আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাদারীপুরে চা বিক্রি করে মনিরের আয় মাসে ৫০ হাজার

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুরের ছোট্ট একটি ঘরে। সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে সোরগোল। আমাকে এক কাপ দিন, আমাকে এক কাপ দিন। এটা তার নিত্যদিনের দৃশ্য। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে দোকানে বাড়তে থাকে ভিড়। এ সময় একটু দম ফেলার কোন সুযোগ মেলে না চা বিক্রিতা মনিরের। এই দোকান থেকেই মাসে আয় হয় ৪০ থেকে ৫০হাজার টাকা।

বলছিলাম মাদারীপুর সদর উপজেলা পাঁচখোলা ইউনিয়নের পশ্চিম পাঁচখোলা এলাকার চায়ের দোকানি মোঃ শাহরিয়ার মনিরের কথা। মুক্তিসেনা স্কুলের একটু সামনে মনিরের চা দোকানের খ্যাতি এখন জেলাজুড়ে। সকাল-রাত প্রায় সব বয়সী লোকজনের দেখা মেলে চায়ের জন্য।

তবে তার চায়ের দোকানটি নাফসিন ভ্যারাইটিজ কর্নার স্টোর নামে জেলায় বেশ পরিচিত পেয়েছে। বর্তমানে তার দোকানে ৮০ প্রজাতীর চা পাওয়া যায়। এরমধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় চা হলো দুবাই চা ও স্পেশাল তুর্কি চা এবং আয়ুর্বেদিক রং চা।

চা বিক্রিতার মনির জানান, ২০০০ সালে এসএসসি পাশ করে অভাবের সংসারে হাল ধরার জন্য পারিজমান ঢাকার শহরে। সেখানে চাকরি নেন গার্মেন্টসে। গার্মেন্টস থেকে যে টাকা পায় নিজের চলতে কষ্ট হয়ে পরে। চাকরি ছেড়ে চলে আসেন পাঁচখোলা ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের নিজ বাড়িতে। তারপরে চিন্তা আছে মাথায় নিজে কিছু একটা করার। বিভিন্ন দোকানে চা বানানো দেখে এবং ইউটিউবের সহযোগিতায় শিখে নেন চা বানানোর কৌশল।

মুক্তিসেনা স্কুলের সামনে বৃদ্ধাশ্রমের পাশে শুরু করে দেন দোকান নির্মাণের কাজ। প্রথমে তিনি ১৫ রকমের চা দিয়ে শুরু করেন ব্যবসা। বর্তমানে তার দোকানে ৮০ প্রজাতির চা রয়েছে। এছাড়াও বাহারী ধরনের পান রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য পান আগুন পান। ব্যতিক্রম একটি খাবার রয়েছে তার নাম স্মোক বিস্কিট। সব মিলিয়ে এখন তার মাসে আয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা এমনটাই জানান। এই আয়ের টাকার মধ্যে দিয়ে সংসার এবং ভাই-বোনদের লেখাপড়া খরচ চালান তিনি। এমন এক সময় গেছে তাদের দিন আনতে দিন খাইতে অনেক কষ্ট হয়ে হত। এখন এই চায়ের দোকানে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। সংসারে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হল বাড়তি ২০ হাজার টাকার পুজি থাকে।

তিনি আরো বলেন, তার দেখা দেখি অনেক বেকার যুবকরাও এই বাহারি চায়ের দোকান দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এবং তার কাছ থেকে তারা চা বানানোর কৌশল শিখেছে।

নিয়মিত চা খেতে আসেন মাদারীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সোহান ইসলাম। সে সাংবাদিকদের বলে, মাদারীপুর জেলার সবচেয়ে সুস্বাধু চা পাওয়া যায় মুক্তিসেনা বৃদ্ধাশ্রম এর পাশে মনির ভাইয়ের দোকানে। আমরা বন্ধুরা মিলে প্রায়ই এখানে চা খেতে আসি। আমরা দুবাই চাটাই বেশি খাই।

রুবেল হোসেন বাড়ি রাজবাড়ী জেলায় চাকরি করেন মাদারীপুরে। চাকির সুবাদে থাকা মাদারীপুরে তিনি বলেন, পাঁচখোলা এলাকায় গেলে মনির ভাইয়ের চায়ের দোকানে চায় খাই।বিশেষ করে তার দোকানে দুবাই ও তুর্কি চাটা বেশি চলে। তার দোকানে বিভিন্ন ফ্লেভারের চাপ পাওয়া যায়।

শরীয়তপুর থেকে চা খেতে আসা মোহাম্মদ রিয়ান বলেন, আমি মাঝে মাঝে এখানেই চা খেতে আসি। এবং সবচাইতে আমার কাছে দুবাই চাটাই মজা লাগে। এজন্য আমার মন চায় আমি বারবার এই চা খাই।

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাহাত ইসলাম বলেন, আমরা ভার্সিটির বন্ধুরা মিলে ২০০ টাকা ভাড়া দিয়ে প্রতি শুক্রবার এখানকার চায়ের অতুলনীয় স্বাদ নিতে আসি। এখানকার চা অন্য সব দোকানের থেকে আলাদা। একবার খেলেই মুখে এর স্বাদ অনেক দিন লেগে থাকে।

অটোচালক রুহুল বলেন, সারা দিন শহরে অটো চালিয়ে সন্ধ্যার পর বাসায় যাওয়ার আগে মনির ভাইয়ের চা খাই। সন্ধ্যার পরে চা খেতে হলে সিরিয়াল নিতে হয়।

মনিরের স্ত্রী মুন্নী বেগম বলেন, যখন দোকানে ভিড় থাকে তখন আমি আমার স্বামীকে দোকানের কাজে সাহায্য সহযোগিতা করি। বেশিরভাগ সময় সন্ধার পরেই ভিড় বেশি থাকে তখন আমি আমার স্বামীকে সংসারের পাশাপাশি তার দোকানও সহযোগিতা করি।

মুক্তিসেনা স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোঃ হাসান বলেন, আমি অবসর সময় বিভিন্ন দোকানের চা খাই, কিন্তু এখানের মত এরকম কেউ চা বানাতে পারে না। এখানকার চা একবার খাইলে আবারও খেতে মন চায় যে এখানে সবচাইতে যে বিষয়টা হলো যেখানে তুর্কি দুবাইসহ বিভিন্ন ফ্লেবারের এত সুন্দর ভাবে মন চায় আমাদের বারবার খেতে।

পাঁচখোলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ তিনু হাওলাদার বলেন, মনিরের চায়ের দোকানে নাম এখন জেলা জুড়ে বিস্তৃত। আমি শহরের যেখানে যাই প্রতিটা লোকের কাছেই শুনে যে মনিরের চায়ের বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু চা পাওয়া যায়। আমিও গিয়ে খেয়েছিলাম। এখানে সবচাইতে তুর্কি, আয়ুর্বেদিক এবং দুবাই চাটা বেশি চলে। মনির জীবনে অনেক কষ্ট করেছে আজকে মনির সফলতার মুখ দেখছে এ কারণে মনিরকে ধন্যবাদ জানাই।

প্রসঙ্গত, শাহরিয়ার মনিরের টি স্টোরের সুস্বাধু চা খেতে আসতে হবে মাদারীপুর সদর উপজেলা পাঁচখোলা ইউনিয়ন মুক্তিসেনা সামনে বৃদ্ধাশ্রমের পাশে। এখানে এসে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলে মনিরের চা স্টোরটি দেখিয়ে দেবে।

নিউজ ট্যাগ: মাদারীপুর

আরও খবর



বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় বিষণ্ন ঈদ গাজায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর ধর্মীয় এ উৎসবকে সামনে রেখে চারদিকে আনন্দ-উল্লাস। তবে বিশ্বে এমনো এক প্রান্ত রয়েছে যেখানে শুধুই স্বজন হারানোর হাহাকার। বাতাসে লাশের গন্ধ। বিধ্বস্ত কংক্রিটের ভাঁজে ভাঁজে রক্তের ছাপ। ধূলিসাৎ হয়ে গেছে মসজিদ, পার্ক, ঐতিহাসিক ভবনসহ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় এবার বিষণ্ন ঈদ গাজায়। বাড়িতে খাবার নেই। নতুন পোশাক নেই। জীবনেরও কোনো নিয়শ্চয়তা নেই। ইসরাইলের অমানবীয় অত্যাচারে আনন্দহীন ঈদ কাটাবে গাজাবাসী। আলজাজিরা।

গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা প্রত্যক্ষ করা হৃদয়বিদারক। ইহুদিবাদীরা তাদের পৈশাচিক আচরণ এবং ঘৃণ্য পেশা দিয়ে শোক ও বেদনাকে ছড়িয়ে দিয়েছে গাজায়। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে শুধুই দুর্ভিক্ষ। অনেকেই স্বজন হারিয়ে একাকী ঈদের দিনটি কাটাবে। তবুও অসংখ্য গাজাবাসীর আশায় দিন কাটাচ্ছে তাদের দুঃখের অবসান হবে। তাদের মতে, শহিদদের রক্ত ইসরাইলের বর্বর সামরিক দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির পথকে উন্মুক্ত করে দেবে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানকার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। সোমবার দলে দলে ফিলিস্তিনিরা বিধ্বস্ত শহরে ফিরছেন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আংশিক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর এই ফিরে আসা শুরু হয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। খান ইউনিসে অনেকেই নিজের শহরকে চিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল। সড়কগুলোতে বুলডোজার চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুত হওয়া নাজওয়া আয়াশ নামের আরেকজন বলেছেন, তার পরিবারের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের তৃতীয়তলায় তিনি যেতে পারছেন না। কারণ সিঁড়ি নেই। ধ্বংসস্তূপ বেয়ে উপরে ওঠে তার ভাই সন্তানদের জন্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। বাসেল আবু নাসের আরেক বাসিন্দা বলেছেন, শহরটি ধ্বংসনগরী হয়ে গেছে। জীবনের কোনো স্পন্দন নেই। তারা কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরাক সরকার। এছাড়া গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ এবং তাদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

রোববার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এ ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশ গাজার বাসিন্দাদের জন্য এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠাবে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতাল, পানি ব্যবস্থাপনা, বেকারি ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। তাই ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুবিধার্থে এই সহায়তা দিচ্ছে ইরাক।

অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ৩০০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অঞ্চলটিতে খাদ্য সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরাইলকে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরই মধ্যে দেশটি সোমবার ফিলিস্তিনি এই ভখণ্ডে ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করানোর কথা জানিয়েছে। তবে অঞ্চলটির অনাহারে ভোগা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য গাজায় সোমবার প্রবেশ করা এই সংখ্যক ট্রাক যথেষ্ট নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি বিবৃতিতে ইসরাইলের কোঅর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটরি (সিওজিএটি) বলেছে, ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ২২৮টি ট্রাকে খাদ্যপণ্য ছিল। এই ট্রাকগুলো মোট সংখ্যার ৭০ শতাংশ। রাফাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, অন্য ট্রাকগুলোও কারেম আবু সালেম সীমান্ত দিয়ে গিয়েছিল। এই সীমান্তটি ইসরাইলিদের কাছে কেরেম শালোম নামে পরিচিত। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা বহনকারী গাড়ি বহরের অধিকাংশ গাড়িই পানি, চিনি, আটা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই ছিল।


আরও খবর



সুন্দরবনে যাতে আর আগুন না লাগে সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুন্দরবনের আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে বলেছেন তিনি। সোমবার (৬ মে) নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সন্তুষ্টির কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সুন্দরবনের আগুন লাগার বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়টি আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সচিব বলেন, বনের আগুন নেভানোর পর সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করা যায় না। এজন্য তারা এখন আগামী কয়েকদিন গভীর পর্যবেক্ষণে রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী অবহিত হওয়ার পর কার্যক্রমের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সুন্দরবনের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ কর্মী ফুলটাইম কাজ করেছেন। দেড়শয়েরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেছেন। দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূর থেকে পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে পানি এনে ব্যবহার করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, গভীর জঙ্গলে রাতে কাজ করা যায়নি। দিনে কাজ করতে হয়েছে। ঝুঁকিও ছিল। সবগুলো মিলিয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জিং টাস্ক তারা কমপ্লিট করেছেন, এজন্য তারা (ফায়ার সার্ভিস) ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।


আরও খবর



তেলের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোজ্যতেলের স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ ছিল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এরইমধ্যে এর মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকরা। তবে তেলের দাম বাড়িয়ে আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে এ কথা জানান তিনি। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ। উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেলের স্থানীয় উৎপাদনে ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ৫ শতাংশ কমায় এনবিআর। ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ শেষ হওয়ায় তেলের দাম আগের অবস্থায় নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকরা।

এর জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, তেলে ৫ শতাংশ ডিউটি কমিয়েছিলাম, এতে ভোক্তা পর্যায়ে ১০ টাকা কমেছিল তেলের দাম। সেই ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। আমাদের ট্যারিফ কমিশন এটা নিয়ে কাজ করছে। দেখা হচ্ছে মিলাররা কী দামে তেলের কাঁচামাল আনছেন তার দাম কেমন পড়ছে ইত্যাদি বিষয়ে। তবে তেলের দাম পূর্বের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই এটা বলতে পারি।

তেলের দাম বাড়াতে গতকাল সোমবার বাণিজ্যসচিবকে চিঠি দেন মিল মালিকরা। সেখানে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিঠির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চিঠিও আমি এখনো পায়নি, যদি পাঠিয়ে থাকেন অফিসে যেয়ে দেখতে হবে।


আরও খবর



চুয়েটের ২ শিক্ষার্থীক চাপা দেয়া সেই বাসচালক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসচালক তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক এলাকায়।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে কাপ্তাই সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাসের ধাক্কায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। একই ঘটনায় আহত হয়ে জাকারিয়া নামের আরেক চুয়েট শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ওই দিন রাত ৮টার দিকে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।


আরও খবর



তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোটের তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ মে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম এ তফসিল ঘোষণা করেন।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ২ মে। যাচাই-বাছাই ৫ মে। ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিস্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে ও ভোট ২৯ মে।

জাহাংগীর আলম বলেন, ১১২ উপজেলার মধ্যে ২১ উপজেলায় ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বাকি ৯১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে ব্যালটে।


আরও খবর