আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাদক গ্রহণকারীরা সরকারি চাকরি পাবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মাদক গ্রহণকারীরা সরকারি চাকরি পাবেন না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কেউ ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে সরকারি চাকরি পাবেন না। চাকরিতে আছেন এমন কারও ডোপ টেস্টের ফল পজিটিভ হলে, তার বিরুদ্ধেও অ্যাকশন নিচ্ছি।

শুক্রবার (২৫ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আলোচনাসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী অন্তর্জাতিক দিবস ২০২১ উপলক্ষে আলোচনা সভা আয়োজন করে মাদকদ্রব্য নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরি পেতে প্রত্যেককে ডোপ টেস্টের আওতায় আনার অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চাকরিরতদেরও ডোপ টেস্টের আওতায় আনছি। বিশেষ করে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীতে যারা আছেন তাদের ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ এলেই অ্যাকশন নিচ্ছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মাদক একটি সামগ্রিক নেশায় পরিণত হয়েছে। আমরা ২০৩০ ও ২০৪১ সালের যে রূপকল্প করছি মাদক নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তা বাস্তবায়ন হবে না। এই ভয়ংকর নেশা থেকে বাঁচানোর জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। আমরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজিয়েছি। আগে যেখানে ৩/৪টি জেলা নিয়ে ছোট্ট একটি নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অফিস থাকত, এখন সেখানে প্রত্যেকটি জেলায় অফিস রয়েছে। আমরা লোকবলও বাড়িয়েছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনও আমরা ঢেলে সাজিয়েছি।

আলোচনায় মূল প্রবন্ধে মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না। মাদকদ্রব্যের অবৈধ প্রবেশের ফলে যুবসমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশে জনসংখ্যার ৪৯ ভাগ মানুষ বয়সে তরুণ। মাদক ব্যবসায়ীরা এই কর্মক্ষম তরুণ জনগোষ্ঠীকে ভোক্তা হিসেবে পেতে চায়। গবেষকরা আসক্তদের শতকরা ৮০ ভাগ কিশোর-তরুণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।


আরও খবর



পাথরঘাটায় পৃথক নিখোঁজ হওয়া দুইজনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটার ভাড়ানী খালে পৃথক নিখোঁজ হওয়া তানভীর (৩) ও জেলে মনির হোসেন (৩০) নামের দুইজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

গত শনিবার দুপুর ১টার দিকে নিখোঁজ হয় তানভীর। পরে রাত ১২টার দিকে প্রায় ১০ ঘন্টা পর তানভীরের মরদেহ করে এবং রোববার দুপুর ৩টার দিকে প্রায় ৫ ঘন্টা পর জেলে মনির হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল দশটায় দারিয়ে থাকা ট্রলারে ওপর একটি ট্রলারের ধাক্কায় মনির নিখোঁজ হয়।

মৃত শিশু তানভীর পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের প্রবাসি ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে এবং জেলে মনির হোসেন লক্ষীপুর জেলার সদর উপজেলা চকবাজার এলাকার হাফিজুল্লাহর ছেলে।

মৃত্যু তানভীরের বিষয় পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, তানভীর কিছু দিন আগে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামে নানা বাড়িতে মায়ের সঙ্গে বেড়াতে আসে। নানা বাড়ির পিছনের পাথরঘাটা ভাড়ানি খালে মা পুতুল বাশ বাগানের জন্য খাল থেকে কাদামাটি উঠানোর কাজ করছিলো। তখন পাশে শিশু তানভীর খেলতে ছিলো। মাটি তোলার কোনো এক সময় খালে পরে নিখোঁজ হয় তানভীর। সেই মোতাবেক খালে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ডুবলি দল এসেও উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ১০ ঘন্টা পর রাত ১২টার দিকে ছালেহ মাষ্টারের বরফ মিলের কাছে খালে ভাসমান অবস্থায় তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে রোববার সকাল ১০টার দিকে পাথরঘাটা ভাড়ানি খালের নতুন বাজার লঞ্চ টার্মিনালের নোঙর করে রাখা মোস্তফা গোলাম কবিরের মালিকানা এফবি সাফওয়ান ট্রলারে অপর একটি ট্রলারের ধাক্কা মারে। এসময় মনির হোসেন নামে এক জেলে ট্রলার থেকে ছিটকে খালে পড়ে নিখোঁজ হয়। এরপর প্রায় ৫ ঘন্টা স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান চালালেও তার মরদেহ পাওয়া যায়নি। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও স্থানীয় একটি ডুবির দল উদ্ধার অভিযান করে। এরপর পরই দুপুর ৩টার দিকে স্থানীয় ডুবির দল খালের মাঝখান থেকে মনিরের মরদেহ উদ্ধার করে।

এদিকে পাথরঘাটা থানা ওসি আল মামুন বলেন, দুটি ঘটনাই মর্মান্তিক এবং নিখোঁজের পর দুইটি লাশই উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং জেলে মনিরের লাশ বরগুনা মর্গ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



ঈশ্বরদীতে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

ঈশ্বরদীতে উপজেলা নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহকালে সন্ত্রাসী হামলার শিকার ও গুরুতর আহত হয়েছেন দৈনিক উন্নয়নের কথা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও শ্রমিকলীগ ঈশ্বরদী পৌর শাখার সভাপতি মো. মজিবর রহমান খান।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার অরোণকোলা রিফুজি কোলনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক উপজেলার মধ্য অরোণকোলা (রিফুজী কোলনী) এলাকার মৃত আক্কাস আলী খান এর ছেলে।

আহত সাংবাদিক মজিবর রহমান জানান, নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার ০৯ নং ওয়ার্ড মধ্য অরনকোলা রিফুজি কলোনী গোরস্থানগলি মসজিদের সামনে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পথ আটকিয়ে সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালিয়ে লাঠিসোটা ও ইট দ্বারা আহত করে আমার কাছে থাকা সতেরো হাজার তিনশত টাকা ছিনিয়ে নেয়। মাথায় যখম দেখা দেওয়ায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছি।

তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় মোঃ রেনু মুন্সি (৫৮) সহ অজ্ঞাতনামা আরও দুইজনকে আসামী করে এজাহার দায়ের করেছি।

সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, এই নির্বাচনকে বিতর্কিত ও অংশগ্রহণ মূলক না করতে বিভিন্ন অপশক্তি বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকী, অপচেষ্টা ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা সকল প্রকার নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বা আমরা একটি শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন করতে চাই। যে সকল দুষ্কৃতিরা এই নির্বাচনকে বানচাল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রসাশন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমি আশাবাদি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরদী থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরও খবর



ননস্টিক পাত্র কী স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ রান্নাঘরেই ননস্টিক পাত্রে রান্না করা হয়। মূলত রান্নার কাজকে সহজ করার জন্যই রাঁধুনিদের পছন্দ এটি। তবে এসব পাত্রের ভুল ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এর কারণ মূলত প্রচলিত ননস্টিক পাত্র তৈরি করার সময় এমনকিছু উপকরণ ব্যবহার করা হয় যেটার বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকলেই বিপদ। তাই প্রচলিত ননস্টিক পাত্র ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো। মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েব সাইটহেলথলাইনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ননস্টিক পাত্রের বিভিন্ন তথ্য। 

প্রচলিত ননস্টিক পাত্রে পার অ্যান্ড পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল সাবস্ট্যান্সেস (পিএফএএস) ব্যবহার করা হয়। কিছু বিশেষ রাসায়নিক উপাদানকে সংক্ষেপে পিএফএএস বলা হয়। আর ইংরেজিতে বলা হয় ফরএভার কেমিক্যাল

কয়েক বছর আগে ননস্টিক পাত্রে যে ধরনের পিএফএএস ব্যবহার করা হতো, তার নাম ছিল পার ফ্লুরো অক্টানয়িক অ্যাসিড। সংক্ষেপে এর নাম পিএফওএ। ২০১৫ সালের আগে ননস্টিক পাত্র তৈরি করা হতো পিএফওএ দিয়ে। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি (ইপিএ)-এর হস্তক্ষেপে সেই উপকরণ বদলে ফেলা হয়। কিন্তু এখনো ভিন্ন ধরনের পিএফএএস ব্যবহার করা হচ্ছে আর তাতেও কাছাকাছি ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা থেকে যায়।

পিএফএএস-এর কারণে কিডনির ক্যানসার, রক্তে চর্বির মাত্রাধিক্যসহ কিছু রোগের ঝুঁকি আছে বলে জানা যায়। আগেকার দিনের সেই পিএফওএ ব্যবহারে এসবের পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ আর থাইরয়েডের সমস্যার ঝুঁকিও ছিল। অন্যদিকে পরিবেশের নানা জায়গাতেই পিএফএএস ছড়িয়ে আছে তাই যদি কেউ এ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরেন তবে কেবল ননস্টিক পাত্রকে সরাসরি দায়ী করতে পারবেন না।

রান্নার পাত্রের কারণে বাড়তি কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। এবারে সে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক: 

পাত্রের ননস্টিক স্তরটা ক্ষয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে ওই পাত্র আর ব্যবহার করা যাবে না।

অত্যধিক উত্তাপ সৃষ্টি হয়, এমন চুলায় ননস্টিক পাত্র ব্যবহার করবেন না।

ননস্টিক পাত্র খালি থাকা অবস্থায় তা গরম করবেন না।

যদি আপনি রান্নাঘর থেকে ননস্টিক পাত্র বিদায় করতে চান আর রান্নাও সহজে করার পথ খুঁজেন তবে বিকল্প হিসেবে সিরামিক বা স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। এসব পাত্রে  বাড়তি কোনো কোটিং বা স্তর থাকে না তাই যেভাবে ইচ্ছা রান্না করতে পারবেন। 


আরও খবর



‘খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি বিক্ষোভ মিছিলও করতে পারেনি’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দলটি নেতাকর্মীরা একটা বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেনি বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বেগম জিয়া আটকে আছে আইনের ফাঁদে। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কোনো মামলা করেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় তিনি গ্রেপ্তার ও বন্দী হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের অবহেলায় বেগম জিয়ার এক বছরের বিচার ১০ বছরেও শেষ হয়নি। এটার জন্য বিএনপির নেতারাই দায়ী। তারা বেগম জিয়ার জন্য আইনি পথে ব্যর্থ হয়েছে, রাজপথে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে দেখার মতো বিক্ষোভ মিছিলও করতে পারেনি। 

আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার জন্যই বেগম জিয়ার শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিদেশি চিকিৎসক এসে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নিজেরাই এখন বিভক্ত। তাদের দলে বহুদিন ধরে কাউন্সিল নেই। তাদের ঘরোয়া রাজনীতি ঝিমিয়ে পড়েছে। নেতায় নেতায় মিল নেই। দল ক্ষমতায় আসবে এমন আশা নেতারা করলেও তা কর্মীরা দেখছে না৷ কর্মীরা এখন হতাশ হয়ে পড়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা পজিটিভ রাজনীতি করতে চাই। আজ বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতি সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকট থেকে আমাদের জনগণকে কিভাবে মুক্তি দেওয়া যায় তার জন্য কিছু বাস্তবমুখী কর্মসূচি নিতে হবে। দেশে বেকার সমস্যা সমাধানে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন সম্পর্কে বিগত সময়ে আমি যে বক্তব্য রেখেছি, তা নিয়ে অনেকে ভেবে ছিল এটা মনে হয় আমি নিজ থেকে নেত্রীর নামে বলে বেড়াচ্ছি। কিন্তু গতকাল আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনের বিষয়ে খোলাসা করেছেন। স্বজন বলতে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে স্ত্রী-সন্তান বুঝিয়েছেন। তিনি এমপিদের বলে দিয়েছেন। নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রভাব বিস্তার করা যাবে না। প্রশাসন ও নির্বাচনকে প্রভাবিত করা যাবে না। নেত্রীর সেই গাইড লাইন অনুযায়ী আমরা আমাদের পার্টির কর্মকাণ্ড পরিচালিত করব। উপজেলা নির্বাচনে নেত্রীর গাইড লাইন পালন করব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা প্রমুখ।


আরও খবর



১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে অনেকেই যুক্তরাজ্যে আবেদন করেছিল। এদের মধ্যে যাদের আবেদন ব্যর্থ হয়েছে সেসব বাংলাদেশিকে ফাস্ট-ট্রাক (দ্রুত) পদ্ধতিতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে দেশটি।

গত এক বছরে শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে থাকার প্রয়াসে প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জমা দিয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবদনে বলা হয়েছে, আশ্রয়ের আবেদন খারিজের পাশাপাশি যারা বিদেশি অপরাধী ও যাদের ভিসার বৈধ মেয়াদ অতিবাহিত হয়ে গেছে তাদেরকেও ফেরত পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো সহজ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি করেছে যুক্তরাজ্য। লন্ডনে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তিটি হয়।

যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বলেছেন, লন্ডনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্রবিষয়ক যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ প্রথম যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে চুক্তির ব্যাপারে দুই দেশ সম্মত হয়। ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় দেশ অংশীদারত্ব জোরদারে অঙ্গীকার করে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিষয়ে সহযোগিতা জোরালো করতে প্রতিশ্রুতি দেয়।

ওয়ার্কিং গ্রুপ বিদ্যমান ভিসা রুটগুলোর মাধ্যমে বৈধ অভিবাসনের সুবিধা অব্যাহত রাখা, অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলা, তথ্য ভাগাভাগি জোরদার করা, গুরুতর সংগঠিত অপরাধ মোকাবিলায় নিজ নিজ পন্থা সম্পর্কে পরস্পরের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ানোর ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়।


আরও খবর