আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

নাটোরে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নাটোরের নলডাঙ্গায় বজ্রপাতে মো. শাজাহান আলী (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার শেখপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আলী ওই গ্রামের মৃত আজিমুদ্দিনের ছেলে। 

নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বাড়ির পাশে বিলে ধানের বীজতলা প্রস্তুত করছিলেন আলী। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।  


আরও খবর



উজানের ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপদাহ শেষে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমলশীদ পয়েন্টের পানিও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, উজানের ঢলে ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান।

একই অবস্থা কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলেও। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার।

সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে রাত ৯টায় তা কমে ১০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জাগো নিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এখন তা কমে গেছে। তবে বরাক দিয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, বরাক দিয়ে পানি নামার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাত ৯টায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে সকালে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

জকিগঞ্জের কাজলশার এলাকার কৃষক জুবেল আহমদ বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে ফসলের অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



হলফনামায় যে পরিমাণ সম্পত্তি দেখালেন কঙ্গনা রানাওয়াত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। রিল থেকে রিয়েল লাইফে বেশ আলোচিত। ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির কড়া সমর্থক তিনি।

এবার হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন কঙ্গনা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে ভক্তদের মাঝে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

কঙ্গনা হলফনামায় জানিয়েছে, তার বাড়ি-গাড়ি থেকে শুরু করে প্রায় ৯১ কোটি টাকা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ১৭ কোটি টাকার দেনা রয়েছে এ অভিনেত্রীর।

হলফনামা থেকে জানা যায়, মুম্বাইয়ে তিনটি বাড়িসহ প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে। একটি বাংলো রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। কয়েক বছর আগে জন্মভূমি মানালিতে একটি বাড়ি বানিয়েছে যার বাজারমূল্যও প্রায় ১৬ কোটি টাকা। চণ্ডীগড়ে বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে।

এছাড়া কঙ্গনার প্রায় সাড়ে ৬ কেজি গয়না রয়েছে। এবং রুপো রয়েছে ৬০ কেজির মতো। যার মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। ব্যাংকে রয়েছে  ১.৩২ কোটি টাকা। অভিনেত্রীর বেশ কিছু বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে, সঙ্গে একটি স্কুটারও আছে। ২০২২-২০২৩ অর্থ-বছরে অভিনেত্রীর বার্ষিক আয় ছিল ৪ কোটি।

উল্লেখ্য, কঙ্গনা রানাওয়াত তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং চারবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। পাঁচবার ফোর্বস ইন্ডিয়ার সেরা ১০০ সেলিব্রিটির তালিকায় জায়গা পেয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কুইন ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তাকে বলিউডের রানি বলা হয়। বিভিন্ন সময় বির্তকের কারণে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন তিনি।


আরও খবর



ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার ‘বিধ্বস্ত’

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।

রোববার পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের উত্তর-পশ্চিম অংশের জোলফা শহরে প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়।

হেলিকপ্টারে থাকা রাইসির কয়েকজন সঙ্গী নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন। হেলিকপ্টারের অনুসন্ধানে এরই মধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। কয়েকটি উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন যে বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল ঘটনার স্থানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। তবে কুয়াশা এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

তিনি নিশ্চিত করেছেন যে দুর্ঘটনার আগে হেলিকপ্টারটির সাথে রেডিও যোগাযোগ হয়েছিল। এর বেশি কিছু তিনি জানাতে পারেননি।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা (IRNA) বলেছে, প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারটি বন ও পাহাড়ি অঞ্চল ডিজমার সুরক্ষিত এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। তার মধ্যে দুটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। একটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রাদেশিক প্রতিনিধি আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট রাইসি একই হেলিকপ্টারে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত শনিবার (১৮ মে) রাইসি আজারবাইজান সফরে যান। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সাথে একটি বাঁধ উদ্বোধন করেন। রোববার (১৯ মে) সেখান থেকেই ফিরছিলেন রাইসি।


আরও খবর



সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমানবাহিনী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। রবিবার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে বনরক্ষী-ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি এ কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।

শুরুতেই নৌবাহিনীর মোংলা ঘাঁটির লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি ওঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দেন। তবে নদীতে জোয়ার না থাকায় পানি সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপপরিচালক মামুন আহমেদ জানান, সকালেই সুন্দরবনের আগুন নেভাতে তাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছে। এর মধ্যে মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। বাকি দুটি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তবে বনের পাশে ভোলা নদীতে এখন ভাটা থাকায় আগুন নেভানোর কাজে পাইপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নেওয়া যাচ্ছে না। জোয়ার হলে এগুলো পার করা হবে। তবে আগুন অল্প অল্প করে জ্বলছে। শুকনো পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করার শঙ্কা নেই।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার নানা প্রতিকূলতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। তবে আজ সকাল থেকে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগ দিয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরাও সব রকমের সহযোগিতা করছেন।

এদিকে আগুন লাগার কারণ, কী পরিমাণ এলাকায় আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তেহরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ভারত ১০ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে বিবেচনা করছে, এমন যেকোনও দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

পাকিস্তান লাগোয়া ইরানের সীমান্তের কাছের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য তেহরান-নয়াদিল্লির মাঝে ২০১৬ সালে একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়। সোমবার এই বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য ইরানের সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রী এই চুক্তিকে ‘‘ভারত-ইরান সম্পর্কের ঐতিহাসিক মুহূর্ত’’ বলে অভিহিত করেছেন।

তবে ইরানের সাথে ভারতের চুক্তির বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ইরান-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত তিন বছরে ছয় শতাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই চুক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে এবং ওয়াশিংটন সেগুলোর প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, ‘‘যেকোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারাই ইরানের সাথে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে; তাদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে যে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির মাঝে নিজেদেরই উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।’’

তবে ওয়াশিংটনের এই বিবৃতির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

২০১৮ সালের শেষের দিকে ইরানের চাবাহার বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে ভারত। বন্দরটি পাকিস্তানের স্থলপথ এড়িয়ে আফগানিস্তান এবং মধ্য-এশিয়ায় ভারতীয় পণ্য পরিবহন ও সরবরাহের একটি নতুন ট্রানজিট রুট খুলে দেয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে আফগানিস্তানে ২৫ লাখ টন গম ও ২ হাজার টন ডাল পাঠানো হয়েছে।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) এবং ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বলে সোমবার ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে আইপিজিএল অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের পাশাপাশি আরও প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এর ফলে এই বন্দরে ভারতের মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে ৩৭০ মিলিয়ন ডলারে। আর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, চুক্তিটি চাবাহার বন্দরে বড় বিনিয়োগের পথ পরিষ্কার করবে।


আরও খবর