আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘মুজিব কিল্লা’ নির্মাণকাজে ধীরগতি, বাড়ছে সময়-ব্যয়

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জানমাল রক্ষায় দেশের উপকূলীয় এলাকায় মাটির কিল্লা নির্মাণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তীসময়ে জনগণের কাছে এটি মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিতি পায়। দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবসহ নানাবিধ কারণে বেদখল হয়ে যায় এসব কিল্লা। বর্তমান সরকার সেগুলো ফের সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় ২০১৮ সালে। কিন্তু চার বছরে নির্মাণকাজে দেখা গেছে ধীরগতি। এরই মধ্যে নতুন করে বাড়ানো হয়েছে সময় ও ব্যয়। বিদ্যমান ১৭২টি মুজিব কিল্লা সংস্কার ও উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন করে নির্মাণ করা হবে ৩৭৮টি কিল্লা। ফলে মোট মুজিব কিল্লার সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৫০টি। দেশের ঘূর্ণিঝড়প্রবণ ১৬টি জেলার ৬৪টি উপজেলা এবং বন্যা ও নদী ভাঙনপ্রবণ ২৪টি জেলার ৮৮টি উপজেলায় এগুলো নির্মাণ ও সংস্কার হবে।

‘মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু সময়মতো কাজ শেষ না হওয়ায় এর মেয়াদ বাড়ছে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পাশাপাশি ব্যয় বাড়ছে ৪০ কোটি টাকা। মূল প্রকল্পের ব্যয় ধরা ছিল ১ হাজার ৯৯৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে চার বছরে প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বা ১৬ শতাংশ। তবে প্রকল্পের আওতায় কোথাও কোথাও কিল্লা নির্মাণে জমি পাওয়া যাচ্ছে না।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রা: দুর্যোগকালে কিল্লার আশপাশের জনসাধারণ ও তাদের মূল্যবান সামগ্রী রক্ষা, গৃহপালিত প্রাণীদের নিরাপদ আশ্রয়} নিশ্চিতকরণ, স্বাভাবিক সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি খেলার মাঠ ও হাট-বাজার হিসেবে কিল্লা ব্যবহার করা। গ্রাম ও ইউনিয়ন কমিউনিটির মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বৈঠকখানা হিসেবে ব্যবহার করা হবে কিল্লা। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও দুর্যোগের সময় অস্থায়ী সেবাকেন্দ্র হিসেবেও কিল্লা ব্যবহার করা হবে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম: ১৮৬টি মুজিব কিল্লা এ’ ক্যাটাগরির। এর মধ্যে বিদ্যমান ৫৫টি কিল্লা পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার হবে। নতুন করে নির্মাণ হবে ১৩১টি। বি’ ক্যাটাগরির মুজিব কিল্লা হবে ১৭১টি। এর মধ্যে বিদ্যমান ৬৩টি পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে। নতুন করে নির্মাণ হবে ১০৮টি। সি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে ১৯৩টি মুজিব কিল্লা। এর মধ্যে ৫৪টি বিদ্যমান মুজিব কিল্লা পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার হবে, ১৩৯টি নির্মাণ হবে নতুন করে।

প্রকল্প এলাকা: গাইবান্ধা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, নড়াইল, সুনামগঞ্জ ও চাঁদপুরে নির্মাণ করা হবে এসব মুজিব কিল্লা।

বেড়েছে প্রকল্পের মেয়াদ: বর্তমান সময় পর্যন্ত মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ১৬ শতাংশ। এর মধ্যে আবার করোনার কারণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রকল্প এলাকায় আসতে পারেনি। সব মিলিয়ে এক বছর বাড়ছে এর মেয়াদ।

কম্পিউটার খাতে ব্যয় বৃদ্ধি: নানা কারণে প্রকল্পের কিছু বিষয় সংশোধন হচ্ছে। এর মধ্যে কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক খাতে বেড়েছে ব্যয়। মূল ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) সাতটি কম্পিউটারের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু প্রকল্প দপ্তরে নিয়োজিত আছেন ১৬ কর্মকর্তা। জনপ্রতি একটি করে কম্পিউটার রাখা হয়েছে। ফলে এ খাতে বেড়েছে ব্যয়।

পরামর্শক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি: মূল প্রকল্পে পরামর্শক খাতে ব্যয়ের জন্য ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরে এটা করা হয় ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে বুয়েট ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে।

রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং: প্রথমে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বুয়েট খেলার মাঠে রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং (বিশেষ পদ্ধতিতে কূপের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে রিজার্ভ) ডিজাইন করে। কিন্তু মাঠে ৮-১১ ফুট পর্যন্ত বালু ভরাট হয়ে থাকে। ফলে সেখানে পানি ধরে রাখা সম্ভব নয়। বৃষ্টির সময় ময়লা পানি ভরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রকল্পের সব সাইটের মাঠে রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং না করার সিদ্ধান্ত হয়।

অতিরিক্ত কাজের অন্তর্ভুক্তি: বিভিন্ন সাইটে বেশি করে মাটি ভরাট কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়া বাড়ছে শেডের ফ্লোরের কাজ। বজ্ররোধক প্রযুক্তি লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপনের কারণেও ব্যয় ও সময় বাড়ছে।

জ্বালানির পরিমাণ বৃদ্ধি ও গাড়ি ভাড়া: প্রকল্পের জন্য কেনা দুটি গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে অকটেন ব্যবহার হয়। প্রতিটি গাড়িতে মূল ডিপিপিতে বরাদ্দ দেখানো হয়েছে মাসে ১৭৫ লিটার তেল। বর্তমানে জ্বালানি তেলের পরিমাণ বাড়িয়ে প্রতি মাসে গড়ে ৪০০ লিটার ধরা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পটি দেশের ৪০টি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেখানে কাজের তদারকির জন্য যাতায়াত করতে হয়। তাই সঠিকভাবে কাজের মনিটরিংয়ের জন্য তিনটি গাড়ি ভাড়া করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক বলেন, চলমান প্রকল্পের কিছু কাজ করতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিছু জিনিস বাদ দিতে হবে, আবার কিছু যোগ করতে হবে। ঝামেলা রয়েছে জমি নিয়ে। এর মধ্যে আবার করোনা- সবমিলিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি কম। অন্যদিকে রড-সিমেন্টের দামও বেড়েছে। ফলে কাজে লাগানো যাচ্ছে না ঠিকাদারদের। আমরা প্রকল্পটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি। ব্যয় কিছু বাড়বে। পাশাপাশি প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ করতে এক বছর সময় প্রয়োজন।


আরও খবর



সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের গাউন পরা শিথিল হলো

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের গাউন পরার আবশ্যকতা শিথিল করা হয়েছে। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের আদেশ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিকালে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করা হলো।

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এ নির্দেশনা ২১ এপ্রিল (রোববার) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তায় একসঙ্গে কাজ করবে চসিক-সিএমপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরীতে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়ের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (৭ মে) নগরীর টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং সিএমপির ডেপুটি কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এই চুক্তির মাধ্যমে, উভয় সংস্থাই চট্টগ্রাম নগরীতে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য তথ্য আদান-প্রদান এবং সমন্বয় করে কাজ করবে। এছাড়া দুর্ঘটনার তথ্য আদান-প্রদান, ব্যবস্থাপনা এবং বিশ্লেষণ, রাস্তার ডিজাইন এবং তথ্য-উপাত্ত যথাযথভাবে ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করবে। এর ফলে প্রতিটি সংস্থা কার্যকরভাবে তথ্যগুলো কাজে লাগিয়ে সড়ক নিরাপত্তায় শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।

ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) বিশ্বের ২৮টি শহরে রোড ক্র্যাশে মৃত্যু ও হতাহতের সংখ্যা কমাতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেছে। চট্টগ্রামেও বিআইজিআরএসের কারিগরি সহায়তায় চসিক ও সিএমপি নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে যৌথভাবে কাজ করবে।


আরও খবর



অবসরের ঘোষণা দিলেন ভারতের অধিনায়ক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

অবশেষে ভারতীয় ফুটবলে ঘটতে চলেছে একটি যুগের অবসান। দেশটির ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা সুনীল ছেত্রী শেষমেশ অবসর নিতে চলেছেন।

জানা গেছে, আগামী ৬ জুন যুবভারতী স্টেডিয়ামে কুয়েতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক ভিডিও বার্তায় এ কথা নিজেই জানিয়েছেন সুনীল।

২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছিল সুনীল ছেত্রীর। ৩৯ বছর বয়সী ভারতীয় এই কিংবদন্তি অধিনায়ক দীর্ঘ সময় ভারতের আক্রমণভাগকে একাই নেতৃত্ব দিয়েছেন। অসংখ্য ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন তিনি। অনেক হৃদয়-বিদারক ম্যাচের সাক্ষীও তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষেও তার রয়েছে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স।

অবসরের ঘোষণা দিয়ে সুনীল বলেন, একটা দিন জীবনে কোনও দিন ভুলতে পারব না। যে দিন দেশের জার্সি গায়ে প্রথম বার ভারতের হয়ে খেলতে নেমেছিলাম। অবিশ্বাস্য অনুভূতি। গত ১৯ বছরে অসহ্য চাপ এবং দেশের হয়ে খেলার আনন্দ, দুটোই আমার সঙ্গে সব সময় ছিল। ব্যক্তিগত ভাবে আমি কোনও দিন ভাবতে পারিনি দেশের হয়ে এত গুলো ম্যাচ খেলব, ভাল হোক বা খারাপ, এত কিছু করতে পারব। এখন আমি সেটা পেরেছি। গত এক-দেড় মাসে আমি সেটা পেরেছি এবং খুব অদ্ভুত লেগেছে। হয়তো করতে পেরেছি কারণ, আমি বুঝতে পেরেছিলাম পরের ম্যাচটা আমার শেষ ম্যাচ হতে চলেছে।

জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামলে এখনও সুনীলের দিকে তাকিয়ে থাকেন ভারতের সমর্থকেরা। কত বার তিনি ভারতকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন বা দেশকে গর্বিত করেছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। এখন পর্যন্ত সুনীলের যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে পায়নি ভারত। সম্ভাব্য হিসাবে অনেকের নাম উঠে আসলেও কেউই তার মানের হতে পারেনি।


আরও খবর



আফগানিস্তানে মসজিদে বন্দুকধারীর হামলা, ৬ মুসল্লির মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে একটি মসজিদে ঢুকে নামাজরতদের ওপর হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আফগান সরকারের এক মুখপাত্রের বরাতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) খবরটি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা এএফপি।

সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের গুজারা জেলায় নৃশংস এই হামলার ঘটনাটি ঘটে।

আব্দুল মতিন কানি নামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র জানান, রাতে নামাজ চলাকালে ওই মসজিদটিতে প্রবেশ করে ইবাদতরত ব্যক্তিদের ওপর গুলি চালায় অজ্ঞাত একজন সশস্ত্র ব্যক্তি। এতে মসজিদেই প্রাণ হারান ৬ জন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মতিন কানি লিখেছেন, এই বন্দুক হামলায় ইবাদতরত ছয় বেসামরিক নাগরিক শহীদ হয়েছেন ও একজন আহত হয়েছেন।’

আফগানিস্তানের রাষ্ট্র পরিচালিত বাখতার নিউজ এজেন্সিও একই তথ্য জানিয়েছে।


আরও খবর



ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুই কৃষকের

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে ফুল মিয়া এবং সাঘাটা উপজেলায় মুক্তিনগর ইউনিয়নের শিপন নামের দুই কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে জেলার পৃথক জায়গায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ফুলমিয়া অন্যদের সঙ্গে গড়দীঘি গ্রামে জমিতে ধান কাটতে যায়। দুপুরে হঠাৎ করে বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত হয় ফুল মিয়া। আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ফুল মিয়া গড়দীঘি গ্রামের জোবায়ের আলীর ছেলে।

অপরদিকে সাঘাটা উপজেলায় শিপন মিয়া বুধবার দুপুরের দিকে মুক্তিনগর ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামে হালিম মেম্বারের জমিতে শ্রমিক হিসেবে ধান কাটছিলেন। এরই মধ্যে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। এতে শিপন মিয়া গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান শেফালী বেগম বলেন, বেলতৈল এলাকায় বজ্রপাতে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি।

সাঘাটা থানার ওসি মো. মমতাজুল হক সন্ধ্যা ৬টায় কৃষি শ্রমিক শিপন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: বজ্রপাতে মৃত্যু

আরও খবর