আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

নাজিরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান উত্তম কুমার মৈত্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ মে ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান উত্তম কুমার মৈত্রের বিরুদ্ধে  অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

 

উত্তম কুমার উপজেলার ৮ নম্বর শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে ওই ইউনিয়নের ১২ জন মেম্বারের মধ্যে ১১ জন মেম্বার জেলা প্রশাসকের কাছে তার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন।

 

শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের ইউপি সদস্যদের দেওয়া অভিযোগে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের নৈলতলা জ্যোতি প্রকাশ রায়ের বাড়ির কাছে একটি লোহার পুল মেরামত বাবদ ২ লাখ টাকা, খেঁজুরতলা সপ্তগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন লোহার পুল মেরামত বাবদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দ করে তার কোনো কাজ না করে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেন উত্তম কুমার।

ইউপি সদস্য বাবু উত্তম কুমার মৈত্র, বলিবাবলা একটি খালের উপর লোহার ব্রীজের ছাওনি কাঠ অথবা স্লাবের পরিবর্তে সুপারী গাছ দিয়ে ছাওনি দেন ।

 

এছাড়াও অবৈধ ভাবে ইউনিয়নের মেইন সড়কের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার নামে। এলজিএসপি-৩ এর আওতায় প্রতি বছর বরাদ্দকৃত ১৮-২০ লাখ টাকা কাজের কোনো ইউপি সদস্যদের সংশ্লিষ্ট না করে তাদের নাম ব্যবহার করে নিজের খেয়াল-খুশি মতো প্রকল্প দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ওই সব এলজিএসপির কাজে পুরাতন অকেজো মালামাল জোড়া তালি দিয়ে ব্যবহার করেন। গত অর্থ বছরে ৭৮ হাজার টাকায় মধুরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে থাকা লোহার পুল মেরামত প্রকল্পের কাজ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তিনি সেখানে কোনো কাজ না করে পুরো টাকাটাই উত্তোলন করেন আত্মসাৎ করেন। ইউপি সদস্যদের দেওয়া কাজ বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দের ও ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক টিআর-কাবিখা কাজেরও তাকে শতকরা ৩০ ভাগ দিতে হয়। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু ভাতা, হরিজন ভাতা, মৎস্য ভিজিএস কার্যক্রম, দুস্থ সাহায্যের তালিকাসহ গভীর নলকূপ প্রদানে স্বজনপ্রীতি ও বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ওই ইউনিয়নের কাঁঠালতলা সুনীল সন্যাসীর বাড়ির সামনের লোহার পুলের স্থলে ত্রাণ ও পুর্ণবাসন প্রকল্পের আওতায় কালভার্ট নির্মাণ করা হলে সেখানে থাকা লোহার ব্রিজটির মালামাল ইউনিয়ন পরিষদে জমা না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেন।

 

এছাড়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় শালিশ-বৈঠকসহ বিভিন্নভাবে আর্থিক বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তিনি নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের মধ্যেই শ্রীরামকাঠীর বন্দর সংলগ্ন ভীমকাঠীতে তিন তলা বিশিষ্ট সুদৃশ্য পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার নির্বাচন পরিচালনাকারী একাধিক সদস্যরা জানান, তিনি নির্বাচনের সময় নিজের টাকা না থাকায় অন্যের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য এনে নির্বাচন ওঠাতে হয়েছে।

 

জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ৬ বারের চেয়ারম্যান ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মালেক বেপারী। গত ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়। এতে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে পরের বছর ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিলের  অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন উত্তম কুমার মৈত্র।

 

ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খোকন কাজী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় একাধিক শালিশ-বৈঠক থেকে টাকা গ্রহণ, জমি বিক্রির মধ্যস্থতা করে জমির ক্রেতার কাছ থেকে পুরো টাকা নিয়ে তা মালিককে না দিয়ে আত্মসাৎ করার বহু অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা নিরুপায় হয়ে আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। চেয়ারম্যানকে বললে তিনি কোনো কর্ণপাত করেন না। 

 

এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান উত্তম কুমার মৈত্রের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠকের মাধ্যমে মিটমাট হয়েছে।

 

তার বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ও তার স্ত্রীর চাকরি (এনজিও) থেকে অবসর যাওয়ার টাকা ও বাবার জমি বিক্রির টাকা দিয়ে ওই ভবন তৈরি করা হয়েছে। কেউ আমার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করলে তাদের টাকা দিয়ে দিবো।


আরও খবর



জয়পুরহাটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে দুধ!

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুধের চাহিদা না থাকায় এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার শত শত দুগ্ধ খামারিরা দুঃচিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কালাই প্রেসক্লাবের মাঠের সামনে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুধের বাজার বসে। সেখানে শুক্রবার দুধ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন খামারি ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভীর জন্য ভুসি, খৈল, ঘাস, ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা। একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকসান হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক সোহেল, আনোয়ার, নুরনবীসহ আরও অনেকে জানান, সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।

দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, খন্দকার আরিফ, জামাল ও সোহরাব হোসেন জানান, কিছু দিন আগে ঈদুল ফিতরের সময় প্রচুর পরিমাণ দই ও মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে অল্প দিনের জন্য দুধের বাজার কম।

স্থানীয় খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুল জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয়, তাহলে অনেকেই দুগ্ধ খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।

কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জয়পুরহাটে দ্রুতই দুধ সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে করে খামারি ও কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।


আরও খবর



ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান পদত্যাগ করেছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান হারজে হালেভির টেবিলে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন। মেজর জেনারেল আহরন হালিভা ৩৮ বছর ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আহারন হালিভা হলেন প্রথম জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা যিনি হামাসের হামলার ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করলেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী চিফ অব স্টাফ হালিভার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে এবং তার সেবার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

এই ঘটনায় ইসরায়েলের আরও শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হামাসের আক্রমণ প্রতিরোধ না করতে পারার দোষ স্বীকার এবং পদত্যাগের মঞ্চ তৈরি করতে পারে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিফ অব স্টাফ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর অনুমোদনে মেজর জেনারেল আহারন হালিভা তার দায়িত্ব শেষ করবেন এবং একটি সুশৃঙ্খল ও পেশাদার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তরসূরি নিয়োগের পর সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেবেন।

হালিভা অক্টোবরে বলেছিলেন, হামাসের আক্রমণ ও ইসরায়েল প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়া প্রতিরোধ না করার জন্য তিনি দায়বদ্ধ ছিলেন। হামাস হামলা চালিয়ে অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলিকে হত্যা করে এবং শত শত ইসরায়েলিকে আটক করে গাজায় নিয়ে যায়।

৭ অক্টোবরের হামাসের হামলাকে ব্যাপকভাবে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার একটি বড় ব্যর্থতা’ হিসাবে দেখা হয়।


আরও খবর



পাঁচ দিনের ব্যবধানে ডজনে ২০ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে চাহিদা আর সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ডিমের দাম বেড়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) গত বছরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সাধারণত প্রতিদিন ৪ কোটি ডিম উৎপাদিত হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, উৎপাদনের পরিমাণ আরেকটু বেশি।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও মুদি দোকানে প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা। যা গত সপ্তাহের বিক্রি হয়েছিল ১১৫-১২০ টাকা। অর্থাৎ কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। তবে সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, আমরা দিন এনে দিন খাই। মাছ-মাংস তেমন কিনে খেতে পারি না। আমাদের জন্য ডিমই একমাত্র আমিষ জাতীয় খাদ্য। তাও আবার দাম বেড়ে গেল। বিকেলে আমি ২৫ টাকা দিয়ে দুইটা ডিম কিনেছি।

ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ডিমের সরবরাহ অনেক কম। তাছাড়া গরমে অনেক মুরগী মারা গেছে। সেই সঙ্গে বাজারে দিনদিন ডিমের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

খামারিরা বলছেন, ডিমের উৎপাদন খরচ বাড়লেও পাইকারি বাজারে তারা ডিমের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। তারা জানান, এখন খামারি পর্যায়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে ৯ টাকার মতো, যা খুচরা বাজারে একজন ক্রেতাকে ১২ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

মূলত উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। বাজারে ডিমের সরবরাহ কম থাকলে বাজার এমনিতেই বাড়তি থাকে। খামারিরা উৎপাদনে ফিরতে পারলে ডিমের দাম আবার কমে আসবে-এমনটাই গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী।

এর আগে ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল। এতে একটি ডিমের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা ৪৯ পয়সা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজারদর অনুযায়ী, প্রতিটি ডিমের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১১ টাকা ৭৫ পয়সা।

নিউজ ট্যাগ: ডিম

আরও খবর



আফতাবনগরে গরুর হাট বসানো যাবে না : হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুরহাট বসানোর ইজারার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে কোরবানির ঈদে আফতাবনগরে কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বুধবার (৮ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় হওয়ায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও অ্যাডভোকেট এস এম শামীম হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। এর আগে আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ঢালী।

গত ৪ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঈদুল আযহা ২০২৪ উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন। ওই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।

রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) ২০০৯ আইনের ধারা ৩ (২) ও ১ম তফসিল অনুযায়ী আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) বাড্ডা থানার ৩৭ নং ওয়ার্ড অধীন, যা ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অন্তর্ভুক্ত।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টা না যেতেই আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

একদিন না যেতেই আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ দাম এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আজ বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোরর ঘোষণা দিলো বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভ‌রি‌তে স্বর্ণের দাম ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।


আরও খবর