আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

লিবিয়ায় বন্যায় ৬ বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ছয় বাংলাদেশি নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে। বন্যায় দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর দেরনায় আরও কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আফ্রিকার এই দেশটির পূর্বাঞ্চলে গত সোমবার আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হয় এবং বৃষ্টির পানির চাপে দেরনা শহরের কাছে নদীর ওপর দেওয়া দুটি বাধ ধসে পড়ে। মূলত সেই বাঁধের পানির কারণে সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় কর্মকর্তারা বলছেন, বন্যায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে। শহরের হাসপাতালের একজন পরিচালক রয়টার্সকে জানান, তার হাসপাতালে ১৭০০ মরদেহ গণনা করা হয়েছে এবং আরও ৫০০ জনকে শহরের অন্য অংশে দাফন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে দেরনা শহরে বসবাসরত ৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ৪ জনের প্রাথমিক পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন রাজবাড়ি জেলার শাহীন ও সুজন এবং নারায়ণগঞ্জের মামুন ও শিহাব।

তবে দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বাকি দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া দেরনা শহরে বসবাসরত আরও কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দূতাবাস।

দূতাবাস বলছে, লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকসহ সকলের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার তাণ্ডবে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে দেরনা, সাহাত, আল-বাইদা, আল-মার্জ শহর ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে দেরনা বাঁধে ভয়াবহ ধসে সৃষ্ট বন্যায় কয়েক হাজার মানুষ নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে আরও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।

দেরনা শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যসহ উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে বলে দূতাবাস জানিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের তথ্য জানতে এবং ঘূর্ণিঝড়ে নিখোঁজ প্রবাসীদের তথ্য জানানোর জন্য দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়ার (মোবাইল নম্বরঃ +২১৮৯১৮৫৮০৯৮৯) সাথে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।


আরও খবর



সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

সরকারের ব্যত্যয়-বিচ্যুতি ধরিয়ে দিতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এ ধরনের সব সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে যখন সমালোচনার নামে অপতথ্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে এক ধরনের এজেন্ডা বেইজড, সিস্টেমেটিক মিথ্যাচার ছড়ানো হয়, সেগুলো আমরা বুঝি কে করছে, কারা করছে, কেন করছে। সেই বিষয়গুলোকে আমরা নিন্দা জানাই। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা সব সময় স্বাগত জানাই এবং জানাবো। কারণ আমরা মনে করি না, সরকার যারা পরিচালনা করছেন, তারা সবাই ফেরেশতা। সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ‌গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

বৈঠকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি, আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সেই সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই। এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সেই ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।

তিনি বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা না, মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সেই বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে এবং থাকবে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে, তেমন তথ্যের সাথেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও আমরা অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। এই কঠিনটা যাতে সহজতর হয়, সেই পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্যি, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। যেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়। এই অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এই কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়েও বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাশ হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি। যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুততম সময়ে সংসদে পাশ করার ব্যবস্থা করব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। এখানে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ও আইনকানুন নেই। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার। তবে আমরা প্রচণ্ডভাবে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যম যত মুক্ত হবে, তার স্বাধীনতা যত চর্চা করবে এবং অপতথ্যের বিপরীতে যত তথ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে ততই সমাজে গুজব, অপপ্রচার এগুলো রোধ হবে। এবং আমি মনে করি, সরকারের মধ্যে সেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাও তৈরি হবে। আমরা (সরকার) মনে করি, গণমাধ্যম এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের সহযোগিতা করেন। কারণ যেসব সমস্যা আমাদের চোখে পড়ে না, সেটি তারা দেখিয়ে দেন এবং আমরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারি।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যেটা আছে আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকবো। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করবো। কারণ তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই তো। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করবো। একইসঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখবো না। এই ধরনের সেনসেটিভ অ্যান্ড সিক্রেট ইনফরমেশন প্রটেকশনের আইন সবদেশে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব তথ্য দিতে হবে যেগুলো মানুষের জানার অধিকার আছে। একইসঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য গোপন রাখবে। কাজেই একটি সিস্টেম করতে হবে যাতে সব তথ্য তারা অবহিত করতে পারে, আবার সংবেদনশীল তথ্য প্রটেকশনটাও রাখা জরুরি। আমরা এটি ঘেটে দেখছি, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলো কীভাবে অপারেট করে। সাংবাদিকদের এক্সেস কতটুকু আছে? আন্তর্জাতিক যে স্ট্যান্ডার্ড আছে, তার মধ্যে আমরা সবকিছু রাখার চেষ্টা করবো।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও বণিকবার্তা সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ হানিফের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক পিনাকী রায়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি ও সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান।


আরও খবর



ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওষুধ প্রশাসনের অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে অব্যাহতভাবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ রিট দায়ের করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাসে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে। অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহেও দাম বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ওষুধের।

সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন ও ইনজেকশনের দাম। এছাড়া হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন ওষুধ এবং ভিটামিনের দামও বেড়েছে। বাদ যায়নি জ্বর-সর্দির ট্যাবলেট-ক্যাপসুল, বিভিন্ন অসুখের সিরাপও।

বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং বিক্রি থেকে আয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দাম বাড়ানোর হার অস্বাভাবিক। এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে কোম্পানিগুলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছে। এসময় গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ কোম্পানিগুলোর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা।


আরও খবর



ঢাকার বিষাক্ত বাতাসে উচ্চমাত্রায় ক্যান্সারের উপাদান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকার বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী আর্সেনিক, সিসা ও ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে রয়েছে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি এবং ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারকারী শিল্প, কয়লাভিত্তিক ইটভাটা এবং যানবাহন এসব রাসায়নিক উপাদানের উচ্চ ঘনত্বের জন্য দায়ী। বিশ্বের ২৭টি স্থানের বাতাস নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়েছে।

এলিমেন্টাল ক্যারেক্টারাইজেশন অব অ্যাম্বিয়েন্ট পার্টিকুলেট ম্যাটার ফর এ গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউটেড মনিটরিং নেটওয়ার্ক: মেথডোলজি অ্যান্ড ইমপ্লিকেশনস নামে এই গবেষণাটি গত ১০ মার্চ এসিএস ইএস অ্যান্ড টি এয়ার জার্নালে প্রকাশিত হয়।

গবেষণায় শহরের বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমন আরেকটি উপাদান কোবাল্টের উচ্চ মাত্রায় উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা-ই একমাত্র স্থান যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু উভয়ের ক্যান্সার সৃষ্টির ঝুঁকি মানদণ্ড ছাড়িয়েছে।

সারফেস পার্টিকুলেট ম্যাটার নেটওয়ার্ক বিশ্বের একমাত্র সংস্থা যারা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের বাতাসে সূক্ষ্ম কণার ঘনত্ব পরিমাপের মাধ্যমে কোন কোন এলাকার বাতাসে রাসায়নিক উপাদানের ঘনত্ব বেশি তা শনাক্ত করে।

গবেষকরা বাতাসে ধূলিকণা, রাসায়নিক উপাদানের বিস্তার ও মানুষের স্বাস্থ্যে এসবের প্রভাব মূল্যায়ন করতে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করেন।

গবেষকদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম। তিনি জানান, বাংলাদেশের পরিবেশে সীসার দূষণের কারণে বাতাসেও বিপজ্জনক মাত্রায় এর উপস্থিতি দেখা গেছে।

তিনি বলেন, একসময় বাতাসে সীসার ঘনত্ব অনেক বেশি ছিল। তারপরে এটি অনেক হ্রাস পায়। আমরা সাধারণত প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ন্যানোগ্রাম পেতাম। কিন্তু এখন আবার এক হাজারেরও বেশি ন্যানোগ্রাম পাওয়া যাচ্ছে।'

গবেষণায় ঢাকার বাতাসকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাওয়া যায়, এর পরেই রয়েছে ভারতের কানপুর, ভিয়েতনামের হ্যানয়, সিঙ্গাপুর, চীনের বেইজিং এবং তাইওয়ানের কাওসিউং।


আরও খবর



ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে যোগ দিলেন গ্রেটা থুনবার্গ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউরোপের সবচেয়ে বড় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা ইউরো ভিশনে ফিলিস্তিনিপন্থি কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জলবায়ু অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।

সুইডেনের মালমোতে চলমান এই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হবে আজ বৃহস্পতিবার। তবে প্রতিযোগিতায় দখলদার ইসরায়েলকে যোগ দিতে দেওয়ার এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন হাজার হাজার মানুষ।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় চালানো ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদস্বরূপ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিক্ষোভ ও বয়কট কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সুইডেনের মালমোতে জড়ো হয়েছেন প্রায় ১ লাখ মানুষ।

ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের প্রতীক কেফিয়াহ (ঐতিহাসিক রুমাল) পরে বিক্ষোভে যোগ দেন ২১ বছর বয়সী গ্রেটা থুনবার্গ। তিনি বলেছেন, তরুণরা নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং দেখাচ্ছে এই ক্ষেত্রে কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে।

এবারের ইউরো ভিশনটি হচ্ছে মালমো অ্যারেনাতে। সেখানে যেন বিক্ষোভকারীরা পৌঁছাতে না পারেন সেজন্য লোহার ব্যারিকেড এবং বড় কংক্রিস ব্লক স্থাপন করা হয়েছে।

পুলিশ ওই ভেন্যুতে গার্ড দিচ্ছে এবং অনুষ্ঠানের অতিথিদের সেখানে প্রবেশের আগে মেটাল ডিটেকটরের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। এছাড়া ব্যাগ চেক করা হচ্ছে। আর অতিথিদের শুধুমাত্র ছোট ব্যাগ নিয়ে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। দখলদার ইসরায়েলের প্রতিনিধিত্বকারী ২০ বছর বয়সী এডেন গোলান দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তার গান হ্যারিকেন গাইবেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, অনুষ্ঠানস্থল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরের মালমো সেন্ট্রাল স্কয়ারে অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়েছেন। তারা সেখানে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়াচ্ছেন।

পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: গ্রেটা থুনবার্গ

আরও খবর



হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের মাঝে হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা জাতের হীরা-৬ ধান। অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় চাষীরা রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন হীরা-৬ জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী মিশন পাড়ার অনুষ্ঠিত হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রীম সীড কোম্পানীর আয়োজনে হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসে স্থানীয় কৃষক আব্দুল আজিজ মৃধার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানীর জোনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনিতা মজুমদার। কোম্পানীর রিজিওনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ আসাদুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় পরিবেশক দুলাল রায়, কৃষক শওকত আকন প্রমুখ।

কৃষক শওকত আকন জানিয়েছেন, তিনি তার ৬০ শতক জমিতে হীরা-৬ জাতের বোরো ধান চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আগামীতেও তিনি এ জাতের ধান চাষ করবেন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে যেসব হাইব্রিড ধান চাষ হয় হীরা-৬ ধান তার মধ্যে অন্যতম। উচ্চ ফলনশীল হওয়ার কারণে এই ধান তাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

মাঠ দিবসের আলোচনার শুরুতে অতিথিরা কৃষকদের সাথে নিয়ে হীরা-৬ ধানসহ অন্যান্য জাতের চাষ করা কয়েকটি বোরো ক্ষেত পরিদর্শন করে ধানের চারা সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে গণনা করে হীরা-৬ ধানের প্রতিটি শীষে গড়ে ৩০৬ থেকে ৩১০টি ধান পাওয়া গেছে। অন্যান্য জাতের ধানে সর্বোচ্চ ২০০টি ধান পাওয়া যায়।

এরপর অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মশিউর রহমান বলেন, হীরা-৬ বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা হাইব্রিড ধান। এই জাতের ধানে অন্য যেকোন হাইব্রিড ধানের তুলনায় বেশি ফলন হয়। রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন ১৪৫ দিনের জীবন কাল হীরা-৬ ধানের জাতে প্রতি শতকে এক মনের অধিক ধান পাচ্ছেন কৃষক। পাশাপাশি এ ধানের খোসা অত্যন্ত পাতলা হওয়ায় প্রতি ১০০ মন ধানে ৭৩ মনের অধিক চাল পাওয়া যায়। এছাড়াও এ ধানের চাউলের ভাত অন্যান্য জাতের মতো আঠালো হয়না।

সভায় উপস্থিত প্রায় দুই শতাধিক কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বোরো চাষের শুরুতে আগে ভাবতে হবে কোন ধানের বীজ বপন করে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। কারণ এটা শুধু বীজ নয়; একটি পরিবারের স্বপ্ন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে যে কয়টি কোম্পানি হাইব্রিড ধানের আমদানির অনুমতি পেয়েছে তাদের মধ্যে একটি সুপ্রীম সিড। কোম্পানিটি বাংলাদেশে প্রথম চীন থেকে বাংলাদেশে হীরা ধানের বীজ এনে বাজারজাত করেন। এরপর তারা নিজস্ব উৎপাদনে যায়। বর্তমানে ৯০ শতাংশ বীজ নিজেরাই উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, হাইব্রিড ধান সাধারণত ৭০-৭৫ শতাংশ পাকলেই কাটতে হয়। কারণ ধান বেশি পাকার ফলে ক্ষেতেই ঝড়ে যায়। তখন হাইব্রিড ধানের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণা হয়। যে কারণে কৃষকদের সচেতনতার জন্যই মূলত হীরা-৬ ধানের মেগা মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।


আরও খবর