আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

নওগাঁয় ভুট্টা চাষে আগ্রহ চাষিদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কৃষি ডেস্ক

Image

লকলকে সবুজ পাতার আড়ালে লুকিয়ে আছে ভুট্টার কাঁদি। কিছুদিনের মধ্যে পরিপুষ্ট দানায় পরিণত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নওগাঁর মাঠে মাঠে এখন সবুজ পাতার সমারোহ। ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা এবং ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন চাষিরা। পরিশ্রম, খরচ কম এবং লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর ভুট্টার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬,৭৮০ হেক্টর। এ পর্যন্ত জেলায় ৪,৩০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা রোপণ করা হয়েছে। প্রণোদনা হিসেবে ৪,৫০০ জন কৃষককে ২ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ২০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। উপজেলাভিত্তিক ভুট্টার চাষাবাদের পরিমাণ- সদর উপজেলায় ১৪০ হেক্টর, রানীনগরে ৫৩৫ হেক্টর, আত্রাইয়ে ২,৯৫০ হেক্টর, মান্দায় ৩০০ হেক্টর, মহাদেবপুরে ১৪৫ হেক্টর, বদলগাছীতে ৬৫ হেক্টর, নিয়ামতপুরে ২০ হেক্টর, পত্নীতলায় ৬০ হেক্টর, ধামইরহাটে ৩৫ হেক্টর, সাপাহারে ৪০ হেক্টর এবং পোরশায় ১০ হেক্টর। গতবছর ৬,৬০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল।

চলতি বছর জেলায় চাষিরা উন্নত জাতের তাজমেরি এইচ-৫৫, এনকে-৪০, সানসাইন, সুপারসাইন-২৭৬৯, ২৭৪০ ও ৯৬ এবং মুকুট ভুট্টার আবাদ করেছেন। জেলার নিচু উপজেলা রানীনগর ও আত্রাই। আবাদি জমি নিচু হওয়ায় সেখানে আগেই বন্যায় ডুবে যায় এবং আগেই পানি নেমে যায়। সেসব জমি ফেলে না রেখে কৃষকরা বাড়তি ফসল হিসেবে ভুট্টার আবাদ করছেন। ভুট্টার আবাদে পরিশ্রম কম ও ফলনও বেশি হয়। বাজারে দাম পাওয়ায় তাদের আগ্রহও বেশি। ভুট্টার পর উঁচু কিছু জমিতে অন্য ফসল ধান ও পাট হয়। তবে বন্যায় ডুবে যাওয়ার ভয়ে কৃষকরা আর আবাদ করেন না।

আত্রাই উপজেলার বড় কালিকাপুর গ্রামের কৃষক কৌশিক আহমেদ বলেন, দুই বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি। এ এলাকায় বন্যায় ডুবে যায়। আগে পানি এসে আগেই নেমে যায়। এরপর অন্য কোনো আবাদ হয় না। ওই জমিতে বছরে একটি মাত্র ফসল ভুট্টা। প্রতি বিঘায় ৪০-৪৫ মণ ফলন পাওয়া যায়। একই গ্রামের কৃষক হারেজ হোসেন বলেন, গতবছর ২ বিঘায় ৮০ মণ ফলন হয়েছিল। ১ হাজার টাকা মণ হিসেবে বিক্রি করা হয়েছিল। এই টাকা দিয়ে ইরি-বোরো কিছু জমিতে আবাদ করা হয়। আবার কিছু জমি বন্ধক নেওয়া হয়। এ ছাড়া সংসারের কাজেও লাগানো হয়। এবার ৩ বিঘা লাগানো হয়।

কৃষক জবেদ আলী বলেন, গতবছর ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টা ছিল। এবার ৫ বিঘা জমিতে লাগিয়েছি। গাছ বড় হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে গাছে ফল আসবে। এরইমধ্যে পোকার উপদ্রব শুরু হয়েছে। গাছের পাতা ও কচি মুজি কেটে দিচ্ছে। কীটনাশক দিয়েও কাজ হচ্ছে না। রানীনগর উপজেলার মিরাট গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান বলেন, ১ বিঘায় আবাদ করতে ১ মণ ডিএপি, ১ মণ ইউরিয়া, কীটনাশক, চাষাবাদ ও পানিসহ প্রায় ১০-১১ হাজার টাকা খরচ হয়। খরচ বাদ দিয়ে ২৫-২৬ হাজার টাকা লাভ থাকে।

রানীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ উপজেলায় অন্য আবাদের পাশাপাশি ভুট্টার চাষ করেছেন কৃষকরা। বিশেষ করে ভুট্টা আবাদে প্রণোদনা পাওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। উপজেলায় ৪০০ জন কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। গতবছর কৃষকরা ভালো দাম পেয়েছিল। উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের ভুট্টার আবাদ করা হচ্ছে। কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভুট্টায় যেসব রোগবালাই হয়ে থাকে, এবার খুবই কম পরিমাণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।


আরও খবর



সোনার দাম ভরিতে বাড়ল ৪৫০০ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রতি ভরি সোনার দাম সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। যা আগামীকাল বুধবার থেকে কার্যকর হবে। 

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৮ হাজার ৯০ টাকায় বিক্রি হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

আজ (মঙ্গলবার) ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকায় বিক্রি হয়।


আরও খবর



ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাক ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কাশেম শিকদার (৪০), তার ছেলে মোরসালিন (৮) ও তার আপন ভাই নাজমুল শিকদার (৩৭)। তারা গোপালগঞ্জের মোকসুদপুর উপজেলার কোয়ালদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই আব্দুল বাকি দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এলাকাবাসী জানান, বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেল যোগে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন কাশেম শিকদার। তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে মোরসালিন ও ভাই নাজমুল শিকদার। পথিমধ্যে উপজেলার হামিরদী নামক স্থানে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তখন ঘটনাস্থলে মোরসালিন মারা যান। এ সময় গুরুতর আহত হন নাজমুল। দুই ভাইকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর



বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক, টাকা চেয়ে চিরকুটে নম্বর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে। শুধু তাই নয়, মিটার চুরি করে সেখানে আবার বিকাশ নম্বর লিখে যাচ্ছেন চোররা। বিকাশে টাকা ঢুকলেই ফেরৎ দেওয়া হচ্ছে মিটার। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সুবিধাভোগীরা।

সোমবার (১৩ মে) রাতে ধনবাড়ী পৌরসভার চালাষ এলাকা থেকে দুটি রাইস মিলের মিটার চুরি করে নিয়ে কাগজে ফোন নম্বর রেখে যায় চক্রটি।

ভুক্তভোগীরা জানান, আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতির কারণেই দিন দিন এই মিটার চুরির ঘটনা বেড়েছে। এতে করে উপজেলার প্রতিটি এলাকার মানুষদের মাঝে মিটার চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে। মিটার চুরি ঠেকাতে পুলিশের টহল ব্যবস্থা জোরদারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জোর দাবি ভুক্তভোগীদের।

এ বিষয়ে ধনবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) ইদ্রিস আলী বলেন, অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আরও খবর



সাত জেলার ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের সাত জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। সেটি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। তাপপ্রবাহ চলমান জেলাগুলো হচ্ছে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, নীলফামারী, রাঙ্গামাটি ও ফেনী। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদের সই করা পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগসমূহের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ের মধ্যে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

পূর্বাভাসে আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগগুলোর দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে ওই দিনও চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় বিস্তার লাভ করতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী বিভাগের ঈশ্বরদীতে ৩৭ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায় ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে পটুয়াখালীতে। যার পরিমাণ ২০ মিলিমিটার।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




পাটের আবাদ কমেছে মেহেরপুরে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, অনাবৃষ্টি আর পাট পচানোর পানি সংকটের কারণে পাটের আবাদ কমেছে মেহেরপুরে। চলতি বছরে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চাষিদের দাবী, প্রতি বছরে পাট চাষে একরকম লোকসান গুণতে হয়। বাধ্য হয়ে অন্য ফসল আবাদ করছেন তারা। তবে কৃষি অফিস বলছে, পাট চাষে চাষিদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা ও বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শও দেয়া হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি অফিসের তথ্যনুযায়ি, কৃষি নির্ভরশীল এ জেলায় চাষিদের অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে বিবেচিত সোনালী আঁশ পাট। চলতি বছরে এ জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২২ হাজার হেক্টর। আর পাট চাষ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩০ হেক্টর যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ৩৭০ হেক্টর কম। চাষিরা জেআরও ৫২৪, বি জে আর আই তোষাপাট-৮, ভারতীয় কৃষি কল্যাণ, মহারাষ্ট্র ও চাকা জাতের পাট আবাদ করে থাকেন।

চাষিরা জানান, গেল বছর অনাবৃষ্টি থাকলেও তেমন তাপদাহ ছিল না তাই সেচ দিয়ে পাট চাষ করেছেন চাষিরা। কিন্তু পাট জাগ দেয়ার মতো পানির ব্যবস্থা ছিল না। অনেকেই কাদা মাটি দিয়ে পাট জাগ দেয়ার পাটের মান নষ্ট হওয়ায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টির সাথে যোগ হয় তীব্র তাপদাহ। ফলে অনেকেই পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। উপরন্ত পাট পচানোর জন্য কোন উম্মুক্ত জলাশয় না থাকায় চাষিরা পাট চাষ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। অনেকেই খাল বিল সংস্কার ও দখল হয়ে যাওয়া জলাশয় উম্মুক্ত ঘোষণা করার আহবান জানান।

গাংনীর পলাশীপাড়ার পাট চাষি জুলফিকার আলী জানান, প্রতিবছর চাষিরা এ পাট আবাদ করে মোটা অংকের টাকা আয় করেন। কিন্তু পানি সংকটের কারণে চাষিদের পাট পচাতে সইতে হয় নানা বিড়ম্বনা। অনেকেই খালে বিলে পানি না পেয়ে বাড়ির পাশে গর্তে সামান্য পানি দিয়ে পাট পচাতে দেন। এতে এক দিকে যেমন চাষিদের খরচ বেড়ে যায় তেমনি পাটের রং নষ্ট হয়। ফলে পাটের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

পাট চাষি তেতুঁলবাড়িয়ার মিজান জানান, গেল বছর তিনি ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। চলতি মৌসুমে তিনি দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। অনাবৃষ্টি ও তাপদাহের কারণে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পাট বীজ বপন করতে পারেনি। উপরন্তু পাটক্ষেতে সেচ দিতে না পারায় পানির অভাবে পাট গাছ বাড়ছে না। অন্যদিকে পাট পচানোর ব্যবস্থা না করতে পারলে সামনে বছর আর পাট চাষ করবেন না বলেও জানান এই চাষি।

চাষিদের দাবি, হাজা মজা খাল বিল সংস্কার করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখলে পাট পচানো সম্ভব। চাষিরা উম্মুক্ত জলাশয়ে পাট জাগ দিতে পারলে পাট চাষ বৃদ্ধি পাবে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। অনাবৃষ্টির কারণে অনেকেই পাট বীজ বপন করতে পারেনি। আর যারা আবাদ করেছেন পানির অভাবে পাটগাছ বাড়েনি। অন্যদিকে পাট পচানো নিয়েও চাষিরা নানা বিড়ম্বনায় পড়েন। তবুও চাষিদেরকে প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়া হচ্ছে পাট চাষে আগ্রহী করে তোলার জন্য। বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানালেন এই কর্মকর্তা।


আরও খবর