আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ল্যাবরেটরি কক্ষ মেস ভাড়া দিয়েছেন ব্যবস্থাপক

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বিএফডিসির মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের অফিস ভবন ভাড়া দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন। আড়ৎদারদের থাকার জন্য অফিসের একাংশ ভাড়া দিয়ে নিজের পকেট ভারী করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে। নিয়ম বহির্ভূত তার এমন অনিয়ম-দুর্নীতিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অথচ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আড়ৎদারদের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত পৃথক ভবন রয়েছে।

অবাক করা বিষয় হচ্ছে অফিস ভবনের যে কক্ষটি ভাড়া দেয়া হয়েছে, সেই কক্ষটি ল্যাবরেটরি কক্ষ। এখানে অবতরণ কেন্দ্রে প্যাকিং উপযোগী বিভিন্ন প্রজাতির মাছের মান পরীক্ষা- নিরীক্ষা হওয়ার কথা। এ লক্ষ্যে সরকারিভাবে সরবরাহকৃত বহুমূল্যের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ল্যাবরেটরি কক্ষ থেকে সরিয়ে ছাদের একটি চিলেকোঠা কক্ষে অযত্নে ফেলে রাখা হয়েছে।

এছাড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের শেড এ অনিয়ম করে দুইটি চায়ের দোকান ভাড়াও দিয়েছেন তিনি। আর আড়ৎ ভবনের ভেতরে স্থানীয় বাজারের দুইটি হোটেলের দুইটি কিচেন ভাড়া দেয়া হয়েছে নিজ স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম করে।

শনিবার (৮ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রামগতি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সীমানার ভেতরে দ্বিতল অফিস ভবনের নীচ তলায় তিনটি কক্ষ। এর মধ্যে একটি ব্যবস্থাপকের অফিস কক্ষ, একটি অফিস নথি সংরক্ষণের জন্য আলমিরা রাখার কক্ষ। আরেকটি অফিসের অন্যান্য কর্মচারীদের কক্ষ। দোতলায় দুইটি কক্ষ। এর একটি সেমিনার কক্ষ ও অপরটি ল্যাবরেটরি কক্ষ থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় সেখানে সেমিনার কক্ষে এককোণয় একটি টেবিল পড়ে আছে। কোন চেয়ার নেই। আর ল্যাবরেটরি কক্ষে চকি বিছিয়ে দুইজন লোক বসবাস করছে। তাদের একজনের নাম তপন। আরেকজনের নাম শাহজান। তারা আড়ৎ ব্যবসায়ী ইয়াদ বিশ্বাস জাপানের ব্যবসায়ীক কর্মচারী। যশোর এলাকার মহাজন জাপানের ব্যবসা পরিচালনা করে অফিসের ভাড়া নেয়া কক্ষে থাকছে তারা ৫ জন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানায়, রামগতি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন নিয়ম-নীতির কোনো তোয়াক্কা করেনা। অনৈতিকভাবে সরকারি অফিস বাইরের লোকের কাছে ভাড়া দিয়ে ভাড়ার টাকা খাচ্ছেন তিনি।

ধরাকে সরা জ্ঞান করে এই অবতরণ কেন্দ্রে নিজের মনগড়া যাচ্ছে তাই করে চলছেন তিনি। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সাথে আঁতাত করে চলায় তার নানান অনিয়ম প্রকাশ্য হলেও এসব বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করার সাহস পাচ্ছে না।

আড়ৎদার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে জানায়, অবতরণ কেন্দ্রে আড়ৎদারদের জন্য নির্ধারিত ভবনের সবগুলো কক্ষ আড়ৎদারদের জন্য বরাদ্দ না দিয়ে অনিয়ম করে বাইরের হোটেলের কাছে ভাড়া দিয়েছে দুই-তিনটি কক্ষ। এছাড়া ব্যবস্থাপক নিজে নিয়মিত অফিসে না থেকে সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনে অবস্থান করেন দিনের বেশিরভাগ সময়। এমনকি আড়ৎদার ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি বিভিন্ন সুবিধা গোপন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রামগতি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে অফিস কক্ষ ভাড়া দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সব কিছুই আড়ৎদারদের সুবিধার জন্য। এখানে আড়ৎদারদের নির্ধারিত ভবনে সকল আড়ৎদারের সংকুলান হয়নি। তাই অফিসের ল্যাবরেটরি কক্ষ ভাড়া দিয়েছি। আর সম্মেলন কক্ষটি সকলের নামাজ আদায়ের জন্য ছেড়ে দিয়েছি। এগুলো অনিয়ম নয় দাবি করে তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে অফিস কক্ষ ভাড়া দেয়ার নিয়ম আছে। এর থেকে প্রাপ্ত ভাড়া সরকারের কোষাগারেই জমা হয়। এজন্য রসিদের মাধ্যমে টাকা আদায় করা হয়। তবে এ সংক্রান্ত কোনো রশিদ কিংবা অফিস রেজুলেশন দেখাতে পারেননি ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন।

এবিষয়ে বিএফডিসি চেয়ারম্যান (অ.দা) ফজলুল হক বলেন, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের অফিস কক্ষ ভাড়া দেয়ার কোনো বিধান নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিএফডিসি সূত্রে জানা যায়, আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভোক্তা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সম্মত মাছ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে মেঘনা নদীর তীরে লক্ষ্মীপুরের রামগতি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ একর ৭০ শতাংশ জমির ওপর এ অবতরণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে মাছ অবতরণের জন্য একটি বড় আকারের শেড, একটি প্যাকিংশেড, একটি ইন্সপেকশন কক্ষ ও একটি দ্বিতল আড়ৎ ভবন রয়েছে। আড়ৎ ভবনে ২২ জন আড়ৎদার ব্যবসায়ীকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।  ব্যবসায়ীরা এখানে ব্যবসা পরিচালনাসহ আবাসিক সুবিধাভোগ করে থাকে। জেলেদের জন্য দুইটি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। একটি বরফ কল রয়েছে, সেটাতে একটি ক্রাশ মেশিন রয়েছে। একটি দ্বিতল অফিস ভবন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি আবাসিক ভবন রয়েছে।

এই অবতরণ কেন্দ্রে অভ্যন্তরীণ বাজারে স্বাস্থ্য সম্মত মাছ অবতরণ ও বিপণন করা হয় প্রতিমাসে গড়ে ১৩৭ মেট্রিক টন মাছ। এছাড়া মাছের জন্য প্রয়োজনীয় বরফ সরবরাহ করা হয় মাসে গড়ে ১৫৮ মেট্রিক টন। এই অবতরণ কেন্দ্রে  আড়ৎদার, জেলেসহ প্রায় ১৫০০ জন  মাছ ব্যবসায়ী সম্পৃক্ত। মাছ ব্যবসা, আমদানি-রপ্তানি ও পরিবহন কাজে প্রায় ৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন সুবিধাভোগী হয়ে থাকে। এছাড়া অবতরণ কেন্দ্রের দুইটি পল্টুনে প্রায় অর্ধশতাধিক ইঞ্জিনচালিত জেলে বোট প্রতিদিন মাছ অবতরণ কাজে ভিড়ে থাকে।


আরও খবর



সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত, আহত ১১

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

Image

সাতক্ষীরার তালায় ট্রাক উলটে ২ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১১ জন। শনিবার (১৮ মে) সকাল ৬টার দিকে খুলনা-পাইকগাছা সড়কের হরিশচন্দ্রকাটী সরদারবাড়ী বটতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।

নিহতরা হলেন, কয়রা উপজেলার বামিয়া ইউনিয়নের বগা গ্রামের তালেব গাজীর ছেলে সাইদুল গাজী (৩৮) ও মহারাজপুর ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের তোফাজ্জেল সরদারের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩০)।

কয়রা এলাকার শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম জানান, কয়রা থেকে ১৩ জন শ্রমিক গোপালগঞ্জ এলাকায় ধান কাটতে গিয়েছিল। মজুরি হিসাবে তারা ২০ থেকে ৩০ মণ ধান পায়। ধান নিয়ে ট্রাকে করে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় সাইদুর ও মনি নিহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, সড়কের দুই ধারের রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য খুঁড়ে রাখার কারণে মূলত এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

তালা থানার ওসি মো. মমিরুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুইজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে এবং ট্রাকটি আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



রাজশাহীতে সাংবাদিকের নামে সাইবার আইনে মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দেশ টিভির সাংবাদিক কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও  রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) রাজশাহী শাখা। দ্রুত সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।

শনিবার (১১ মে) বেলা ১১ টায় রাজশাহী মহানগরীর এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্ত্বর রেলগেটে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সদস্য রহমতুল্লাহ'র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন সভাপতি শামসুল ইসলাম।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ, ক্লাবের প্রেসিডিয়াম মেম্বার শাহিনুর রহমান সোনা, লিয়াকত হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক ইত্তেফাক পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আনিসুজ্জামান আনিস, রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন সাগর। এসময় মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করবেন এবং সংবাদ প্রকাশ করবেন। প্রচলিত আইনে সংবাদের ভুল তথ্য বা সম্মানহানি হলে প্রতিবাদসহ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার সুযোগ আছে। কিন্তু একটি সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে কালো আইনে সাইবার আদালতে মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা চরমভাবে হতাশ হয়েছেন। টেলিভিশনের একজন সংবাদকর্মী হিসেবে কাজী শাহেদ ওই সংবাদে অভিযোগকারীর বক্তব্য এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য প্রচার করেছেন। সংবাদে কাজী শাহেদ নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রচার বা মতামত প্রদান করেননি। তবুও অতি উৎসাহী হয়ে রাসিকের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন সাইবার আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রতিবাদে শনিবার এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, টেলিভিশনে প্রচারিত কোনো সংবাদে টিভি রিপোর্টারের নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রচারের সুযোগ থাকে না। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৯/৩১/৩৫ ধারায় মামলা দায়ের প্রকৃত আইনের অপব্যবহার, যা না করার ব্যাপারে সরকারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার আছে। দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। অবিলম্বে সাইবার আদালতের উক্ত মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহারের জোর দাবী জানানো হয়েছে এবং দ্রুত মামলা প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে সিনিয়র সাংবাদিকরা বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাসিক ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন এ আইন দিয়ে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের কণ্ঠ রোধ করতে চাইছেন। তিনি তাঁর অতীত ভুলে যেতে পারেন আমরা কিন্তু ভুলিনি। কোনো আইন দিয়ে সংবাদ কর্মীদের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না।

সুমনকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, আপনি সাংবাদিকদের এ কালো আইনে ভয় দেখাতে এবং নিজের অপরাধ ঢাকতে চাইছেন। সে সুযোগ আপনি পাবেন না, দ্রুত মামলা প্রত্যাহার করে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন। তা না হলে থলের কালো বিড়াল বের হয়ে যাবে। কতজনের নামে মামলা করবেন। এক এক করে সবাই যখন সংবাদ প্রকাশ শুরু করবে তখন কোথায় যাবেন?


আরও খবর



গরমে পুড়ছে ফিলিপাইন, তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিপাইনে প্রচণ্ড গরমের কারণে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে দেশটিতে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ক্ষতির কবলে পড়েছে। শুধু তাই নয় প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশটির শিক্ষার্থীরাও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্র বিদ্যমান। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এ ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে।

প্রচণ্ড গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দেশটির শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক তথ্যে বলা হয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মৌলিক শিক্ষা উপদেষ্টা জেরক্সেস কাস্ত্রো বলেন, মে মাসেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তখন গরম আরও বাড়বে। অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে ৫২ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে।

সুতরাং এমন পরিবেশে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব প্রশ্ন রাখেন তিনি।


আরও খবর



চকরিয়ায় মহাসড়কে গণডাকাতি, গুলি বিনিময়, পুলিশসহ গুলিবিদ্ধ ২

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রিদুয়ানুল হক, চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার)

Image

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ব্যারিকেড দিয়ে গণপরিবহনে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাত ৪টায় মহাসড়কের বরইতলী আলমনগর রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা ড্রামট্রাকের মালিক ডাকাতের গুলিতে আহত হন। পরে পুলিশ-ডাকাত গুলিবিনিময় হলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি কাটা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। পিটুনিতে আহত হয় প্রবাসীসহ পাঁচজন।

ডাকাতির খবর পেয়ে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ডিউটিরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে বলে জানা যায়। এসময় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এএসআই সোলায়মান খাঁন ও স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন ড্রামট্রাকের মালিক আব্দুল খালেক পুতু (৩০), ডাকাতের পিটুনিতে আহত হয়- প্রবাসী রফিক উদ্দিন বাবুল, তার স্ত্রী মোশারফা বেগম, শাশুড়ি শাহেনা বেগম, শ্যালক জুলফিকার আলি ভুট্টো ও অটোচালক এহসান।

প্রবাসী পরিবার ও সিএনজির যাত্রী জুলফিকার আলী অভিযোগ করে বলেন, ডাকাতের কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য চিৎকার দিলে ৩০০ গজ অদুরে থাকা হাইওয়ে থানার পুলিশ এগিয়ে আসেনি।

ডাকাতির শিকার ভুট্টো আরও বলেন, দীর্ঘ এক ঘণ্টার পর চকরিয়া থানাধীন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আইসি জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে আসে। হারবাং আইসি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, মহাসড়কের ডাকাতি রোধে হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্ব রয়েছে। তারা দায়িত্ব পালন না করে অন্য কাজে ব্যস্ত তাকে, অন্য কি কাজ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই জানে আমাকে কে প্রশ্ন করছেন। কিন্তু ডাকাতি সময় কিছু অদূরে হাইওয়ে থানার পুলিশ থাকলেও তারা এগিয়ে আসেনি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ডাকতের কবল থেকে প্রাবাসী পরিবার ও যাত্রীবাহী বাস উদ্ধার করে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত ১৫ বছরের মহাসড়কে এমন ডাকাতি ঘটনা ঘটেনি।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী নাদিম কাছে মহাসড়কের ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার জানার পর সাথে সাথে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করি। ডাকাতের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



হাসপাতাল থেকে শিশু অপহরণ, ১৪ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানে অপহরণের দায়ে মো. শহিদুল্লাহ (৫৭) নামে এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা এই কারাদণ্ড প্রদান করেন।

আসামি মো. শহিদুল্লাহ (৫৭) কক্সবাজারের মহেশখালীর ধইলের পাড় এলাকার আব্দুল হকের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১২ জুলাই ছেলে নাঈমকে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করানোর জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করান বাবা। ওই সময় নাঈমের মা ও ৫ বছরের বোন জান্নাতুল নাঈমা হাসপাতালে অবস্থান করছিল। ওই দিন সন্ধ্যায় ক্লান্তিতে পাশের খালি সিটে নাঈমের মা ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম ভাঙলে পাশে মেয়ে নাঈমাকে না দেখে চিৎকার করেন ও তাকে খুঁজতে হাসপাতালের নিচ তলায় আসলে নাঈমাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতালে অবস্থান করা অন্যান্য রোগীর স্বজনরা শহিদুল্লাহকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেন। পরে নাঈমার বাবা মো. আবদুল মান্নান বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বাসিং থুয়াই মার্মা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামি মো. শহিদুল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: বান্দরবান

আরও খবর