আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম

নিয়ন্ত্রণে এসেছে গুলশানের ভবনে লাগা আগুন

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলশানের-১ নম্বরে ভবনে আগুন লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার।

তিনি বলেন, এডব্লিউআর ১৮তলা ভবনের ৯তলায় এসির আউটডোরে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে আমাদের ৪টি ইউনিট গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ৩টি ইউনিট।

রোজিনা আক্তার বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। আগুনের হতাহতের সংবাদও পাওয়া যায়নি। এর আগে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ভবনটিতে আগুন লাগে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এখন প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালো।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তীব্র দাবদাহের কারণে জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।

চলতি বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। শুধু চলতি বছর নয়, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর টানা প্রায় ১৩ দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশপাশেই থাকছে। টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বর্তমানে সে তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। দাবদাহের কারণে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আজও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের বৃদ্ধাশ্রমে ‘টর্চার সেল’ আবিষ্কার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মানুষের দানের টাকায় নির্মাণ করা বৃদ্ধাশ্রমের মধ্যেই তিন কক্ষ বিশিষ্ট টর্চার সেল গড়ে তুলেছেন মিল্টন সমাদ্দার। চাইল্ড এন্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের প্রতিষ্ঠানের ভবনের ওই টর্চার সেলে মানুষকে ধরে নিয়ে পেটানো হয় নির্মমভাবে। টর্চার সেলের মধ্যে মানুষ পেটানোর জন্য রয়েছে নানা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। সেলের মধ্যে নির্যাতনের একাধিক ঘটনা উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। সেখানে কিভাবে নির্যাতন চালানো হয় সেই বর্ণনা দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার হওয়া একাধিক ব্যক্তি।

সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন ১০ এপ্রিল সাভারের কমলাপুর এলাকার বাহেরটেকে নিজের কেনা জমি দেখতে গিয়ে বেধড়ক মারধরের স্বীকার হন মো. সামসুদ্দিন চৌধুরী নামের ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে এবং মেয়ের জামাই। বাধা দিতে গিয়ে মারধরের স্বীকার হন তারাও। মারধরে মেয়ের জামাই ফয়েজ আহমেদের হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় এবং সামসুদ্দিন চৌধুরীর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। সামসুদ্দিনের মেয়ে সেলিনা বেগমও মারধর থেকে রক্ষা পাননি। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে প্রায় এক ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম জানান, আমাদের জমি সে কম দামে ক্রয় করতে চেয়েছে। জমি না বিক্রি করায় সে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। মিল্টন সরকারি রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে। যে কারণে আমাদের গাড়ি যাচ্ছিল না। পরে সরকারি রাস্তায় বেড়া দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করে। এরপর আমার বাবা আর স্বামীকে মিল্টনের আশ্রমের ভেতরে নিয়ে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে। ওখানে ৩টা রুম পাশাপাশি, একটা দিয়ে আরেকটায় যাওয়া যায়। রুমের মধ্যে অনেক লাঠিসোঁটা, পাইপ ও ছুরি ছিল। পাইপ দিয়ে একজনের পর একজন করে পেটাতে থাকে। মিল্টন নিজেও একটু পরপর এসে মারধর করে। আমি তখন মিল্টনের পায়ে ধরে আমার স্বামী ও বাবাকে ছেড়ে দিতে বললে আমাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে লোকজন এগিয়ে এলে আমাদের ছেড়ে দেয়।

মিল্টন সমাদ্দার নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা এবং বয়স্কদের সেবা করার দাবি করলেও নিজের হাতেই বৃদ্ধদের নির্যাতন চালান তিনি। এমনকি হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও কোনো দয়া দেখায়নি এ কথিত মানবতার ফেরিওয়ালা।

মিল্টনের হাতে মারধরের শিকার ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ বলেন, আমার হার্টে রিং বসানো; আমার স্ত্রী এটা বারবার তাদের বলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা আমার বুকে দফায় দফায় লাথি মারে। আমার স্ত্রী মিল্টনের হাতে-পায়ে ধরলেও কাজ হয়নি।

মানবসেবার নামে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানে মানুষকে নির্যাতনের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের রয়েছে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী। যাদের মানুষের দানের টাকা দিয়ে পেলেপুষে রাখেন মিল্টন সমাদ্দার। জমি দখল ও নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে এই বাহিনীকেই ব্যবহার করেন তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ আরও জানান, মিল্টন সমাদ্দার নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। যাদের মাসিক ভাতাও দেওয়া হয়। এই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন জমি দখল ও আধিপত্য বজায় রাখে।

আরেক ভুক্তভোগী হেমন্ত রোজারিও জানান, আমি গরিব মানুষ। মিল্টন আমার জমি কিনতে চাইছে। আমি বেচি নাই। আমার জমি জোর করে দখল করে একটা ঘর বানাইছে। বাধা দেওয়ায় আমারে ধইরা মারছে। পরে আমারে বলছে, তুই ওই জমিতে আসবি না। এলে তোরে মাইরালামু।

নন্দন রোজারিও নামের আরেক ব্যক্তি জানান, ওকে এখানে আশ্রম বানাতে আমরাই সাহায্য করেছি। আমার জায়গায় জিনিসপত্র রেখে আশ্রমের কাজ করেছে। ভালো কাজ করে বলে আমরা কিছু বলিনি। পরে দেখি এসবের আড়ালে তার অন্য উদ্দেশ্য। তিনি এখানকার খ্রিস্টানদের জমি দখলের উদ্দেশ্যে এসেছে। কেউ জমি বেচতে না চাইলেই তার ওপরে নেমে আসে নির্যাতন। ওর লোকজন তাকে মারধর করে।

মিল্টনের মারধরের হাত থেকে রক্ষা পায়নি তার জন্মদাতা পিতাও। ২০০১ সালে নিজের পিতাকে বেধড়ক মারধর করে মিল্টন। সেই ঘটনার জেরে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল বলে এলাকাবাসীরা জানান।

মিল্টন সমাদ্দারের গ্রামের শাহাদাত হোসেন পলাশ নামে একজন জানায়, মিল্টন সমাদ্দার তার বাবাকে বেধড়ক মারধর করে। এ কারণে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে সে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে ওঠে। এখন শুনতাছি, ও না কি মানবতার ফেরিওয়ালা। এটা শুনে আমরা আশ্চর্য হয়েছি।

বরিশালে চন্দ্রকোনা খ্রিস্টান মিশনারি চার্চ’ দখল চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে। দখলের উদ্দেশ্যে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিল-স্বাক্ষর জাল করে চার্চের নতুন কমিটি গঠন করে বরিশাল জেলা প্রশাসকে একটি চিঠি দেন। ওই কমিটিতে সভাপতি করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে। কমিটির বাকি সদস্যদের প্রায় সবাই মিল্টনের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না চার্চের দায়িত্বরত যাজকরা। পরে তারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের জানানো হয়, এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি। এরপর তারা কোর্টে মামলা করলে কোর্ট জালিয়াতি করে চার্চ দখল করতে চাওয়া ব্যক্তিদের ওই চার্চের সীমানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন।

হেনসন দানিল হাজরা নামে এক সহকারী যাজক বলেন, চার্চ দখল করার জন্য আমাকে গুম করে যাজকদের নামে মামলা দিয়েছিল মিল্টন। মামলায় আমি গুম হয়ে গেছি দেখানো হয়। আসামি করা হয় আমার সহকর্মীকে। আমার বাবাকে ম্যানেজ করে মিল্টন এ কাজ করে। তারা আমাকে গুম করে ফেলতে চেয়েছিল; কিন্তু পারেনি। পরে আমি পালিয়ে এসপি অফিসে হাজির হয়ে জানাই, আমি গুম হইনি।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিল্টন ও তার বড় ভাই মোল্লা বাড়ির ব্রিজের ওপরে মসজিদের পাশে আমাকে একবার বেধড়ক মারধর করেন।

অন্য আরেক যাজক বলেন, এই চার্চ দখল করার জন্য মিল্টন সমাদ্দার আমাদের শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করেছে। মারধর করেছে। আমাদের নামে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। যদিও সব মামলাই কোর্টে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

জুমার দিন বা শুক্রবার মুসলমানদের কাছে পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ দিন, সপ্তাহের ঈদের দিন। ইসলামে বিশেষ মর্যাদা রয়েছে এ দিনের। সব দিনের মধ্যে জুমাবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। কোরআন ও হাদিসে এ দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার কথা উল্লেখ রয়েছে। জুমার দিনে অনেকেই বিভিন্ন আমল করার চেষ্টা করেন, শুধু আল্লাহকে খুশি করার জন্য।

রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন অন্য দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এমনকি এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। (সুনানে ইবনে মাজা)

আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা)

জুমার দিন একজন মুসলমান বিশেষ চারটি আমলে ‍গুরুত্ব দিতে পারেন। আমলগুলো হলো

সূরা কাহাফ তিলাওয়াত:

জুমার দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।

হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)

হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে ৮ দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা:

জুমার দিনের ফজিলতপূর্ণ আরেকটি আমল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। রাসুল (সা.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এ দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এ দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এ দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব তোমরা এ দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা, তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

তাড়াতাড়ি মসজিদে আগমন:

হজরত আউস ইবনে আউস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)

দোয়া করা:

জুমার দিনের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। তাই এদিন আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা জরুরি। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ক‍াছে যা চাই আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস : ১৩৮৯)


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের শহীদ ডা. মিলন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, বেসিক সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রিভেনটিভ এ্যান্ড স্যোশাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিকুল হক তুহিন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ রেজাউর রহমান, পরিচালক (সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ আব্দুল্লাহ আল হারুন, বিএসএমএমইউ স্বাচিপের সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো প্রমুখসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থীগণ, পরিচালকবৃন্দ, অফিস প্রধানগণ, কর্মকর্তাবৃন্দ, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল স্বাভাবিক নিয়মে সম্পূর্ণরূপে খুলেছে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে ‘ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল’ নিয়ে এইডসে আক্রান্ত ৩ নারী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশেষ কসমেটিক চিকিৎসা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল-এর ইঞ্জেকশন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৩ জন নারী এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নিউ মেক্সিকোর সবচেয়ে জনবহুল শহর আলবুকার্কে এই ঘটনা ঘটেছে।

মার্কিন সরকারের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, এই প্রথম কসমেটিক ইনঞ্জেকশনের মাধ্যমে এইডস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেল।

প্রসঙ্গত, বয়স বাড়তে থাকার সঙ্গে আমাদের ত্বকে বলিরেখা পড়ে। এই বলিরেখা দূর করার জন্য প্লাটিলট রিচ প্লাজমা (পিআরপি) নামের একপ্রকার ঔষধি জৈব তরল ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গ্রহণ করেন পশ্চিমা বিশ্বের ধনী-শৌখিন লোকজন। মুখের ত্বকে এই ইঞ্জেকশন গ্রহণ করা হয় বলে সাধারণ লোকজনের কাছে এই চিকিৎসা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল নামে পরিচিতি পেয়েছে।

সিডিসির তথ্য অনুসারে, যে তিন জন নারী এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের কেউ কখনও অনিরাপদ যৌন সম্পর্কে ছিলেন না। কোনো এইডস রোগীর রক্তও তারা গ্রহণ করেননি কখনও। সিডিসির নিজস্ব অনুসন্ধানে জানা গেছে, আলবুকার্কের যেসব স্পা ক্লিনিকে তারা পিআরপি বা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালের ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন, সেই ইঞ্জেকশনের সূঁচগুলো ঠিকমতো জীবাণুমুক্ত করা হয়নি।

আক্রান্ত ৩ নারীর মধ্যে  মধ্যে দুজনের দেহে এইডস শনাক্ত হয়েছিল ২০১৮ সালে। সে সময় এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান শেষে যে দুই স্পা ক্লিনিকে পিআরপি ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন তারা, সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল সিডিসি। সেই সঙ্গে ইঞ্জেকশন নিতে আগ্রহীদের তা নেওয়ার আগে এইচআইভি পরীক্ষা করানো আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং তারা যেন বিনামূল্যে এই পরীক্ষা করতে পারেন, সে নির্দেশনাও দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ প্রতিরোধ ও গবেষণা সংস্থা।

তারপর দীর্ঘদিন এ বিষয়ক অনুসন্ধান বন্ধ ছিলো; কিন্তু সম্প্রতি ফের আরও একজন এইডসে আক্রান্ত হওয়ায় ফের সেই অনুসন্ধান কার্যক্রম ফের চালু করেছে সিডিসি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে সিডিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালে অনিরাপদ সূঁচ ব্যবহারের কারণে শুধু নিউ মেক্সিকোতেই বর্তমানে অন্তত ৬০ জন এইডস আক্রান্ত রোগী আছেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা।


আরও খবর