লোহিত সাগরে
একের পর এক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। তাদের হামলার
মুখে এ নৌপথ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে নামকরা বিভিন্ন পশ্চিমা কোম্পানি। এবার এ নৌপথে হামলায়
অন্তত ১০ সেনা নিহত হয়েছে। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো
হয়েছে।
হুতিরা জানিয়েছে,
মার্কিন সেনারা লোহিত সাগরে তাদের নৌযানে হামলা চালিয়েছে। এতে করে তাদের ১০ সেনা নিহত
হয়েছেন। তিনটি নৌযানে হামলা চালালে এসব সেনা নিহত হন।
রোববার হুতিদের
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের নৌযানগুলো এ পথে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং
সামুদ্রিক নৌ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মহড়া চালিয়ে আসছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বোটগুলো তাদের মানবিক ও নৈতিক দায়িত্বপালন করছিল। তারা লোহিত সাগর দিয়ে ইসরায়েল অভিমুখী বা ইসরায়েলি জাহাজ চলাচলে বাধা দিতে অভিযান চালিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন>> পাকিস্তানে নববর্ষের উদযাপনে গুলি, আহত ৩০
এর আগে রোববার
সকালে মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল
থেকে কন্টেইনারবাহী জাহাজ মিয়ার্স্ক হ্যাংঝুতে ৪টি নৌযানের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়েছে।
নৌযানগুলো জাহাজটির কয়েক মিটারের মধ্যে চলে আসলে জাহাজটি আক্রান্ত হয়ে সাহায্যের সিগন্যাল
দিলে মার্কিন রণতরী থেকে হেলিকপ্টার থেকে নৌযানগুলোর ওপর হামলা করা হয়। এতে ৩টি নৌযান
ডুবে যায়।
মার্কিনিদের
দাবি, হামলার সময় ডুবে যাওয়া নৌযানগুলোর ক্রুদের হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া চতুর্থ নৌযানটি
পালিয়ে গেছে। গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে হুতিরা জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে।
হুতিদের দাবি,
তারা লোহিত সাগর দিয়ে চলাচল করা যেসব জাহাজের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা রয়েছে সেগুলোতে
হামলা চালিয়ে আসছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের সমর্থনে এ হামলা চালিয়ে
আসছে তারা।
সেন্টকম এক
বিবৃতিতে জানিয়েছে, হুতিদের এ নৌযানগুলো ইয়েমেনের সময় সাড়ে ৬টার দিকে এ হামলা চালায়।
এ সময় সেগুলোতে ছোট অস্ত্র ও গোলা ছিল। নৌযানগুলো জাহাজটি ছিনতাইয়ের জন্য এটির ২০
মিটারের কাছাকাছি চলে এসেছিল। এরপর সেটির ক্রুরা জাহাজটি দখলের চেষ্টা করলে বিপদগ্রস্ত
হওয়ার এলার্ম বাজানো হয়। পরে তাদের সাহায্যার্থে মাকির্ন সেনাবাহিনী তাদের ওপর এ হামলা
চালায়।