আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী খলিলুর রহমান গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আল-বদর বাহিনীর প্রধান নেত্রকোনার খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সাভার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী ছিলেন নেত্রকোনার খলিলুর রহমান। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।

এ বিষয়ে আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, খলিলুর রহমান ১৯৭১ সালে ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় আল-বদর বাহিনীতে যোগ দেন তিনি। পরে চণ্ডিগড় ইউনিয়নে আল-বদর বাহিনীর কমান্ডার হন তিনি। তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে ২২ জনকে হত্যা, এক নারীকে ধর্ষণসহ পাঁচটি অভিযোগ ছিল।

এ মামলায় মোট আসামি পাঁচ জন। বিচার শুরুর আগে একজন ও পরে তিন আসামি মারা যান। আর মামলার শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন খলিলুর রহমান। গত ১৩ সেপ্টেম্বর একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।


আরও খবর



হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের মাঝে হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা জাতের হীরা-৬ ধান। অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় চাষীরা রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন হীরা-৬ জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী মিশন পাড়ার অনুষ্ঠিত হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রীম সীড কোম্পানীর আয়োজনে হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসে স্থানীয় কৃষক আব্দুল আজিজ মৃধার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানীর জোনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনিতা মজুমদার। কোম্পানীর রিজিওনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ আসাদুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় পরিবেশক দুলাল রায়, কৃষক শওকত আকন প্রমুখ।

কৃষক শওকত আকন জানিয়েছেন, তিনি তার ৬০ শতক জমিতে হীরা-৬ জাতের বোরো ধান চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আগামীতেও তিনি এ জাতের ধান চাষ করবেন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে যেসব হাইব্রিড ধান চাষ হয় হীরা-৬ ধান তার মধ্যে অন্যতম। উচ্চ ফলনশীল হওয়ার কারণে এই ধান তাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

মাঠ দিবসের আলোচনার শুরুতে অতিথিরা কৃষকদের সাথে নিয়ে হীরা-৬ ধানসহ অন্যান্য জাতের চাষ করা কয়েকটি বোরো ক্ষেত পরিদর্শন করে ধানের চারা সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে গণনা করে হীরা-৬ ধানের প্রতিটি শীষে গড়ে ৩০৬ থেকে ৩১০টি ধান পাওয়া গেছে। অন্যান্য জাতের ধানে সর্বোচ্চ ২০০টি ধান পাওয়া যায়।

এরপর অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মশিউর রহমান বলেন, হীরা-৬ বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা হাইব্রিড ধান। এই জাতের ধানে অন্য যেকোন হাইব্রিড ধানের তুলনায় বেশি ফলন হয়। রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন ১৪৫ দিনের জীবন কাল হীরা-৬ ধানের জাতে প্রতি শতকে এক মনের অধিক ধান পাচ্ছেন কৃষক। পাশাপাশি এ ধানের খোসা অত্যন্ত পাতলা হওয়ায় প্রতি ১০০ মন ধানে ৭৩ মনের অধিক চাল পাওয়া যায়। এছাড়াও এ ধানের চাউলের ভাত অন্যান্য জাতের মতো আঠালো হয়না।

সভায় উপস্থিত প্রায় দুই শতাধিক কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বোরো চাষের শুরুতে আগে ভাবতে হবে কোন ধানের বীজ বপন করে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। কারণ এটা শুধু বীজ নয়; একটি পরিবারের স্বপ্ন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে যে কয়টি কোম্পানি হাইব্রিড ধানের আমদানির অনুমতি পেয়েছে তাদের মধ্যে একটি সুপ্রীম সিড। কোম্পানিটি বাংলাদেশে প্রথম চীন থেকে বাংলাদেশে হীরা ধানের বীজ এনে বাজারজাত করেন। এরপর তারা নিজস্ব উৎপাদনে যায়। বর্তমানে ৯০ শতাংশ বীজ নিজেরাই উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, হাইব্রিড ধান সাধারণত ৭০-৭৫ শতাংশ পাকলেই কাটতে হয়। কারণ ধান বেশি পাকার ফলে ক্ষেতেই ঝড়ে যায়। তখন হাইব্রিড ধানের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণা হয়। যে কারণে কৃষকদের সচেতনতার জন্যই মূলত হীরা-৬ ধানের মেগা মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।


আরও খবর



ধর্ষণ মামলায় জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিউটন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। শনিবার (১৮ মে) র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বহুল আলোচিত একজন নারী জুজুৎসু ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো.রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাওরান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।


আরও খবর



বাকৃবিতে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রী-শিক্ষক আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন তারা। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থীকে হলে নিয়ে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।

এ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি।

এরপর বাকৃবির প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার একটি স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই শিক্ষার্থী।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হন ওই শিক্ষার্থী। ভর্তির পরে ক্লাস শুরু হলে জানতে পারেন যে ওই শিক্ষক তাদের একটি ব্যবহারিক কোর্সের কোর্স শিক্ষক। মেসেঞ্জারে আলাপের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই শিক্ষক বিবাহিত এই বিষয়টিও জানতেন ওই শিক্ষার্থী। বিবাহিত হওয়ার পরেও ওই ছাত্রীর সঙ্গে নিজের গাড়িতে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট, মুক্তাগাছাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন তিনি।

ড. আফরিনা মুস্তারি জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের আগে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আপত্তিকর অবস্থায় আমাকে পাওয়া গেছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মেয়েটা আমার গাড়িতেই ছিল, আমি তাকে হলগেটে পৌঁছে দিয়েছি। পরে শুনলাম হলে নাকি কয়েকজন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিছু বক্তব্য ও স্বাক্ষর নিয়েছে। মেয়েটা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন প্রকৃতির। আমার সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে তার দুঃখের কথা শুনে তাকে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বাসে যবিপ্রবি ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

লোকাল বাসে বহিরাগত কর্তৃক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঘটনার বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভার্সিটির সকালের বাস মিস করায় ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ধর্মতলা থেকে চৌগাছাগামী লোকাল বাসে ওঠে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী। পথিমধ্যে চূড়ামনকাঠি থেকে মাসুদ নামের একটি ছেলে বাসে ওঠে। বাসে সিট খালি না থাকায় ওই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকে মাসুদ। বাসে ভিড় থাকার সুযোগে ওই নারী শিক্ষার্থীর শরীরে স্পর্শ করতে থাকে মাসুদ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ছেলেটিকে সরে যেতে বললে, কথা না শুনে পুনরায় স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে মাসুদ। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীদের বিষয়টি অবহিত করলে তারাও কোনো সুরাহা করতে পারেননি।

একপর্যায়ে বাসটি ক্যাম্পাসের গেটে আসলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে নেমে পড়েন মাসুদ। তবে বিষয়টি ক্যাম্পাসে জানাজানি হবার পূর্বেই ছেলেটি পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ঘটনাটি সহপাঠীদের জানালে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় তারা। এদিকে বিচারের দাবিতে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

বিষয়টি জানতে পেরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। ঘটনায় বিস্তারিত যবিপ্রবি উপাচার্য সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, যেহেতু এ বিষয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে, তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে এবং পুনরায় যেন এ রকম কার্যকলাপ না ঘটে সেই বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা হবে। আমরা যশোর বাস মালিক সমিতির সঙ্গেও আলোচনা করব যেন তারা এসব বিষয়ে এরপর থেকে আরও সচেতন থাকে।


আরও খবর



সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোয়াদ (১৯) নামে ওই শিক্ষার্থী ঢাবির দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা পৌনে ২টার দিকে ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিং পুলে এই ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা ২টায় মৃত ঘোষণা করেন।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠী মো. সোহাগ জানান, দুপুরে ঢাবির অনেক শিক্ষার্থী সুইমিং পুলে গোসল করছিল। সেখানে সাঁতার কেটে একপাশ থেকে অন্যপাশে যাচ্ছিল অনেকে। তখন তারা দেখতে পান সোয়াদকে ঘিরে আছে সবাই। এগিয়ে গেলে জানতে পারেন, পুলের পানিতে ডুবে গিয়েছিল সে।

সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে তারা নিজেরাই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোয়াদের মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি শাহবাগ থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

সোয়াদের বাড়ি বগুড়া জেলায়। দর্শন বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র সে। থাকতো হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলে। তার সাঁতার জানা ছিল বলে জানান সহপাঠীরা। তবে কীভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে তা জানাতে পারেনি।

ঢাবির শিক্ষার্থী মোল্লা তৈমুর রহমান জানান, সোয়াদ তার জুনিয়র। সুইমিং পুলে গোসল করার সময় যখন পাড়ে ভিড় দেখেন। তখন সহপাঠীরাই তার পেট চাপাচাপি করে পানি বের করার চেষ্টা করছিল। ওখানকার কোনো স্টাফ বা কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের সাহায্য করেনি।

তিনি বলেন, সোয়াদের ব্যাচমেটদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, তার শ্বাসকষ্টজনতি সমস্যা ছিল। যে কারণে সাঁতার জানা সত্ত্বেও গোসল করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যেতে পারে সে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪