সাভারে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ
(ডিবি) এর বিশেষ অভিযানে ইয়াবা ও নারী সহযোগীসহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গ্রেফতার। অভিযানের
সময় স্বপন নামে তাদের আরও এক সহযোগী পালিয়ে গেছে বলে জানায় পুলিশ ।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির
মাধ্যমে, ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ
বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করে এদিন সকালেই আদালতে
পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৩ মে) সাভারের বিরুলিয়ার
খনিজনগর এলাকার স্বপনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের
সভাপতি ও সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের মো. আব্দুল ওহাবের ছেলে মো.
আব্দুল হামিদ ও একই ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকার মৃত হানিফ মিয়ার মেয়ে মোসা. পপি আক্তার
(২০)।
এ ঘটনায় পপি আক্তারের স্বামী মাদক ব্যবসায়ী
স্বপন পলাতক আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই যুবলীগ নেতা এই
যুবলীগ নেতা ওই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে শীর্ষ মাদক কারবারি স্বপনের সঙ্গে যৌথভাবে
মাদক কারবার শুরু করেন। এছাড়াও ২০১৫ সালে অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন
এই যুবলীগ নেতা।
ডিবি পুলিশ জানায়, সাভার পৌর এলাকায় এক
সময় মাদক কারবার করতেন স্বপন। পরে বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার সঙ্গে যৌথভাবে মাদক
কারবার শুরু করেন। খবর পেয়ে বিরুলিয়ার খনিজনগর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় গোয়েন্দা
পুলিশের একটি টিম। এ সময় মাদক কারবারি পপি ও আব্দুল হামিদের কাছ থেকে ৩০০টি ইায়াবা
ট্যাবলেট পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়।
ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক
(ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, গ্রেপ্তার দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে
সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক
সংগ্রহ করে সাভার ও বিরুলিয়ায় সরবরাহ করতেন বলে স্বীকার করেছেন।