আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

মেসিকে ছাড়াই আর্জেন্টিনার সহজ জয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ জুন ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ জুন ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

কাতারে বিশ্বজয়ের পর প্রথমবারের মতো দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিকে ছাড়া খেলতে নেমেছে আর্জেন্টিনা। সুপারস্টার লিওনেল মেসির অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এশিয়া সফরে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়াকে ২-০ গোলে হারালেও ঘাম ঝরাতে হয়েছে আলবিসেলেস্তাদের। সোমবার রাতে ইন্দোনেশিয়ার গেলোরা ব্যাং কর্ন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল দুটি করেন লিয়েন্দ্রো প্যারাডেস ও ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো।

আরও পড়ুন: ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে স্পেন

২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু হওয়ার আগে ফিফা উইন্ডোতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে এশিয়া সফরে এসেছে আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচে চীনের বেজিংয়ে মেসি জাদুতে অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ গোলে হারায় তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৪৯ ধাপ পিছিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে তেমন সুবিধা করতে পারেনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। পুরো ম্যাচে মেসি-ডি মারিয়া বিহীন আর্জেন্টিনার সঙ্গে অনেকটা সমানতালে লড়াই করে ইন্দোনেশিয়া। আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ দুটি দুর্দান্ত সেভ না করলে ম্যাচের ফলাফল হয়তো অন্যরকমও হতে পারত! প্রথমার্ধে মনের মতো পারফরমেন্স প্রদর্শন করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। এর মাঝে ৩৮ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে চোখ ধাঁধানো শটে গোল করে আর্জেন্টিনাকে স্বস্তি এনে দেন প্যারাডেস। বিরতিতে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে ইন্দোনেশিয়ার পাল্টা আক্রমণ অসামান্য দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজ।

আরও পড়ুন: কালো জার্সিতে মাঠে নামবে ব্রাজিল

বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করে ইন্দোনেশিয়া। কিন্তু উল্টো ৫৫ মিনিটে রোমেরো গোল করে আর্জেন্টিনার জয় নিশ্চিত করেন। এরপর স্বাগতিকরা বারকয়েক গোলের সুযোগ সৃষ্টি করলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। এই ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি জানিয়েছিলেন, ম্যাচে বেশকিছু পরিবর্তন করা হবে। যে কারণে ম্যাচটি খেলেননি নিয়মিত অধিনায়ক লিওনেল মেসি, উইঙ্গার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও সেন্টারব্যাক নিকলাস ওটামেন্ডি। বিশ্বকাপের পর এই প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের হয়ে খেলেননি সাতবারের ফিফা সেরা তারকা মেসি।


আরও খবর



কোন রাস্তায় কত গতিতে যানবাহন চলবে, জানাল সড়ক বিভাগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে দিন দিন বেড়েই চলছে সড়ক দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে কোন সড়কে, কত গতিতে কোন ধরনের যানবাহন চলবে, তা ঠিক করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। গত রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভাগ থেকে মোটরযানের গতিসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪ জারি করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) থেকে এ বিধিমালা কার্যকর হয়েছে।

বিধিমালা অনুযায়ী, এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৫০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ২০ কিলোমিটার।

মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস, হালকা যাত্রীবাহী মোটরযান এবং বাস-মিনিবাস ও ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৭০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৬০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৪০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৪০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

ট্রাক, মিনি ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ মালবাহী মোটরযান এবং ট্রেইলারযুক্ত আর্টিকুলেটেড মোটরযানের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪৫ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৪০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ও (ক্যাটাগরি-বি) এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা সড়ক, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদর, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে চলাচলের অনুমতি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে। এ ছাড়া শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ২০ ও ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দেশব্যাপী উন্নত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির ফলে সড়ক ও মহাসড়কে দ্রুতগতির যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রায়ই অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ মোটরযানের অতিরিক্ত গতি ও বেপরোয়াভাবে মোটরযান চালানো। দ্রুতগতির কারণে আঘাতের মাত্রাও হয় অত্যধিক। ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই নতুন এই নির্দেশিকা জারি করা হলো।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এ গতিসীমা অবশ্যই মেনে সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযান চালাতে হবে। সেখানে বলা হয়েছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক এলাকা এবং হাট-বাজার ইত্যাদি সংলগ্ন সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। তবে তা কোনোক্রমেই জাতীয় মহাসড়কের ক্ষেত্রে ৪০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষেত্রে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টার বেশি হবে না। সর্বোচ্চ গতিসীমার এই বাধ্যবাধকতা শুধু স্বাভাবিক অবস্থায় প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, প্রখর রোদ, অতিরিক্ত বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা ইত্যাদি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণযোগ্য নিরাপদ গতিসীমা প্রযোজ্য হবে। দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে, মোটরযান চালানো বন্ধ রাখতে হবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়, এক্সপ্রেসওয়ে, জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং জেলা সড়কের উভয় দিকের প্রবেশমুখ ও নির্দিষ্ট দূরত্বে যানবাহনভিত্তিক নির্ধারিত গতিসীমা-সংক্রান্ত সাইন রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রদর্শন করতে হবে। মোটরযানের শ্রেণি বা ধরন অনুযায়ী, ভিন্ন ভিন্ন গতিসীমার জন্য একই পোস্টে মোটরযানের নাম ও ছবিসংবলিত গতিসীমার সাইন প্রদর্শন করতে হবে। পাহাড়ি এলাকা, আঁকাবাঁকা সড়ক, বাঁক, ব্রিজ, রেল বা লেভেল ক্রসিং, সড়ক সংযোগস্থল, বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সামনে সাইনে প্রদর্শিত গতিসীমা প্রযোজ্য হবে।

নির্দেশিকায় বিশেষ কিছু নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সড়ক বাঁক, জংশন, জ্যামিতিক কাঠামো, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মোটরযানের শ্রেণি বা ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট দূরত্বের জন্য ট্রাফিক সাইন ম্যানুয়াল অনুযায়ী স্ট্যান্ডার্ড ট্রাফিক সাইন পোস্ট ও গতিসীমা প্রদর্শন বা স্থাপন করবে।

বিশেষ নির্দেশে আরও বলা হয়, মালবাহী মোটরযানসহ অন্যান্য স্বল্পগতির মোটরযান সর্বদা সড়কের বাঁ পাশের লেন দিয়ে চলাচল করবে। শুধু ওভারটেক করার সময় ডান লেন ব্যবহার করতে পারবে, কখনো বাঁ লেন দিয়ে ওভারটেক করা যাবে না।

এতে বলা হয়- ওভারটেকিং নিষিদ্ধ না থাকলে রাস্তার ট্রাফিক সাইন, রোড মার্কিং দেখে এবং সামনে, পেছনে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় জায়গা থাকলে নিরাপদ পরিস্থিতি বিবেচনায় ওভারটেক করা যাবে। ওভারটেক করার সময় সামনে বিপরীত লেনে আসা গাড়ি এবং পেছনের গাড়ির অবস্থান ও গতিবেগ দেখে ওভারটেকিংয়ের জন্য নিরাপদ দূরত্ব আছে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। নির্দেশ পালন না করলে বা গতিসীমা লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



অবসরের ঘোষণা দিলেন ভারতের অধিনায়ক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

অবশেষে ভারতীয় ফুটবলে ঘটতে চলেছে একটি যুগের অবসান। দেশটির ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা সুনীল ছেত্রী শেষমেশ অবসর নিতে চলেছেন।

জানা গেছে, আগামী ৬ জুন যুবভারতী স্টেডিয়ামে কুয়েতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক ভিডিও বার্তায় এ কথা নিজেই জানিয়েছেন সুনীল।

২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছিল সুনীল ছেত্রীর। ৩৯ বছর বয়সী ভারতীয় এই কিংবদন্তি অধিনায়ক দীর্ঘ সময় ভারতের আক্রমণভাগকে একাই নেতৃত্ব দিয়েছেন। অসংখ্য ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন তিনি। অনেক হৃদয়-বিদারক ম্যাচের সাক্ষীও তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষেও তার রয়েছে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স।

অবসরের ঘোষণা দিয়ে সুনীল বলেন, একটা দিন জীবনে কোনও দিন ভুলতে পারব না। যে দিন দেশের জার্সি গায়ে প্রথম বার ভারতের হয়ে খেলতে নেমেছিলাম। অবিশ্বাস্য অনুভূতি। গত ১৯ বছরে অসহ্য চাপ এবং দেশের হয়ে খেলার আনন্দ, দুটোই আমার সঙ্গে সব সময় ছিল। ব্যক্তিগত ভাবে আমি কোনও দিন ভাবতে পারিনি দেশের হয়ে এত গুলো ম্যাচ খেলব, ভাল হোক বা খারাপ, এত কিছু করতে পারব। এখন আমি সেটা পেরেছি। গত এক-দেড় মাসে আমি সেটা পেরেছি এবং খুব অদ্ভুত লেগেছে। হয়তো করতে পেরেছি কারণ, আমি বুঝতে পেরেছিলাম পরের ম্যাচটা আমার শেষ ম্যাচ হতে চলেছে।

জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামলে এখনও সুনীলের দিকে তাকিয়ে থাকেন ভারতের সমর্থকেরা। কত বার তিনি ভারতকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন বা দেশকে গর্বিত করেছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। এখন পর্যন্ত সুনীলের যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে পায়নি ভারত। সম্ভাব্য হিসাবে অনেকের নাম উঠে আসলেও কেউই তার মানের হতে পারেনি।


আরও খবর



বেলাবতে এক মঞ্চে সকল প্রার্থীদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

বেলাব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিন্ধদ্বী সকল প্রার্থীরা এক মঞ্চে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।

শনিবার বেলাব উপজেলার নারায়নপুর এলাকার সমাজসেবী সংগঠন লাল সবুজ চেতনা সংসদের উদ্যোগে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিব্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ও পুরুষ পদপ্রার্থীদের এক মঞ্চে আনা এনে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

শনিবার বিকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাল সবুজ চেতনা সংসদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ব্যতিক্রমী এই নির্বাচনী ইশতেহার ও এক মঞ্চে সকল প্রার্থীদের একসাথে দেখতে বেলাব উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ ভোটাররা উপস্থিত হয়।

নারায়নপুর রাবেয়া মহাবিদ্যালয়ের ফরিদা বেগম মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে ভোটারদের সামনে প্রার্থীরা তাদের নির্বাচন পূর্ব প্রতিশ্রুতি ও নির্বাচন পরবর্তী কর্মপরিকল্পনার ইশতেহার ঘোষণা করেন।

চেয়ারম্যান পদ ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী বেলাব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও ইশতেহার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন,কাপ পিরিচ পদে বেলাব উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী শরিফ উদ্দীন খান মোমেন, ঘোড়া প্রতীকে ভাস্কর অলি মাহমুদ, আনারস প্রতীকে আমান উল্লাহ আমান, চিংড়ি মাছ প্রতীকে মাজহারুল হক, টেলিফোন প্রতীকে জোনাইদ হোসেন পারভেজ।

ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে বই প্রতীকে ইসলাম উদ্দিন, টিয়া পাখি প্রতীকে সাইফুল ইসলাম, টিউবওয়েল প্রতীকে মো: খোর্শেদ আলম, তালা প্রতীকে রফিকুল ইসলাম।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রজাপতি প্রতীকে শারমিন আক্তার খালেদা, সেলাই মেশিন প্রতীকে রহিমা বেগম ময়ুরী, হাঁস প্রতীকে নাজমুন্নাহার আমিনা।

প্রার্থীরা শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে ও স্মার্ট উপজেলা গড়তে সকলে ঐক্যমত পোষন করেন এবং তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের পাতায় উঠে আসে সমাজ থেকে সন্ত্রাস, মাদক নির্মূল, বাল্যবিবাহ, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতি।

কাপ পিরিচ প্রতিকের প্রার্তী শরিফ উদ্দীন মোমেন তার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে বেলাব উপজেলাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্তসহ একটি মডেল উপজেলা হিসাবে বেলাব উপজেলাকে গড়ে তুলবেন।

আনারস প্রতীকে প্রার্থী আমান উল্লাহ বলেন, নির্বাচিত হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন, সন্ত্রাস দূরীকরণ, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা এবং কৃষিতে ন্যায মূল্য পেতে হিমাগার নির্মান করবো।

ঘোড়া প্রতীকে প্রার্থী ভাস্কর অলি মাহমুদ বলেন, স্মার্ট, আধুনিক ও সমৃদ্ধ উপজেলা গড়তে যা যা করা দরকার তাই করবো। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে কাজ করবো। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করতে সকল প্রার্থীরা তাদের অঙ্গিকার পোষণ করেন।


আরও খবর



এবার ভরিতে ১৮৭৮ টাকা কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা।

স্বর্ণে দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটেগরি ভেদে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল সাত দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সবশেষ গত ৩০ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের ৪২০ টাকা কমানো হয়।


আরও খবর



প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ: ইসি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শুরুর পর প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)

বুধবার (৮ মে) বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) তথ্য অনুযায়ী- উপজেলায় এ পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ। প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬০০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হচ্ছে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

এদিকে, যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করে ইসি।

প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ ও ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর