আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মাদারীপুরে পুকুর খনন করতে গিয়ে মিলল কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় পুকুর খনন করতে গিয়ে প্রায় ৬০ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের একটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার গোপালপুর এলাকা থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।

কালকিনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিংকি সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, খবর পেয়ে আমরা কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিটি উদ্ধার করি। এটি লম্বায় আড়াই ফুট হবে। খুব সুন্দর মূর্তিটি। এটি পুরোপুরি অক্ষত রয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসনের ট্রেজারিতে মূর্তিটি জমা রেখেছি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার গোপালপুর এলাকার মো. ফারুক হোসেন ওরফে মঞ্জু তার বাড়ির পাশে একটি পুকুর খননকাজ শুরু করেন। খননের এক পর্যায়ে কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিটি মাটির তলদেশ থেকে বেরিয়ে আসে। পরে স্থানীয় শ্রমিকেরা সেটি ফারুক হোসেনের কাছে দেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ডাসার থানা পুলিশের সহযোগিতায় কালকিনি ও ডাসার উপজেলা প্রশাসন ফারুক হোসেনের বাড়ি থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করেন।

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বর বলেন, রোববার বিকেলে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। তখন ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফারুক হোসেনের পুকুর খননের সময় বিষ্ণুমূর্তিটি পাওয়া যায়। মূর্তিটির ওজন প্রায় ৬০ কেজি। এটির আনুমানিক মূল্য কোটি টাকার বেশি। এর আগেও ডাসার উপজেলায় এ ধরনের মূর্তি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বর।

এ বিষয় জানতে চাইলে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জাসান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে। পরে উপজেলা প্রশাসন সেটি জেলার ট্রেজারিতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।


আরও খবর



এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছে ২০৪ কোটি ডলার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। এ মাসে দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৭৪৮ কোটি টাকা।

এর আগের মাস মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন (১.৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। তবে ওই মাসে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, বিদেশিখাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। দ্বিতীয়মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন এবং এপ্রিলে এলো দুই বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর



তাপমাত্রা কমাতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ তৈরির উদ্যোগ নিলেন হিট অফিসার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্রুত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জলকামানের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।

নগরীর ধুলাবালি ও বায়ুদূষণ রোধে জলকামান ব্যবহার করা হলেও এবার তা তাপপ্রবাহ কমিয়ে রাখার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বুশরা আফরিন বলেন, নগরে বনায়ন বাড়িয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সময়ের প্রয়োজন। তবে তার জন্য এখন কিছু না করে বসে থাকার মানে নেই। তাই স্বল্প সময়ের জন্য হলেও দ্রুত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জলকামানের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। এতে গরমে নগরবাসীর ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে পানীয় জলের সুব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য। একই সঙ্গে কুলিং স্পেস-এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে যেন পথচারীরা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পান। আমাদের অবশ্যই আরও বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।

উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসার বলেন, গত এক বছরে আমরা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বস্তি এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। কারণ, তারা অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। এসব জায়গায় গাছ লাগানোর মাধ্যমে এবং এসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া অধিদফতরসহ বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি এবং এনজিওর সঙ্গে আমরা শিগগিরই যুক্ত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছি। কল্যাণপুর ও বনানীতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা নগর বন তৈরি করতে যাচ্ছি, যা একই সঙ্গে শীতলকরণ, বায়ুদূষণ রোধ এবং মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি করবে।

জানা গেছে, নিষ্প্রাণ প্রকৃতিতে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। কৃত্রিম বৃষ্টি-র দেখা মিলবে প্রতিদিনই। তীব্র দাবদাহে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘণ্টা কৃত্রিম বৃষ্টির দেখা পাবে নগরবাসী। রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, ফার্মগেট, আগারগাঁও সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কৃত্রিম বৃষ্টিরদেখা মিলবে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নগরীর তাপপ্রবাহ কমাতে কৃত্রিম বৃষ্টির তৈরির জন্য ব্যবহার করছে বড় বড় জলকামান। প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ পানি ছিটিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরিতে প্রয়োজন হয়েছে দুইটি স্প্রে ক্যানন ও ১০টি ব্রাউজার।


আরও খবর



পাঁচ বছরে তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বেড়েছে ১৫৯ গুণ, স্ত্রীর ৪৮গুণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের ৫ বছর ব্যবধানে স্থাবর, অস্থাবর, ব্যাংক আমানতসহ বিভিন্ন সম্পত্তি বেড়েছে ১৫৯ গুন। এছাড়া তার স্ত্রী সুমি আক্তার এইবার প্রার্থী হয়েছেন।

সেখানে স্ত্রীর ব্যাংকে জমা ব্যবসাসহ সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৪৮ গুণ। রেজবি উল কবির উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হলফনামা জমা দিয়েছেন। জমা দেওয়া সেই হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান রেজবি উল কবিরের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর ও পেশা ব্যবসায়ী দেখানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২টি মামলা থাকলেও সেগুলো নিস্পত্তি হয়েছে। গত ৫ বছরে তার নিজের নির্ভরশীল উৎস থেকে আয়, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যবসায় পুঁজি বেড়েছে। তবে ব্যাংক ঋণ কমেছে। পাঁচ বছর আগে তাঁর ব্যবসায় বাৎসরিক আয় ছিল ৫ লাখ ২৮ হাজার ৮৯ টাকা। বর্তমানে ৯৭ গুণের বেশি বেড়ে হয়েছে ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৮ টাকা। গত ৫ বছর আগে অস্থাবর সম্পদ ছিলো ৫৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।

বর্তমানে ব্যাংকের পরিশোধিত ঋণসহ অস্থাবর সম্পত্তির পরিমান দাড়িয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ ২৫ হাজার ৫৪২ টাকা। যা আগের থেকে ১০০ গুন বেড়েছে। স্থাবর সম্পত্তি গত ৫ বছর আগে ছিলো ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। যা বর্তমানে ২৮০ গুণ বেড়ে দাড়িয়েছে ৪ কোটি ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৪০৮ টাকা।

বর্তমানে তিনটি ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৬ টাকা। ঋণের চাপ কমেছে ৪৩ শতাংশ। বার্ষিক আয়, স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে গড়ে তার সম্পাদ বেড়েছে ১৫৯ গুণ। গত ২০১৯ সালের হলফনামায় ২ কোটি ৮৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬৫ টাকা ঋণ ছিলো। গত ৫ বছর আগে তার মেসার্স পায়রা ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করলেও এই বার সাথে যুক্ত করেছেন মেসার্স ফাতেমা রাইস মিল ও মেসার্স পায়রা স্বমিল এন্ড টিম্বার। তবে নগদ টাকা,নিজের নামের বাড়ি ও গাড়ি নেই।

গত ৫ বছর আগে যে সব খাত থেকে কোনো আয় ছিলোই না। শূণ্য থেকে সেই সব খাতে বর্তমানে ব্যবসায় পুঁজি ২ কোটি ৮২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪২ টাকা দেখানো হয়েছে। কৃষি খাতে বছরে আয় ১ লাখ ১৫ হাজার ২শ টাকা। শেয়ার ও ব্যাংক আমানত ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৬৫ টাকা। পেশা থেকে আয় হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ থেকে বাৎসরিক আয় ৮১ হাজার ৫০৩ টাকা।

এদিকে স্ত্রী সুমি আক্তার চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন,তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই ও স্ব-শিক্ষিত উল্লেখ করেন। একই সাথে তিনি ব্যবসায়ী। রৈশি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায় বার্ষিক আয় ৬ লাখ টাকা, নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ২৭ লাখ টাকা, ব্যবসায় পুঁজি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা,কৃষি জমি ২.৫০ একর যার মূল্য ২০ লাখ টাকা,অন্যান্য পরিসম্পদ ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা উল্লেখ করেন হলফনামায়। ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় রেজবি উল কবির জোমাদ্দার তার স্ত্রীর নামে শুধু মাত্র নগদ ২ লাখ টাকা উল্লেখ করেন। স্ত্রীর গত ৫ বছর আগে কোনো আয় না থাকলেও গড়ে সব সম্পত্তি মিলিয়ে বেড়েছে ৪৮ গুন।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন,আমার বাবা ও মা মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পদের কারণে সম্পত্তি বেড়েছে। এছাড়া বৈধভাবে ব্যবসা করে এ সম্পদের মালিক হয়েছি। আমার হলফনামায় সব কিছু উল্লেখ করা আছে।


আরও খবর



সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণ। মেগাসিটি ঢাকাও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে ঢাকার বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। অবশ্য কয়েক দিনের তীব্র গরমের পরও ঢাকার বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছেই।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১২৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৮ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২২৬ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ১৬৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতারের দোহা শহর, ১৬৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাই, ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৬০।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোরকে মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন : বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। বায়ুদূষণ সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ এবং অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

তরুণদের আস্থা আর বয়োজ্যেষ্ঠদের নির্ভরতার প্রতীক সাদ্দাম হোসেন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে হাটবাজারে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে তরুণ প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। 

হরিরামপুর উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে তরুণ থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সবারই আলোচনার বিষয়ে এখন মো. সাদ্দাম হোসেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিপদে-আপদে যখন কোন প্রয়োজন হয়েছে ঘরের ছেলের মতে এগিয়ে এসেছে সাদ্দাম হোসেন। 

বয়োজ্যেষ্ঠ বাদল মন্ডল জানান, যখনই কোন প্রয়োজনে সাদ্দাম হোসেনের কাছে গিয়েছি সে তার সাধ্যমত উপকার করার চেষ্টা করছে। আমাদের মত বয়স্ক মানুষ যারাই সাদ্দামের কাছে গেছে তারাই ভালো ব্যবহার পেয়েছে। এই নির্বাচনে জয়-টা তার প্রাপ্য, আমি চাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাদ্দাম যেন এই এলাকার সেবা করতে পারে।

চায়ের দোকানে বসে কথা হয় আসিকুজ্জামান নামে একজনের সাথে। আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা খেলাধুলা করতে পছন্দ করি, একারণে একবার সাদ্দাম ভাইয়ের কাছে ক্রীড়া সামগ্রী চেয়েছিলাম, তিনি আমাদের যা দিয়েছিলেন তা ছিল চাহিদারও বেশি। আমার মত তরুণরা চায় সাদ্দাম ভাই উপজেলা পরিষদে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করুক। তরুণ সমাজ জোট বেঁধেছে তারা সাদ্দাম ভাইকেই ভোট দিবে।

কলেজ পড়ুয়া সাথী আক্তার জানান, সাদ্দাম ভাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক, দীর্ঘদিন ধরে বিপধগামী জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। এবার প্রথমবারের মত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিব, আর সেটা হবে সাদ্দাম ভাইয়ের জন্য।


নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, আমি খুব ছোটবেলা থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। স্কুল কলেজের মাঠ চুকিয়ে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ভর্তি হই, তখন থেকেই সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেন, সেখানে আমি কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পাই। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পাই।

তিনি বলেন, আসলে রাজনীতি মানেই হলো মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে পথ চলতে হবে। আমি নিজে ভাল থাকব আর আমার পাশের মানুষেরা কষ্টে থাকবে, আমি আসলে সেই ধারায় বিশ্বাসী না। মানুষের সেবা করার সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম হলো রাজনীতি। আর রাজনীতির পরিপূর্ণতাই হলো জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করা। সেই লক্ষেই আমার এই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করা। আমি আশা করি, আপামর সাধারণ জনগণ ও তরুণ সমাজ আমার পাশে থাকবে এবং আমাকে জনগণ তাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।


প্রসঙ্গত, এ উপজেলার ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও ১৭ এপ্রিল যাচাই বাছাইয়ে বৈধতা পান ৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে এবারের নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থীদের তালিকার মধ্যে নির্বাচনী মাঠে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে প্রার্থীতা বৈধতা পেয়েই পুরোদমে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন সাদ্দাম হোসেন। তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে গণসংযোগ শুরু করেছেন।

এছাড়াও বৈধতা পাওয়া অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হাসান রাজিব, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সামছুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আজিম খাঁন, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তামজিদ উল্লা প্রধান লিল্টু, বিএনপি পন্থি একমাত্র প্রার্থী উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ও বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার ও নির্দলীয় প্রার্থী রাকিব হাসান। মনোনয়ন বাতিল হওয়া একমাত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিম মোল্লা আপিল করেছেন বলেও জানা যায়।


আরও খবর