আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে অন্যায় করেছি, আজ আমি অনার্স ফেল’

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ঠিক সে সময়ে উঠে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অবন্তিকার মতো শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাবের শিকার হন ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের ১৩তম আবর্তন ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

মিম জানান, দুই বছর আগে যৌন হয়রানি ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলে এখনো বিচার পাননি তিনি। উল্টো তাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় ফেল করানো হয়েছে। এমনকি তার মা-বাবাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের চাপ দেওয়া হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে ওই ছাত্রী বলেন, কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে অন্যায় করেছি বলে আমার মনে হয়। কারণ, আজকে আমি ফেল। আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলে। কোনো মহিলা টিচারের অনুপস্থিতিতে আমাকে দরজা আটকে জোর জবরদস্তি করা করা হয়। আমি হয়ত তার মতো সাহসী হতে পারি নাই। তার জন্য হয়ত আমি মারা যাই নাই। কে জানে এর পর আমি বেঁচে থাকব কি না। আমাকে একঘরে করে দিয়েছে শিক্ষকেরা। আমাকে অনার্সের ভাইভায় ফেল করানো হয়েছে। প্রতিবাদের ফলাফলস্বরূপ আজকে আমি অনার্স ফেল। একজন শিক্ষক আমাকে ৪০ মার্কের ইনকোর্স পরীক্ষায় ডাবল শূন্য দিয়েছে। এটা তো খুন। এভাবে সমাজে একের পর এক মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে খুন করে ফেলা হচ্ছে।’

‘আমি যখন অভিযোগ দায়ের করি, তখন কোনো সেল ছিল না। কোনো সেল না থাকায় আমাকে সরাসরি উপাচার্য স্যার বরাবর অভিযোগ দায়ের করতে হয়েছিল। উপাচার্য স্যার বরাবর অভিযোগ দায়ের করায় আমার ওপর অনেক ধরনের প্রেশার আসে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি তারা আমার গ্রামের বাড়িতে পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। আমার বাবা-মা অসুস্থ, তাদের ওপর প্রেশার করেছে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য। অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় আমাকে বিভাগের রুমে কোনো মহিলা টিচারের অনুপস্থিতিতে দরজা আটকে জোর জবরদস্তি করা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সাংবাদিক সমিতি আছে সেখানে ওই টিচার ক্ষমতাবলে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেছে আমার প্রসঙ্গে যেন কোনো নিউজ না আসে।’

ওই ছাত্রী আরও বলেন, আমি যে এত স্বাভাবিকভাবে কথা বলার চেষ্টা করছি- আমি ভেতর থেকে এতটা স্বাভাবিক না। আমার একটা অভিযোগ দায়ের করার কারণে ওইটা যেন অপরাধ হয়ে উঠেছে। আমার ক্লাসমেটরা আমার সঙ্গে মিশতে ভয় পায়। আমি দুই বছর যাবৎ কারও সঙ্গে মিশতে পারি না। আমাকে একা করে ফেলা হয়েছে। ওই শিক্ষক ডিপার্টমেন্ট বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াই। উনাকে কোনো লিভে পাঠানো হয় নাই। আমাকে এইট সেমিস্টারে ফেল করানো হয়েছে। আমার এসাইমেন্ট টিচাররা নিতে চাই না। আমাকে সেভেন সেমিস্টারে ফেল করানো হয়েছে। আমাকে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ভাইভায় ফেল করানো হয়েছে।’

‘আমি আজীবন পড়াশোনা ব্যতীত কিছুই করিনি। আমি ননপলিটিক্যাল ছাত্রী। আমি কোনো অর্গানাইজেশনে জড়িত না। সেখান থেকে আমার জন্য সহজ ছিল না প্রতিবাদ করার। আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার কারণে আমি প্রতিবাদ করেছি। সেই  প্রতিবাদের ফলাফল স্বরূপ আজকে আমি অনার্স ফেল। প্রতিবাদ করা আমার অন্যায় ছিল। আমার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আমি মিশতে পারি না। আমি যতই হাই ক্যালিভার আমি প্রকাশ করি- আমি  মার্কস পাই না। আমার কি তাহলে উচিত ছিল ওই শিক্ষকের কুপ্রস্তাবে রাজি হওয়া। আমি রাজি না হয়ে অনেক বড় অন্যায় করেছি। আমি মার্কসিট পুণর্মূল্যায়নের আবেদন জানালেও তা করা হয়নি। এবার চেয়ারম্যান স্যার উনার দুইটা কোর্সে আমাকে ১০০ এর মধ্যে তিন দিয়েছেন। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি কতটুকু খারাপ মেধার অধিকারী হলে আমি তিন পাই। আমার প্রসঙ্গে আমি বুজতে পারি আমার মেরুদণ্ড কতটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমাকে কাউন্সিলিং নিতে হয়। আমিতো স্বাভাবিক না। আমার বিভাগে এমনকি ক্যাম্পাসে অনেক আছে- এই একটা কারণে কেউ প্রকাশ করে না।’

‘আজকে যে অবন্তিকা মারা গেল, দেড় বছর আগে থেকে যুদ্ধ করে আসছে- মেয়েটা যদি বিচার পেত তাহলে কি আজ মারা যেত? এটা তো খুন। এভাবে সমাজে একের পর এক মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের খুন করে ফেলা হচ্ছে। সে বিচার পেলে আজ এই ঘটনা ঘটত না।’

অভিযুক্ত কে ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই ছাত্রী বলেন, উনি ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের একজন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার। উনি সিনেমা নির্মাণ করেন, আবার আমার বিভাগের লেকচারার ছিলেন। এখনো উনি বহল আছেন। উনি আমাকে কাজের জন্য উনার অফিস রুমে ডেকে নিয়ে হ্যারাজ করেন। এটা নিয়ে আমি অনেকদিন ভুগেছি। যখন আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে- আমাকে প্রতিনিয়ত ফেল করানো হচ্ছে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলা হচ্ছে। আমার বাবাকে বলা হচ্ছে-আপনার মেয়েকে বহিষ্কার করে দেব। নতুন করে যে কিমিটি করা হয়, এখন যিনি ভিসি আছেন তিনি ওই কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। ভিসি সাদেকা হালিম ম্যাডাম অনেক নারী বান্ধব।’

‘কিন্তু ম্যাডামের উপস্থিতি থাকা স্বত্বেও আমি এখন পর্যন্ত বিচার পেলাম না। কয়েক দফা রিপোর্ট আসা স্বত্বেও ওই আবু সাইদ ইমন যিনি শিক্ষক এবং উনাকে সাহায্যকারী আমাদের বিভাগের চেয়ারম্যান স্যার অধ্যাপক জুনাইদ হালিম এতগুলো তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসার পরও উনারা সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছন। একজন শিক্ষক কতটা বেহায়া হলে নিজের দোষ ঢাকতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায়। সুপ্রিম কোর্ট থেকেও তারা হেরে গেছেন। তারা সিন্ডিকেটের প্রতিবেদন না মেনে সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছেন। উনি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের একজন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার বলে ক্ষমতা বলে কি সকাল জায়গায় পার পেয়ে যাবেন।’

অন্যরা অভিযোগ না করার বিষয়ে ওই ছাত্রী বলেন, ফেল করার ভয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাইদ ইমনের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো কথা বলেন। আমিতো ফেল করে গেছি। আমারতো স্টুডেন্ডশিপের কোনো ভয় নাই। আমি রাস্তা দিয়ে যখন চলাফেরা করি-তখন আততায়ীরা আমাকে ফেরে ফেলতে পারে। আমি সারাক্ষণ অনিরাপত্তায় ভুগি। আমার পরিবার অনিরাপত্তায় ভোগে। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে না বা প্রকাশ করছে না তারাও যে নিরাপদ না বিষয়টা তেমন না। একজন শিক্ষার্থী যখন যৌন হয়রানির অভিযোগ দেয়-তখন তার চরিত্র নিয়ে যেসব কথা বলা হয় তা প্রকাশ করা যায় না। আমার বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যখনই কেউ কথা বলেন-তখনই আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলেন।’


আরও খবর



চিফ হিট অফিসার ডিএনসিসির কেউ নন : মেয়র আতিক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে কাজ করা চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কেউ নন বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির অফিসে তার জন্য নির্ধারিত কোনও বসার জায়গাও নেই বলে জানান তিনি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের নিয়োগ ও বেতন ভাতা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমি দেখছি কয়েকদিন যাবত চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে অনেকে বলছেন সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন, আসলে এটা সঠিক নয়। হিট অফিসার নিয়োগ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি কোম্পানি অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক) থেকে। সারা বিশ্বে ৭ জন চিফ হিট অফিসার তারা নিয়োগ করেছে। চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দেবে কিন্তু সরাসরি কাজ করবে না।

মেয়র আতিক বলেন, চিফ হিট অফিসার আমাদের সাজেশন (পরামর্শ) দেবে। কাজ কিন্তু আমাদের সকলকে করতে হবে। হিট অফিসার কোনও কাজ করবে না। সিটি করপোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না। আমি আগেও বলেছি, সিটি করপোরেশনে তার কোনও বসার ব্যবস্থাও নেই। তার কোনও চেয়ারও নেই।

তিনি বলেন, তারা বিশ্বের ৭টি দেশে নারী হিট অফিসার নিয়োগ করেছেন। আমি তাদের বলেছিলাম নারী কেন নিয়োগ করেছে, তারা বলেছে, নারীরা গরমের অনুভবটা বেশি করতে পারে। এ জন্যই তারা নারী হিট অফিসারদের নিয়োগ করেছে।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মুন্সিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ভোরে সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ছোট মোল্লাকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- মোহাম্মদ রাব্বি (১৯) ও পারভেজ খান (২০)। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে ওই এলাকার আহম্মেদ গ্রুপ ও মামুন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। তার দুই জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। শনিবার ভোরে আহম্মেদ গ্রুপের লোকজন মামুন গ্রুপের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত ৬ জন।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহাগ বলেন, গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রাব্বির অবস্থা শঙ্কামুক্ত। তবে পারভেজের অবস্থা মুমূর্ষু। তার ঘারে ও বাম হাঁটুতে গুলি করা হয়েছে। এতে তার জন্য ৪ থেকে ৫ ব্যাগ রক্ত লাগবে। এখান থেকে স্যালাইন দিয়ে তাকে ঢাকায় পাঠিয়েছি।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


আরও খবর



১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন, ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ১নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে ১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরির প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৪ এপ্রিল সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামানের স্বাক্ষারিত প্রজ্ঞাপনে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে বরখাস্তের এই আদেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মৌলভীবাজা জেলার রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (নিবন্ধক) নকুল চন্দ্র দাস অসৎ উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন তৈরির জন্য স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। যেহেতু ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামান বলেন, আমরা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করি।

রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস বলেন, সার্ভার হ্যাক হয়ে ভুয়া নিবন্ধন করা হয়েছে। এসব নিবন্ধনে আমাদের স্বাক্ষর নেই। মন্ত্রণালয় থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আমার জানা নেই।

জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসিয়া বিবি (২৭) নামে একজন রোহিঙ্গা নারী পাসপোর্ট করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। তার আইডি কার্ড না থাকায় জন্মনিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে যান তিনি। আসিয়া আক্তার যে নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলেন সেটি রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন থেকে নিবন্ধিত, যা গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে নিবন্ধিত হয়েছে।

আটক ওই নারী কক্সবাজারের টেকনাফ থানার আলী যোহার ও আম্বিয়া খাতুন দম্পতির মেয়ে বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি যাচাই করার জন্য ওই সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠালে ইউএনও ফতেহপুর ইউনিয়নের সচিব পাপড়ি দত্তকে কার্যালয়ে ডেকে আনেন। পরে ওই ইউনিয়নের জন্মনিবন্ধনের আইডি নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। ওই সময় কয়েক শ’ রোহিঙ্গা নিবন্ধন হয়েছে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা। যাচাই করে ওই সময় ইউএনও দেখতে পান ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫৩টি ভুয়া নিবন্ধন হয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ করেন। এ ব্যাপারে ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এখন প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালো।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তীব্র দাবদাহের কারণে জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।

চলতি বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। শুধু চলতি বছর নয়, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর টানা প্রায় ১৩ দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশপাশেই থাকছে। টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বর্তমানে সে তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। দাবদাহের কারণে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আজও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



মার্কিন সিনেটে ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা বিল পাস

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন সিনেটে পাস হল ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে বৈদেশিক সহায়তা বিল। কয়েক মাস বিলম্বের পর মঙ্গলবার সহজেই বিলটি পাস হল। এর ফলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনকে নতুন করে তহবিল জোগান দেওয়ার পথ সুগম হল।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান ও ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন অংশীদারদের ৯৫ বিলিয়ন (৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের প্রধানত সামরিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে চারটি বিল পাস হয়। বিলগুলো ৭৯-১৮ ভোটে অনুমোদিত হয়।

এর আগে গত শনিবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতারা এসব বিল নিয়ে নিজেদের অবস্থান আকস্মিকভাবে বদলে ফেলেন ও ভোটাভুটিতে সেগুলো পাস করেন।

সিনেটে বিল চারটি একটি প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করে উপস্থাপন করা হয়। প্রথম বিলে ইউক্রেনে জরুরিভিত্তিতে তহবিল জোগানের লক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের ৬১ বিলিয়ন (৬ হাজার ১০০ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় বিলে ইসরায়েলকে ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতকবলিত অঞ্চলের বেসামরিক লোকজনকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৬০০ কোটি) ডলার এবং তৃতীয় বিলে ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায়’ ৮ দশমিক ১২ বিলিয়ন (৮১২ কোটি) ডলার সহায়তা দেওয়ার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চতুর্থ বিলটি গত সপ্তাহে ওই প্যাকেজে যুক্ত করে প্রতিনিধি পরিষদ। এ বিলে চীনা নিয়ন্ত্রিত সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনে জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদ স্থানান্তরে পদক্ষেপ নেওয়া ও ইরানে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের জন্য বিলগুলো তার কাছে পাঠানো হবে। তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো মূলত আইনে পরিণত হবে।

দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, বিলগুলো টেবিলে পৌঁছানোর পর দ্রুত সেগুলো সই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।


আরও খবর