আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মাচুপিচু: পেরুর বিস্ময়কর ইনকা নগরী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

পেরুর দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সবুজের মাঝে আশ্চর্য সুন্দর এক ইনকা নগরী মাচুপিচু। বহু বছর আগেই পরিত্যক্ত এই শহরের ধ্বংসাবশেষের দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পর্যটক আর গবেষকদের কাছে। পেরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার  কারণে আপাতত পর্যটক প্রবেশ বারণ ইনকাদের শহরটিতে। তবে মাচুপিচু নিয়ে লেখাপড়ায় নিশ্চই বাধা নেই।

অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার: ১৯১১ সালের ২৪ জুলাই, সকাল। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ও অভিযাত্রী হিরাম বিংহ্যাম পেরুর প্রাচীন ইনকা ধ্বংসাবশেষের কিংবদন্তি সত্যি কি না, তা অনুসন্ধানে বের হয়েছেন। তাঁর সঙ্গী দুজন গাইড। গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পথ করে এগোতে হচ্ছে তাঁকে। হামাগুড়ি দিয়ে গাছের গুঁড়ির একটি প্রাকৃতিক সেতু পেরোলেন। তারপর বিষধর পিট ভাইপার সাপেদের আড্ডাখানা হিসেবে পরিচিত এমন একটি ঝোপঝাড়ময় এলাকা অতিক্রম করলেন খুব সাবধানে।  দুই ঘণ্টা হাঁটার পর বিংহ্যাম ও তাঁর সঙ্গীরা এক কুঁড়ের সামনে চলে এলেন। সেখান থেকে স্থানীয় দুজন কৃষক তাঁদের কিছুটা পথ এগিয়ে দিয়ে ছোট্ট এক ছেলের দায়িত্বে ছেড়ে দিলেন। আর ওই ছেলের পেছনে পেছনে চলতে চলতে বিংহ্যাম অপ্রত্যাশিতভাবে এমন একটি কিছুর খোঁজ পেয়ে গেলেন, যাকে বিবেচনা করা হয় বিংশ শতকের সেরা প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার হিসেবে। ২০০৭ সালে এই আবিষ্কার মানে মাচুপিচুর নাম ওঠে নতুন সপ্তাশ্চর্যের তালিকায়।

বিংহ্যাম যার খোঁজ পেলেন, সেটি পাহাড় কেটে বানানো বিশাল এক পাথরের নগরী। শহরের দালান-কোঠাগুলোতে চুন-সুরকির মিশ্রণ ছাড়া একটার পর একটা পাথর গায়ে গায়ে এভাবে লেগে আছে যে একটি ছুরির ফলা ভেতরে ঢুকবে না। অবাক বিংহ্যাম ভাবলেন, কিন্তু কেন? কারাই বা এটা করল? পেরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কালচারের একসময়কার পরিচালক ও পেরুভিয়ান বিশেষজ্ঞ লুই লামবরারারস পরে মাচুপিচুকে পরিচয় করিয়ে দেন, প্রাসাদ, মন্দির, বসতঘর, গুদামের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এক নগরী হিসেবে; যেখানে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় রীতি উদযাপন করা হতো। মাচুপিচুতে দালান, চত্বর আর চাতালগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত সরু লেন বা পথের মাধ্যমে। শহরটির বিভিন্ন অংশ ঘিরে রাখা বেষ্টনী, পরিখা সবকিছু মিলিয়ে একে সামরিক ঘাঁটি মনে হলেও লামবরারারসের ধারণা ছিল এই নিরাপত্তাব্যবস্থা গোপনীয় ধর্মীয় আচার পালনের জন্যই।

সেই হারানো শহর নয়: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ১৯১৩ সালের এপ্রিল সংখ্যায় বিংহ্যামের আবিষ্কারের কাহিনি ছাপা হয়। সেই সঙ্গে পেরুর পাহাড়রাজ্যের এই আশ্চর্য নগরী পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়ে যায়।  বিংহ্যামের বিশ্বাস ছিল, তিনি ইনকাদের সেই হারানো শহর ভিলকাবামবার খোঁজ পেয়েছেন, যেখানে শেষ স্বাধীন ইনকা শাসক স্পেনীয় আক্রমণকারীদের সঙ্গে এক বছর মরণপণ লড়াই করেছিলেন। প্রায় অর্ধশতাব্দী বিংহ্যামের ওই ধারণাই সত্যি বলে ধরে নিয়েছিল সবাই। তবে সত্যি হলো, বিংহ্যাম যে নগরী আবিষ্কার করেছেন, সেটি সেই হারানো শহর নয়, বরং নতুন এক হারানো শহর।  ১৯৬৪ সালে অভিযাত্রী গেনে সেভয় ওই শহরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন। তিনি প্রমাণ করেন, মাচুপিচুর পশ্চিমে এসপিরিতো পাম্পা হলো বিংহ্যামের খোঁজ করা সেই হারানো শহর। আশ্চর্যজনক হলেও ১৯১১ সালের সেই অভিযানের সময় বিংহ্যাম এসপিরিতো পাম্পার সেই ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পেয়েছিলেন। ইনকাদের কিছু পাথরের দেয়াল আর সেতু খুঁজে বেরও করেছিলেন। তবে এগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে এগিয়ে যান মাচুপিচুর দিকে। সেভয় বাকি বেশির ভাগ ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পান।

মাচুপিচু তাহলে কী: সেভয়ের এই আবিষ্কারে একটা নতুন প্রশ্ন চলে এলো সামনে, তাহলে বিংহ্যামের সন্ধান পাওয়া শহরটির পরিচয় কী? স্প্যানিশদের কোনো নথিতে সেভাবে আসেনি মাচুপিচুর কথা। তার মানে, ইনকাদের রাজধানী কাস্কো থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত হলেও ইউরোপীয় আক্রমণকারীরা এই নগরের খোঁজই পাননি আদতে। এমনকি এর অস্তিত্ব সম্পর্কেও নেই কোনো তথ্য।  বিংহ্যাম ধারণা করেন, এখানে ইনকা সাম্রাজ্যের নির্বাচিত নারীদের রাখা হতো, যারা ইনকা রাজা ও তাঁর সভাসদদের সেবা করতেন। তিনি শতাধিক কঙ্কাল পান এলাকাটিতে। তাঁর মতে, এগুলোর ৭৫ শতাংশ নারীর। তবে পরবর্তী গবেষণায় এখানে বাস করা নারী-পুরুষের সংখ্যা মোটামুটি সমান ছিল বলেই প্রমাণ মেলে।

আধুনিক ধারণা: মাচুপিচু নিয়ে জন রো, রিচার্ড বারগার, লুসি সালাজারদের গবেষণায় অনুমান করা হয় ইনকা শাসক পাচাচুটি শহরটি স্থাপন করেন বিশ্রাম নেওয়ার কেন্দ্র হিসেবে। বারগার যেমন মনে করেন অভিজাতরা যেন শহরে কোলাহল, কর্মব্যস্ততা থেকে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন, সে জন্য বানানো হয় শহরটি।  আরেক গবেষক ব্রায়ান বউয়ারের ধারণা, ১৪৫০ সালের দিকে স্থাপন করা হয় শহরটি। এটির আয়তন ইনকা শহর বিবেচনায় বেশ ছোট। আর এখানে সাধারণত ৫০০-৭৫০ জন মানুষ থাকত।  কোনো কোনো গবেষকের ধারণা, নির্মাণের ১০০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। সম্ভবত স্পেনীয়রা এ এলাকায় আগমনের আগেই শহরটির অধিকাংশ অধিবাসী গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল।

মাচুপিচুতে কী দেখবেন: মাচুপিচু শব্দের অর্থ পুরোনো পর্বত। শহরটির অবস্থান পেরুর উরুবাম্বা উপত্যকায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৪০০ মিটার (৭ হাজার ৮৭৫ ফুট) উচ্চতায়। মাচুপিচুতে দেখার মতো অনেক কিছু আছে। প্রতিটি স্থাপনা, জায়গা বা জিনিসের নিজস্ব ইতিহাস, অর্থ আছে। তবে সবই পুরাতাত্ত্বিক সৌন্দর্যের বিচারে অতুলনীয়। এই নগরীর মধ্যে ১৯৬টির মতো পর্যটন স্পট আছে। এর মধ্যে আছে মন্দির, ঝরনা, বসতঘরসহ আরও কত কী! মাচুপিচু ভ্রমণের সময় প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ এক দেয়াল দিয়ে আলাদা দুটি অংশ পাবেন। একটি অংশ মূলত কৃষিকাজের জন্য নির্ধারিত এলাকা, অপর অংশকে মূল শহর বলতে পারেন। কৃষি এলাকাটায় বিভিন্ন ফসল চাষের জন্য ধাপে ধাপে কাটা জমি আর চাতাল চোখে পড়ে। সেখানেই ছোট ছোট কিছু বাড়ি আছে, ধারণা করা হয়, এগুলো কৃষকদের থাকার জায়গা।  অন্য অংশে পাবেন রাজাসহ অভিজাতদের বাড়ি। আছে শহরের বিভিন্ন আচার পালনের মূল কেন্দ্র প্লাজা সাগরাদা। এখানেই পাবেন ইনতিহুয়ানতানা পাথর, একে সূর্যপাথর নামেও চেনে। গ্রুপো দেল কনডর নামে পরিচিত ধর্মীয় আচার পালনের মন্দির এলাকার অবস্থানও এখানে।

আপাতত বন্ধ মাচুপিচুর দুয়ার: মাচুপিচুতে যেতে হলে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে কাস্কো শহরে। সেখান থেকে ট্রেনে চাপবেন কিংবা শুরু করবেন হাঁটা। ট্রেনে চাপলে পৌঁছাবেন এগুয়েস কেলুয়েন্তেস স্টেশনে। এখান বাসের ছোট্ট একটি ভ্রমণই আপনাকে পৌঁছে দেবে ইনকাদের রহস্যময় নগরী মাচুপিচুর কাছে। তবে আপাতত চাইলে আশ্চর্য সুন্দর জায়গাটিতে যেতে পারবেন না। পেরুর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মাচুপিচু ও ইনকা ট্রেইল আপাতত পর্যটকদের জন্য বন্ধ। কাজেই পরিকল্পনা করতে থাকুন, আপনি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হতে এবং যোগাড়যন্ত্র শেষ করতে করতে আশা করা যায় ইনকা নগরীর দুয়ার খুলে যাবে আবার!

নিউজ ট্যাগ: মাচুপিচু

আরও খবর



সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে: সিইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচনের ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে সেটাই বড় কথা। কোনো দল এলো কি এলো না, সেটা বড় কথা নয়। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ভোটে কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে ব্যাপারে ইসির অবস্থান স্পষ্ট। প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা। ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। উৎসাহ-উদ্দীপনা থেকে ভোটের মাঠে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা রয়েছে কমিশনের।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথভাবে মোতায়েন করা সম্ভব হবে। প্রার্থী ও প্রার্থীদের কর্মীদের নির্বাচনে সহযোগিতার আহ্বান জানান ‍তিনি। গণমাধ্যমের মাধ্যমেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের চিত্র দেখা গেলে কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান সিইসি।

বুধবার (৮ এপ্রিল) প্রথম ধাপে ১৪০টি উপজেলায় ভোট হবে। প্রথম ধাপে পাঁচটি উপজেলার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছে বলে জানান সিইসি।


আরও খবর



চসিকের নগর ভবনের নির্মাণকাজের উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

নতুন নগর ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এর মধ্য দিয়ে ১৪ বছর ধরে লালিত চসিকের আইকনিক' নগর ভবন নির্মাণ হতে চলেছে।

আজ সোমবার দুপুরে নগরীর আন্দরকিল্লায় চসিকের নিজস্ব জমির উপর এই ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, পুরাতন নগর ভবনের স্থানে পার্শ্ববর্তী আরো দু'টি ভবনের স্থান সংযুক্ত করে এই আইকনিক নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। তিনটি বেইসমেন্টসহ পুরো নগর ভবন হবে ২১ তলা। এ ভবনের প্রথম ধাপের কাজ উদ্বোধন করা হলো। আমাদের লক্ষ্য ২৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের প্রথম ধাপের কাজের অংশ হিসেবে ৫-৬ তলা আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করে টাইগারপাস থেকে আন্দরকিল্লায় চলে আসা বাকী অংশ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে।

তিনি বলেন, স্থায়ী নগর ভবন না থাকায় বিদেশি অতিথিরা আসলে আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হত, নাগরিকদেরও সেবা প্রদান বিঘ্নিত হত৷ এজন্য নিজস্ব ফান্ডে নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি৷ এ ভবনে নাগরিকরা স্বাচ্ছন্দে সেবা নিতে পারবেন৷ এছাড়া এ ভবনের একটি ফ্লোরে চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে গড়ে তোলা হবে জাদুঘর।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ জানায়, ৩৮ হাজার ৪৯০ বর্গফুট বা ৫৩ দশমিক ৪৫ কাঠা জায়গায় নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রণয়ন নামে একটি কনসালটেন্ট ফার্ম আইকনিক এ ভবনের নকশা করেছে। ভবনের উপরে থাকবে সিটি ক্লক। ভবনের তিন পাশে সাজানো বাগান থাকবে। নির্মাণ করা হবে ফোয়ারা। থাকবে মাল্টিপারপাস হল, কনফারেন্স হল ও ব্যাংকুয়েট হল। তবে পুরো নগর ভবন নির্মাণ করা হবে ধাপে ধাপে। শুরুতে বেইসমেন্টসহ তিনটি ফ্লোর নির্মাণ করা হবে।

জানা গেছে, নগরীর আন্দরকিল্লায় ১৯৬৪ সালে নির্মিত একটি ভবন চসিকের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হতো। ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে উঠায় ২০১০ সালের ১১ মার্চ নতুন নগর ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তবে নানা জটিলতায় এই কাজ আটকে যায়। এরপর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ মনজুর আলম ও আ জ ম নাছির উদ্দীনও নতুন নগর ভবন নির্মাণকাজ শুরুর উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২০ জুন চসিকের প্রধান কার্যালয় টাইগারপাসের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। তবে অর্থছাড় না পাওয়ায় নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি।

বর্তমান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর ফের নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। জটিলতা এড়াতে তিনি চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে নতুন নগর ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে বহুতল নগর ভবন নির্মাণ হচ্ছে। চসিকের একসাথে ৩০ কোটি টাকার বেশি কাজ করার সুযোগ নেই। তাই ধাপে ধাপে নগর ভবন নির্মাণকাজ শেষ করব। প্রথমে তিনটি ফ্লোর করব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লা চৌধুরী, রুমকি সেনগুপ্ত, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এস্টেট অফিসার মোঃ রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তা, রেজাউল বারী ভূইঁয়া, মীর্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, রিফাতুল করিম, তাসমিয়া তাহসীন, তৌহিদুল ইসলাম, সালমা খাতুন, সহকারী প্রকৌশলী আসীর হামীম।


আরও খবর



আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার  আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গত ১৪ মে রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রেরিত কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঈশ্বরদীতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এমদাদুল হক রানা সরদার। গত ১৩ মে সকালে তাঁকে আনারস প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এই নির্বাচনে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ১৪ মে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে এমদাদুল হক রানা সরদারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তাঁর দাখিলকৃত অভিযোগপত্র ও অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে জানা যায় যে, ১৩ মে আনারস প্রতীকের সমর্থনে শোডাউন ও মিছিল করা হয়েছে যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা সুষ্ট লঙ্ঘনের সামিল।

নোটিশে নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৬ এর ১১ (২) ও ১৩ (ক) ধারার লঙ্ঘনের অভিযোগে এমদাদুল হক রানা সরদারকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রার্থীকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানো পত্রের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, রিটার্নিং অফিসারের কারণ দর্শানোর চিঠি পেয়েছি। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরও খবর



নাটকীয় ব্যাটিং ধসে ১৪৩ রানে শেষ বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু বাংলাদেশের। বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছিল টাইগাররা। তবে এরপরই ছন্দ পতন। উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রানের পর ৩৮ রানে হারায় ৮ উইকেট। মিডল অর্ডারের এমন বিপর্যয়ে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১০ মে) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেন দুই টাইগার ওপেনার তানজিদ তামিম ও সৌম্য। জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হন তানজিদ তামিম। অন্যদিকে কিছুটা ধুঁকতে থাকেন সৌম্য।

নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান তানজিদ তামিম। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে ফিফটিতে তুলে নেন এই ওপেনার। অন্যদিকে নিজের খোলস ছেড়ে বের হন সৌম্য। তিনিও চড়াও হন জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর।

তবে এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ৩৭ বলে ৫২ ও ৩৪ বলে ৪১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য। তাদের বিদায়ের পর তাওহিদ হৃদয় ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত হাল ধরার চেষ্টা করেন।

তবে দলীয় ১২১ রানে ৮ বলে ১২ রান করে আউট হন হৃদয়। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। ৩ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন তিনি।

সাকিবের বিদায়ের পর দ্রুতই আরও ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৯ ওভার ৪ বলে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের পক্ষে লুক জঙ্গুয়ে নেন ৩টি উইকেট।


আরও খবর



গাজায় ইসরায়েলি হামলা: ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়  ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। শনিবার (১৮ মে) গাজায় অবস্থানরত আলজাজিরার প্রতিনিধি এ তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ মে) হামাসের ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী তাদের হামলা জোরদার করেছে।

সংবাদ সংস্থা ওয়াফা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় রাফার মধ্যাঞ্চলের জাবালিয়া আল-বালাদ এলাকার আবু হাশেম’ ভবনে ইসরায়েলি বোমা হামলার পর উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

গাজার উত্তরাঞ্চলে কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আরও ডজন খানেক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।

উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের দরজায় জড় হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে।

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে ফালুজাহে পানি নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আট জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে।

মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে চারজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। খান ইউনিসের পূর্বে আবাসান আল-কাবিরা শহরের আল-ফারাহিনে হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। উত্তরপশ্চিম রাফাহে একটি গাড়িতে ড্রোন হামলায় একজন নিহত হয়েছে।

ইসরায়েরি সামরিকবাহিনী উত্তর গাজায় নতুন করে হামলা চালাবে। তাই সেখানে থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে অবিলম্বে সরে যাওয়ার আদেশ দিয়েছে। তারা রাফায় তাদের স্থল অভিযানও আরও বাড়াচ্ছে।

ইউনাইটেড ন্যাশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজি ইন দ্য নেয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ) এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনির মতে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ৬ মে থেকে রাফাহতে তাদের স্থল অভিযান শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ ফিলিস্তিনিকে রাফাহ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে। উত্তর গাজায় জোরপূর্বক আরও ১ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।


আরও খবর