আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

নাজিরপুর আ.লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে আ.লীগ-কৃষকলীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন খান গণমাধ্যমে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিরুদ্ধে  মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের পক্ষে বক্তব্য প্রদানের  প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আজ বুধবার বেলা ১১টায় নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, মৎস্যজীবীলীগের নেতাদের স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ০৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যার কিছু আগে পিরোজপুর জেলা যুবদল, নাজিরপুর উপজেলা যুবদল ও বিএনপির সমন্বয়ে উশৃঙ্খল মিছিল শুরু করে। এসময় মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগ সম্পর্কে শিষ্টাচারহীন স্লোগান দিতে থাকে। জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নাজিরপুরের নেতাকর্মীরা ওই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ করে। বিএনপি-যুবদলের উল্লেখিত জঘন্য অশ্লিল স্লোগান এবং বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হতে বাধ্য হয়। প্রধানমন্ত্রীর নাম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামকে বিকৃত করে অশ্লিল ভাষায় দেয়া স্লোগানের তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ জানায় ।

মিছিলকারী বিএনপি-যুবদল নেতা-কর্মীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপর আক্রমণ চালায়। এতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অনেক নেতা কর্মীকে আহত হন। এসময় জেলা যুবদলের নেতৃত্বদানকারী রিয়াজ শিকদার প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের খুঁজতে থাকে। তার ঔদ্বত্যপূর্ণ বক্তব্যের ভিডিও একটি দৈনিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। রিয়াজ শিকদার গণমাধ্যমে দেয়া স্বাক্ষাতকারে তার দাম্ভিকতার সঙ্গে সব স্বীকার করেন।

এ সংবাদের একাংশে দেখা যায় নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন খান স্বাক্ষাতকার দিয়ে বলেন যে, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির উপরে আক্রমনণ করেছে। তার এই বক্তব্য ছিল, যুবদলের পিরোজপুর জেলার যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজ শিকদারের বক্তব্যের একইরূপ বক্তব্য। বিএনপি-যুবদল যে ভাষায় কথা বলেছেন, তিনিও (মোশারেফ) একই ভাষায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীদের অভিযুক্ত করেছেন। প্রকৃত পক্ষে ঘটনাস্থলে মোশারেফ হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন না। অথচ তিনি দোষ চাপিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীদের উপর। যা, কার্যতঃ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপি-জামাত এর বক্তব্যের অনুকরণ। জনাব মোশারেফ হোসেন খান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীদের অভিযুক্ত করে বক্তব্য দানের মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামাতকে সহায়তা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খোকন কাজী বলেন, আমাদের কর্মীরা যুবদলের কুরুচিপূর্ণ শ্লোগান এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। আমরা তাদের (যুবদল)  উপর হামলা করিনি। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবীর রিজভী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ যেভাবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে দোষারপ করে মিথ্যাচার করে চলেছেন তেমনি নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মোশারেফ হোসেনের বক্তব্য তারই প্রতিধ্বনি। দলের ভিতরে ঘাপটি মেরে থেকে বিএনপি-জামাতের বক্তব্যের সমর্থনের দ্বারা মোশারেফ হোসেন খান দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন ।

উল্লেখ্য যে, তিনি (মোশারেফ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারী তথা হাইব্রীড। সামরিক স্বৈরাচার জেনারেল এরশাদের শাসনামলে তিনি উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তার নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ও পুলিশ কর্তৃক আওয়ামী লীগ- ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর নির্মম নির্যাতন চালায়। তিনি এক সময়ে বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিশেষ সখ্যতা সৃষ্টি করে নিজের অবস্থান ও ব্যবসা ঠিক রাখেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে বর্তমান পদ বাগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে তার পুরানো দল জাতীয় পার্টি ও ব্যক্তিগত অনুসারীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি ভিন্ন বলয় সৃষ্টি করছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে নাজিরপুরে বিএনপি-জামাত জোট একাধিকবার ভয়াবহ সন্ত্রাস সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মারধর করা সহ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। এ জাতীয় ঘটনাতেও তার কোন ভূমিকা দেখা যায়নি। তিনি বিএনপি জামাত জোটের অপরাজনীতি, উশৃঙ্খলতা, সন্ত্রাস এবং আওয়ামী লীগ বিরোধী কর্মকাণ্ডে নীরব ভুমিকা পালন করে চলেছেন। এতে প্রতিয়মান হয় যে, তিনি আওয়ামী লীগের পদে অধিষ্ঠিত থেকে কার্যত বিএনপি-জামাতের কর্মকাণ্ডকে প্রকারন্তরে সমর্থন করে চলেছেন। এসময় উপস্থিত নেতা কর্মিরা মোশারেফ হোসেনকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেয়া মিথ্যা স্বাক্ষাৎকার প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে বলেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও  কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।  অন্যথায় তারা তার (মোশারেফ) বিরুদ্ধে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন।

নিউজ ট্যাগ: নাজিরপুর

আরও খবর



কয়রায় গণমাধ্যম সপ্তাহকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

সারাদেশের ন‍্যায় খুলনার কয়রা উপজেলায় জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার সকালে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর এর নির্দেশনায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কয়রা উপজেলার শাখা এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি.এম তারিক উজ-জামান এর নিকট প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিটি প্রদান করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কয়রা উপজেলার আহবায়ক তারিক লিটু, কয়রা সাংবাদিক ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক আবির হোসেন, ঢাকা প্রতিদিনের প্রতিনিধি মো.মোক্তার হোসেন, প্রতিদিনের কাগজ এর মিনহাজ দিপু, বায়জিদ হোসেন, মো.সোহরাব হোসেন, শেখ ইউসুফ আলী, শাহ হিরো, সুমাইয়া সুলতানা, আব্দুল আলিম, তাইজুল ইসলাম এবং অফিস স্টাফ মো.আছাদুল হক।


আরও খবর



রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ ওভারে জিতলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টানা তিন জয়ের পর চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের কাছে প্রায় হারতেই বসেছিল বাংলাদেশ। মান বাঁচালেন বোলাররা। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ ওভারে ৫ রানে জিতলো বাংলাদেশ। এ জয়ে সিরিজে ৪-০ ব্যবধান করল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

আজ শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলে দুদল। বাংলাদেশ সময় ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নামা টাইগাররা উড়ন্ত সূচনা পেলেও নাটকীয় ব্যাটিং ধসে দলীয় ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায়। এদিন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটিতে ১১.২ ওভারে ১০১ রানে তোলে বাংলাদেশ। তবে এরপর দলীয় ৪২ রানের মধ্যেই ১০ উইকেট খোয়ায় স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে তিন পরিবর্তন এসেছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমান।

১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের ইনিংসে প্রথম ওভারেই আঘাত করেন তাসকিন আহমেদ। ব্রায়ান বেনেটকে তিনি শূন্য রানে ফেরান। এরপর জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে (১৭) বোল্ড করেন এই পেসার। আরেক ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে এলবি করে ১৪ রানে ফেরান সাকিব আল হাসান।

এরপর ভালো খেলতে থাকা জোনাথন ক্যাম্পবেলকে অধিনায়ক শান্তর ক্যাচে ফেরান সাকিব। ২৭ বলে ৩১ রান করেন ক্যাম্পবেল। রিশাদ হোসেন মাঝে ক্লাইভ মাদান্ডেকে এলবি করে আউট করে। পরে দলীয় ১৫তম ওভারে আইপিএল ফেরত মোস্তাফিজুর রহমান রায়ান বার্ল (১৯) ও লুক জঙ্গুয়েকে আউট করলে খেলা জমে ওঠে।

যদিও ফারাজ আকরাম ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাটিং বাংলাদেশকে চোখ রাঙ্গাচ্ছিল। ১০ বলে ১১ করা ফারাজ মোস্তাফিজের তৃতীয় শিকার হন। আর শেষের দুই ব্যাটার ব্লেসিং মুজারবানি ও রিচার্ড এনগারাভাকে আউট করে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন সাকিব। তবে তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী ও তানজিদ তামিমরা ক্যাচ না ছাড়লে সহজ জয়ই পেতে পারতো বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সাকিব সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পান। এছাড়া মোস্তাফিজ ৩টি উইকেট দখল করেন।

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে সৌম্য সরকার ধীরে খেললেও তানজিদ হাসান তামিম ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। চার-ছক্কায় জিম্বাবুয়ে বোলারদের দিশেহারা করেন। এরপর হাত খোলেন সৌম্য। তাদের জুটি ১০১ রানে। তারা ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দলীয় বড় স্কোরের।

কিন্তু দুজনেই ৭ রানের ব্যবধানে লুক জঙ্গুয়ের বলে আউট হন। তানজিদ ৩৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫২ রান করেন। এই সিরিজেই অভিষেক হওয়ার পর এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। এলবি হওয়া সৌম্য ৩৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ করেন।

এরপরই শুরু হয় সেই নাটকীয় ব্যাটিং ধস। যেখানে তাওহিদ হৃদয় ১২ রান করলেও দলের আর কেউই দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। দীর্ঘদিন পর ফেরা সাকিব আল হাসান ব্যক্তিগত ১ রানে ব্রায়ান বেনেটের বলে বোল্ড হন। অধিনায়ক শান্তও একই বোলারের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন।

জঙ্গুয়ে জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাভা ও বেনেট।

প্রথম তিন ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার সম্ভাবনাও জাগাল।


আরও খবর



ছুটির দিনে ‘গ্রহণযোগ্য’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ১ মে ৯৬ স্কোর নিয়ে ১৬ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার এ অবস্থান দেখা গেছে। এই স্কোর বাতাসের মানকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য নির্দেশ করে।

এদিকে, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৬৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।

৫১ থেকে ১০০ স্কোর হলে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



নাফ নদী থেকে ১০ বাংলাদেশি জেলে অপহরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

দেশের অভ্যন্তরে কক্সবাজারের নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় বাংলাদেশের ১০ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা।

বুধবার (১ মে) সকালে উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, আরকান আর্মির সদস্যরা নাফ নদীতে মাছ শিকাররত অবস্থায় ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা জানতে চাওয়া হলে উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তানবীর হোসেন বলেন, গত রাত একটার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনা জেনেছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। তাই বিজিবির হস্তক্ষেপে অপহৃতদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।

অপহরণের শিকার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল তিন নম্বর ওয়ার্ডের জানে আলম, আবদুর রহিম, আনোয়ারুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আইয়ুবুল ইসলাম, শাহীন।

আরও রয়েছেন- চার নম্বর ওয়ার্ড গৌজঘোনা এলাকার আবদুর রহিম প্রকাশ আবদুর রহমান, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের টিবনিয়া এলাকার ওসমান গণি, ওসমান ও আবুল হাশিম।


আরও খবর



ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওষুধ প্রশাসনের অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে অব্যাহতভাবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ রিট দায়ের করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাসে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে। অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহেও দাম বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ওষুধের।

সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন ও ইনজেকশনের দাম। এছাড়া হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন ওষুধ এবং ভিটামিনের দামও বেড়েছে। বাদ যায়নি জ্বর-সর্দির ট্যাবলেট-ক্যাপসুল, বিভিন্ন অসুখের সিরাপও।

বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং বিক্রি থেকে আয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দাম বাড়ানোর হার অস্বাভাবিক। এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে কোম্পানিগুলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছে। এসময় গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ কোম্পানিগুলোর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা।


আরও খবর