মাদকের পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে ডেকে এনে হত্যা করা হয় ইজাজুল হাসানকে। এই ঘটনায় মূল দুই আসামিসহ সর্বমোট ৬ জনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের টিম।
বৃহস্পতিবার (১৩ই জুন) পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
গত ২৫ শে জুন সন্ধ্যা ৭টায় দিকে কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকার কুমিল্লা খন্দকার হক টাওয়ারের সামনে ভিকটিম ইজাজুল হককে মাদকের পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে আসামি রুবেল, শারমিন ও রুপার সহিত তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে এজাহার নামীয় সকল আসামি ভিকটিমকে খন্দকার হক টাওয়ার সংলগ্ন ফাইন্ড টাওয়ারের সামনে ফুটপাতের উপর টানা হেচড়া করে এনে এজাহার নামীয় আসামি মহরত ও পারভেজদ্বয় ভিকটি ইজাজুলের পায়ের পেছনের অংশে ছুরিকাঘাত করে আসামিগণ পালিয়ে যায়। ভিকটিম ইজাজুল হককে হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বে নিহত হয়।
এই ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোঃ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে। কোতোয়ালি থানার থানার মামলা নং ১০২।
কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান এর নির্দেশে কোতয়ালী থানা ও ডিবি পুলিশের টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন সুগন্ধা সী বিচের পাশে অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডের মূল ঘাতক মৃত চারু মিয়ার ছেলে মোঃ মহরম মিয়া (২৭), মৃত রিপন মিয়ার ছেলে পারভেজ (২৮), হালিম মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিন (২৫), হারুন মিয়ার মেয়ে রুপা আক্তার (২৫), মফিজ উদ্দিন এর ছেলে দুলাল (৪২), নাসির মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (২৭) সহ এই পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।