আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

কুড়িগ্রামে ফের বাড়ছে নদনদীর পানি

প্রকাশিত:শনিবার ১২ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলাসহ প্রধান প্রধান নদনদীর পানি বাড়ছে। কয়েকদিনের অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে এসব নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তীরবর্তী বাসিন্দারা। তবে পানি বৃদ্ধি পেলেও সহসাই বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে পাউবো জানায়, দেশে ও উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘন্টায় ধরলা নদী কুড়িগ্রাম সেতু পয়েন্টে এবং দুধকুমার নদ পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে।

পাউবোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দেওয়া তথ্য মতে, গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল ৯ টা থেকে শনিবার (১২ আগস্ট) সকাল ৯ টা পর্যন্ত গত ৭২ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং একই সময়ে চিলমারী পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বাড়ছে দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলার পানিও। তিস্তার পানি একই সময়ে কাউনিয়া পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃষ্টিপাত ও ঢলের কারণে আগামী কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ব্রহ্মপুত্র সহ জেলার কোনও নদ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার পূর্বাভাস নেই বলে জানিয়েছে পাউবো।

এদিকে নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় জেলার কয়েকটি চরের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় এসব নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জেলা সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগমনের চর এলাকার গৃহবধু সবজন বলেন, 'দুই দিন থাকি (থেকে) ধরলার পানি বইলবের নাগছে (বৃদ্ধি পাচ্ছে)! বানের (বন্যার) সম্ভবনা (সম্ভাবনা) আছে। এই জন্ন্যে (জন্য) ছওয়া পোয়াক (ছেলে-মেয়েকে) নিয়ে খুব টেনশনে আচোং (আছি)!

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা দিনমজুর হামিদুল বলেন, পানি বাড়তাছে। অহনও বাড়িঘরে ঢুকে নাই। কিন্তু দুই একটা নিচা চরে পানি উঠছে। ভাঙনও আছে।

ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়নের চর বালাডোবা ও মুসার চর থেকে বিগত বন্যার পানি ভালোভাবে নেমে যাওয়ার আগেই আবার পানি বাড়ছে। এতে করে এসব চরে আবারও পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। শনিবার সকালে যেভাবে পানি বাড়তে দেখা গেছে তাতে এমনটা চলতে থাকলে এসব চর আবার প্লাবিত হতে পারে।

ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাপারীপাড়ার নতুন চর এবং ৬ নং ও ৮ নং ওয়ার্ডের কয়েকটি চরের গ্রামীণ সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তবে এখনও বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে নাই পরিস্থিতি বর্ণনায় যোগ করেন এই ইউপি সদস্য।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নদনদীর পানি বাড়ছে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা নেই। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পূর্বাভাসও নেই। কয়েকদিন বৃদ্ধি পাওয়ার পর আবারও পানি নেমে যাবে।

নিউজ ট্যাগ: কুড়িগ্রাম

আরও খবর



হবিগঞ্জে হাওরে ধান কাটা শেষের পর সরকারিভাবে সংগ্রহ শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে শুরু হয়েছে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান। তবে হাওরের প্রায় ৯৯ শতাংশ ধান কাটা-মাড়াই শেষ হওয়ার পর অভিযান শুরু হওয়ায় লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা বলছেন, ধান সংগ্রহে সরকারের কালক্ষেপণের কারণে কৃষকরা যেমন সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন, তেমনি দৌড়াত্ব বাড়বে মধ্যসত্বভোগীদের।

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি বোরো মৌসুমে ৩২ টাকা কেজি (১২৮০ টাকা) দরে ধান, ৪৫ টাকায় সিদ্ধ চাল এবং ৪৪ টাকায় আতপ চাল কিনবে সরকার। সেই হিসেবে হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলা থেকে ১৪ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন ধান ৪ হাজার ১৬৬ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ১৪ হাজার ৯৬৬ মেট্রিক টন সেদ্ধচাল কেনার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।

ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। তবে জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী। এদিকে, কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, পুরো জেলায় সার্বিকভাবে ধান কাটা শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। হাওরের কাটা ও মাড়াই শেষ হয়েছে প্রায় ৯৯ শতাংশ।

কৃষকরা বলছেন, জেলায় সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয় হাওরে। সেই ক্ষেত্রে হাওরের ধান কাটা-মাড়াই শেষে কৃষক কম দামে পাইকার ও ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। বাকি ধান বছরের খাবার জন্য গোলায় তুলছেন। এরপর ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হওয়ায় হাওরের কৃষকরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবেন। একই সাথে বাড়বে মধ্যসত্বভোগীদের দৌড়াত্ব।

বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা এলাকার কৃষক সুমন মিয়া বলেন, সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করেছে ১২৮০ টাকা মণ। আর আমরা পাইকারের কাছে বিক্রি করছি ৭৭০ টাকা মণ। অনেক অপেক্ষা করছি কখন সরকার ধান কিনবে। আমরা ঋণ পরিশোধ করতে ধান কেটে বিক্রি করে ফেলেছি। এখন সরকার ধান কিনলেও আমাদের কোন লাভ নেই।

একই এলাকার কৃষক আনুয়ার মিয়া বলেন, একেতো সরকার ধান কিনতে দেরি করে ফেলছে। তার উপর আবার মাত্র ১২৮০ টাকায় ধান কিনছে। সরকারকে ধান দিতে হলে ট্রাক ভরে খাদ্য গুদামে নিয়ে যেতে হয়। যে কয়টা টাকা লাভ হওয়ার কথা, সেটি গাড়ি ভাড়া আর শ্রমিকের মজুরিতেই চলে যাবে। এরপর দেখা যাবে খাদ্য কর্মকর্তা বলতেছেন, ধান পরিস্কার না, ভালোভাবে শুকানো হইছে না। নানা অজুহাত।

এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা চাই থোয়াই প্রু মার্মা বলেন, অন্য বছর কৃষকরা যে অভিযোগ করেন এবার তা পারবেন না। কারণ এ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে ধান বিক্রি করতে হবে। এছাড়া ধান বিক্রির টাকা কৃষক তার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে পাবেন।

চলতি বছর জেলা ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৩৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন।

নিউজ ট্যাগ: হবিগঞ্জ

আরও খবর



মাদারীপুরে থ্রি-হুইলার খাদে পড়ে চালকসহ নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি

Image

মাদারীপুরে মালটানা মাহিন্দ্র গাড়ি উল্টে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও দুই পথচারী। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার পখিরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন: লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া এলাকার সরাফাত আলী মীরার ছেলে মাহিন্দ্র চালক এনামুল হোসেন (২৫) ও মাদারীপুর সদরের মধ্যচক গ্রামের আনোয়ার শিকদারের ছেলে চালকের সহযোগী আরিফ শিকদার (১৭)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ফখিরা এলাকার ফারুক হাওলাদারের গ্যারেজ থেকে সহযোগী আরিফকে সঙ্গে নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে মাহিন্দ্র গাড়িটি বের সড়কে উঠতেছিল চালক এনামুল। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাহিন্দ্রটি উল্টে যায়। এতে চালক এনামুল ও তার সহযোগী আরিফের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। এ সময় সড়কের পাশে থাকা দুই পথচারীও আহত হয়। পরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী লোকমান মালো বলেন, গ্যারেজ থেকে বের করার সময় গাড়ির গতি ছিল বেশি। এজন্য চালক গাড়িটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি। এতে উল্টে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যায়। এ সময় পাশে থাকা দুই পথচারী সামান্য আহত হয়েছে।’

নিহত আরিফের মামা আবু আলেম গৌড়া বলেন, আমার ভাগ্নে ও চালক দুইজনে গ্যারেজ থেকে গাড়িটা বের করে ভাবছিল রাস্তায় পাশে পার্কিং করে নাস্তা খাবে। কিন্তু পার্কিং করার আগেই উল্টে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এটি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন জানান, মাহিন্দ্র উল্টে চালকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গ্যারেজ থেকে গাড়িটি বের করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



হামাসের রকেট হামলায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইল-গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংয়ে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। এতে ইসরাইলের ৩ সৈন্য নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সোমবার (৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজার ভেতর থেকে হামাসের রকেট হামলার পর ইসরাইল গাজায় কেরাম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে।

এ হামলায় ৩ সৈন্য নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে ইসরাইল জানিয়েছে।

নতুন করে হামলা প্রসঙ্গে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে, তারা কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে হামলা চালিয়েছে এবং স্বল্প-পাল্লার রকেট দিয়ে তারা ইসরাইলি সৈন্যদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, কেরেম শালোম থেকে প্রায় ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার (২ দশমিক ২ মাইল) দক্ষিণে গাজার রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছে একটি এলাকা থেকে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

বাহিনীটি আরও বলেছে, একটি বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় ৩৫০ মিটার দূরে অবস্থিত একটি স্থাপনা থেকে এসব রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে পরে তারা লঞ্চার এবং কাছাকাছি একটি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।

এদিকে গাজায় ইসরাইল হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে মিসরের রাজধানীতে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি আলোচনা কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে।

গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস রবিবার জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধিদলটি কায়রো থেকে গাজায় ফিরে যাচ্ছে। এর আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধ বন্ধের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ’ করাটা পরাজয়ের সামিল।’

এক হামাস কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, মিসরীয় গোয়েন্দা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ হয়েছে। হামাস প্রতিনিধিদল আরও আলোচনার জন্য দোহায় ফিরে যাচ্ছে।’

নেতানিয়াহুর অফিস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার মন্ত্রিসভা হামাসকে আবারও গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে দেবে না। ইসরাইল হামাসের দাবি মেনে নেবে না। তাদের দাবি মানার অর্থ হলো আত্মসমর্পণ করা। তারা তাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।

অন্যদিকে হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইতিবাচক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। তারা জানায়, তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। বিমান বিধ্বস্ত হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, সকাল ১০টা ৬ মিনিটে চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। ১০টা ২৮ মিনিটে বিমান বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার সময় প্রশিক্ষণ বিমানটির দুজন পাইলট প্যারাস্যুটের সাহায্যে রক্ষা পেয়েছেন।

বিমানবাহিনীর YAK130 ট্রেনিং ফাইটার বিমানটি খুঁজতে ডুবুরি, ফায়ার ফাইটার, বন্দরে অবস্থানরত জাহাজের নাবিকরা কাজ করছেন।


আরও খবর



সুন্দরবনের গহিনে এখনও জ্বলছে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা পরও সুন্দরবনে লাগা ভয়াবহ আগুন নেভেনি। বাগেরহাটের শরণখোলায় পূর্ব সুন্দরবনের গহিনে এ আগুন এখনও জ্বলছে দাউ দাউ করে। তবে দুঘণ্টা আগে থেকে নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী।

রবিবার (৫ মে) সকাল ৬টা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে তারা। তবে এখনও ভয়াবহ আগুন জ্বলছে। সুন্দরবনের মাটির ওপরে থাকা বিভিন্ন গাছের পাতার স্তূপের মধ্যে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। ৫০টি জায়গায় আগুন জ্বলছে; এর ব্যাপ্তি হবে দেড় কিলোমিটারজুড়ে।

এর আগে, শনিবার (৪ মে) দুপুর ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকায় এ আগুন লাগে। এরপর সন্ধ্যায়ও মেশিন ও যন্ত্রপাতি নিয়ে বনের গহিনে ঘটনাস্থল পৌঁছাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তাই আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিতে একটু সময় লেগেছে বলে জানান সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম।

তিনি বলেন, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের কথা শোনার পর বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা সেখানে যায়। এখনও সেখানে আগুন জ্বলছে। সকাল ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করছেন কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।

বনের মধ্যে কীভাবে আগুন লেগেছে বা কী পরিমাণ জায়গায় আগুন লেগেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আগুন লাগার কারণ এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পারিনি। তবে এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

বেল্লাল ফকির নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, লোকালয় থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে আগুন ধরেছে। পাতার মধ্য থেকে আগুন ওপরে উঠছে। বড় বড় গাছ পুড়ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন মোংলার স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়মুজ্জামান বলেন, বন বিভাগের মাধ্যমে খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ ও মোংলা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আমরবুনিয়া এলাকায় পৌঁছায়। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে পানির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। যার কারণে আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু করতে সময় লেগেছে।’

আগুনের বর্তমান পরিস্থিতি কেমন সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বনের ভেতর প্রচুর পরিমাণ শুকনো পাতা রয়েছে; যার কারণে আগুনটা বাতাসে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। তবে আগুন নতুন এলাকায় যেন ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হচ্ছে।’

আগুন নেভাতে যাওয়া সিপিজি সদস্য মণিময় মণ্ডল বলেন, বনভূমির বিভিন্ন স্থানে এখনো আগুন জ্বলছে। আগুনের প্রচণ্ড তাপে ভেতরে প্রবেশ করতে কষ্ট হচ্ছে। কাছাকাছি কয়েকটি জায়গার আগুন আমরা নেভাতে পারলেও এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন যাতে নতুন এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে আমরা শুকনো গাছ অপসারণ করেছি। বিভিন্ন স্থানে ছোট ফায়ার লাইন কেটে রেখেছি।’


আরও খবর