বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের
প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা আজ। বৌদ্ধধর্ম মতে, প্রায় আড়াই হাজার বছর
আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ দুনিয়াতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার শুভ জন্ম, বোধিজ্ঞান
ও মহাপরিনির্বাণ লাভ- এই তিন স্মৃতিবিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের
কাছে বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন
ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ
সাহাবুদ্দিন বলেন, একটি সৌহার্দ ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহামতি গৌতম
বুদ্ধ আজীবন সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করে গেছেন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘অহিংস পরম ধর্ম’- বুদ্ধের এই অমিয় বাণী
আজও সমভাবে প্রযোজ্য। তিনি আরও বলেন, আজকের এই অশান্ত ও অসহিষ্ণু বিশ্বে মূল্যবোধের
অবক্ষয় রোধ, যুদ্ধ-বিগ্রহ, ধর্ম-বর্ণ-জাতিগত হানাহানি রোধসহ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায়
বুদ্ধের দর্শন ও জীবনাদর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা তার বাণীতে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন,
আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত
করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ লোভ, দ্বেষ, লালসাকে অতিক্রম করে জীবন
ও কর্মের মাধ্যমে মানবজগৎকে আলোকিত করেছেন। তিনি ছিলেন সত্য ও সুন্দরের আদর্শে উজ্জীবিত।
বুদ্ধপূর্ণিমা
উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে এ দিবস পালনে বাংলাদেশের
বৌদ্ধ সম্প্রদায় বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের
সংবর্ধনা দেবেন রাষ্ট্রপতি:
রাষ্ট্রপতি মোঃ
সাহাবুদ্দিন বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের
সংবর্ধনা দেবেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে জানান, ‘আজ বিকাল ৪টায় বৌদ্ধ নেতাদের সংবর্ধনা
দেওয়া শুরু হবে। রাষ্ট্রপতি গণমাধ্যমের মাধ্যমে সারা দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উদ্দেশে
ভাষণ দেবেন।’
এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি
এবং তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা বৌদ্ধ নেতাদের শুভেচ্ছা জানাবেন। তারাও রাষ্ট্রপতিকে
ফুলের তোড়া উপহার দেবেন। ৮শরও বেশি অতিথিসহ এক হাজারেরও বেশি ব্যক্তি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে
যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক
প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত
থাকবেন।