মাদকাসক্ত চিহ্নিত
করতে পরিবহন শ্রমিকদের ডোপ টেস্টের নির্দেশের তিন মাস পরও একজনেরও ডোপ টেস্ট করতে পারেনি
কর্তৃপক্ষ। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২০ উদযাপন অনুষ্ঠানে মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো
বন্ধে চালকদের ডোপ টেস্ট করানোর ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর মালিক শ্রমিক একে অন্যকে দায়িত্ব নেওয়ার কথা বললেও এখন পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা
নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিদায়ী বছরের
শেষ দিকে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বাসের
তিন শ্রমিক। ওই ছাত্রীকে বাসে একা পেয়ে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করা হয়। গ্রেপ্তারের
পর জানা যায়, তারা সবাই মাদকাসক্ত ছিলেন।
যদিও শ্রমিক ফেডারেশনের
নেতারা বলছেন, গাবতলীতে মাঝে-মধ্যে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করেন তারা।
ঢাকা জেলা যানবাহন
শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আ. করিম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা। ওরা যেন
মাদক থেকে বের হয়ে আসে আর যাতে মাদক না নেয়, এরকম পরামর্শ সবসময় দেই।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক
ওনার্স এসোসিয়েশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক খাজা গোলাম মুর্শিদ বলেন, মাঠে নামলে কাল
থেকে বাস্তবায়ন সম্ভব।
যদিও পরিবহন মালিকরা
এ জন্য দায়ী করলেন বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে।
বিআরটিএ’র পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী
বলেন, ইতোমধ্যে মালিক সমিতির সাথে মিটিং করেছি। এই বিষয়টি নিয়ে কীভাবে কাজ করা যায়
সে বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। ডোপ টেস্টের জন্য কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে
প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।