আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মায়াবী চুম্বক লাউয়াছড়ায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

থ্রিলিং আছে ফরেস্টে, জল-পাথর আর চা-বাগানে। সে কারণে বেছে নেওয়া লাউয়াছড়া। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় এ জাতীয় উদ্যান। রাতের গাড়িতে উঠে পরলে ভোরে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পার হয়ে মিরপুর দিয়ে রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের রাস্তা। একটু পার হলেই শ্রীমঙ্গল সীমানায় স্বাগত জানাবে চায়ের দেশে স্বাগতম বলে।

এরপর শ্রীমঙ্গল। শ্রীমঙ্গল ৪ রাস্তা থেকে ভানুগাছমুখী রোড। শহরের রেলগেট পেরোতেই বিজিবি ক্যান্টিন। মায়াবী দুপাশ। শহর পেরিয়েই ফিনলে চা-বাগান। তার আগেই শ্রীমঙ্গল ৭১-এর বধ্যভূমি। এরপর কালো রাস্তার দুপাশে সবুজের ঢেউ। ঝলমলে চা-বাগান। সবুজের মাঝ দিয়ে ৩ কিমি. যেতেই ডান পাশে রাস্তা দেখিয়ে দেবে চা রিসার্স কেন্দ্রের আঁকাবাঁকা রাস্তা। দুদিকেই চা-বাগান। পাখির ওড়াউড়ি, শ্রমিকের চা-পাতা তোলার দৃশ্য। বেশিরভাগ শ্রমিকই নারী। পাহাড়ি মেয়েদের চা-পাতা তোলার দৃশ্য মুগ্ধ করবেই। সবুজের ডাকাডাকি। চা-বাগানের অবারিত সবুজ আর আঁকাবাঁকা রাস্তা বেয়ে সামান্য যেতেই বাঁ পাশে চা মিউজিয়াম। মেইন রোডের সঙ্গে এই জাদুঘরে আছে চা-শিল্প সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে চিত্রকর্ম, বই। কিছুদূর যেতেই পাঁচতারকা নিবাস গ্রান্ড সুলতান। চা-বাগান আর সবুজের মধ্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। অনেক ব্যয়বহুল। এরপর সবুজ গাছ গাছালি ও ঢেউ খেলানো সবুজ পাহাড়ের মধ্য দিয়ে। আঁকাবাঁকা ও উঁচু-নিচু পিচ রাস্তা দিয়ে আরও কিলো তিনেক গেলেই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।

পাহাড় আর বনের মিতালি উপভোগ করার মতো। বনের ভেতর দিয়ে যেতে যেতে মাথার ওপর বানরের লাফালাফি-দাপাদাপি আর নিচে লেজ তুলে যাওয়া হনুমান এবং বিভিন্ন পাখির কলতানে নির্জন পথ দিয়ে হেঁটে চলুন। রোমাঞ্চ জাগাবে। বনের ভেতর বয়ে চলেছে ঢাকা-সিলেট রেলপথ ওপরে পাখ-পাখালির ডাক। ভাগ্য ভালো হলে ময়না-টিয়ার মনমাতানো ডাক। ৫০ টাকার টিকিট কেটে ঢুকে পড়লাম জঙ্গলের ভেতর। কিছু ফরেনার-পর্যটক দেখলাম ফল ও ডাবের পানি পান করছে। দুপাশে গাছগাছালি ও পাখ-পাখালি। বয়ে চলেছে লাল রাস্তা।

পাশেই মাঝে মধ্যে ঝিরি সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। কিছুদূর যেতেই রেললাইন। সিলেট-ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ। মাঝে মধ্যে ট্রেনের হুইসেল! কী সুন্দর, মায়াবী রেলপথটি। এখানে সাত কালারের চা উপভোগ করতে পারবেন পাহাড়ের গা বেয়ে একটু ওপরে এ চা-ঘর। পাশেই ছোট্ট একটি দোকান। হস্তশিল্পসহ খেলনা পাবেন। বাচ্চারা কিনে আনন্দ পাবে। রেলিং বেয়ে নিচে নেমেই রেললাইন ঘেঁষে একটা সাইনবোর্ড। তাতে লেখা অস্কার বিজয়ী একটি সিনেমার শুটিং হয়েছিল বলে লেখা আছে।

রেলপথের ডানে-বাঁয়ে গিয়ে চা-বাগান থেকে ট্রেন যাওয়ার ছবি তুলতে মজাই লাগবে। এরপর থ্রিলিং পথ। লুকানো পথ; ভয় লাগে। সূর্যের আলোর লুকোচুরি। টিলা বেয়েও বন। মাঝে মধ্যে ঘন বনাঞ্চল। সূর্যের আলোও সব সময় পৌঁছায় না। হঠাৎ মিথুন বলল, ওই যে দেখুন চশমা পরা হনুমান। চারদিকে বাহারি রঙের প্রজাপতি। উঁচু গাছে ঝুলছে অজানা সাপ। লতা বা পাতায় জড়িয়ে। কী রোমাঞ্চকর! থেকে থেকে পাখির ডাক। ঝিঁঝির শব্দ বন মাতিয়ে রেখেছে। আনমনে হারিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ সফরসঙ্গীর ডাক। ভাই, কাঠবিড়ালিটা খুব সুন্দর তো! রঙিন ঝরাপাতা বিছানো পথ বেয়ে বনপথে। আমরা চলেছি। এদিক-ওদিকে কিশোর-কিশোরীর দল। দেশ-বিদেশের পর্যটক। বনের মধ্যেই কলরোল। ডালে ডালে ঝুলে থাকে উল্লুক ও হনুমান। দাঁত বের করে ভয় দেখায় বানর। দারুণ রোমাঞ্চকর, না?

হঠাৎ ট্রেনের হুইসল। তড়িঘড়ি করে রেলপথের কাছাকাছি। হেলে দুলে ট্রেন চলে যাচ্ছে। ট্রেনে বেশ কয়েকবার সিলেটে যাতায়াত করেছি এ বন দিয়েই। চা-বাগান, অন্ধকার এ অরণ্যের বাঁশবাগান আর সুবুজে মোড়া দুপাশের এ পথ বেয়ে যেতে কতই রোমাঞ্চ লাগে, তা বলে বোঝানো যাবে না! মধ্যেই সাত কালারের ঐতিহ্যবাহী চায়ের স্বাদ নিলাম। নাস্তাও সেরে নিলাম। নিরাপত্তার জন্য পুলিশের চলাচলও দেখলাম। বনের মধ্যে বা আশপাশে ভালো থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। শ্রীমঙ্গল ও একটু দূরে বিভিন্ন রিসোর্টে থাকতে পারেন। সবুজেমোড়া রিসোর্টে থাকতে রোমাঞ্চ হবে। এরপর শ্রীমঙ্গল হয়ে ঢাকা। একদিনের এ ভ্রমণ স্মৃতির পটে থাকবে বহুদিন। চম্বুকময়তা আছে এ বনে। মায়াবী ভরা আশপাশে। তাই, ডাকছে আমার বারেবারে...। ভ্রমণ শেষে মিথুনের কথাই মনে হলো, ফরেস্টে আছে মায়াবী চম্বুক, আছে থ্রিলার!

যাওয়া-আসা: ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে যাত্রা শুরু করা যাবে। বাসে করে শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজারগামী বাসে শ্রীমঙ্গল নামতে হবে। ট্রেনে এলে শ্রীমঙ্গল স্টেশনে নেমে পড়ুন। তারপর সকালের নাস্তা করে যাত্রা শুরু করুন। ৬-৭ কিমির পথ।

থাকা ও খাওয়া: থাকা ও খাওয়ার জন্য শ্রীমঙ্গলে প্রচুর হোটেল ও রিসোর্ট আছে। আপনার বাজেট অনুযায়ী যে কোনো হোটেলে রাত যাপন ও খাওয়া-দাওয়া করতে পারেন। শ্রীমঙ্গল থেকে চা কিনতে ভুলবেন না। মনিপুরিদের বিভিন্ন জিনিস এখান থেকে কিনতে পারেন। পানসী হোটেলে (যাত্রার শুরুতেই) বিভিন্ন রকমের ভর্তার স্বাদ নিতে পারেন।

সতর্কতা: বন-পাহাড়ে ট্রাকিং বা হাঁটতে হলে স্যান্ডেল নিয়ে এলে আরামদায়ক হবে। সাপ ও বিষাক্তপ্রাণী থেকে সতর্ক থাকতে হবে। হোটেলগুলোতে দামদর করে নিতে হবে। অনেক হোটেল-রিসোর্টে থাকা-খাওয়ার জন্য অত্যধিক ব্যয় করতে হয়। তাই পছন্দ অনুযায়ী বাছাই করুন। একদিন থাকলে তো অত হিসাব না করলেও চলে!

নিউজ ট্যাগ: লাউয়াছড়া বন

আরও খবর



মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পরোয়া করে না আ. লীগ: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এর সফর ও মার্কিন স্যাংশন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পরোয়া করি না। এসব ভিসানীতিতে আওয়ামী লীগ পাত্তা দেয় না।’

আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা দাওয়াত করে কাউকে আনি নাই, তাদের এজেন্ডা আছে; তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (ডোনাল্ড লু) একটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও না। একজন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে এত মাতামাতি কেন!

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপি কি করে তারাই ভালো জানে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, গরম কমে গেলে আন্দোলন, কিছুদিন পরে বলবে কোরবানির ঈদের পরে আন্দোলন শুরু করবে। বিএনপির কর্মীরা নেতাদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ফলে তাদের আন্দোলনে কর্মী সমাবেশ হয় না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাঁচতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ি-কাপড় আসবে, এ ছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আসবেই।’


আরও খবর



বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে নারীদের তাড়া করে গুলি ছুড়লো বিএসএফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তবে এতে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও গুলিতে বাংলাদেশি এক নাগরিকের বসতভিটার ঘরের চাল ফুটো হয়েছে।

রবিবার (১২ মে) বিকালে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলারকুটি সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৩১-এর পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বিজিবির কড়া প্রতিবাদের পর সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম মিয়া ও আব্দুল কুদ্দুসসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রবিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা কয়েকজন নারী কেটে নেওয়া ধান গাছের আড়া  (গোড়ায় অবশিষ্ট খড়) সংগ্রহের জন্য নো-ম্যানসল্যান্ডে প্রবেশ করেন। এ সময় ভারতীয় নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের টহলরত এক বিএসএফ সদস্য তাদের ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে ওই নারীরা দৌড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে বিএসএফ সদস্যও তাদের পিছু নেয়। বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রায় ২০ থেকে ৩০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন ভারতীয় ওই সীমান্তরক্ষী। একপর্যায়ে রাইফেল উঁচিয়ে বাংলাদেশি নারীদের লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি করে দ্রুত ভারতের অভ্যন্তরে চলে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, গুলিতে কারও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও তা লক্ষ্যচ্যুত হয়ে ধুলারকুটি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা নুর আলম বাচ্চুর বাড়ির রান্নাঘরের চালে আঘাত করে। এতে ঘরের চালের টিন ফুটো হয়ে গুলিটি মেঝেতে পড়ে। সে সময় রান্না ঘরে বাচ্চুর পুত্রবধূ থাকলেও ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। গুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

নুর আলম বাচ্চু বলেন, ওই সময় আমার পুত্রবধূ রান্নাঘরেই ছিল। ভাগ্যিস গুলিটা তার গায়ে লাগেনি। মাঝেমধ্যেই বিএসএফ এভাবে বাংলাদেশে ঢুকে নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর অত্যাচার চালায়। আমরা আতঙ্কে থাকি।’

খবর পেয়ে বিজিবি গোরকমন্ডল ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার নজরুল ইসলামসহ বিজিবির একটি দল রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই নুর আলম বাচ্চুর বাড়ি পরিদর্শন করে গুলিটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় সোমবার সকালে বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। পরে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শিমুলবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নরেশ চন্দ্র রায় এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৯০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নারায়ণগঞ্জ কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেক্টর রমন সিং। বৈঠকে বিনা উসকানিতে সীমান্তে গুলিবর্ষণের কারণ জানতে চেয়ে কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। তবে এ ব্যাপারে পরিষ্কার কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি বিএসএফ।

এ ব্যাপারে জানতে মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের দাফতরিক মোবাইল নম্বরে ফোন ও খুদেবার্তা দিয়ে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। পরে ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল অফিসার মেজর আসিফকে ফোন ও খুদেবার্তা দিলে তিনিও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।


আরও খবর



ফারাক্কা বাঁধ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফারাক্কা বাঁধ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামীকাল ১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস’ উপলক্ষে আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৬ মে ফারাক্কা দিবস’ আমাদের জাতীয় আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ থেকে ৪৮ বছর আগে অবিসংবাদিত মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারাদেশ থেকে লাখো জনতা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর পানি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল লংমার্চে অংশ নেয়। ভারতে গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করে অভিন্ন নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার শুরু করা হয়। যার ফলে বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল আজ প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। ওই এলাকায় পানিসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। জীববৈচিত্র ও পরিবেশগত মানকে বিবেচনা না করে এবং প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ভারতকে কয়েক দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। কিন্তু সেই বাঁধ অব্যাহতভাবে আজ পর্যন্ত চালু আছে। এই বাঁধ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কারণে এ দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত। এই বঞ্চনা ও দেশের প্রকৃতির বিপর্যয়ে জনদুর্দশারআশংকায় প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী জনগণকে সাথে নিয়ে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল করে ভারত সরকারের নিকট প্রতিবাদ করেন এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিকট বিষয়টি তুলে ধরেন। তখন থেকে ব্যাপক মানববিপর্যয় সৃষ্টিকারী ফারাক্কা বাঁধের বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিসরে আলোচিত হতে থাকে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি মনে করি আজও ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আন্তর্জাতিক আইন—কানুন ও কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণে নদীর ধারাকে বাধাগ্রস্ত করে একতরফা নিজেদের অনুকুলে পানি প্রত্যাহার বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ নিষ্ফলা উষর ভূমি হয়ে উঠার আলামত ইতোমধ্যেই ফুটে উঠেছে।’


আরও খবর



প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার নিরীক্ষিত ও সংশোধিত ফল প্রকাশিত হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাতে এ ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

এর আগে ওইদিন সকালে প্রতাশিত প্রথম ফলাফলে ২৩ হাজার ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে সন্ধ্যায় উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটির কারণে সরকারি প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের ফল স্থগিত করে অধিদপ্তর।

ওই সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর তৃতীয় গ্রুপ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ)-এর ফলাফল ২১ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৩৮,০১,০০০০,১৪৩.১১,০১১,২০২৩-২০৫ নম্বর স্মারকে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে ২৯ মার্চ এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা দেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।

অধিদপ্তর আরও জানায়, সংশোধিত ফলাফল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।

মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।


আরও খবর



নরসিংদীতে বজ্রপাতে একই পরিবারের ২ জনসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীতে বজ্রপাতে দুই নারীসহ মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালীতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে আলোকবালী গ্রামের ইমন মিয়া, সুফিয়া বেগম এবং কাইয়ুম মিয়া মাঠে ধান কাটতে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল পরিবারের আরও ৩ সদস্য। দুপুর ১২টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে ৩ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। নিহত সুফিয়া এবং ইমন সম্পর্কে মা-ছেলে। স্থানীয়রা আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

নরসিংদী সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাশার বলেন, মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আহতরা চিকিৎসাধীন।


আরও খবর