মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়, এছাড়া একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর সদস্য আবদুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান এই রায় দেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন, মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর বাদারিয়া কালোনী এলাকার সিরাজুল ইসলাম (৪০), চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ উপজেলার চন্দন কলাবাগান এলাকার জনি (২৩), বাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার উথারিয়া পাড়া এলাকার উজ্জল মিয়া (২০) ও হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মশাখালী এলাকার প্রদীপ দাস (২২)। এছাড়া ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বাসুদেব এলাকার আলী আক্কাছ (৩৫)।
আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা জেল-হাজতে ও শুধুমাত্র কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আলী আক্কাছ বর্তমানে পালাতক রয়েছে।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার সুত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনের গাঁও এলাকার হাফেজ মাওলানা মফিজুল ইসলামের ছেলে আবদুর রহমান (২৪) সেনাসদস্য হিসেবে বগুড়া সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর বাড়ি থেকে বগুড়া সেনানিবাসে যোগদানের উদ্দেশ্যে ট্রেন অথবা বাসে রওনা হয়। পরদিন ২২ অক্টোবর আবদুর রহমানের পরিবার জানতে পারে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ গোত্রশাল দীঘির পশ্চিম পাশে জখম অবস্থায় লাশ পড়ে আছে।
পরে লাকসাম রেলওয়ে থানা সেনাসদস্য আবদুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে। ওই দিন আবদুর রহমানের বাবা হাফেজ মাওলানা মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করে। পরে পুলিশ তদন্ত করে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতার করে।