আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

মেধাবী কর্মী আকর্ষণে শীর্ষে সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মেধাবী কর্মী আকর্ষণে নিজেদের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর। এ তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ডেনমার্ক। নতুন সমীক্ষা অনুসারে, সর্বোচ্চ মেধাভিত্তিক সক্ষমতার দেশ হিসেবে চতুর্থ স্থানে নেমে গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে চীন এক ধাপ এগিয়ে ৩৬তম অবস্থানে উঠে এসেছে। দেশটি বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভালো পারফরম্যান্সের মাধ্যমে রেকর্ড অবস্থান নিশ্চিত করেছে। অলাভজনক ব্যবসায়িক স্কুল ইনসিয়াডের সাম্প্রতিক গ্লোবাল ট্যালেন্ট কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্স (জিটিসিআই) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।  মেধাভিত্তিক সক্ষমতায় শীর্ষ দশে থাকা বাকি দেশগুলো হলো সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জিটিসিআইয়ের একাডেমিক ডিরেক্টর ও ইনসিয়াডের জ্যেষ্ঠ অ্যাফিলিয়েট প্রফেসর অব স্ট্র্যাটেজি ফেলিপে মন্টেইরো এবং ইনসিয়াডের বিশিষ্ট ফেলো ও পোর্টুলানস ইনস্টিটিউটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ব্রুনো ল্যানভিন মুখ্য গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন। তারা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, এ র্যাংকিংয়ে ধনী ও দরিদ্র অর্থনীতির মধ্যে বড় ধরনের ব্যবধান অব্যাহত থাকবে। এমনকি এ ব্যবধান আগামী বছরগুলোয় বাড়বে। কারণ বিশ্বজুড়ে চলমান সংকটগুলো দরিদ্র অর্থনীতির দেশগুলোর দক্ষ কর্মী আকর্ষণে বৃহত্তর প্রভাব ফেলবে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও মূল্যস্ফীতির কারণে পণ্য, পরিষেবা ও মানুষের বিস্তৃত হওয়ার প্রবণতায় সীমাবদ্ধতা বাড়তে পারে। এটি শ্রমবাজারের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। এ বিষয়গুলো উন্নত অর্থনীতির শ্রমবাজারে নতুন ধরনের বৈষম্যও সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য গবেষকরা নিয়োগকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, আকর্ষণ ও মেধাবী কর্মীদের ধরে রাখতে নতুন নতুন উপায় অনুসন্ধানের আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ঘন ঘন চাকরি পরিবর্তন এবং পার্ট টাইম চাকরির প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে। মহামারী-পরবর্তী সময়ে গবেষকরা আরো দেখেছেন, লিঙ্গ বিভাজন সমাধানের সাম্প্রতিক অগ্রগতি কভিডের সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। অনেক দরিদ্র অঞ্চলে শিক্ষায় নারীদের অন্তর্ভুক্তি আবারো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ব্রুনো ল্যানভিন বলেন, মেয়েদের স্কুলে পড়াশোনা এবং নারীদের উচ্চ পদে সমান সুযোগ দেয়া দক্ষতার বৈষম্য কমানোর গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপায়। দক্ষতার ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য বিশ্বের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে দিতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি। ল্যানভিন এসডিজির ৪, ৫, ৮ ও ১০ নম্বর লক্ষ্য অর্থাৎ মানসম্পন্ন শিক্ষা, লিঙ্গসমতা, শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বৈষম্য হ্রাসের বিষয়গুলো উল্লেখ করে বলেন, লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জন না হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

প্রতিবেদনের গ্লোবাল সিটি ট্যালেন্ট কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্সে শীর্ষ তিনে রয়েছে সানফ্রান্সিসকো, বোস্টন ও জুরিখ। এ তালিকায় সিঙ্গাপুরের অবস্থান ষষ্ঠতে নেমে গিয়েছে। এটি শীর্ষ ২০-এ স্থান পাওয়া এশিয়ার একমাত্র শহর। হিউম্যান ক্যাপিটাল লিডারশিপ ইনস্টিটিউটের (এইচসিএলআই) প্রধান নির্বাহী ডরিস সোহমেন-পাও বলেন, দক্ষ কর্মী আকর্ষণের প্রতিযোগিতায় এশিয়া অনেক পিছিয়ে রয়েছে। অথচ বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই বসবাস করে এ অঞ্চলে। এজন্য টেকসই ও সামগ্রিক পদ্ধতিতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের আরো সমন্বিত এবং সহযোগিতামূলক নীতির প্রয়োজন। প্রতিবেদনে গবেষকরা সুপারিশ করেছেন, মেধাবী কর্মী ও বিনিয়োগ আকর্ষণ কৌশলগুলোর সমন্বয় দক্ষ কর্মীদের বৈষম্য কমাতে পারে। এমনটি করা গেলে শহরগুলো অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ধাক্কা সামলাতেও এগিয়ে থাকবে। বার্ষিক এ প্রতিবেদনের নবম সংস্করণটি পোর্টুলানস ইনস্টিটিউট ও এইচসিএলআইয়ের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বিশ্বের ১৩৩টি দেশ ও ১৭৫টি শহরের দক্ষ কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের আকর্ষণ ও ধরে রাখার বিষয়গুলো পরিমাপ করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সিঙ্গাপুর

আরও খবর



কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় অন্তঃসত্ত্বা মা ও ছেলের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরে গাছ পড়ে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার ৫ বছর বয়সী সন্তান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপ তারা (৪৫) এবং তার ছেলে তাইজুল ইসলাম (৫)।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার দিবাগত রাত অনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় প্রচণ্ড ঝড় শুরু হলে করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে কৃষক আ. কাইয়ুমের দোচালা টিনের ঘরে একটি গাছ উপড়ে পড়ে। এতে ঘর ভেঙে আ. কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপ তারা এবং তার ছোট ছেলে তাইজুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় রুপ তারার মা আহত হয়েছেন।


আরও খবর



মেহেরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

আজ মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর ১২ টার দিকে মেহেরপুর ও মুজিবনগর নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৪ টি কেন্দ্রে ২ লাখ ১৮ হাজার ৮শ' ৪ চারজন ভোটার রয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আনারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন (কাপ পিরিচ),আব্দুল মান্নান (ঘোড়া) ও মোঃ হাসেম আলী (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম (চশমা) ও মোহাম্মদ শাহিন (টিউবওয়েল), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপচেলা চেয়ারম্যান লতিফন নেছা লতা (বৈদ্যুতিক পাখা), সামিউন বাশিরা পলি (হাঁস) এবং রোমানা আহমেদ (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।

এদিকে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৫ টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ৮৫ হাজার ২শ' ৫৯ ভোটার রয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন রফিকুল ইসলাম তোতা (কাপ পিরিচ), আমাম হোসেন মিলু (আনারস), উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুল হাসান চাদুঁ (ঘোড়া), এবং মাহবুবুর রহমান (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বিএম জাহিদ হাসান (টিউবওয়েল) ও মতিউর রহমান (চশমা), মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন (ফুটবল) ও যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী তকলিমা খাতুন (কলস) প্রতীক পান।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার মো: ওয়ালি উল্লাহ জানান, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচন এ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সট-মোঃ শামিম হাসান, জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহেরপুর।


আরও খবর



মির্জা ফখরুলের এলাকায় ভোটার আনতে মরিয়া আ.লীগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

আর মাত্র তিনদিন পরেই ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট। শেষ সময়ে রাত-দিন এক করে প্রার্থীরা ভাগ্য নির্ধারকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। দিচ্ছে উন্নয়নের নানান ফর্মুলা। তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নির্বাচনি এলাকা ঠাকুরগাঁও। কিন্তু জনপ্রিয়তায় তিনিও শীর্ষে রয়েছেন। ঘরে বসে নেই স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ভোট বর্জন লিফলেট বিতরণসহ কেন্দ্রে আসতে মানা করছেন। শুনাচ্ছেন সরকারের নানান অনিয়মের গল্প।

গেল বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর উপজেলায় ভোট কেন্দ্রেগুলোতে তেমন একটা ভোটারের দেখা মেলেনি। একটি পৌরসভা ও ২২ ইউনিয়ন নিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায় বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের কোনো প্রার্থী নির্বাচনে অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগ থেকে চারজন প্রার্থী নির্বাচনি মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন।

চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো (আনারস), সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার (মোরটসাইকেলর), সহ-সভাপতি রওশনুল হক তুষার (ঘোড়া) ও সাবেক ছাত্র নেতা কামরুল হাসান (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রচারণায় এগিয়ে আছেন অরুনাংশু দত্ত টিটো ও মোশারুল ইসলাম।

ভোট নিয়ে কথা হয় কৃষক মকবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, উপজেলার ভোট হবে মঙ্গলবার (২১ মে)। এবার ভোট দিবা যাবার আগ্রহই নাই। আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ ভোট করছে, এখানে তো বিএনপি নাই। ওরা ওরাই তো, ভোট দিলেও চেয়ারম্যান হবে, না দিলেও চেয়ারম্যান হবে। কাজ কাম ফালায় তাই ভোট দিতে যাব না। পাশ থেকে আরেক ভোটার বলেন, আগে ভোট আসলে এলাকায় পোস্টার আর মিটিং মিছিলে থাকা যাইত না। এখন শুধু মাঝে মাঝে প্রার্থীদের হালকা মাইকিং শুনি। তেমন মিটিং নাই। এইভাবে মানুষের মধ্যে ভোটের আগ্রহ হারায় গেছে। চারজন প্রার্থী সব এক দলের তারাই তো হবে।

ভোটার কালাম, হাসান, আবুল ও মুনসুর বলেন, দুজন ভোটার কয়েকদিন আগে আসে ভোট চাইছে। ফের দুই দিন আগে বিএনপির কয়েকজন আসে ভোট বর্জনের কাগজ দিয়ে গেছে। আগের মতো আর ভোটা দেওয়ার আগ্রহ নাই। বিরোধী দল থাকলে খেলা জমত। এক দলের লোক তাই ভোটের খেলা জমে না।

ভোটার আসা নিয়ে কথা হয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে। আনারস মার্কার প্রার্থী অরুণাংশ দত্ত টিটো বলেন, আমি প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছি। সরকার উন্নয়নের কথা তুলে ধরছি। যাতে তারা এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ভোট দিতে আসে এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে।

মোটরসাইকেল মার্কার প্রার্থী মোশারুল ইসলাম সরকার বলেন, গণতন্ত্র মেনে ভোট হচ্ছে। সরকারে উন্নয়ন তুলে ধরছি এবং উন্নয়নের ধারা যাতে অব্যাহত থাকে তাই তাদের ভোট দিতে আসতে বলছি। আমার বিশ্বাস ভোটাররা আসবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করবে।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে সদর উপজেলা রুহিয়ায় এক নির্বাচনি প্রচারণায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল হাসান খোকন ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অনেক কম, সাড়া নেই। মানুষকে টেনে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যায় না। কারণ ভোটের উপর যে মানুষের বিশ্বাস তা উঠে গেছে। আজ ভোটের প্রতি মানুষের বিশ্বাস নেই। সারাদিনে ভোট পড়ছে ২০০, অথচ গণনার সময় দেখা যাচ্ছে ভোট পড়ছে ৩ হাজার। প্রিজাইডিং অফিসাররা রাতেই ব্যালট দিয়ে বাক্স ভরায় রাখে।

তার মন্তব্যে আলোচনাও সমালোচনার ঝড় বইছে দলও দলের বাইরে। অপরদিকে ভোটের মাঠে বাড়াবাড়ি করলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে বিতাড়িত করার হুমকি দেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। এনিয়ে নির্বাচনি মাঠ আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

কথা হয় জেলা বিএনপি মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস এর সঙ্গে। তিনি জানান, ঠাকুরগাঁও হলো বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বাড়ি। এ জেলার মহাসচিবের জনপ্রিয়তা আকশচুম্বী। জনগণ একতরফা ভোট বর্জন করছে এবং দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনায় মহিলাদলের নেত্রীরা ভোট বর্জন ও ভোটারদের আসতে মানা করছে। মানুষের এখন ভোটের প্রতি তেমন কোনো আগ্রহ নেই।

এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৭৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯০৩, নারী ২ লাখ ৪২ হাজার ২৬৮ ও তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন। ১৮৫টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) এ উপজেলায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী: বাইডেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ। এমনকি ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে। তবে ইসরায়েলের পক্ষে জোরালোভাবে অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা করছে না এবং গাজায় যা হচ্ছে তা গণহত্যা নয়। মঙ্গলবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার ইসরায়েলের পক্ষে জোরালোভাবে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় তাদের সামরিক অভিযানে গণহত্যা চালাচ্ছে না।

এমনকি গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা ও গণহত্যার বিষয়ে ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারীদের সমালোচনাও প্রত্যাখ্যান করেছেন বাইডেন। হোয়াইট হাউসে ইহুদি আমেরিকান হেরিটেজ মান্থ ইভেন্টে তিনি বলেন, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়। আমরা এটি প্রত্যাখ্যান করছি।’

মূলত গাজা ভূখণ্ডে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এমন অবস্থায় ফিলিস্তিনিপন্থিদের কাছ থেকে প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়েছেন বাইডেন।

এসব বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের প্রতি তার অবিচল সমর্থনের জন্য বাইডেনকে জেনোসাইড জো’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।

রয়টার্স বলছে, সোমবার হোয়াইট হাউসের ওই ইভেন্টে বাইডেন গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার কথা সামনে এনে ইসরায়েল নিজেই ভিকটিম’ বলে জোর দেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলিদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন লোহার আবরণের মতো দৃঢ়’।

তিনি বলেন, আমরা (হামাস নেতা ইয়াহিয়া) সিনওয়ার এবং হামাসের বাকী কসাইদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলের সাথে আছি। আমরা হামাসকে পরাজিত করতে চাই। আমরা ইসরায়েলের সাথে কাজ করছি যাতে হামাসকে পরাজিত করা যেতে পারে।’

এছাড়া প্রেসিডেন্ট বাইডেন গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। গত রোববার মোরহাউস কলেজে নিজের প্রারম্ভিক বক্তৃতায়ও বাইডেন এটির পুনরাবৃত্তি করেন।

এদিকে গাজায় যুদ্ধাপরাধের পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জমা পড়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি)।

আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খানের (করিম খান) দপ্তর থেকে করা হয়েছে এই আবেদন। তবে বাইডেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটরের এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সোমবার আইসিসির প্রসিকিউটর আরও বলেছেন, তিনি হামাস প্রধান সিনওয়ার এবং হামাসের অন্য দুই নেতার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৫৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।


আরও খবর



বৃষ্টি কবে থেকে, জানাল আবহাওয়া অফিস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহে দিশাহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছে শ্রমজীবী মানুষরা। গরমের কারণে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ। এরইমধ্যে আবহাওয়া অফিস জারি করেছে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট। এই দুর্বিষহ সময়ে জনজীবনের একমাত্র প্রতীক্ষা বৃষ্টির। এবার সেই অন্তিম সুখবরের পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। তারা বলছে, হিট অ্যালার্ট শেষে সামনের সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেওয়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়া বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৃষ্টি। আগামী মে মাসে বৃষ্টিপাত বাড়লে দাবদাহ অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।

এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ থাকতে পারে।

খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী দুদিন সিলেট অঞ্চল ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। একই সঙ্গে এ সময়ে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর