আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মানুষের হাত-পায়ে গজিয়েছে গাছের শেকড়

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঠাকুরগাঁও থেকে রেদওয়ানুল হক মিলন:

রিপন দাস বয়স (১৩)। বৃক্ষ মানব থেকে এখন সে কালো মানবে পরিণত হয়েছে। এটি একটি জটিল ও বিরল রোগ। দারিদ্রতার কারণে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার পরিবার। বন্ধ হয়েছে তার লেখাপড়া। বর্তমানে নিদারুণ কষ্টে কাটছে রিপনের জীবন। তার চিকিৎসা করাতে স্থানীয় বিত্তশালী ও প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছে রিপনের পরিবার।

রিপন দাস ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক মহেন্দ্র রাম দাসের ছেলে। তের বছর বয়সী রিপন দাসের শরীর জুড়েই অস্বাভাবিকতা। হাত-পায়ে গাছের মতো শাখা প্রশাখা।জন্মের ৩ মাস পর থেকেই রিপনের শরীরে গাছের শেকড়ের মত লক্ষ্য করে পরিবার। যা পরে ট্রি ম্যান সিনড্রোম বলে শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা।

রিপনকে ২০১৬ সালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার প্লাস্টিক সার্জারিসহ তিনটি অপারেশন করা হয়। পরে ২০১৮ সালের দিকে কিছুটা সুস্থ হলে তাকে বাড়ি নিয়ে এসে স্কুলে ভর্তি করা হয়। সে স্কুলে ভালো পড়াশোনা ও খেলাধুলা করত সহপাঠীদের সাথে। দুই মাস আগে হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হয়, তারপর থেকেই রিপনের শরীর ত্বক কালো হওয়া শুরু করে। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে পারেনি তার পরিবার।

রিপনের বাবা বলেন, ছেলেকে সুস্থ করতে সহায় সম্বল শেষ। অসহায় তিন সন্তানের জনকের চোখে মুখে হতাশা। সরকারের সহায়তা ছাড়া কোনো উপায় নেই, ভ্যান চালক বাবার।

অসুস্থ রিপন দাস জানায়, আগে তার হাত-পা গুলোতে শেকড় গজাতো। চিকিৎসা নিয়ে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু কিছুদিন থেকে তার শরীরের ত্বক কালো হয়ে যায় ও হাত পা গুলো আগের মত হয়ে যাচ্ছে। সে সুস্থ হয়ে আগের মতো স্কুলে যেতে চাই।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. ফয়সাল আজম মুঠোফোনে জানান, রিপন বর্তমানে যে সমস্যায় ভুগছেন। সেটি হচ্ছে স্থানীয় কবিরাজের কাছে তেল নিয়ে ব্যবহার করার কারণে তার ড্রাগ রিঅ্যাকশন। বর্তমানে তার ড্রাগ রিঅ্যাকশনের চিকিৎসা চলছে। সে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে উঠবে কি না, তা বলা যাচ্ছে না। তবে চিকিৎসা করে বা প্লাস্টিক সার্জারি করলে সে হয়তো ভালো থাকবে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সনাতন চন্দ্র রায় বলেন, মহেন্দ্র রাম দাস অন্যের জায়গায় বসবাস করে ভ্যান চালিয়ে কোনো মতো সংসার চালান। তার ছেলের রিপন বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছে। টাকার অভাবে তার চিকিৎসা করাতে পারছেন না। চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এবিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজির বলেন, বিষয়টি মানবিক। সরকারি যেসব সাহায্য সহযোগিতা আছে আমরা সেগুলো করব।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর



মানবপাচার মামলায় ফের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা মানবপাচার আইনের এক মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (৫ মে) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন ভুয়া মৃত্যু সনদ প্রদানের অভিযোগে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তখন এ মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

এ ছাড়া মানবপাচার আইনের আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ডিবি পুলিশ। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখান।

এর আগে রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এ বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।


আরও খবর



পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আটক ১২

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অভিযান চালায়। এ সময় ১২জন বালু উত্তোলনকারীসহ একটি স্কেভেটর ও ৫টি ড্রাম্পট্রাক আটক করেছে পাবনা র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের বিলকেদা দাদাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো, ঈশ্বরদী উপজেলার বিলকেদা গ্রামের মৃত: তোফাজ্জল হোসেন প্রামানিকের ছেলে জামিরুল ইসলাম (৪২), একই গ্রামের কামিরুল প্রামানিকের ছেলে রুমন হোসেন (১৯), বাবলু মালিথার ছেলে বাধন হোসেন (১৯), ঈশ্বরদী ভেলুপাড়ার মো. নাজমুল হোসেনের ছেলে ইমন ইসলাম (১৯), নতুন রুপপুর গ্রামের মৃত নান্নু মালিথার ছেলে ইমরান মালিথা (২৯), ফতেপুরের মৃত ফজলুল হকের ছেলে ফয়সাল হোসেন (৩২), সাহাপুরের  মৃত: আব্দুস সামাদের ছেলে শুভ (২৪), চর রুপপুর জিগাতলার মো. খায়রুল মোল্লার ছেলে মোহন মোল্লা (২৯), আলহাজ্ব মোড় এলাকার মো. লিয়াকত আলীর ছেলে সিয়াম হোসেন (১৯), আটঘরিয়া উপজেলার নাগদাহ স্কুলপাড়ার মো. ইব্রাহিমের ছেলে মাসুম আলী (৩০), একই গ্রামের মো. আকব্বর এর ছেলে সাগর (১৯), মির্জাপুরের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিনের ছেলে রজমান (২০)।

পাবনা র‌্যাব-১২, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিলকেদার দাদাপুর এলাকায় পদ্মার শাখা নদী হতে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ক্রয়-বিক্রয় করছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একটি স্কেভেটর ও ৫ টি ট্রাকসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মানদী তীরবর্তী এলাকায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সংঘবদ্ধ ভাবে অবৈধ উপায়ে বালি উত্তোলন করে আসছিল।


আরও খবর



গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মানবিক অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনের জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জিএসটি কর্তৃপক্ষ।

জিএসটি কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গুচ্ছের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এবার ৯৪ হাজার ৬৩১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য জিএসটি কর্তৃপক্ষ প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনও। পাশাপাশি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিবাবকরা যেন কেন্দ্রে না আসেন, সেজন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী নিকটবর্তী কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন, সেহেতু এবার আমরা অভিভাবকদের কেন্দ্রে না আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না ইমরান খানের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুর্নীতির মামলায় জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। বুধবার (১৫ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইমরান খানের আইনজীবী বলেন, বুধবার ইসলামাবাদে ইমরান খান জমি দুর্নীতির মামলায় জামিন পেয়েছেন। তবে অন্য দুই মামলায় জামিন না মেলায় তাকে এখনো কারাগারে থাকতে হবে। জেল থেকে বের হতে পারবেন না তিনি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে এক আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জমি উপহার নেন। তবে ইমরান খানের দাবি, তিনি কোনো ভুল করেননি। এজন্য তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জামিনের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আরও দুই মামলায় জামিন না মেলায় ইমরান খানকে কারাগারে থাকতে হবে। এর একটি হলো রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস এবং অন্যটি হলো ইসলামী আইন লংঘন করে বিয়ে করা।

গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। চারটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। তবে এরই মধ্যে দুই মামলার সাজা স্থগিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে। একইসঙ্গে তার স্ত্রী বুশরা বিবিও কারাগারে রয়েছেন। ২০১৮ সালে বেআইনিভাবে ইমরান খানকে বিয়ে করার অভিযোগ এনে কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে।


আরও খবর



১০ দিনে এলো ৮১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি মে মাসের প্রথম ১০ দিনে (১ থেকে ১০ মে) প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা আগের মাসের তুলনায় বেশি।

সোমবার (১২ মে) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তথ্য অনুযায়ী, ঈদের মাস এপ্রিলে প্রতিদিনে এসেছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ ২ লাখ ডলার। আর আগের বছরের মে মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৬ ডলার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসের প্রথম ১০ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।

দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ১০দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। এ সময় ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ন্যাশনাল ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ছয় কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এ ছাড়া প্রবাসী আয় সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে তিন কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের তিন কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছে।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। গত মার্চে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।


আরও খবর