উত্তাপ ছড়ানো সুপার ক্লাসিকোয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারাল আর্জেন্টিনা। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন নিকোলাস ওতামেন্দি।
বাংলাদেশ সময় (২২ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টায় রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পর সকাল ৭টায় বল মাঠে গড়ায়।
খেলার প্রথমার্ধে একটি বলও জালে জড়াতে পারেনি কোনো দল। ফলে প্রথমার্ধে গোল ছাড়াই বিরতিতে যায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে শুরুটা ছিল ব্রাজিলেরই। একাধিকবার গোলপোস্টের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে স্বাগতিকরা। তবে ঘরের মাঠে দর্শকদের আনন্দ দেওয়া হয়নি সেলেসাওদের। খেলার ধারার বিপরীতেই ম্যাচের প্রথম গোল করে বসে আর্জেন্টিনা।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচটিতে ৬৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে জিওভানো লো সেলসোর শটে হেড দিয়ে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস ওটামেন্ডি। ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে আসার পর অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে উঠিয়ে আনহেল ডি মারিয়াকে নামান আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি।
আরও পড়ুন>> বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা
৮১তম মিনিটে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পলকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ব্রাজিলের জোয়েলিংটন।
এই হারে বিশ্বকাপ বাছাই আরো কঠিন হয়ে গেলো ব্রাজিলের জন্য। ৬ ম্যাচে ২ জয়, ৩ হার এবং ১ ড্রয়ে লাতিন আমেরিকার বাছাই টেবিলের ছয়ে সেলেসাওরা। ৬ ম্যাচে ৫ জয় এবং ১ ড্রয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা।
এদিন খেলা শুরু হওয়ার আগেই গ্যালারিতে দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল মারামারি শুরু হয়ে যায়। ঘটনার সূত্রপাত মূলত পতাকা রাখা নিয়ে। আর্জেন্টিনার পতাকা দেখে দুয়ো দিতে শুরু করে ব্রাজিল সমর্থকরা। এর প্রতিবাদ জানায় আর্জেন্টিনা সমর্থকরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এ অবস্থায় আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি সমর্থকদের শান্ত করতে সদলবলে এগিয়ে যান গ্যালারির দিকে; কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আর্জেন্টিনা দল মাঠ ছেড়ে উঠে যায়। তারা অশান্ত অবস্থায় খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে ম্যাচ কর্মকর্তা, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন কর্মকর্তা ও নিরাপত্তাকর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বল মাঠে গড়ায়।