপত্র অনুযায়ী আরব আমিরাতের আবুধাবী পোর্টস গ্রুপ বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগ করবে। তারা অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও সংগ্রহ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে মেরিটাইম সেক্টরে আমাদের যে যাত্রা সেটিকে পুনর্জীবিত ও উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সময়ে সমুদ্র ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বন্দরের সক্ষমতা অর্জন করেছে। মংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। মংলা বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের মতো সক্ষমতা অর্জন করবে। পায়রা বন্দরে নির্মাণাধীন জেটিতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের  জাহাজ ভিড়েছে। এটা একটা নতুন অনুভূতি। আগে মাদার ভেসেলে পণ্য  পরিবহনের জন্য  আমাদের কলম্বো ও সিঙ্গাপুর বন্দরের উপর নির্ভরশীল হতে হতো। বর্তমানে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে। এতে করে নির্ভরশীলতা কমে যাবে। মাতারবাড়ি বন্দর আঞ্চলিক 'হাব' এ পরিণত হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের রেড সী গেটওয়ে টার্মিনালের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটির কার্যক্রম শুরু হবে। বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে ২৪ ঘন্টা জাহাজ আসা-যাওয়া করবে। জোয়ার ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর অন্য ধরনের উচ্চতায় চলে যাবে। বে টারমিনালের সাথে রোড, রেলওয়ে কানেক্টিভিটি থাকবে। পণ্য পরিবহন  সহজলভ্য হবে। শুধুমাত্র আবুধাবী বন্দরের জন্য নয়, আমাদের জানালা খোলা আছে। দেশের যেকোন বন্দরে বিনিয়োগের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিব। বেটার্মিনাল বাংলাদেশের সমুদ্র পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই টার্মিনালের মাল্টিপারপাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পাশে বঙ্গোপসাগরের তীরে বে- টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বে- টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণের পর সেখানে ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য ২০১৭ সালে কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়। কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ফিজিবিলিটি স্টাডি ও মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। গতবছরের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চূড়ান্ত মাস্টার প্ল্যান এর মোড়ক উন্মোচিত হয়। সমীক্ষা অনুযায়ি মাস্টার প্ল্যানের ১,২২৫ মিটার দীর্ঘ দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল এবং ১,৫০০ মিটার দীর্ঘ একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনালসহ মোট তিনটি টার্মিনাল রয়েছে।

তিনটি টার্মিনালের দৈর্ঘ্য ৪.৯৫ কিলোমিটার। মাস্টার প্ল্যানে মোট ১১টি জেটি রাখার প্রস্তাব করা হয়। চ্যানেলে যথোপযুক্ত নাব্যতা থাকায় সেখানে ১২ মিটার ড্রাফটের এবং ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়ানো সম্ভব হবে। আবহাওয়া এবং সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা করতে একটি ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার বা ঢেউনিরোধক বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বে- টার্মিনাল থেকে বহিঃনোঙ্গরের দুরত্ব এক কিলোমিটার। মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি চট্টগ্রাম বন্দর এবং আবুধাবী পোর্টস গ্রুপ যৌথভাবে নির্মাণ করবে।

১,২২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনার টার্মিনাল পিএসএ, সিঙ্গাপুর এবং অপরটি ডিপি ওয়ার্ল্ড, দুবাই অর্থায়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে। ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রেক ওয়াটার ও এক্সেস চ্যানেল ড্রেজিং করবে বিশ্বব্যাংক।

বে টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৬৬.৮৫ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ইতোমধ্যে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫০০.৬৯ একর সরকারি খাস জমি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।  ব্রেক ওয়াটার নির্মাণের জন্য বিশ্ব ব্যাংক এর বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।  বছরে ৫০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০২৬ সালে অপারেশনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তুলছে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো: আব্দুর রহমান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তুলছে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো। নতুন প্রজন্ম যেভাবে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে এগিয়ে আসছে, তা খুবই আশাপ্রদ। শিক্ষিত তরুণরা যেন কেবল চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে ও দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য উদ্যোগী হয়ে ওঠে, তার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে এই খামার।

রবিবার (৫ মে) সকালে চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেটস্থ মেয়র গলিতে অবস্থিত গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তাকে বরণ করে নেন এগ্রোর স্বত্বাধিকারী বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন। তিনি এগ্রোর সবদিকে ঘুরিয়ে দেখান।  এগ্রোতে থাকা প্রাণীসমূহের পরিচর্যায় ব্যবহৃত খাবার ও অন্যান্য সামগ্রীগুলোর মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন মৎস্য মন্ত্রী। পরে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রোর দুগ্ধজাত নানান পদের খাবারও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের অন্যতম খ্যাতনামা পরিবারের সন্তান বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ইংল্যান্ড থেকে পড়াশোনা করেন। দেশে বড় বড় শিল্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি খামারী হয়ে উঠেছেন, তার জ্ঞান ও মেধাকে কৃষি ও পশুপালন ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়ে দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য কাজ করছেন। পশুদের প্রতি তার প্রেম আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার এ দৃষ্টান্ত দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে। এতে দেশ উপকৃত হবে।

এগ্রোর স্বত্বাধিকারী বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে তরুণরা বর্তমানে কৃষি ও পশুপালনে এগিয়ে আসছে। কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায় দেশবাসী ও খামারীরা এর সুফল পুরোপুরি পাচ্ছে না। গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো এক্ষেত্রে সচেষ্ট। আমাদের খামার একইসাথে পশু মোটাতাজাকরণ এবং পুষ্টিগুণ ও মানসম্মত দুগ্ধজাত পণ্য তৈরিতে সমান গুরুত্ব আরোপ করেছে। চট্টগ্রামের নানান এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে দুধ বিতরণ করছি আমরা।


আরও খবর