আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিন মামলা, রিমান্ডের আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আশ্রমে দুস্থদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি, মানবপাচার, অর্থ আত্মসাৎ, শিশুদের ওপর হামলা, টর্চার সেল গঠনের মতো গুরুতর সব অভিযোগের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এরমধ্যে প্রতারণা, মানবপাচার, নির্যাতনসহ কয়েকটি অভিযোগ এনে দু‌টি মামলা করা হয়েছে মিরপুর ম‌ডেল থানায়। এর মধ্যে এক‌টি মামলার বাদী হয়েছে পু‌লিশ।

আর এসব অভিযোগে বিষয়ে আরো তথ্য বের করতে মিল্টনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে তোলা হবে দুপুর আড়াইটায়।

নিজেকে দাতব্য কাজে জড়িত থাকার প্রচারণা চালানো মিল্টনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। এসব নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বুধবার রাতে তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

গ্রেপ্তারে পর তাৎক্ষণিকভাবে গোয়েন্দা প্রধান হারুন সাংবাদিকদের বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে অনেকগুলো সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে, এরপর রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

বরিশালের উজিরপুরের মিল্টন নিজের বাবাকে পিটিয়ে এলাকা ছাড়েন মিল্টন। ঢাকায় এসে একটি দোকানে ওষুধ বিক্রি করতেন। সেখান থেকেই তার উত্থান।

এক নার্সকে বিয়ের পর মিল্টন বৃদ্ধাশ্রমের স্বপ্ন দেখেন এবং এরপরই তিনি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার গড়ে তোলেন বলে জানান ডিবির হারুন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মিরপুরের সেই চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের কার্যালয় থেকে আটক করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে।

মিল্টনের বিরুদ্ধে অসহায় মানুষের নামে সংগ্রহ করা অর্থ আত্মসাৎ এবং তাদের কিডনিসহ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরি করে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এছাড়া জাল মৃত্যু সনদ তৈরি এবং জমি দখলের মতো গুরুতর সব অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রচারণার জন্য বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন মিল্টন। ফেইসবুকে তার তার দুই কোটি ফলোয়ার। প্রায় দেড় ডজন লোকবলের একটি দক্ষ টিম মিল্টনের দাতব্য কাজের গুণকীর্তন গেয়ে কনটেন্ট তৈরি করতো। আর সেসব কনটেন্ট মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে সংগ্রহ করা হতো কোটি কোটি টাকার তহবিল।

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার নামের বৃদ্ধাশ্রম ঘিরে তার অপকর্মের ফিরিস্তি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত ২৮ এপ্রিল মানবাধিকার কমিশন থেকে মিল্টনের অভিযোগের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে বলা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, শিশু ও বৃদ্ধদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করার অভিযোগ আছে। এগুলো আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখবো।

এছাড়া তিনি যে অনুদানের টাকা পেতেন তা যথাযথভাবে খরচ করা হতো কি না, তার শেল্টার হোমে শিশু ও বৃদ্ধ যারা আশ্রিত থাকতেন তাদের অভিভাবকরা এলে তাদের যে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

একইসঙ্গে মিল্টন যে ৯০০ লাশ দাফন করার কথা প্রচার করেছিলেন এবং ডেথ সার্টিফিকেটে নিজেই সিল বানিয়ে চিকিৎসকের স্বাক্ষর দিতেন এসব অভিযোগও বিস্তারিত তদন্ত করা হবে বলে জানান হারুন।


আরও খবর



এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছে ২০৪ কোটি ডলার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। এ মাসে দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৭৪৮ কোটি টাকা।

এর আগের মাস মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন (১.৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। তবে ওই মাসে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, বিদেশিখাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। দ্বিতীয়মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন এবং এপ্রিলে এলো দুই বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা ও স্বজনেরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচনে আর মাত্র এক দিন বাকি। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। প্রথম ধাপের ৮ই মে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে ছুটছেন প্রার্থীরা। সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়।

ভোটারদের মন জয় করতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতিদিন ব্যবহার করছেন নতুন নতুন কৌশল। চলছে পোস্টার, ফেস্টুন ও লিফলেট বিতরণ। সেই সঙ্গে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

বিগত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে কে কি করেছেন, নতুন রা জয়ী হলে কি করবেন, সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তাদের বিরামহীন প্রচারণায় ইতোমধ্যে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটারদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে বেশ আগ্রহ। তারাও হিসাবনিকাশ করতে শুরু করছেন-কার হাত ধরে হবে উপজেলা বাসীর ভাগ্য উন্নয়ন। যোগ্য প্রার্থী বেছে নেয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চান ভোটাররা। ৮ই মে ভোটাররা ভোট দিয়ে আগামী পাঁচ বছরে জন্য যোগ্য চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।

সাধারণ ভোটাররা জানান, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিপদে-আপদে পাশে পাওয়া যাবে এমন প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা। জনবিচ্ছিন্ন কোনো প্রার্থীকে তারা চান না। আগামী ৮ই মে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনবান্ধব ও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান।

জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১২ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। গত ২৩ শে এপ্রিল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনের মাঠ সরব হয়ে উঠেছে এ উপজেলায়। এর আগে এই উপজেলায় মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় মোট ১০টি ইউনিয়ন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭১ টি। কক্ষের সংখ্যা ১৪২৪, মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ২২২জন।

প্রতিটা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ভোটাররা যেন বাড়ি ফিরতে পারে এমন প্রস্তুতি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।


আরও খবর



সিনিয়র না হলে জয়কে থাপড়াতাম : মিষ্টি জান্নাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সম্প্রতি ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ের গুঞ্জন উঠেছে চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতের। এই গুঞ্জনের সূত্রপাত, কিছু সংবাদকে কেন্দ্র করে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, শাকিবের জন্য চিকিৎসক পাত্রী খুঁজছে তার পরিবার। ইতোমধ্যে একজনকে নাকি বেশ পছন্দ হয়েছে তাদের। তবে সেই পাত্রীর পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।

চিকিৎসক পাত্রীর খবর প্রচার হতেই অনেকে দাবি করছেন শাকিবের হবু বউয়ের নাম ডাক্তার মিষ্টি জান্নাত। যিনি ঢাকাই সিনেমার একজন অভিনেত্রী। পাশাপাশি চিকিৎসকও বটে।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা নিজেও। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ের খবরটি অস্বীকার না করলেও গুঞ্জন হিসেবেই রাখতে চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বলেছেন, শাকিব খানকে ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করেন।

শাকিব-মিষ্টির বিয়ের সেই গুঞ্জনে যোগ দিয়েছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। সম্প্রতি মিষ্টি জান্নাতকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ওই মেয়ে ভাইরাল হতেই শাকিবকে জড়িয়ে এসব কথা বলছেন। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মিষ্টি জান্নাত। তার দাবি, শাহরিয়ার নাজিম জয় তাকে চেনেন। তবুও না চেনার অভিনয় করেছেন।

এই অভিনেত্রী বলেন, ‘‘জয় ভাইয়াকে দেখলাম, সে বলছেন- ওই যে একটা মেয়ে, শাকিব খানকে নিয়ে ভাইরাল হতে চান। তিনি একজন ডাক্তার পাশাপাশি অভিনেত্রী, যেটা মিলে গেছে। তাদের বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না। এটা উনি কীভাবে জানলো? কীভাবে বললো? এটা আমার প্রশ্ন।’’

মিষ্টি জান্নাত বলেন,  সে আমাকে চেনে। গত পরশুদিন আমাকে টেক্সট করে বলছে, মিষ্টি কোথায় আছো? চলো লং ড্রাইভে যাই। অথচ, এমন একটা ভাব নিল, সে আমাকে চেনেই না।  জয় তাকে প্রায়শই মেসেজ দেন। নিকেতনে আসলে একসঙ্গে বসে কফি খান। তবুও তাকে না চেনার ভান করেছেন।

মিষ্টি জান্নাত বলেন, সে বললো, ওই যে একটা মেয়ে। এটা কেন বলবে? আমি কষ্ট পেয়েছি। যদি সে সিনিয়র না হতেন, তাহলে তাকে ধরে থাপড়াতাম। তার প্রোগ্রামে গেলেও এমন করে। অফস্ক্রিনে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করে। আমার কাছে সেসবের ভিডিও আছে। সে অনেক নেগেটিভ কথা বলে।

উল্লেখ্য, ঢাকাই সিনেমায় পরিচিত মুখ মিষ্টি জান্নাত। ২০১৪ সালে লাভ স্টেশন সিনেমার মাধ্যমে শুরু করেন রুপালি পর্দার ক্যারিয়ার। এরপর নিয়মিত কাজ করেছেন সিনেমায়। অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে মিষ্টি জান্নাত একজন দন্ত্য চিকিৎসক।


আরও খবর



আবার আটকে গেল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ঠিকাদারি কোম্পানি ইতাল-থাইয়ের শেয়ার চীনের সাইনোহাইড্রো করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরে দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আট সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর ফলে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আবার আটকে যাওয়ায় সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্পে নির্মাণকাজে ফের বিলম্ব হওয়ার শঙ্কা তৈরি হলো।

গত সোমবার সাইনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন হাইকোর্ট। কিন্তু বাদী পক্ষের আবেদনে হাইকোর্টের ওই আদেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এ দিন আদালতে ইতালিয়ান-থাইয়ের পক্ষে শুনানি করেন এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল। আর সাইনোহাইড্রোর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

ইতাল-থাই কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে তাদের শেয়ার সাইনোহাইড্রোর কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এতে হঠাৎ করেই নির্মাণ কাজ থেমে যায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মগবাজার অংশে। চলতি বছরেই অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হওয়ার কথা। কিন্তু তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

তিন কোম্পানির এ দ্বন্দ্ব অবশ্য শুরু হয় বেশ কয়েক বছর আগে। ২০১১ সালে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ পায় থাইল্যান্ডের কোম্পানি ইতাল-থাই। তবে অর্থ জোগাড় করতে ব্যর্থ হওয়ায় আট বছরেও কাজ শুরু করতে পারেনি কোম্পানিটি। ২০১৯ সালে ইতাল-থাইয়ের সঙ্গে চীনের দুই কোম্পানি শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ও সাইনোহাইড্রোকে যুক্ত করে শুরু হয় কাজ। এ কাজে তিন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার যথাক্রমে ৫১, ৩৪ ও ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের জোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু থাইল্যান্ডভিত্তিক ইতাল-থাই কিস্তির টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের শেয়ার দাবি করে সাইনোহাইড্রো। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে শুরু হয় আরবিট্রেশন। এদিকে বিষয়টি হাইকোর্টে নিয়ে যায় ইতাল-থাই। এরই মধ্যে প্রকল্পে ঋণ সহায়তা স্থগিত করে দেয় দুটি চীনা ব্যাংক। তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চলা দ্বন্দ্বে থমকে যায় রাজধানীর যানজট নিরসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ। শঙ্কায় এখন পুরো প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ করা নিয়েও।

বিওওটি ভিত্তিতে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প নেওয়া হয় ২০০৯ সালে। ২০১১ সালে নির্মাণ চুক্তি হয়। সাড়ে তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়নি।

আনুষ্ঠানিক নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার দূরত্ব অংশ উদ্বোধন করা হয়। পরদিন এই অংশে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) গেট-সংলগ্ন র‍্যাম্প যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা।


আরও খবর



ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গত রাতে বাগদাদের পূর্বাঞ্চলীয় জাইউনা জেলায় নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। টিকটকে তার হাজার হাজার অনুসারি রয়েছে। খবর আল জাজিরা

নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, শুক্রবার রাতে কালো পোশাক ও হেলমেট পরা একদল লোক মোটরবাইকে করে এসে কিছুটা পথ হেটে একটি কালো রংয়ের এসইউভি গাড়িতে গুলি চালায়। ওই গাড়িতেই টিকটক তারকা ওম ফাহাদ বসে ছিলেন।

ইরাকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাকে হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওম ফাহাদের প্রকৃত নাম গুফরান সায়াদি, টিকটকে তার অর্ধ মিলিয়ন অনুসারি রয়েছে। পপ মিউজিকের সঙ্গে নেচে ভিডিও তৈরি করে সেগুলো টিকটিকে শেয়ার করতেন তিনি। তার তৈরি ভিডিওতে শালীনতা নষ্ট করে এমন বক্তব্য এবং জনসাধারণের নৈতিকতা ভঙ্গের দায়ে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। যদিও তার ভিডিওগুরো ১০ লাখের অধিক ভিউ হয়েছে।

ওই সময়ে পাঁচ কনটেন্ট ক্রিয়েটরকেও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়। ওম ফাহাদের ওই ধরনের অশালীন ভিডিও তৈরি ইরাকি সমাজ এবং পারিবারিক সংস্কৃতিতে কতটা প্রভাব পড়ে তা জানার জন্য ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একটি কদন্ত কমিটি গঠন করে।

ওম ফাহাদের মতো ইনফ্লুয়েঞ্জারকে হত্যার মতো ঘটনা এটাই প্রথম নয়, দেশটিতে অনলাইনে মুক্তমত প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যাপক কঠোরতা রয়েছে। এটি দিন দিন বাড়ছে। এর আগেও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ২৩ বছর বয়সী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ২০২৮ সালে ২২ বছর বয়সী মডেল ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জার তারা ফারেজকেও বন্দুকধারীরা হত্যা করে।

ইরাকে অনার কিলিং (সম্মান রক্ষার্থে হত্যা) এর মতোও ঘটনা রয়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে ২২ বছর বয়সী ইউটিউবার তিবা আল আলীকে তার বাবা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।


আরও খবর