আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মাদারীপুরে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুরে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক আসামি শওকত তস্তারকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৮। গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার শওকত সদর উপজেলার ছিলারচর এলাকার বাসিন্দা।

মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪) তার বাবা ও দাদির সঙ্গে উপজেলার একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করে। গত শুক্রবার দুপুরে বাজার থেকে নিজের বাড়ির দিকে যাচ্ছিল ওই কিশোরী। এ সময় তার পথ রোধ করেন শওকত তস্তার। পরে ওই কিশোরীর মুখ চেপে হাত-পা বেঁধে পাশের একটি বাগানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন শওকত। একপর্যায়ে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে শওকত তাকে ফেলে পালিয়ে যান। পরে স্বজনেরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ঘটনার এক দিন পরই ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত শওকত তস্তারকে আসামি করে সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। তবে ঘটনার পর থেকে আসামি শওকত তস্তার গা ঢাকা দেন। তাঁকে ধরতে একাধিক অভিযান চালায় পুলিশ।

বিষয়টি র‌্যাবের নজরে এলে মাদারীপুর র‌্যাব-৮ ও র‌্যাব-১১ তদন্ত শুরু করে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে, আসামি শওকত তস্তার নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছেন। এরপর র‌্যাবের একটি দল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক এলাকায় অভিযান চালিয়ে শওকতকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মুহতাসিম রসুল বলেন, মামলা হওয়ার আগে থেকেই অভিযুক্ত আসামি শওকত পলাতক ছিলেন। বিষয়টি নজরে এলে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করেন তাঁরা। একপর্যায় অবস্থান শনাক্ত করে আসামি শওকতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরি, প্রতিবেদন দাখিল পেছাল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি ৫০১ গ্রাম স্বর্ণ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ফের পেছানো হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় সোমবার (১৩ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ জুন দিন ধার্য করেন।

এর আগে, চাঞ্চল্যকর এই চুরির ঘটনাটি গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর কর্মকর্তাদের নজরে আসে। মূলত হিসাব মেলাতে গিয়েই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এ ঘটনায় কাস্টমসের পক্ষ থেকে তখনই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এরপর গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।

মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিরা হলেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, শাহিদুল ইসলাম সাহেদ, আকরাম শেখ, মাসুম রানা, সিপাহী মোজাম্মেল হক, নিয়ামত হাওলাদার, রেজাউল করিম ও আফজাল হোসেন।

সাধারণত বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ করা স্বর্ণের বার, অলংকারসহ মূল্যবান জিনিস এ গুদামে রাখা হয়।


আরও খবর



অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশের এসআই নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের কাটদহচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম সাইদুর রহমান (৪৫)। তিনি উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি পরীক্ষার ডিউটি শেষ করে মোটরসাইকেল যোগে ক্যাম্পে ফিরছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে কাটদহচর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় রেলক্রসিং পারাপারের সময় ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার তাকে ও মোটরসাইকেলটি টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।

মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।


আরও খবর



সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা খারাপ: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আমলে তারা যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদর এবং নিজেরা পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ, শাসন এবং অত্যাচার করতো। আর বর্তমান চিত্র, বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়ন হচ্ছে- এ উন্নয়ন দেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেজন্য এখন তাদের মাথা খারাপ অবস্থা।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংসদীয় এলাকা আখাউড়া উপজেলায় বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু পরিদর্শনে আসলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এর আগে স্থানীয়দের উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক ওই এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় আখাউড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মহানগর প্রভাতী ট্রেনযোগে ঢাকা-আখাউড়া রেল স্টেশনে পৌঁছলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনটি ছিল (১৭ মে) বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বপ্ন দেখার দিন, নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন দেখার দিন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের আজকের ১৭ মে বাংলাদেশের ফিরে এসে মানুষ যে স্বপ্ন দেখত মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছে শেখ হাসিনা মানুষের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এইজন্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে।

এ সময় আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ঋণ খেলাপির তালিকা বিএনপির আমলে সবচেয়ে বেশি ছিল।

নিউজ ট্যাগ: মির্জা ফখরুল

আরও খবর



‘খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি বিক্ষোভ মিছিলও করতে পারেনি’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দলটি নেতাকর্মীরা একটা বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেনি বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বেগম জিয়া আটকে আছে আইনের ফাঁদে। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কোনো মামলা করেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় তিনি গ্রেপ্তার ও বন্দী হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের অবহেলায় বেগম জিয়ার এক বছরের বিচার ১০ বছরেও শেষ হয়নি। এটার জন্য বিএনপির নেতারাই দায়ী। তারা বেগম জিয়ার জন্য আইনি পথে ব্যর্থ হয়েছে, রাজপথে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে দেখার মতো বিক্ষোভ মিছিলও করতে পারেনি। 

আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার জন্যই বেগম জিয়ার শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিদেশি চিকিৎসক এসে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নিজেরাই এখন বিভক্ত। তাদের দলে বহুদিন ধরে কাউন্সিল নেই। তাদের ঘরোয়া রাজনীতি ঝিমিয়ে পড়েছে। নেতায় নেতায় মিল নেই। দল ক্ষমতায় আসবে এমন আশা নেতারা করলেও তা কর্মীরা দেখছে না৷ কর্মীরা এখন হতাশ হয়ে পড়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা পজিটিভ রাজনীতি করতে চাই। আজ বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতি সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকট থেকে আমাদের জনগণকে কিভাবে মুক্তি দেওয়া যায় তার জন্য কিছু বাস্তবমুখী কর্মসূচি নিতে হবে। দেশে বেকার সমস্যা সমাধানে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন সম্পর্কে বিগত সময়ে আমি যে বক্তব্য রেখেছি, তা নিয়ে অনেকে ভেবে ছিল এটা মনে হয় আমি নিজ থেকে নেত্রীর নামে বলে বেড়াচ্ছি। কিন্তু গতকাল আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনের বিষয়ে খোলাসা করেছেন। স্বজন বলতে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে স্ত্রী-সন্তান বুঝিয়েছেন। তিনি এমপিদের বলে দিয়েছেন। নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রভাব বিস্তার করা যাবে না। প্রশাসন ও নির্বাচনকে প্রভাবিত করা যাবে না। নেত্রীর সেই গাইড লাইন অনুযায়ী আমরা আমাদের পার্টির কর্মকাণ্ড পরিচালিত করব। উপজেলা নির্বাচনে নেত্রীর গাইড লাইন পালন করব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা প্রমুখ।


আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সরকারের বিরোধী ষড়যন্ত্র, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে মিথ্যাচার এবং ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও সরকারকে বিব্রত করার অভিযোগে বেসরকারি সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর মূখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে এই মামলা করেন।

সিএমএমের পক্ষে মহানগর হাকিম (শাহবাগ আমলী আদালত) বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও অভিযোগের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পুলিশ ব‍্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের তথ্য প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সেখানে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গত ২০ বছর মন্ত্রী থেকেও ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন খাতের উন্নয়নে ও দুর্ঘটনা রোধে কিছুই করতে পারেননি। তিনি চাইলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন।

বাদী হানিফ খোকন মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন, ওবায়দুল কাদের ২০ বছর মন্ত্রীত্ব করছেন না। তিনি ১৪ বছর সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন এবং তার আমলে সড়ক যোগাযোগ খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা উল্লেখ না করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই সংখ্যা বাড়িয়ে বলেছেন।

বাদী অভিযোগ করেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতি মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং পরিবার ও সমাজে ব্যাপকভাবে সম্মানহানী করেছে। যা পেনাল কোড ৫০০/৫০১/৫০৬ ধারায় অপরাধ। জনগণকে বিভ্রান্ত ও সরকারকে বিব্রত করতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি এসব মিথ্যাচার করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বাদী হানিফ খোকনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোহাম্মদ মুশতাক আহমেদ। এর আগে একই অভিযোগে ২৩ এপ্রিল শাহবাগ থানায় জিডি করা হয়েছে।


আরও খবর