আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

লিবিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে ৫৭ অভিবাসীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

লিবিয়ার বন্দর শহর খুমসের উপকূলে নৌকা ডুবে ৫৭ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভূমধ্যসাগরের কেন্দ্রীয় অংশে এ মর্মান্তি ঘটনা ঘটে। জাতিসংঘের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এ তথ্য নিশ্চিত  করেছে।

আইওএমের মুখপাত্র সাফা এমসেহলি এক টুইটে বলেছেন, মৎসজীবী ও কোস্ট গার্ডের উদ্ধার করা জীবিতরা জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়াদের মধ্যে অন্তত ২০ জন নারী ও দুটি শিশু ছিল।

তিনি জানান, দুর্ঘটনার সময় ওই নৌকাটিতে কমপক্ষে ৭৫ জন আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ওই নৌকা থেকে ১৮ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া শরণার্থীরা নাইজেরিয়া, ঘানা এবং গামবিয়ার নাগরিক।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আবহাওয়া ভালো থাকায় লিবিয়া ও তিউনিসিয়া থেকে ইতালি ও ইউরোপের অপরাপর অংশের উদ্দেশে রওনা হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকার সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর কয়েক লাখ অভিবাসন প্রত্যাশী বিপজ্জনক এই পানিপথ পাড়ি দিয়েছে।

তাদের অনেকেই যুদ্ধ ও দারিদ্রতার শিকার হয়ে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের নিজ নিজ দেশ থেকে পালিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছেন।



আরও খবর



সৌদি রিয়াল প্রতারণা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী(বরগুনা) প্রতিনিধি:

সৌদি রিয়াল ও ডলার প্রতারণা চক্রের মূল হোতা কুকুয়া ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদারকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার রাতে বরিশাল মহানগরের একটি সড়ক থেকে র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।

শনিবার দুপুরে পুলিশ তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে। পরে আদালতের বিচারক মো. আরিফুর রহমান তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুকুয়া ইউনিয়নের হরিমৃত্যুঞ্জয় গ্রামের বাসিন্দা জালাল হাওলাদার এবং তাঁর দুই ভাই দুলাল হাওলাদার ও চুন্নু হাওলাদার ৪০ বছর ধরে ডলার ও রিয়াল বিক্রির নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। ওই এলাকায় এই চক্রের ৪৫-৫০ জন সদস্য রয়েছেন। তাঁরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডলার ও রিয়াল বিক্রির নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি বশিরুল আলম বলেন, সৌদি রিয়াল প্রতারণা চক্রের মূল হোতা ইউপি সদস্য জালাল হাওলাদারকে বরিশাল মহানগরের একটি সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার সকল অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে।

তিনি আরও বলেন, এ চক্রের আরও বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত জালালকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



হামাস চাইলে কালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব : বাইডেন

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বন্দি ইসরায়েলি সব জিম্মিকে হামাস মুক্তি দিলে আগামীকাল সোমবার (১৩ মে) যুদ্ধবিরতি সম্ভব বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় শনিবার সিয়াটলে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন তিনি। খবর সিএনএনের।

বাইডেন বলেন, আমি যেমনটা বলেছি, এটি হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি তারা চায় তাহলে আমরা আগামীকালই একটি যুদ্ধবিরতি করতে পারব। আর যুদ্ধবিরতি আগামীকাল থেকেই শুরু হবে।

গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ শুরুর এক মাসের মাথায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও আর কোনো চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে থাকার পর গত সপ্তাহে আলোচনায় নতুন গতি আসে। একপর্যায়ে মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজিও হয় হামাস। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি রাজি হলেও ইসরায়েলের টালবাহানায় শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি ছাড়াই এবারের কায়রো আলোচনা শেষ হয়েছে।

গত মঙ্গলবার থেকে কায়রোতে হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদল বৈঠক করছে। মিসরের রাজধানীতে এই আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হলেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। দুটি মিসরীয় নিরাপত্তা সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: জো বাইডেন

আরও খবর



সাভারে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ যুবলীগ নেতা আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর বিশেষ অভিযানে ইয়াবা ও নারী সহযোগীসহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গ্রেফতার। অভিযানের সময় স্বপন নামে তাদের আরও এক সহযোগী পালিয়ে গেছে বলে জানায় পুলিশ ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করে এদিন সকালেই আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) সাভারের বিরুলিয়ার খনিজনগর এলাকার স্বপনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের মো. আব্দুল ওহাবের ছেলে মো. আব্দুল হামিদ ও একই ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকার মৃত হানিফ মিয়ার মেয়ে মোসা. পপি আক্তার (২০)।

এ ঘটনায় পপি আক্তারের স্বামী মাদক ব্যবসায়ী স্বপন পলাতক আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই যুবলীগ নেতা এই যুবলীগ নেতা ওই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে শীর্ষ মাদক কারবারি স্বপনের সঙ্গে যৌথভাবে মাদক কারবার শুরু করেন। এছাড়াও ২০১৫ সালে অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এই যুবলীগ নেতা।

ডিবি পুলিশ জানায়, সাভার পৌর এলাকায় এক সময় মাদক কারবার করতেন স্বপন। পরে বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার সঙ্গে যৌথভাবে মাদক কারবার শুরু করেন। খবর পেয়ে বিরুলিয়ার খনিজনগর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। এ সময় মাদক কারবারি পপি ও আব্দুল হামিদের কাছ থেকে ৩০০টি ইায়াবা ট্যাবলেট পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, গ্রেপ্তার দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক সংগ্রহ করে সাভার ও বিরুলিয়ায় সরবরাহ করতেন বলে স্বীকার করেছেন।


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে তীব্র গরমে বাড়ছে শিশু রোগীর চাপ ওষুধের তীব্র সংকট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তীব্র গরমের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাপ বাড়ছে শিশু রোগীর। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনেই চার থেকে পাঁচজন শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসক ও নার্সরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। ভর্তি থাকা রোগীর পাশাপাশি বহির বিভাগে গরমজনিত কারণে নতুন নতুন রোগীর চাপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন তিন থেকে চারজন ডাক্তার বহির বিভাগে তিন থেকে চার'শ রোগীকে সেবা প্রদান করছেন। তারপরেও চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক জনজীবনে ভোগান্তি নেমেছে। গত ১৪/১৫ দিন ধরে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪২ সেলসিয়াসে ডিগ্রি ওঠানামা করছে। ফলে বিভিন্ন বয়সি রোগীর পাশাপাশি শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে কেউ ভর্তি হচ্ছে কেউ আবার চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছে। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একসঙ্গে এত শিশু রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরত ডাক্তার ও নার্সদের।

শিশু রোগীর বাবা আল-আমিন বলেন, প্রচন্ড গরমে গতকাল আমার মেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করি। এখানে এসে দেখি শিশু রোগীর সংখ্যায় বেশি। ডাক্তার নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে কিন্তু সব ওষুধ বাহীর থেকে আনতে হচ্ছে নার্সদের কাছে ওষুধ চাইলে ওষুধ নেই ওষুধ সংকট বলে ওষুধের টোকেন দিয়ে কিনে আনতে বলছে বাধ্য হয়ে কিনে আনতেছি।

তিনি বলেন, তবে এত বড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর বা বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় গরমে রোগী ও রোগীর স্বজনদের হাসফাঁস অবস্থা। রাতে বিদ্যুৎ না থাকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

নবজাতক শিশুর টিকা নিতে আসা এক মা শারমিন আক্তার বলেন, শিশুর টিকা দিতে আসতেছি কয়েকদিন থেকে শুধু ঘুরে যাচ্ছি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা শেষ হয়েছে কখন আসবে তাও জানেন না।

টিকাপ্রদানকারি নার্স জানান, প্রায় ১ মাস থেকে ডিপিটি, পিসিভি ও বিওপিভি টিকার সংকট দেখা দিয়েছে টিকা না থাকলে আমাদের কিছু করার নাই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তারিকুল ইসলাম জানান, সারা দেশের মতো সুন্দরগঞ্জে দাবদাহ বেশি হচ্ছে। ফলে রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। তবে এখনো হিট স্ট্রোকে কেউ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়নি। তবে গরমের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি অসুস্থ ভর্তি হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেজয়ানুর রহমান জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে শিশু ও বয়স্করা বেশি অসুস্থ হচ্ছে ফলে রোগীর চাপ একটু বেশি।

ওষুধের বিষয় জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, বছর শেষে কিছু ওষুধ ও শিশুদের টিকার সংকট দেখা দিয়েছে আমরা চাহিদা পাঠানো হয়েছে আশাকরি দ্রুত ওধুষ ও টিকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসবে।

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়্যিদ মুহাম্মদ আমরুল্লাহ সাথে মোবাইলে অনেক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



পিরোজপুরে নির্মিত হতে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন জেলা সার্কিট হাউজ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা শহর পিরোজপুরে আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের অপূর্ব নিদর্শনের একটি সার্কিট হাউজ অচীরেই নির্মিত হতে যাচ্ছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় এর তত্ত্বাবধানে এ জেলা সার্কিট হাউজটির নির্মাণ কাজ ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে সমাপ্ত হবে। ৬ তলা বিশিষ্ট এ সার্কিট হাউজে ৬টি অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধায় সুসজ্জ্বিত ভিভিআইপি শয়ন কক্ষ, ৮টি সুসজ্জ্বিত ভিআইপি শয়ন কক্ষ এবং ১৪টি শয়ন কক্ষ থাকবে। ১টি হাই ক্যাপাসিটির লিফটসহ মোট ৩টি লিফট ৬ তলা পর্যন্ত চলাচল করবে। ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের জন্য ১৬ সিটের ১টি অত্যাধুনিক ডাইনিং রুম এবং ৭০ সিটের অপর ১টি ডাইনিং রুমও থাকবে এ জেলা সার্কিট হাউজে।

এছাড়া ২টি সম্মেলন কক্ষ থাকবে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত। জিমসহ শরীর চর্চারও সব ধরনের সুব্যবস্থা থাকবে এ ভবনে। এ ভবনে ইটের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব সিসি ব্লক লাগানো হবে। আরসিসি ফ্রেমও ব্যবহার করা হবে এ ভবন নির্মাণে। ভিভিআইপি ও ভিআইপি রুমে ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলিং সিস্টেমও তৈরী থাকবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সুবিধার্থে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের সকল সুযোগ সুবিধা এ অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন ভবনে স্থাপন করা হবে।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন বিভিন্ন কারণে দক্ষিণাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা এইটি। ৪০ বছর পূর্বে নির্মিত সার্কিট হাউজে ভিভিআইপিদের থাকার সুব্যবস্থা নেই এবং সম্মেলন কক্ষ, ডাইনিং কক্ষসহ পুরো ভবনটি এখন অনেকটাই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখানে একটি অত্যাধুনিক সার্কিট হাউজ নির্মিত হতে যাচ্ছে শুনে এ জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে আমি আনন্দিত।

গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সুলতান মাহমুদ সৈকত জানান, ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ১টি দৃষ্টিনন্দন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করে গণপূর্ত বিভাগ গত মাসে বিচার বিভাগের নিকট হস্তান্তর করেছে। এ জেলা সার্কিট হাউজ ভবনটির নির্মাণ কাজ যথা সময়ে শেষ করে জেলা প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

পিরোজপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চান জানান পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালীন এ অত্যাধুনিক সার্কিট হাউজ নির্মাণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, এখন তা বাস্তবায়িত হচ্ছে।  


আরও খবর