আজঃ সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মাগুরায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ১০

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
জেলা প্রতিনিধি

Image

মাগুরা শহরের ঢাকা রোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। রোববার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন।

জানা গেছে, সকাল ১১টার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেট নিক্ষেপ করে। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি করে। এ সময় নিহত হন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদেী হাসান রাব্বী।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, রাব্বি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার বুকে গুলি লেগেছে।

মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমর প্রশাদ বিশ্বাস জানান, আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


আরও খবর
ভোলায় বিপুল অস্ত্রসহ ৭ সন্ত্রাসী আটক

সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নিখোঁজের দুইমাস পর রেহানার লাশ উদ্ধার, আটক ২

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

নিখোঁজের দুই মাস পর অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রেহেনা পারভিনের (৩৭) লাশ উদ্ধার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আমজাদ হোসেন (৬৪) ও পাপিয়া আক্তার (৩৬) নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে নবাবগঞ্জ থানায় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহাম্মদ মুঈদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের বিষয় তুলে ধরেন।

পুলিশ সুপার জানান, গত দুইমাস আগে নিখোঁজের পর অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ ও হাইকমিশন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেহেনা পারভিনের অবস্থান সনাক্ত ও উদ্ধারে তথ্য চেয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে বার্তা পাঠান। এ ঘটনায় গত ৮ নভেম্বর নিখোঁজ রেহেনার মা আইরিন আক্তার বাদি হয়ে রেহেনার স্বামী আওলাদ হোসেনকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের নামে একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলার চারদিন পর দোহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকশ দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মানিকগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় অভিযান পরিচালনা করে আমজাদ হোসেন (৬৪) ও পাপিয়া আক্তার (৩৬) নামে দুইজনকে আটক করে।

পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা ও লাশ গুমের তথ্য অনুযায়ী আশুলিয়ার নয়ারহাট মৌনদিয়া চৌরপাড়া এলাকা থেকে নিখোঁজ রেহেনার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার আরো জানান, মূলত রেহেনা ও তার স্বামীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিলো। চলতি বছরের ৬ জুন রেহেনা তার ছেলেকে নিয়ে বাংলাদেশে আসে। একই মাসে তার স্বামী দেশে এসে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে কৌশলে রেহেনাকে আশুলিয়া নিয়ে হত্যা করে এবং  অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় লাশ মাটি চাপা দিয়ে গুম করে অস্ট্রেলিয়া পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর নিহতের পরিবারের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে নবাবগঞ্জ থানার পরিবেশ। জরিতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।


আরও খবর
ভোলায় বিপুল অস্ত্রসহ ৭ সন্ত্রাসী আটক

সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




এমপি ‍সুবিধায় আনা ৪৪ বিলাসবহুল গাড়ি আটকে দিলো কাস্টমস

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংসদ সদস্য (এমপি) কোটায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ৪৪টি বিলাসবহুল গাড়ি আটকে দিয়েছে কাস্টমস। যারা গাড়িগুলো আমদানি করেছিলেন তারা আর সংসদ সদস্য না থাকায় এগুলো আটকে দেওয়া হয়।

গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে এ বিধানের আওতায় আনা সাতটি গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হলেও এখনো বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে নিবন্ধন করা হয়নি।

এসব গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর ও কমলাপুর আইসিডি দিয়ে আমদানি হয়েছে। আমদানিকারকের পক্ষে এসব গাড়ি খালাসের দায়িত্বে ছিলেন সিএন্ডএফ এজেন্ট নাভানা লিমিটেড, গোল্ডেন স্টার এজেন্সি এবং ছেরি ইন্টারপ্রাইজসহ ছয়-সাতটি প্রতিষ্ঠান।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সার্ভারের তথ্য ও সংশ্লিষ্ট কাস্টম স্টেশন কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খালাসের অপেক্ষায় থাকা এসব গাড়ির আমদানিকারকরা শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে না। স্বাভাবিক হারে শুল্ককর পরিশোধ করেই এসব গাড়ি খালাস করতে হবে।

আগস্ট মাসের ১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে এমপি সুবিধায় খালাস নেয়া ৭টি গাড়ির বিষয়ে আইন মন্ত্রণায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নে‌ওয়া হবে বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা।

এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, এই ৫১টি গাড়ির (যার বেশিরভাগই টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার ও ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো) আমদানি মূল্য প্রায় ৬১ কোটি টাকা।

এসব গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে কম দামের ল্যান্ড ক্রুজারটি আমদানি করা হয়েছিল ৯৮ লাখ টাকার সামান্য কিছু কমে। শুল্ক দিতে গেলে গাড়িটির দাম পড়বে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা ৩৩৪৬সিসির এ গাড়িটির স্বাভাবিক শুল্ককর হার ৮২৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

সংসদ সদস্যরা প্রতি পাঁচ বছরে একবার শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করতে পারেন। এ ধরনের গাড়ির ওপর কর ৮১০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে তবে এমপিদের তা দিতে হয় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বলেন, সম্প্রতি যেসব গাড়ি খালাস হয়েছে তা ৬ আগস্টের আগে শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন ছিল। ফলে আইনানুগভাবে তা আটক করার সুযোগ ছিল না। তবে যেসব গাড়ি ৬ আগস্টের পরে আমদানি হয়েছে তা খালাসের সুযোগ নেই। এ ধরনের গাড়ি খালাস করতে হলে শুল্ককর পরিশোধ সাপেক্ষে খালাস করতে হবে।

তিনি বলেন, সংসদীয় আসনে এমপিদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ সুবিধা দেওয়া হয়। বর্তমানে সংসদ ভেঙে দেওয়ায় তা শুল্কমুক্ত সুবিধায় খালাসের সুযোগ নেই। আইন অনুযায়ী, স্বাভাবিক হারে শুল্ককর পরিশোধ করেই খালাসের অপেক্ষায় থাকা গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে হবে।

আইন প্রণেতাদের খুশি করতে ১৯৮৭ সালে এইচ এম এরশাদের শাসনামলে শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা চালু করা হয়েছিল।


আরও খবর



ইশারা-ঠোঁটের ভাষা বুঝে দোকান করছেন বাবা-ছেলে!

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

দুই সন্তনের জনক মো: হাবিব। জন্মগতভাবে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের রোড সুগারমিল গেটের বিপরীতে তাঁর চায়ের দোকান। হাবিবের দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ে কানে শুনতে পেলেও কথা বলতে পারেন না। আর ছেলে কানে শুনতে ও কথা বলতে পারেন না। কিন্তু এভাবেই ছেলেকে নিয়ে দোকান পরিচালনা করছেন। ক্রেতাদের ইশারা আর ঠোঁটের ভাষা বুঝে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেচা-কেনা করছেন তারা।

এভাবেই চায়ের দোকান চালিয়ে তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করছেন। টেনেটুনে চলছে চার সদস্যের সংসার। এলাকাবাসীর কাছে তারা হয়ে উঠেছেন প্রতিবন্ধিত্ব জয়ের অনন্য এক দৃষ্টান্ত।

বাবা-ছেলের এমন প্রতিভায় বিস্মিত সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। হাবিবের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের ফকদনপুর গ্রামে।

হাবিব সকালে তাঁর ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে দোকানে আসেন। বাবা-ছেলের যোগসাজশে চলে বেচা-কেনা। দোকানের প্রয়োজনীয় মালামাল কিনে নিয়ে আসেন ছেলে। কোন কিছুর প্রয়োজন হলে আবার কথাও বলেন মুঠোফোনে। দোকান থেকে কেউ বাকী নিলে সেটিও লিখে রাখেন তাঁরা।

ক্রেতা রিপন বলেন, তারা বাবা ছেলে ব্যবহার অনেক ভালো। কারো কথায় বিরক্ত হয় না বা রাগ করে না।  তারা দুজনে এমন অক্ষম হওয়ার পরেও কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। এখন সকলে যদি তাদের একটু সহযোগীতা করে তাহলে তার দুই সন্তানের পড়াশোনা ভালো ভাবে হবে।

আরেক ক্রেতা সামাদ বলেন, ইশারায় ক্রেতাদের ভাষা বুঝে ফেলেন বাবা-ছেলে। লাল চা, দুধ চা নাকি পান সবই বুঝেন ইশারায়। তাদের মত অনেক প্রতিবন্ধী অন্যের কাছে হাত পেতে চললেও তারা হয়ে উঠেছে অনন্য উদাহরণ।

হাবিব এর প্রতিবেশি জহির বলেন, তাদের পরিবারে অনেক অভাব। একটা ছোট্ট দোকান করে চলতে হয় তাদের। ছেলে-মেয়ে, বাবা তিনজনেই প্রতিবন্ধী। মেয়েটা ছোট চিকিৎসা করলে হয়তো ভালো হবে। সরকার যদি পরিবারটার পাশে দাড়ায় তাহলে পরিবারটা ভালোভাবে চলতে পারে।

হাবিবের স্ত্রী আফরোজা আক্তার বলেন, ১১ বছর আগে হাবিবের সাথে বিয়ে হয় আমার। স্বামীর মতই দুই সন্তানও কথা বলতে পারেন না। ইশারা আর ঠোঁটের ভাষা বুঝে তাদের সাথে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। স্বামী ও ছেলের প্রতিবন্ধী ভাতা হলেও মেয়ের হয়নি এখনো। মেয়েটা বড় হলে বিয়ে দিতে হবে। তাই চিকিৎসা করাতে চাচ্ছি যদি কিছুটা হলেও ভালো হয়। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। সরকার ও বিত্তবানরা আমাদের পাশে দাড়ালে বাচ্চাটার চিকিৎসা করা পারতাম।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সারোয়ার মুর্শিদ আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, হাবিব এর পরিবারকে ক্ষুদ্র ঋণ সহয়তা দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া তার মেয়ের প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। পরিবারটির পাশে থাকবে সমাজসেবা।


আরও খবর
ভোলায় বিপুল অস্ত্রসহ ৭ সন্ত্রাসী আটক

সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দেশের বাইরে দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজ জয় বাংলাদেশের। রাওয়ালপিন্ডিতে ২ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল টাইগাররা। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো পাকিস্তান। এ ছাড়া ইংল্যান্ডের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ঘরের মাঠে টাইগারদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো শান মাসুদের দল।

করাচির বদলে রাওয়ালপিন্ডিতে হওয়া দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ভেসে যায় বৃষ্টিতে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের রেকর্ড জুটিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৬২ রান।


পেসারদের দাপটে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৮৫ রান করে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে ওপেনার জাকিরের ব্যাট থেকে।

এর আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল বজ্রঝড় ও বৃষ্টিপাতের। সকাল থেকে রাওয়ালপিন্ডির আকাশে ছিল কালো মেঘের ঘনঘটা। তবে সব শঙ্কা দূর করে নির্ধারিত সময়ে শুরু হয় পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা।

প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় ও স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৮৫ রানের। আলোকস্বল্পতা ও বৃষ্টিতে কারণে আগেভাগে শেষ হওয়া চতুর্থ দিনে টাইগারদের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ৪২ রান।

ফলে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে জয়ের জন্য দরকার আরও ছিল ১৪৩ রান। এ লক্ষ্যে বৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় নিয়ে পঞ্চম দিনের শুরুটা ভালো করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম।

অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করেন জাকির। ৩৯ বলে করেন ৪০ রান। মির হামজার বলে লাইন মিস করে বোল্ড হন এ ওপেনার। এতে ভাঙে ৫৮ রানের ওপেনিং জুটি। শুরু থেকে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন আরেক ওপেনার সাদমান।

খুররম শেহজাদের হাফভলি বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে মিড অনে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক শান মাসুদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এ ওপেনার। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক। ব্যক্তিগত ৩৮ রানে শান্তকে সাজঘরে ফেরান আগা সালমান।

এরপর মুমিনুলের সঙ্গী হন প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম। লেগ স্পিনার আবরার আহমেদকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে সাইম আইয়ুবের হাতে ধরা পড়েন মুমিনুল (৩৪ রান)। পরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিক। সাকিব ২১ ও মুশফিক ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন।


আরও খবর



বন্যায় দেশজুড়ে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ১১ জেলায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সচিবালয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অতিরিক্ত এই সচিব।

কে এম আলী রেজা জানান, এ পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত হয়েছে ১১টি জেলার ৭৭টি উপজেলা। জেলাগুলো হলো, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর এবং কক্সবাজার।

সচিব জানান, এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের ৫ জন, কুমিল্লার ৪ জন, নোয়াখালীতে ৩ জন, কক্সবাজারে ৩ জন এবং ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষীপুর জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

১১টি জেলায় মোট ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৬৯ জন। বর্তমানে আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন ২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ জন মানুষ, যোগ করেন কে এম আলী রেজা।

তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের উত্তর- পূর্বাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা নেই। বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা নগদ এবং ২০ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ১৫ হাজার বস্তা শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্যের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা এবং পশুখাদ্যের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য ৭৭০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।


আরও খবর