আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্বরূপকাঠিতে ঘর উপহার পাচ্ছেন ৭০ পরিবার

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:

মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন ২ প্রকল্পের আওতায় ৩য় পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে ঘর পেতে যাচ্ছেন স্বরূপকাঠির ৭০ ভূমিহীন- গৃহহীন পরিবার।

সোমবার দুপুরে (১৮ জুলাই) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশরেফ হোসেন।

তিনি জানান বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন।

তিনি আরও জানান, এ উপজেলায় ৩য় পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে ৭০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ভূমিহীন-গৃহহীন ওই পরিবারের  সদস্যদের  মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গৃহহীন মানুষের জন্য আশ্রয়ন ২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঘরগুলো আরও টেকসই ও মজবুত করে নির্মাণ করেছে সরকার। স্বরূপকাঠি উপজেলায় ৩য় পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে ৭০ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনে বরাদ্দের মধ্যে সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নে ২২, সমুদয়কাঠি ইউনিয়নে ১৫টি, জলাবাড়ি ১৮, সোহাগদলে ৯, দৈহারীতে ৫ ও বলদিয়া ইউনিয়নে ১টি ঘর বরাদ্ধ রয়েছে।

এর আগে এ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২০ টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০৪ টি, ৩য় পর্যায়ে প্রথম ধাপে ১০৩টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনে জমির দলিলসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়। 

এ সময় উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মানস কুমার দাস, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার, আইসিটি কর্মকর্তা মিরাজ মাহমুদ ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আরও ৩ উপজেলার ভোট স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আগামী ২৯ মে (বুধবার) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে আরও তিনটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (২৮ মে) ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।

উপজেলাগুলো হচ্ছে- নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী এবং চাঁদপুর জেলার কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা।

ইসি জানিয়েছে, খালিয়াজুরী উপজেলায় সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এবং কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ইভিএমের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপজেলা নির্বাচনে তৃতীয় ধাপের ১৯টি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

উপজেলাগুলো হলো- বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, বরিশাল জেলার গৌরনদী, আগুনঝারা, পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া, ভোলা জেলার তজুমদ্দিন, লালমোহন, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, কাঁঠালিয়া, বরগুনা জেলার বামনা, পাথরঘাটা এবং রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা।

এর মাধ্যমে তৃতীয় ধাপে সর্বমোট ২২ উপজেলার ভোট স্থগিত করলো ইসি। ফলে আগামী ২৯ মে ৮৭ উপজেলায় ভোট হবে।


আরও খবর



চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ২০ শতাংশের কম: ইসি সচিব

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলছে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এই চারঘণ্টায় গড়ে ১৭ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

বুধবার বেলা ১টার দিকে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহাংগীর আলম বলেন, এখনো পর্যন্ত বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভোট শান্তিপূর্ণ হচ্ছে।

বগুড়া সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান এই সচিব। বলেন, প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ ছিল কোন আইসক্রিম। কিন্তু ব্যালটে লাঠিযুক্ত আইসক্রিম দেওয়ার কারণে ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

ফেনীতে অনিয়মের অভিযোগে এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান জাহাংগীর আলম।

তৃতীয় ধাপে ১০৯টি উপজেলায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয় নির্বাচন কমিশন। তবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতির কারণে স্থগিত করা হয়েছে ২২ উপজেলার ভোট।

এই ধাপে ভোটার ২ কোটির ওপরে। এর মধ্যে ১৬টি উপজেলায় ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে হচ্ছে ব্যালট পেপারে ভোট। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এ ধাপে প্রায় ৫৮ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকছে। সাথে থাকছে লক্ষাধিক আনসার সদস্য। এ ধাপে এরই মধ্যে বিভিন্ন পদে ১২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।


আরও খবর



কলকাতা থেকে দেশে ফিরছে ডিবির প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার পর দেশে ফিরছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রতিনিধি দল।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে দলে আরও দুই সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন- ওয়ারী বিভাগের ডিসি মো. আব্দুল আহাদ ও এডিসি শাহীদুর রহমান।

রোববার (২৬ মে) সকাল ১০টার একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় যায় প্রতিনিধি দলটি। টানা চারদিন ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে তারা দেশে ফিরবে।

ডিবির তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ঢাকায় গ্রেফতার আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভুঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ও কলকাতার তদন্ত দলকে সহযোগিতা করার জন্য কলকাতায় যায় ডিবির প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলে থাকা ডিসি মো. আ. আহাদ বলেন, আমাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ও অনুরোধে ২৮ মে রাতে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক ভেঙে তিন থেকে চার কেজি মাংসের টুকরো উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ।

জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে আসার পরই যে ফ্ল্যাটে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে সেটা পরিদর্শন করি। এরপর আমরা কলকাতার সিআইডিকে অনুরোধ করি যে বাড়িটির স্যুয়ারেজ লাইন দেখা দরকার। সিআইডি খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া ঘাতকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য দিয়ে আমরা সিআইডিকে সহযোগিতা করছি।

হারুন আরও বলেন, সেপটিক ট্যাংক থেকে বেশকিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। এই মাংসগুলোকে ফরেনসিকের জন্য রাখা হবে। পাশাপাশি ডিএনএ টেস্টও করা হবে। তারপরে বলা যাবে, এগুলো সংসদ সদস্যের কি না।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনের গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পরে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ।


আরও খবর



প্রবাসে নিয়ে দালালের হাতে বিক্রি, দেশে ফেরাতে পরিবারের আকুতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে পাথরঘাটার একাধিক ব্যক্তিকে প্রবাসে পাঠিয়ে দালালের হাতে বিক্রি করেছে প্রতারক আ. জলিল চৌধুরী। সৌদিতে থাকা সন্তানদের ফিরে পেতে বরগুনার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১ টায় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সৌদি আরব থেকে সদ্য ফিরে আসা ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানসহ ফোরকানের বাবা আ. কাদের, সুমনের বাবা শাহ আলম, ইমরানের মা শাহিনুর বেগম, মামুনের বাবা আবুল হোসেনসহ ৬ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলো।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মামুন মিয়া, মো.সুমন, ইমরান ও ফোরকানকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা করে নিয়ে বিদেশে পাঠায় পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা প্রতারক আ. জলিল চৌধুরীর। সৌদি আরব যাওয়ার পরে একের পর এক দালাল বিক্রি করে তাদের। সেখানে কাজ না দিয়ে আটকে রাখা হয় তাদের।

তারা আরো জানান, পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক লোককে সৌদি আরব পাঠিয়ে ৭০ লাখ টাকারও বেশি আত্মসাৎ করেছে জলিল। প্রবাসে পাঠাতে অনেকে ঋণ, ধার কর্জ এবং জমি বিক্রি করে পরিবার গুলো এখন প্রায় নিঃস্ব। দেশে টাকা পাঠানো দূরে থাক সেখানে নিজেরাই খেতে পারছে না।

ফোরকানের বাবা আ. কাদের বলেন, আমি ও ছেলে রিকশা চালাতাম অনেক কষ্ট করে জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠাই। আজ বাবায় বড় কষ্টে আছে।

সৌদি থেকে সদ্য দেশে আসা মিজানুর রহমান বলেন, অঙ্গীকার অনুযায়ী বিদেশে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ইকামা না দেয়ার কারনে ওই দেশের পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ. জলিল চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, আমি সরকারের নিয়ম মেনেই তাদের বিদেশে পাঠিয়েছি। শর্ত অনুযায়ী তাদের ভিসা এবং কাজ দিয়েছি। কাজ না করে যদি দেশে চলে আসে এর দায়ভার তো আর আমি নিব না।

তিনি আরও বলেন, তাদের ছাড়াও অনেক মানুষকে আমি বিদেশে পাঠিয়েছি তারা তো ঠিকঠাক মতো কাজ করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, সকল কাগজপত্র আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা)


আরও খবর



নাম বলার পরেও অপরাধীদের পুলিশ ধরছে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মা-বাবা ও দুই শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর এক শিশুর মা দায়নি ঋষী (৪২) কে পিটিয়ে হত্যার পর গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শান্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানবন্ধন করেছে মহিলা পরিষদ।

শুক্রবার (২৪ মে) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা শাখার ব্যানারে শহরের চৌরাস্তায় এ মানববন্ধন করেন তাঁরা।

মহিলা পরিষদ জেলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক সুরভী কেরকেটার সভাপত্বিতে নিহত দায়ন ঋষীর স্বামী বিষ্ণু ঋষী, দুই সন্তান সাজন, রাজেন, জেলা মহিলা পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুচরিতা দেব, সদস্য মাহমুদা আক্তার, শাহানাজ বেগমসহ বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, চুরির অপবাদে দায়ন ঋষীর ছেলেকে ধরে নিয়ে মারপিটের পর মাকেও তুলে নিয়ে মারপিট করে হত্যার করা হয়েছে। যা নিহতের সদস্যরা দাবি করছেন।

কারা বাসা থেকে তাদের তুলে নিয়ে গেছে স্পস্ট নামও বলছে। তারপরেও পুলিশ সেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এখন পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে। ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠির মানুষ এমনিতেই অবহেলিত। যে ব্যক্তিটি চুরির অপবাদ দিয়ে বাসায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মারপিট করলো সে কেনো পুলিশের হাতে তুলে দিলো না। আইন নিজের হাতে কেনো তুলে নিলেন তিনি? অবিলম্বে এ ঘটনার বিচারের দাবি করেন বক্তারা। তা না হলে আরো কঠোর কর্মসুচির হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা।

উল্লেখ্য, গেল সোমবার (২০মে) পরিষদপাড়ার নুর আলম লিটনের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লিটনসহ তার লোকজন পরদিন মঙ্গলবার (২১ মে) চোর সন্দেহে একই গ্রামের দায়ন ঋষির ছোট ছেলে রাজেন (১৩) ও একই গ্রামের মৃত যোগেনের ছেলে সঞ্জিত (১৫) কে তুলে নিয়ে বাসায় আটকে রাখে। পরে চুরির অপবাদে কয়েক দফায় তাদের পাশবিক নির্যাতন চালায় লিটনসহ তার লোকজন। শুধু তাই নয়। ছেলেকে পেটানোর পর মাকে তুলে নিয়ে মারপিট করে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

পরে বুধবার (২২ মে) সকালে জেলা শহরের পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ড পরষিদপাড়ার একটি লিচু গাছে ওই নারীর মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নারীর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামালা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর