আজঃ শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪
শিরোনাম

মঠবাড়িয়ায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে নব দম্পতির মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
মনিরুল ইসলাম, মঠবাড়িয়া

Image

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের পশ্চিম কলেজ পাড়ায় রবিবার ভোর রাতে অগ্নিকাণ্ডে নব দম্পতিসহ একটি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন ও দমকল বাহিনী এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ইজিবাইক চালক সাইফুল হাওলাদার (২২) ও স্ত্রী মনিরা বেগম (১৮) ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে মারা যায়। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দাবী করেন।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার হারজী নলবুনিয়া গ্রামের দরিদ্র আঃ বারেক হাওলাদার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কলেজ পাড়ার স্কুল শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সারদুলের ভাড়াটিয়া ঘরে বসবাস করে আসছিলেন। শনিবার দিনগত রাত সাড়ে দশটার দিকে আঃ বারেক ও তার পরিবারের ৬ সদস্য ঘুমিয়ে পড়ে। রাত চারটার দিকে হঠাৎ আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়তে দেখে আঃ বারেকের বড় ছেলে শহিদুল ইসলাম চিৎকার দেয়। এসময় আঃ বারেক (৬৫), স্ত্রী রুপিয়া বেগম (৫০), পুত্র ইজিবাইক চালক শহিদুল (৩২) ও তার শ্যালক রাকিব (১৮) ঘর থেকে বের হয়ে আসলেও ঘরের পাটাতনে (মাচায়) ঘুমন্ত নব বিবাহিত সাইফুল হাওলাদার ও তার স্ত্রী মনিরা দগ্ধ হয়ে মারা যায়। এসময় আঃ বারেকের দুই পুত্র শহিদুল ও সাইফুলের ইজিবাইক দুইটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মৃতদের লাশ উদ্ধার করেন। অগ্নিদগ্ধে নিহত সাইফুলের শ্বশুর পাশ্ববর্তী পাথরঘাটা উপজেলার রুহিতা গ্রামের জেলে আনেচ হাওলাদার জানান, গত সাত মাস আগে সাইফুলের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়।

মঠবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সুমন জানান, চার্জে দেয়া ইজিবাইকের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে এ অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ, মাসুদুজ্জামান অগ্নিদগ্ধ হয়ে দম্পতির মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং লাশের ময়না তদন্তের জন্য রবিবার দুপুরে পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির বর্ণাঢ্য জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু হয়েছে। এক বর্ণাঢ্য জীবন ছিল তার। ইরানের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

এই শীর্ষ নেতার জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর। ইরানের উত্তর-পূর্ব মাশহাদের নোগান জেলায় বেড়ে ওঠেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তিনি ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে বড় হয়েছেন।

রাইসি জাভাদিয়াহ স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ করেন। এরপর হাওজায় (ইসলামি সেমিনারি) পড়াশুনা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি কওম সেমিনারিতে শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আয়াতুল্লাহ বোরুজেরদি স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। তিনি মোতাহারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন বলে জানা যায়। যদিও এ নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে।

মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি কারাজ শহরের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন ইব্রাহিম রাইসি।

তিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উপ-প্রধান বিচারপতি, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি ছিলেন। এছাড়া ১৯৮০ এবং ১৯৯০র দশকে তিনি তেহরানের প্রসিকিউটর এবং উপ-প্রসিকিউটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি আস্থান কুদস রাযভী নামের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক এবং চেয়ারম্যান ছিলেন। ইব্রাহিম রাইসি ২০০৬ সালে দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশ থেকে প্রথমবারের মতো বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মাশহাদের জুমা নামাজের ইমাম এবং ইমাম রেজা মাজারের প্রধান ইমাম আহমদ আলা মোলহোদার জামাতা ছিলেন।

২০২১ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে রাইসিকে নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়। ৬৩ বছর বয়সী রাইসি সে বছর দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দেশটির নৈতিকতা বিষয়ক আইন কঠোর করার নির্দেশ দেন।

ইব্রাহিম রাইসি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন। তাকে ২০১৯ সালে বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারপর থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ পর্যন্ত ইব্রাহিম রাইসি ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে হাসান রুহানির কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। ১৯৮০র দশকে রাজনৈতিক বন্দীদের যেভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাতে রাইসির ভূমিকা নিয়ে বহু ইরানি এবং মানবাধিকার কর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। যদিও ইরান কখনো এই গণ-মৃত্যুদণ্ডের কথা স্বীকার করেনি এবং এতে রাইসির ভূমিকা নিয়ে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কখনো কিছু বলেননি।

রাইসিকে একজন কট্টরপন্থী ধর্মীয় নেতা হিসেবেই বিবেচনা করা হতো। এ কারণে তিনি সরকার-বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভের মুখেও পড়েছেন। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় তিনি কঠোর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন।

অনেকে মনে করেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উত্তরসূরি হওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করছিলেন। ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ নেতা তাকে বিচার বিভাগের প্রধানের শক্তিশালী পদে নিযুক্ত করেন। বিশেষজ্ঞদের অ্যাসেম্বলির ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবেও নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট রাইসি। ইরানে ৮৮ সদস্যের এই বোর্ড দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচন করে থাকে।

২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়ে নির্বাচিত হন ইব্রাহিম রাইসি। তিনি প্রায় ৬২ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। অর্থাৎ ইরানের প্রায় ১ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেন।

কট্টরপন্থীরা পশ্চিমাদের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করলেও রাইসি এবং সর্বোচ্চ নেতা খামেনি উভয়েই পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তিতে ফিরে যেতে আগ্রহী ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তিতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার শর্তে দেশটির ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয় এবং ইরানের ওপর বেশ কিছু বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সাধারণ ইরানিরা অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়েছে যার কারণে জনগণের মনে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরের কাছাকাছি অবস্থানে ছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। তাকে তৈরি করা হচ্ছিল একেবারে সর্বোচ্চ আসনটির জন্য। কিন্তু আকস্মিক দুর্ঘটনা যেন সবকিছুর মোড় ঘুরিয়ে দিল।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুর পর নতুন করে গুঞ্জন উঠেছে যে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার স্থলাভিষিক্ত তাহলে কে হবেন? আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বয়স এখন ৮৫ বছর। অনেক দিন ধরেই তার স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।

ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্টের দুঃখজনক মৃত্যুতে দেশটির নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে এমনটি ভাবার কারণ নেই। তবে কঠোর রক্ষণশীলদের নিয়ন্ত্রিত কাঠামোকে একটি পরীক্ষার মধ্য দিয়েই যেতে হবে।

তার প্রতিপক্ষের লোকেরা হয়তো এই সাবেক আইনজীবীর প্রস্থানে স্বস্তিই খুঁজবেন। প্রতিপক্ষরা হয়তো আশা করবেন যে, তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে এই শাসনকালেরও ইতি ঘটবে। কিন্তু বাস্তবে আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে তাই এখন দেখার অপেক্ষা।

প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকেই ইরানসহ সারাবিশ্বেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে ইরানের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায় যে, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ অন্যান্য আরোহীরা মারা গেছেন।

রবিবার আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন। তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি।

প্রেসিডেন্টের বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করলেও রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

পূর্ব আজারবাইজানের ডেপুটি গভর্নর ফর ডেভেলপমেন্ট আলি জাকারি স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ওই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল এবং অন্য দুটি নিরাপদে অবতরণ করতে পেরেছে। কিন্তু একটি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বেল ২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টার বহন করছিল। এই মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ঝড়ের পূর্বাভাস, ৬ জেলায় সতর্কসংকেত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ৬ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দুপুর ১টার মধ্যে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ অবস্থায় এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়ার আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।


আরও খবর



জাজিরা সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাওন মিয়া (জাজিরা) শরীয়তপুর

Image

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) বিকালে হামলায় আহত সাংবাদিকদের পক্ষে জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি  মো. পলাশ খান বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এর আগে গত ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন সকাল ১১টার দিকে জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের ফরাজী দারুস সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভিডিও ধারণ করেন বার্তা বাজারের প্রতিনিধি আশিকুর রহমান হৃদয়সহ কয়েকজন সাংবাদিক। এসময় মোটরসাইকেল প্রতীকের ব্যাচ পরিহিত এক ব্যক্তি তাদের প্রথমে বাঁধা দেয় এবং তাদের মারধর করে মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এমন তথ্য পেয়ে জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. পলাশ খানসহ প্রেসক্লাবের ১০ জন সদস্য সেখানে তথ্য সংগ্রহে যায়। এ সময় মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজীর সমর্থকরা তাদের উপর চড়াও হয়।

একপর্যায়ে সাথে থাকা অন্য সাংবাদিকরা তাদের ছাড়াতে গেলে কমপক্ষে ৩০-৪০ জন মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক তাদের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়। এরমধ্যে প্রেসক্লাবের সভাপতি পলাশ খানসহ ৫ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়। এসময় হামলার শিকার সাংবাদিকদের সাথে থাকা মোবাইল, ক্যামেরাসহ তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ছিনিয়ে নিয়ে যায় ও ভেঙ্গে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মামলার বাদী জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. পলাশ খান বলেন, ভোট গ্রহণের তথ্য সংগ্রহে যাওয়ায় একদল সন্ত্রাসী আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে আমাদের বেধড়ক মারধর করে ও আমাদের সাথে থাকা মোবাইল ও ক্যামেরাসহ সকল সরঞ্জাম নিয়ে যায় ও ভেঙ্গে ফেলে। বিষয়টি নিয়ে আমি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছি। আশা করি প্রশাসন হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

মামলার তথ্য নিশ্চিত করে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় বুধবার বিকেলে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।


আরও খবর



ইসরায়েলকে রাফাতে হামলা বন্ধের নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের রাফাতে দখলদার ইসরায়েলের চলমান হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। শুক্রবার (২৪ মে) হেগ ভিত্তিক জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইসরায়েলকে এ নির্দেশ দেন।

রায়ে আইসিজের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম বলেন, রাফাতে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের যে কোনো হামলা বন্ধ করতে হবে। যে হামলায় গাজার ফিলিস্তিনি ও তাদের অবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

রাফাতে ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দারস্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটি দাবি করে, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ কারণে সেখানে হামলা বন্ধ করতে হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদন আমলে নিয়ে আজ শুক্রবার রাফাতে হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আইসিজের বিচারকরা।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, ইসরায়েল গাজার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং রাফা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে সেটিতে তারা সন্তুষ্ট নন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আজ আন্তর্জাতিক বিচার আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে সেটি দেওয়া হয়েছে মূলত যেন গাজার সাধারণ মানুষের অবস্থার আর অবনতি না ঘটে।

এছাড়া জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এ আদালত এবারই প্রথমবারের মতো দখলদার ইসরায়েলকে এমন নির্দেশ দিয়েছে; যেটির মাধ্যমে তাদের সামরিক পরিকল্পনায় বড় পরিবর্তন আনতে হবে।

আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন নির্দেশনা কার্যকর সম্পর্কে অবহিত করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ রাফা ক্রসিং খুলে দিতেও ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের ১৫ বিচারকের মধ্যে ১৩ বিচারক একমত হয়েছেন যে রাফার বর্তমান পরিস্থিতি সর্বোচ্চ সঙ্কটজনক অবস্থায় পৌঁছেছে।

আদালতের প্রধান বিচারক বলেছেন, রাফা থেকে ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েল এসব মানুষকে নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তা দিচ্ছে এমন দাবি তিনি বিশ্বাস করেন না। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের এ দাবির কোনো প্রমাণই তারা পাননি। আর এ কারণেই বিচারকরা এমন কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া যে বিষয়টি সবাইকে অবাক করেছে সেটি হলো, বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন গাজায় গণহত্যার চিহ্ন যেন নিশ্চিহ্ন হয়ে না যায় সেটি নিশ্চিতে যেন জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সেখানে অবস্থান করতে দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দেওয়া এই রায় এখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করা হবে। সেখানে যদি সব দেশ এতে সম্মত হয় তাহলে এটি কার্যকর হবে। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এই রায়ে ভেটো দেবে।


আরও খবর



সিআইপি কার্ড পেলেন চট্টগ্রামের ১২ ব্যবসায়ী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দেশের বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১৪০ জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত করেছে সরকার। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১২ ব্যবসায়ী রয়েছেন। অন্যদিকে পদাধিকার বলে ট্রেড ক্যাটাগরি থেকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৪৪ পরিচালকও পেয়েছেন সিআইপি মর্যাদা।

দুই ধরনের সিআইপি মিলিয়ে ২০২২ সালের জন্য মোট ১৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে গেজেট প্রকাশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকার ওয়াটার গার্ডেনে ১৮৪ ব্যবসায়ীর হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান ও এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।

চট্টগ্রামের নির্বাচিত ১২ সিআইপি হলেন, কৃষিজাত দ্রব্য একক ক্যাটাগরিতে (একক) নগরীর আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডের মেসার্স এস আর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. ফোরকান, এগ্রোপ্রসেসিং (একক) ক্যাটাগরিতে আগ্রাবাদ কিষোয়ান স্ন্যাকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, নীটওয়্যার (একক) ক্যাটাগরিতে ডবলমুরিং এলাকার ডিভাইন ইন্টিমেটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাওহার সিরাজ জামিল, নীটওয়্যার গার্মেন্টস (গ্রুপ) ক্যাটাগরিতে নাসিরাবাদ শিল্প এলাাকর কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, নীটওয়্যার গার্মেন্টস (গ্রুপ) ক্যাটাগরিতে বায়েজিদ কুলগাঁও জালালাবাদের রিটজী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা মো. জামশেদ আলী, টেঙটাইল (ফেব্রিঙ) একক ক্যাটাগরিতে পটিয়ার কালারপুল এলাকার ফোর এইচ ডাইং এন্ড প্রিন্টিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মিস সাহারা চৌধুরী, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে পাহাড়তলী সাগরিকা রোড বিসিক শিল্প এলাকার মেরিন সেফটি সিস্টেমের ব্যবস্থাপনা অংশীদার গাজী মোকাররম আলী চৌধুরী, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে নগরীর সদরঘাট রোডের বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলী হুসাইন, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে পাহাড়তলী সরাইপাড়া সাগরিকা রোডের মনির ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. মনির হোসেন, ইপিজেডভুক্ত সি (একক) ক্যাটাগরিতে সিইপিজেড প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর এবং ইপিজেডভুক্ত সি (একক) ক্যাটাগরিতে সিইপিজেডের ইউনিটি স্টাইল এন্ড এঙেসরিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ অহীদ সিরাজ চৌধুরী। অন্যদিকে সিআইপি ট্রেডে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধি এবং এফবিসিসিআই পরিচালক মোহাম্মদ নুরুন নেওয়াজ।

উল্লেখ্য, নির্বাচিত সিআইপিরা এক বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সুযোগসুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র গাড়ির স্টিকার পাবেন। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভিসাপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে লেটার অব ইন্ট্রুডাকশন ইস্যু করবে। সিআইপি ব্যক্তিদের স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। একইসঙ্গে বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে কাউকে প্রদত্ত সিআইপি সুবিধা প্রত্যাহার করার ক্ষমতা সরকার সংরক্ষণ করে।


আরও খবর