আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

নির্বাচনি বিজ্ঞাপনে মেটার নতুন নীতি

প্রকাশিত:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারের বিষয়ে নীতিমালা হালনাগাদের ঘোষণা দিয়েছে সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট মেটা। নতুন এ নীতিমালা আগামী বছর থেকে অনুসরণ করা হবে।

রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য নিজেদের এআই বিজ্ঞাপনী টুল ব্যবহারের সুযোগ বন্ধের এক মাসের মধ্যেই নতুন এ ঘোষণা এলো সংস্থাটির পক্ষ থেকে। ফলে আগামী বছর যেসব দেশে নির্বাচন হবে সেখানে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজেই বিভিন্ন বিষয়ের ছবি বা ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রয়োগ করবে তারা।

মেটার নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছবি বা ভিডিওর দৃশ্য পরিবর্তন করা হয়, তবে তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। এ বিষয়ে মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান নিক ক্লেগ বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কোনো ব্যক্তির কণ্ঠ নকল বা ভিডিও তৈরি করে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হলে তা অবশ্যই জানাতে হবে। এ ছাড়া বাস্তবে কোনো ঘটনা ঘটেনি বা কাল্পনিক কোনো মানুষের চেহারা ও অবয়ব তৈরি করা হলেও উল্লেখ করতে হবে।

নির্বাচনের সময় এআই দিয়ে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন তৈরি করলে নির্মাতাদের অবশ্যই ডিসক্লেইমার অপশনে পেইড ফর বাই বার্তা উল্লেখ করতে হবে। এর ফলে এআই দিয়ে তৈরি নির্বাচনি বা রাজনৈতিক প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত বিজ্ঞাপনগুলো সহজেই শনাক্ত করা যাবে এবং ভুল তথ্য প্রচার হবে না। এআই বিজ্ঞাপনে নীতিমালা অনুসরণ করা না হলে বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘৃণা, সহিংসতা, গুজব ছড়ানোর আশঙ্কা থাকলে সেগুলো প্ল্যাটফর্ম থেকে মুছে ফেলবে মেটা।

২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভুয়া তথ্য ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় মেটাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির কারণে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর আশঙ্কা আরও বেড়েছে। আর তাই নির্বাচনকালীন ভুয়া তথ্য ও গুজব ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও এবারই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রকাশ করল মেটা।

নিউজ ট্যাগ: মেটা

আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা, চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। এতে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষের জনজীবন। গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছাঁয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। তীব্র গরমে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর



রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর সর্বসাধারণ বিশেষ করে স্বাধীনতার সপক্ষের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজের সূচনা করেছেন রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। এর আগে ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর এখানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর ভাষাসৈনিক প্রয়াত অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু।

শনিবার বেলা ১১ টায় নগরীর পুরাতন সার্ভে ইন্সটিটিউটের জায়গায় পূর্ব নির্ধারিত স্থানে রাজশাহীর শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্ধারিত স্থানে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবুল হক বকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুবুর রহমান, বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুশান্ত সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বদিউজ্জামান খায়ের, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু ও জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুর রশিদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পাকিস্তানী প্রেতাত্মাদের চক্রান্তে ঘাতকের হাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যবৃন্দ এবং জাতীয় চার নেতাসহ ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু: রেজা হাসান।

এসময় বক্তারা বলেন, রাজশাহীবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক বছর আগে ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু যেস্থানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন, সেখানেই এর নির্মাণকাজ শুরু হলো। ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর সংগ্রামী জীবনের অংশ হিসেবে এই কাজটিও আমাদের মাঝে চির অমর হয়ে থাকবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণকাজের শুভ সূচনার মধ্য দিয়ে আজ রাজশাহীবাসী ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এদেশের মুক্তিসংগ্রামের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি মানুষের প্রতি অবনত মস্তকে শ্রদ্ধা জানালো।       

তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করে চলেছেন, তখনও তাঁর বিরুদ্ধে দেশি বিদেশি চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সেগুলো মোকাবিলা করেই তিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের। একথা আজ প্রতিষ্ঠিত যে, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে গেলেই ঘাপটি মেরে থাকা পাকিস্তানী প্রেতাত্মারা চক্রান্ত করতে থাকে। এতো বছর পর রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হতে যাচ্ছে, এটা নিয়েও হয়তো সেই একই গোষ্ঠী ও তাদের দোসররা নানা চক্রান্ত করতে পারে। কিন্তু আমরা তা কোনোক্রমেই সফল হতে দেবো না।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাসিক কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান, রাজশাহী জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে মাইনুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, তফিকুল ইসলাম, দীলিপ কুমার সরকার, জনাব আলী, আবু জাফর প্রাং, মহিদুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মাসুদ, শিউলী রানী সাহা, সুলতানা পারভীন রিনা, মোসা. সাজেদা বেগম প্রমূখ।

উল্লেখ্য, রাজশাহী মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে পুরাতন সার্ভে ইন্সটিটিউটের প্রায় ১ একর জায়গাজুড়ে প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি নির্মিত হচ্ছে।


আরও খবর



৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শুরু হয়েছে ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হয়, যা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

দেশের আট বিভাগীয় শহরে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

গত ৯ মার্চ ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে তারিখ পরিবর্তন করা হয়।

বিভাগীয় শহর ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে মোট তিন লাখ ৩৮ হাজার প্রার্থী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ বিসিএসে তিন হাজার ১৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে সহকারী সার্জন নেওয়া হবে এক হাজার ৬৮২ জন, আর সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেওয়া হবে ১৬ জন।

শিক্ষা ক্যাডারে ৫২০, প্রশাসন ক্যাডারে ২৭৪, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জন নেওয়া হবে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোয় যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ ও লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।


আরও খবর



সোনারগাঁওয়ে লিচু চাষিদের মাথায় হাত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

সোনারগাঁয়ে এখন প্রতিটা বাড়ির আঙিনা ও উচু জমিতে ব্যপক ভাবে লিচুর চাষ হচ্ছে। লিচু চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও লিচু ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় সোনারগাঁয়ে এখন  ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক লিচু বাগান রয়েছে। এর মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে সোনারগাঁয়ের লিচু।

তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ও সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় কারণে সোনারগাঁয়ে লিচুর ফলন অনেকটা কম হয়েছে। তাছাড়া গুটি থাকার সময় শিলাবৃষ্টিতে লিচুর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। ফলে সোনারগাঁয়ের লিচু ব্যবসায়ীদের এবার মাথায় হাত।

খরার কারণে ঝরে পড়েছে অধিকাংশ বাগানের লিচু। অনাবৃষ্টি ও অতি তাপের কারণে লিচুর সাইজও হয়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ছোট। এ বছর বেশিরভাগ লিচু ব্যবসায়ীই লিচুর সঠিক দাম পাচ্ছেনা।

সোনারগাঁয়ে সাধারণত তিন প্রজাতির লিচুর ফলন হয়ে থাকে। পাতি লিচু, কদমী লিচু ও বোম্বাই (চায়না-৩) লিচু।

বাংলাদেশের অনেক জেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হলেও আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্যের কারণে সোনারগাঁয়ের লিচু আগে পাকে। যে কারণে সোনারগাঁয়ের লিচু প্রতিবছরের মে মাসের প্রথমদিকেই বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যায় লিচু চাষিরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার খাসনগর, চিলারবাগ, দৈলরবাগ, পানাম, নোয়াইল, দত্তপাড়া, বাগমুছা, অর্জুন্দী, হাতকোপা, দরপত, ছাপেরবন্ধ, গোয়ালদী, টিপরদী, হরিষপুর, ভট্টপুর, লোকশিল্প জাদুঘর, গোবিন্দ্রপুর, গাবতলী, হারিয়া, বৈদ্যেরবাজার, তাজপুর, সাদীপুর, ইছাপাড়া, দুলালপুর, বারদী, সেনপাড়া, বালুয়া দিঘীরপাড়সহ প্রায় ৫০টি গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দুই শতাধিক লিচু বাগান। এসব লিচু বাগানে প্রতিবছর পাতি লিচু, কদমী লিচু ও বোম্বাই (চায়না-৩) লিচুর ফলন হয়ে থাকে।

সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লিচুচাষিরা তাদের লিচু বাগানে অব্যাহতভাবে পাহারা দিচ্ছেন। কাক, বাদুর, চামচিকা ও চোরের হাত থেকে লিচু রক্ষা করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

হাড়িয়া চৌধুরী পাড়া গ্রামের লিচু ব্যবসায়ী তাইজুল ইসলাম জানান, সোনারগাঁয়ে এবার লিচুর ফলন খুবই কম হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় লিচু অনেকটা ঝরে পড়েছে। তাছাড়া আকারে অনেকটা ছোট হয়েছে। তাই এবছর লিচু ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে বিক্রি করার জন্য সোনারগাঁয়ের লিচু বাজারে তোলা হবে।

সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁয়ে লিচু পাকার জন্য চাষিরা কোনো কেমিক্যাল প্রয়োগ করে না। তবে লিচু বড় হওয়ার ক্ষেত্রে হরমোন জাতীয় ওষুধ, লিচুর কালার নষ্ট না হওয়ার জন্য ছত্রাকনাশক ও পোকার উপদ্রব বন্ধ করার জন্য তারা কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন। এসব কীটনাশক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার কথা নয়। তবে পরিমাণে বেশি প্রয়োগ করলে অবশ্যই তা ক্ষতিকর।


আরও খবর



যশোরে গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

যশোরে ধান কেটে বাড়ি আসার পর আহসান হাবিব (৩৭) নামে একজন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক যশোর সদরের আমদাবাদ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক।

স্থানীরা বলছেন, হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বলছেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া তাঁর মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম বলেন, আহসান হাবিব সকালে মাঠে ধান কেটে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসেই সকাল পৌনে ৯টার দিকে হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা এবং শরীর জ্বলে যাচ্ছে বলে কাতরাতে থাকেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আমাদের ধারণা, প্রচণ্ড তাপের কারণে হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। আসরের নামাজের জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হবে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আল হাসান জানান, হাসপাতালে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব নয়।

এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষক আহসান হাবিব মাদকাসক্তও ছিলেন। নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। ফলে তাপপ্রবাহে মাঠে কাজ করার প্রভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।


আরও খবর