আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছাত্রদল নেতা অস্ত্রসহ গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নারায়ণগঞ্জের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে বিদেশী পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা।

র‌্যাব-১১র অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, তিনি জানান, জাকিরের নামে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে আত্মগোপন করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। কোন এলাকা থেকে জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

জাকির খান ইন্টারপোলের রেড নোটিশপ্রাপ্ত বলে কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবে ইন্টারপোলের সাইটে রেড নোটিশের তালিকায় যে ৬২ জন বাংলাদেশি আছেন, তাদের মধ্যে নেই জাকির।

এ বিষয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা তানভীর জানান, তারাও সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে জাকির খান ইন্টারপোলের রেড নোটিশে আছেন বলে শুনেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, একসময়কার শীর্ষ সন্ত্রাসী, একচ্ছত্র, ক্ষমতার অধিকারী আন্ডার ওয়ার্ল্ড এর গডফাদার এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যপক আলোচিত নাম জাকির খান। যার নামে ৪টি হত্যাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে তিনি এসকল মামলায় জেল খাটেন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি আরও দুর্ধর্ষ হয়ে ওঠেন। এসময় তিনি নারায়ণগঞ্জ এর দেওভোগ এলাকায় বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী ও মাদকের সম্রাজ্য গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে দেওভোগ এলাকার অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী দয়াল মাসুদকে শহরের সোনার বাংলা মার্কেটের পিছনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে শহরের ত্রাস হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ ২০০৩ সালে সাব্বির আলম হত্যাকাণ্ডের পরে তিনি দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। এ সময়ে বিভিন্ন মামলায় বিজ্ঞ আদালতে জাকির খান দোষী সাব্যস্থ হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে সাজা প্রদান করেন। এর পর থেকেই গ্রেফতার এড়াতে জাকির খান দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তিনি দীর্ঘ দিন থাইল্যান্ডে আত্মগোপনে ছিলেন এবং সম্প্রতি ভারত হয়ে তিনি বাংলাদেশে আসেন। এরপর থেকে তিনি পরিচয় গোপন করে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় স্বপরিবারে বসবাস করছিলেন।

সূত্রমতে, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর জাকির খানের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে প্রভাবশালী নাসিম ওসমানের বিরোধ বাধে। পরে জাকির খান বিএনপি নেতা কামালউদ্দিন মৃধার নেতৃত্বে ১৯৯৪ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে দেওভোগ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী দয়াল মাসুদকে শহরের সোনার বাংলা মার্কেটের পেছনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে শহরে পরিচিত পান জাকির।

১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকারের শেষ দিকে শহরের খাজা সুপার মার্কেটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হওয়া মামলায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড পেয়ে কারাগারে যান জাকির খান, কিন্তু রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় তিনি মুক্ত হন। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরীর নাতি হিসেবে শহরে পরিচিত হয়ে ওঠেন জাকির।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার ৭ মাসের মাথায় কাশীপুর বাংলাবাজার এলাকায় এক ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে করা মামলায় দ্বিতীয় দফায় জাকির খানের ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। আওয়ামী লীগের আমলে প্রায় ৪ বছর কারাগারে ছিলেন জাকির।

১৯৯৯ সালে স্বল্প সময়ের জন্য কারামুক্ত হয়ে জাকির খান জেলা ছাত্রদলের সভাপতির পদ পেয়ে যান। আওয়ামী লীগের শাসনামলের শেষ দিকে ২০০০ সালে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ থেকে টানবাজার ও নিমতলী যৌনপল্লি উচ্ছেদ করলে জাকিরের পরিবারের আর্থিক মেরুদণ্ড ভেঙে যায়। ২০০১ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে অস্ত্রের মহড়া করে আবার কারাবন্দি হন জাকির। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরও প্রায় ৫ মাস তিনি কারাবন্দি ছিলেন। ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই তৎকালীন বিএকেএমইএর সহসভাপতি সাব্বির আলম খন্দকার খুন হন। ওই মামলার প্রধান আসামি ছিলেন জাকির খান। মামলার পর থেকে বিদেশে পলাতক ছিলেন তিনি।


আরও খবর



বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনে বাধা দেওয়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে গুরুতর ও অযৌক্তিক বাধাসহ বাংলাদেশে সরকারে আছে মারাত্মক দুর্নীতি। এছাড়া দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর আছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। সরকারের তরফ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নিষ্ঠুর নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ ও শাস্তি দেওয়া হয়। আছে জীবনের প্রতি হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি ও আটক। জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি এমন অজুহাতে মিথ্যা অভিযোগসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওই বছরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পুনঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সময় গত রাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ পায়।

এতে বলা হয়েছে, ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে ২০০৮ সালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে তাকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দি করা হয়। রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশের ভিতরকার আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণে ঘাটতি আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক ছক সাজানো হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়ার সদস্যসহ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারে ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেছে। এক্ষত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সীমাবদ্ধতা আছে। সরকারের হয়রানি অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্র মিডিয়ার সদস্যরা ও ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সর করেছেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র, বিচারের ক্ষেত্রে হয়রানি, খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারসহ নানা রকম নিষ্পেষণের কথা।

রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সেই আদালত শাস্তি দিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে মৃত্যুদণ্ড। এ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, আদালত বিশেষত বাছাই করে অভিযুক্ত করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। এতে খেয়ালখুশিমতো ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ বেআইনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তার তদন্ত নিজেরাই করেছে। তারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছে যেখানে তাদের শারীরিক মারাত্মক প্রহারে মানুষ আহত হয়েছে অথবা মারা গেছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে কতজন মানুষ মারা গেছেন তার মোট কোনো সংখ্যা সরকার প্রকাশ করেনি। এমনকি এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তও করেনি। এই তদন্ত যারা করেছেন তাদের স্বাধীনতা ও পেশাগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা বছরেই আইন প্রয়োগকারীরা তল্লাশি বা রেইড দিয়েছে কথিত সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ড, মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো ঘেরাওয়ের কালে, গ্রেপ্তারকালে সন্দেজজনক কিছু মৃত্যু ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্য আইন প্রয়োগকারীদের অপারেশনেও। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যায় গত বছর। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও শালিশ কেন্দ্র রিপোর্ট করেছে যে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অথবা হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে দুজন আইন প্রয়োগকারী এজেন্সির গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনজন নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার আগে বা হেফাজতে নেওয়ার পর শারীরিক নির্যাতনে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার  বিরুদ্ধে প্রাপাগাণ্ডা ছড়ানোর কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সারাবছরই সরকার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইনমন্ত্রী রিপোর্ট করেছেন যে, সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ৭০০০ মামলা মুলতবি আছে।


আরও খবর



দুবাই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছালো এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছে। জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী বৈশ্বিক সংস্থা মেরিন ট্রফিক এ তথ্য জানিয়েছে।

মেরিন ট্রফিক ডটকম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ ওমান সাগর পাড়ি দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে। অবস্থান ও গতিবেগ অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুজন ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সোমালিয় দস্যুরা গত ১২ মার্চ বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জিম্মি করা হয়। এর ৩২ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় জলদস্যুরা। এরপরই সেটি সোমালিয়া উপকূল থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। জাহাজটি ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পরিবহন করছে।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে চট্টগ্রামভিত্তিক কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি জিম্মি করা হয়েছিল। এতে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হন জাহাজের ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু।


আরও খবর



গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা শুক্রবার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জিএসটি কতৃপক্ষ।

শুক্রবার (১০ মে)  সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ হাজারের বেশি ভর্তিচ্ছু অংশগ্রহণ করবে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২১ হাজার আসনের বিপরীতে তিন ইউনিটে আবেদন জমা পড়ে তিন লাখ পাঁচ হাজার ৩৪৬টি। সে হিসেবে আসনপ্রতি লড়ছেন ১৫ জন।

এবার ব্যবসায় শিক্ষা শাখার সি ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর আগে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান শাখার ইউনিটে এক লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি এবং মানবিক শাখার বি ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি আবেদন পড়ে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়।

গত ২৭ এপ্রিল ইউনিট (বিজ্ঞান) এবং ৩ মে বি ইউনিটের (মানবিক) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত হলেও বাকি দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত।

ভর্তি পরীক্ষা শুরুর পর তীব্র তাপপ্রবাহের জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে একজনের বেশি অভিভাবক যেন না আসে। কারণ এ গরমে অভিভাবকদেরই কষ্ট করতে হবে বেশি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বসার ব্যবস্থার পাশাপাশি সুপেয় পানিসহ জরুরি বিভিন্ন সেবার ব্যবস্থা করছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আম্পায়ারের তালিকা প্রকাশ, আছেন সৈকত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে বিশ্বকাপ নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে আইসিসিও। বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারির তালিকা প্রকাশ করল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

শুক্রবার (৩ মে) বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের জন্য আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারির তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। ২৬ জনের তালিকায় ম্যাচ রেফারি আছেন ৬ জন, আর আম্পায়ার আছেন ২০ জন। আম্পায়ারদের তালিকায় আছেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। 

গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করেছেন সৈকত। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করে সুনাম কুড়িয়েছেন বাংলাদেশের এই আম্পায়ার। কয়েকদিন আগেই পেয়েছেন আইসিসির এলিট প্যানেল আম্পায়ারের স্বীকৃতি। ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করার আগে মেয়েদের বিশ্বকাপ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও আম্পায়ারিং করেছেন সৈকত।

চলতি বছরের ১ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের আসরে অংশ নেবে ২০ দল। ২৮ দিন ব্যাপী আসরের পর্দা নামবে ২৯ জুন।

বিশ্বকাপে দায়িত্বপ্রাপ্ত আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের তালিকা

আম্পায়ার: ক্রিস ব্রাউন, কুমার ধর্মসেনা, ক্রিস জেফানি, মাইকেল গগ, আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক, রিচার্ড এলিংওর্থ, আল্লাহুদিন পালেকার, রিচার্ড কেটেলবোরো, জয়ারামান মাদানাগোপাল, নিতিন মেনন, স্যাম নোগাস্কি, এহসান রাজা, রশিদ রিয়াজ, পল রাইফেল, ল্যাংটন রুসিয়ার, শহীদ সৈকত, রডনি টাকার, অ্যালেক্স হোয়ার্ফ, জোয়েল উইলসন ও আসিফ ইয়াকুব।

ম্যাচ রেফারি: ডেভিড বুন, জেফ ক্রো, রঞ্জন মাদুগালে, অ্যান্ড্রু পাইক্রফট, রিচি রিচার্ডসন ও জাভাগাল শ্রীনাথ।


আরও খবর



ইসরায়েলকে সন্তুষ্ট করতে কোরআনের আয়াত সরাচ্ছে সৌদি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এগোতে শুরু করে সৌদি আরব। তবে মুসলিম বিশ্বের প্রতিক্রিয়ার ভয়ে সে কার্যক্রম চলে একেবারেই গোপনে।

গেল বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে সেই প্রক্রিয়া থেমে গেলেও থেমে নেই ইহুদিবাদী দেশটির সঙ্গে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠায় সৌদি প্রচেষ্টা।

এমন লক্ষ্যে গত কয়েক বছর ধরেই সৌদি আরবের পাঠ্যবইতে পরিবর্তন আসছে। এবার দেশটির পাঠ্যপুস্তক থেকে কুরআনের বিভিন্ন আয়াত বাদ দেয়ার অভিযোগ করেছেন ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠির নেতা আব্দুল মালেক আল-হুতি। শনিবার ইরানের আধাসরকারি বার্তাসংস্থা মেহের নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আব্দুল মালেক আল-হুতি বলেন, কোরআনের যেসব আয়াতে ইহুদিদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে সে আয়াতগুলো সৌদি আরবের পাঠ্যপুস্তক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বড় অবিচার উল্লেখ করে হুতি নেতা বলেন, সম্ভবত ইসরাইলি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সৌদি সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ সময় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী আরেক আরব দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতও পাঠ্যপুস্তক থেকে কোরআনের শিক্ষা বাদ দেয়ার এই নীতি অনুসরণের কথা ভাবছে বলে অভিযোগ করেন আল হুতি।

সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের মে মাসে ইসরাইল ও লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর মনিটরিং পিস অ্যান্ড কালচারাল টলারেন্স ইন স্কুল এডুকেশন প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি পাঠ্যপুস্তকের সর্বশেষ সংস্করণগুলোতে ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের সম্পর্ককে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করার প্রচলিত ধারা থেকে বের হয়ে এসেছে কর্তৃপক্ষ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।


আরও খবর