সাটুরিয়া প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া
উপজেলায় বরাইদ ইউনিয়নে ভিজিএফের কার্ড দেয়ার কথা বলে জোরপূর্বক এক গৃহবধূকে ধর্ষণের
অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে। ইউপি সদস্য দেলোয়ার বরাইদ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের
তোফাজ্জলের ছেলে।
এঘটনায় ওই ভুক্তভোগী
সাটুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে সাটুরিয়া থানা পুলিশ ইউপি সদস্য দেলোয়ারকে গ্রেফতার
করে। বৃহস্পতিবার )১১ আগস্ট) সকালে মামলার আসামি দেলোয়ারকে মানিকগঞ্জ আদালতে প্রেরণ
করা হয়।
ধর্ষণের শিকার
ওই গৃহবধূ সাংবাদিকদের জানান, আমি দুই সন্তান ও স্বামী নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করে আসছি।
তাই ১০ টাকা দরে ভিজিএফ কার্ডের জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই মেম্বারের কাছে গিয়েছি। মেম্বার
প্রথম দিক থেকেই কার্ডের বিনিময়ে কিছু চাচ্ছিল। তখন আমি বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে উঠতে
পারিনি। হঠাৎ করেই মঙ্গলবার রাতে মেম্বার (দেলোয়ার) ফোন করে আমাকে কার্ড নিতে তার বাড়িতে
আসতে বলে। ওই সময় আমি তাকে সকালে আসব বলে জানাই। কারণ, আমার স্বামী বাড়িতে নেই সেজন্য।
তখন মেম্বার বলে, ঠিক আছে তোমার আসতে হবে না, আমি নিজে কার্ড নিয়ে তোমার বাড়িতে আসতেছি।
কিছুক্ষণ পর মেম্বার আমার বাড়িতে এসে ফোন করে যে তোমার কার্ড নিয়ে এসেছি। মেম্বার আমাকে
বাহিরে আসতে বলে। আমি ঘর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে দেলোয়ার আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার ইচ্ছার
বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমার
চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং মেম্বারকে আটক করে। পরে নিরুপায় হয়ে আমি দেলোয়ারকে
আসামী করে সাটুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
সাটুরিয়া থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেলোয়ার হোসাইনকে আটক করে
মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।